উইন্ডোজ এক্সপি- টিপস্‌ এন্ড ট্রিকস্‌(গতি বাড়ান)-২

আজ তাহলে সমাধান নিয়ে শুরু করা যাক। আমি এক একটি পয়েন্ট নিয়ে আলাদা পোস্ট দিতে চাই কারন বড় পোস্ট হলে অনেকে পড়ার ধৈর্য্য নাও পেতে পারেন। যেসমস্ত পয়েন্টগুলি ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করলে সুবিধা হয় সেগুলি এক এক করে আলোচনা করব। এক্ষেত্রে ক্রমিক নং অনুযায়ী আলোচনা না করে যে কাজগুলি পিসিতে ধারাবাহিক ভাবে করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে সে অনুযায়ী করা হবে। আশা করি এতে বিষয়টি উপভোগ্য হবে। তো চলুন শুরু করা যাক।

উইন্ডোজের বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় সেটিংস ডিজ্যাবল করাঃ


প্রথমেই আমরা একটি পিসির বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ফিচার যেগুলি খুব একটা কাজে লাগে না সেগুলি ডিজ্যাবল করে এর পারফরম্যান্স বাড়িয়ে নিব।

ছবি
এজন্য মাই কম্পিউটার এ রাইট মাউস ক্লিক করে প্রোপার্টিজ এ যান। এখান থেকে সিস্টেম রিস্টোর ট্যাব এ যাই এবং Turn off System Restore on all drives এ টিক চিহ্ন দিয়ে Apply বাটনে ক্লিক করি। এই সিস্টেম রিস্টোর অপশনটি যদি ও কাজের জিনিস কিন্তু বেশীরভাগ সময়ই এই অপশনটি ঠিকমত কাজ করে না। দেখা যায় যে, এর রিস্টোর পয়েন্টগুলি প্রায়ই মুছে যায় বা ঠিকমত কাজ করে না সুতরাং এটি ডিজ্যাবল করে দিয়ে আমরা বেশ কিছুটা স্পেস ও মেমোরী সেভ করতে পারি।

ছবি
এবার Automatic Updates ট্যাবে যাই ও Turn off Automatic Updates এ ক্লিক করি এবং Apply বাটনে ক্লিক করি। এই ফিচারটি মাঝে মাঝে আপডেট করতে যেয়ে আপনার (জেনুইন!) উইন্ডোজকে পাইরেটেড এ পরিনত করে ফেলে এবং লগইন করতে দেয় না। তাই এটি ডিজ্যাবল করে রাখলে কোন সমস্যা নেই বরং কিছুটা মেমোরী সেভ হবে। এছাড়া আপনি আপনার এন্টিভাইরাসের Automatic Update ফিচার এনাবল করে রাখলেই কাজ চলে সুতরাং উইন্ডোজ থেকে Automatic Update ফিচার সুবিধা না নেওয়াই ভাল।

ছবি
এবার আসুন রিমোট ট্যাবে যাই এবং এখানে Remote Assistance এবং Remote Desktop এর ভিতরের টিক চিহ্ন গুলো উঠিয়ে দিই ও যথারীতি Apply বাটন এ ক্লিক করি।

ছবি
এখন Advanced ট্যাবে ক্লিক করুন। এখানে Error Reporting বাটনে ক্লিক করুন এবং Disable Error Reporting অপশনে ক্লিক করে OK করুন। আপনি যদি এরর রিপোর্ট দেখে সমস্যা বুঝতে চান তাহলে এটি এনাবল রাখতে পারেন কিন্তু বেশীরভাগ সময়ই এটি কাজে লাগে না তাই এটি ডিজ্যাবল করে রাখাই ভাল। কিছুটা মেমোরী সাশ্রয় হবে আপনার পিসির।

ছবি
এবার Performance এর নীচে Settings বাটনে ক্লিক করুন। এখানে Visual Effects ট্যাবে ক্লিক করুন। প্রথমে Adjust for Best Performance এ ক্লিক করুন তাহলে সবগুলি টিক চিহ্ন উঠে যাবে এরপর নিচের অপশনগুলি থেকে শুধুমাত্র Smooth Edges of Screen Fonts, Use common task in folders, Use visual styles on windows and buttons এ টিক চিহ্ন দিয়ে Apply করুন। শুধুমাত্র এই তিনটি অপশন ব্যবহার করার ফলে অনেক অপ্রয়োজনীয় ইফেক্টস ব্যবহার না করে আপনি আপনার মেমোরী অনেকখানি সেভ করতে পারবেন আশা করি।

ছবি

এবার উইন্ডোজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার - ভার্চ্যুয়াল মেমোরী নিয়ে আলোচনা করব। ভার্চ্যুয়াল মেমোরী নিয়ে আগেই আলোচনা করেছি সুতরাং আসুন কাজে নেমে পড়ি। Visual Effects এর পাশে Advanced ট্যাবে ক্লিক করুন। Virtual Memory এর নীচে Change বাটনে ক্লিক করুন। এখানে বিভিন্ন ড্রাইভে কতটুকু Virtual Memory হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা দেখা যাবে। আপনার যে ড্রাইভে বেশী ফাকা আছে তাতে ক্লিক করুন। তারপর নীচে Custom Size এ ক্লিক করুন। এবার Initial Size Box এ RAM এর দ্বিগুন ভ্যালু(ধরুন ১২০০) সেট করুন এবং এর থেকে কিছু বেশী Maximum Size Box(ধরুন ১৫০০) এ সেট করুন। এবার নীচে Set বাটনে ক্লিক করুন এবং ok করে বের হয়ে আসুন। এখন আপনার কম্পি্উটার অনেক বেশী Virtual Memory ব্যবহার করতে পারবে এবং স্পীড বেড়ে যাবে।

এবার আপনি মাই কম্পিউটার এ ডাবল ক্লিক করে ঢুকে টুলস মেনু থেকে ফোলডার অপশনে যান এবং জেনারেল ট্যাবের আন্ডারে Use windows classic folders এ ক্লিক করুন, Open each folder in the same windows ও Double click to open an item এ ক্লিক করুন একইভাবে। তাহলে আপনার হার্ডডিস্ক এ এক্সেস টাইম কিছুটা দ্রুততর হবে। এবার View ট্যাবের আন্ডারে Do not show hidden files and folders, Hide extension for known types, Hide protected operating system files গুলিতে ক্লিক করুন। সবশেষে ওকে করে বের হয়ে আসুন।

0 comments:

Post a Comment