টরেন্ট কি, কেন এবং ইজি ডাউনলোড করা ইজি সফট কোনটি?

পোস্টলিখেছেন কারিগর সোমবার, জুলাই ২১, ২০০৮ ৬:৩৭ অপরাহ্ন

ডাউনলোড কি?

    টরেন্ট কি বলার আগে জানা প্রয়োজন ডাউনলোড বলতে কি বুঝায়? ধরুন আমি একটা সফটওয়্যার বানালাম যেটা আপনাদের মাঝে বিতরণ করতে চাই। আরও , ধরে নিন যে আমি দেশের বাইরে কোন জায়গায় আছি। ইন্টারনেট আসার আগে, আপনাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য পোস্ট করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না । এখন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমি একটা লিংক দিয়ে দেই, আর আপনি সেটাতে ক্লিক করে সংগ্রহ করে নেন।
    লিংক দেয়া থেকে শুরু করে , আপনার পিসিতে ফাইল টার সম্পূর্ণ প্রতিলিপি সংরক্ষণ হওয়া পর্যন্ত যে কাজ টা ঘটে, সেটাকেই বলে ডাউনলোড। দেখা যাক কিভাবে আমি আপনাকে লিংক দেই আর আপনি ডাউনলোড করেন?
    ধাপ গুলো এমন:
    ১।আমি নিজের একটা ওয়েব সার্ভারে ফাইলটা রেখে দিলাম।
    ২। ফাইলের লিংক হলো http://www.mywebsite.com/omlan.zip
    ৩। এখন, আপনি বা অন্যকেউ যতবার এই লিংক এ ক্লিক করে ঐ ফাইলটা নামাবে আমার ওয়েব সাইটের ব্যান্ডুইডথ খরচ হতে থাকবে। যদি জানেন যে "ব্যান্ডুইডথ কি? " তাহলে ভালো। না জানা থাকলে এটুকু জেনে রাখুন যে, এটা হলো ওয়েব সাইটের মালিকের টাকা খরচের একটা খাত।
    ৪। আপনি যখন লিংক এ ক্লিক করবেন। ঠিক তখন থেকেই যাত্রা শুরু হবে, এবং অনেক টা পথ পাড়ি দিয়ে আমার সারভার থেকে ফাইলটা আপনার পিসি তে যাবে।
    ৫। মাঝে লাইন কেটে গেলে আবার শুরু থেকে শুরু হবে।
    ৬। এখন, ৫০ মেগা বাইটের একটা ফাইল ১০ জন নামালে ৫০০ মেগাবাইট হয়ে গেল। এরকম চলতে থাকলে আমার মত একজন সাদামাটা মানুষের মেলা খরচ পড়ে যাবে।

সেই খরচ কমানোর জন্য, ২০০১ সালের মাঝামাঝি আমেরিকান প্রোগ্রামার ব্রাম কোহেন , একটা উপায় বের করেন। সেটা হলো, "দশে মিলে করি কাজ" টাইপের উপায়। তখন থেকেই, "Bit Torrent" ের যাত্রা শুরু।

উপায় টা কি??

    ধরেন, আলোকিত, অম্লান, অর্জুন, অমিয়, অর্ণব, ৫ জন মিলে একটা ফাইল ডাউনলোড করছে,পাশাপাশি ৫ টা কমপিউটার থেকে। এখন, কম্পিউটার তো ফাইল চিনে না, সে চিনে বাইনারী। তাহলে, ৫ মেগাবাইটের ফাইল নামানো বলতে আসলে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক ০ আর ১ নামাতে হবে। এখন, আলোকিতের নেট স্পীড ভালো হওয়ায় সে ৯৫% ডাউনলোড করে ফেলেছে, কিন্তু, আপনি অম্লান মোটে ১০% করেছেন। এখন, এমন হলে কি ভালো হতো না যে, আপনি আলোকিত-র কাছ থেকে ওর নামানো ৮৫% নিয়ে নিলেন এবং মেইন সাইট থেকে বাকি ৫% নামিয়ে নিলেন? সফটওয়্যার জিনিস টা হাত দিয়ে ধরা যায় না তো, তাই সেটার % বুঝতে আলাদা ব্যবস্থা লাগে। P2P সফটওয়্যারের সাহায্যে এই কাজ টি করতে পারবেন। কিন্তু, কিভাবে বুঝবেন যে কার কাছ থেকে নিবেন? ধরা যাক আলোকিত পাশের পিসি তে না থেকে কয়েকশত মাইল দূরে আছে। তাহলে? সেক্ষেত্রে আপনাকে এমন একটা ব্যবস্থা রাখতে হবে যা থেকে সহজেই সমধর্মী ডাউনলোডার খুঁজে বের করতে পারবেন। ঠিক এই কাজটাই করে টরেন্ট।

টরেন্ট কি?

    টরেন্ট আসলে একটা ফাইল। খুব বেশি হলে কয়েকশত কিলোবাইট হতে পারে। এতে আপনার টার্গেট ফাইল ডাউনলোডের জন্য দরকারী তথ্য থাকে। তবে, এটাকে চালাতে হলে টরেন্ট ক্লায়েন্ট লাগবে।

টরেন্ট ক্লায়েন্ট কি করে?
    টরেন্ট ক্লায়েন্ট আপনার টরেন্ট ফাইল পড়ে, সেটা থেকে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের খোঁজ বের করবে এবং ডাউনলোড শুরু করবে। হয়ত দেখবেন, একটা ফাইলের বিভিন্ন অংশ এক সাথে ডাউনলোড শুরু হয়ে গেছে। এটা হতে পারে এজন্য যে, হয়ত শেষ ১০% ডাটার জন্য ভালো সোর্স পাওয়া গেছে। আরও মজার ব্যাপার হলো, এই ক্লায়েন্ট গুলো উভ-মুখী আদান প্রদান করতে থাকে। মানে হলো, আপনি ৩০% ডাউনলোড করলে, দেখা যাবে সেই ৩০% থেকেই আবার আরেকজন নিয়ে নিচ্ছে।

সুবিধা / অসুবিধা:

সুবিধা:
    অনেকের মতামত, টরেন্টে ডাউনলোড থামিয়ে রেখে আবার শুরু করা যায় (রিজিউম-পজ) এবং টরেন্টে ফাইল করাপ্ট থাকে না।
    টরেন্ট দিয়ে ফাইল নামাতে হলে আপনার স্পীড খুব ভালো না হলেও চলে।
    টরেন্ট ক্লায়েন্ট দিয়ে মোটামুটি একটা অদেখা জগতের খোঁজ পেয়ে যাবেন।
    পি-টু-পি বা টরেন্ট ক্লায়েন্ট দিয়ে পাওয়া যায় না এমন জিনিস দূর্লভ। (একবার উইনডোজের কোন একটা ভার্সন পেয়ে গেছিলাম জেনুইন)

অসুবিধা:
ফাইল করাপ্ট থাকে মাঝে মধ্যেই।
যেহেতু,সেকেন্ডারী সোর্স ডিপেন্ডেন্ট, সেহেতু, রিলে সোর্স পিসি বন্ধ থাকলে ডাউনলোড কমে যাবে।
সোর্সের কানেক্টিভিটি খারাপ হলে ডাউনলোডে কয়েক যুগ লেগে যায়
অনেক সময়েই বাজে ফাইল আসে।

টরেন্ট প্রযুক্তি (পিয়ার টু পিয়ার ফাইল শেয়ারিং সিষ্টেম)

টরেন্ট হচ্ছে একটি অনলাইন ফাইল শেয়ারিং প্রোটোকল বা প্রযুক্তি। অনলাইন ফাইল শেয়ারিং এ এক অপ্রতিরোধ্য প্রযুক্তিও বটে যেটি P2P অথাৎ পিয়ার টু পিয়ার ফাইল শেয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে । পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফাইল শেয়ারকারীগন একে অপরের কম্পিউটিং পাওয়ার ব্যান্ডউইথ শেয়ার করে থাকে। পিয়ার টু পিয়ারে আপনি এবং আমি যদি কোন ফাইল শেয়ারিং করি তখন আপনি আর আমি হচ্ছি ক্লায়েন্ট। আমরা সার্ভারকে ডাউনলোড এবং আপলোডের জন্য রিকোয়েষ্ট করি।
আরো ভালো করে বুঝতে ধরুন - কোন একটি (FTP) এফটিপি সার্ভারে একটি ফাইল বা প্রগ্রাম রাখা আছে যা আমরা কয়েক জন এই মূহূর্তে ডাউনলোড করছি। এখানে আমরা হচ্ছি ক্লায়েন্ট এবং (FTP) এফটিপি সার্ভারকে রিকোয়েষ্ট করছি ফাইলটির জন্য।এখন যত বেশী ক্লয়েন্ট এবং রিকোয়েষ্ট বাড়বে ততবেশী চাপ (FTP) এফটিপি সার্ভারটির উপর পড়বে এবং পারফমেন্স ধীর গতীর হয়ে পড়বে।

# টরেন্ট (torrent) ঃ
টরেন্ট অথাৎ .torrent এক্সটেনশন যুক্ত ফাইল হচ্ছে একটি মেটা ফাইল বা প্রযোজনীয়তথ্য সমৃদ্ধ সকটি ফাইল। যেখানে টরেন্ট এর মাধ্যমে যেই ফাইল ডাউনলোড করা হবে সেই ফাইল সম্বন্ধিত কিছু তথ্য যেমন ফাইলটির নাম, ফাইলটির আকার এবং ট্র্যাকার ইউআরএল থাকে।

# পিয়ার (peer or leecher) ঃ
পিয়ার হচ্ছ্ে‌ যেই কম্পিউটারের সাথে আপনি যুক্ত এবং যে বিট-টরেন্ট ক্লাযেন্ট ব্যবহার করে আপনি টরেন্টের মাধ্যমে ফাইল ডাউনলোড করছেন। পিয়ার কে লিচার ও বলা হয়। লিচার মানে একজন বা কয়েকজন একটি নির্দিষ্ট ফাইল শেয়ার করছে আর আপনি তাদের থেকে ফাইলটির অংশ ডাউনলোড করেছেন। আপনি যখন টরেন্টের মাধ্যমে ফাইল ডাউনলোড শুরু করলেন তখন আপনার কাছে ফাইলটির কোন অংশই নেই, আপনি সিডার বা ফাইলটি শেয়ার কারী হতে ফাইলটি ডাউনলোড করছেন। তাই আপনি হচ্ছেন পিয়ার বা লীচার।

# সিড এবং সিডার (Seed of seedder) ঃ
সিডার হচ্ছেন তিনি যিনি বিট-টরেন্ট ব্যবহার করে উক্ত ফাইলের সম্পূর্ন অংশ ডাউনলোড করছেন বা করেছেন এবং একই সাথে ফাইলের যতটুকু অংশ ডাউনলোড করা হয়েছে তা অন্য পিয়ারদের সাথে শেয়ার করছেন। একটি টরেন্ট এর ডাউনলোড স্পিড উক্ত টরেন্টের সিডারের সংখ্যার উপর নির্ভর করে। সিডার বা শেয়ারকারীর সংখ্যা যত বেশি ডাউনলোড স্পিড বা পারফরমেন্স তত বেশি হবে।

# সোয়ার্ম (swarm) ঃ

সোয়ার্ম হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট ফাইলের জন্য যতগুলো সিডার বা শেয়ারকারী এবং লীচার বা ডাউনলোডকারী একে অপরের সাথে connected থাকে তাদের সম্মিলিত সংখ্যা অর্থাৎ টরেন্টের মাধ্যমে একটি ফাইল যদি ১০ জন সিডার শেয়ার করে এবং ৫ জন লীচার তা ডাউনলোড করে তকে মোট পনেরজনের এই মধ্যবর্তী যোগাযোগ কে সোয়ার্ম বলে।

# ট্র্যাকার (tracker) ঃ

টরেন্টের মাধ্যমে যখন ফাইল ডাউনলোড করা হয় তখন সিডার এবং লীচারদের মধ্যে যোগাযোগ রৰার ৰেত্রে একটি সার্ভার থাকে। এই সারর্ভারটিই হচ্ছে ট্র্যাকার। টরেন্ট তৈরীর সময় একটি ট্র্যাকার সার্ভার ইউআরএল উল্লেখ করে দেয়া হয়। এই ট্র্যাকার টি ট্র্যাক করতে থাকে বর্তমানে টরেন্টটির কয়জন সিডার এবং লীচার আছে। যা আপনার বিট-টরেন্ট ক্লায়েন্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন বর্তমানে উক্ত টরেন্টের জন্য কয়টি সিডার বা লীচার আছে।

ট্র্যাকারের উদাহরণ ঃ http://torrent.banglamobilesystem.tk:9696/announce

এখন টরেন্ট প্রযুক্তি উদাহরনের মাধ্যমে আরেকটু বিˉ্তারিত তুলে ধরা হলঃ-
ধরুন নিপা, জ্জামান, নিতা, ইমরান, মেহেদী, এরা পাঁচজন একটি নির্দিষ্ট টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করছে। নিপা টরেন্টটি তৈরি করেছে এবং file.torrent ফাইলটি সে কোন টরেন্ট সাইটে আপলোড করে দিয়েছে। মনে রাখবেন file.torrent টরেন্ট ফাইলটি ছোট আকারের হয়ে থাকে কিলোবাইট বা ১ মেগাবাইট। এতে শুধু নীপার কম্পিউটারে রাখা একটি ফাইল (যে ফাইলটা টরেন্টের মাধ্যমে শেয়ার করা হচ্ছে) এর অবস্থান, ফাইলটির নাম, আকার, ট্র্যাকার ইউআরএল ইত্যাদি তথ্য আছে। এখন নিপা বিট-টরেন্ট ক্লায়েন্ট এর মাধ্যমে ফাইলটা শেয়ার বা সিড করছে। প্রথমে চারজন নিপা থেকে ফাইলটির কিছু অংশ ডাউনলোড করলো। এখন সকলের কাছে ফাইলটির কিছু কিছু অংশ আছে। এখন সকলেই ফাইরটির যতটুকু অংশ ডাউনলোড করেছে তা অন্যদের ডাউনলোড করতে দিচ্ছে অর্থাৎ শেয়ার বা সিড করছে এবং নিজেও অবশিষ্ট অংশ নিপা সহ অন্যদের কাছ থেকে ডাউনলোড করছে। এখন দেখছেন আগে সিডার ছিল নিপা একজন এখন সকলেই একেক জন সীডার হয়ে গিয়েছে। এভাবে সিডার যত বাড়তে থাকবে ডাউনলোড পারফমেন্স তত বাড়তে থাকবে। একটা সময় আসবে যখন সকলেরই কাছে কাঙ্খিত ফাইলটি সম্পূর্ণ থাকবে। অথাৎ আগে যে ফাইল শুধু নিপার কাছে ছিল এখন সেই ফাইল অনেকের কাছে আছে। এখন চাইলে ফাইলটি ডাউনলোডকারীরা অন্যদের জন্য সিডিং বা শেয়ারিং করতে পারবে এছারা কেউ যদি সিডিং বা শেয়ারিং বন্ধ করতে চায় সে বন্ধ করতে পারবে তার বিট-টরেন্ট ক্লাইন্ট থেকে বা চাইলে সিডিং করা চালু রাখতে পারবে অন্যদের ফাইলটি ডাইনলোড করার সুবিধার জন্য। ব্যাস এই হল টরেন্ট শেয়ারিং পদ্ধতি বা টরেন্ট প্রযুক্তি। পরিশেষে শুধু বলতে চাই, অনলাইন ফাইল শেয়ারিং এক অপ্রতিরোধ্য প্রযুক্তি। টরেন্টের কিছু উপকারীতাও আছে এবং কিছু অপকারীতাও আছে। যেমন টরেন্টের মাধ্যমে একদিকে যেমন ফাইল শেয়ারিং করা যায় তেমনি এই প্রযুক্তির কল্যানে পাইরেসীও করা যায় ধুমছে। শেয়ারিং পদ্ধতিতে যে কেউ যে কোন কিছুই শেয়ার করতে পারে সেটা সফটওয়্যার থেকে শুর্ব করে গান, ছবি, ভিডিও, এবং যে কোন ডকুমেন্ট ও হতে পারে।এই পদ্ধতি ব্যবহার করে পাইরেসী করলে কাউকে ধরা সম্ভব নয়। কারণ টরেন্ট কোন ব্যাক্তি বা কোম্পানী না, এবং টরেন্টের মাধ্যমে ডাউনলোড কৃত ফাইল কোন নির্দিষ্ট সারভারে এবং কোন নিদিষ্ট ব্যাক্তি দ্বারা শেয়ার কৃত না তাই এই প্রয়ুক্তির যতটুকু উপকারিতা রয়েছে এবং পাইরেসীর মত অপকারীতা ও রয়েছে। কাজা বা ন্যাপস্টার P2P শেয়ারিং সার্ভিস দেয়। এরা একটি প্রতিষ্ঠান তাই এই কোম্পানিকে এ ধরনের কাজ হতে বিরত রাখা সম্ভব কিন্তু টরেন্টকে নয়। টরেন্ট ডাউনলোডের জন্য এখন আপনার বিট-টরেন্ট ক্লাযেন্ট প্রয়োজন হবে ।

এখানে কিছু বিট-টরেন্ট ক্লাযেন্টের নাম এবং ওয়েব এ্যাড্রেস উল্লেখ করা হল :
Bit Torrent (http://www.bittorrent.com)
Bit Lord(http://www.bitlord.com)
Bit Comet(http://www.bitcomet.com)
uTorrent(http://www.utorrent.com)
Azureus(http://azureus.sourceforge.net)
Deluge(http://deluge-torrent.org)
Bangladesh(http://www.banglatorrent.com)

ইন্টারনেটে খুজলে আরো অনেক ক্লায়েন্ট খুজে পাওয়া যাবে। নিচে কিছু ওয়েব সাইটের লিংক দেয়া হল যেখান থেকে টরেন্ট সম্পকৃত সকল তথ্য এবং টরেন্ট তৈরীর টিউটোরিয়াল পাওয়া যাবে।

http://torrentreactor.com
http://isohunt.com
http://thepiratebay.org
http://www.torrentspy.com
http://www.utorrent.com/guides.php
http://www.utorrent.com/torrent.php
http://www.thepiratebay.org/btfaq.php?id=1
http://www.thepiratebay.org/btfaq.php?id=3

1 comments:

Asian Diary said...

চরম । নতুন হিসেবে অনেক কিছুই বুঝে গেলাম।

Post a Comment