ডিপ ফ্রিজ আনইন্সটল এর টিউটোরিয়ালঃ


ছবিঃ
ছবি
প্রথমে শিফট কি চেপে ডিপ ফ্রিজ এর আইকনে ডাবল ক্লিক করতে হবে। তারপর পাসওয়ার্ড(যদি থাকে) দিয়ে লগ ইন করতে হবে।
ছবিঃ
ছবি
এরপর যে তিনটি অপশন আছে তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে ডিফলট। এ অবস্থায় কম্পিউটার ফ্রিজ থাকবে। পরের অপশনে (Boot Thawed on Next) আপনি যদি ক্লিক করে ১/২ সেট করেন তাহলে ততবার রিবুট হবে ডিজাবল অবস্থায়। এ অবস্থায় আপনি যে কাজ করবেন তা ডিপফ্রিজ পরিবর্তন করবে না। সর্বশেষ অপশন (Boot Thawed) এটিকে পুরোপুরি ডিজাবল করে রাখে।
আর এ অপশন গুলি কাজে লাগাতে হলে আপনাকে পিসি অবশ্যই রিস্টার্ট দিতে হবে।
ছবিঃ
ছবি
এখন যদি আপনি আনইনস্টল করতে চান তবে এটিক পুরোপুরি ডিজাবল করুন সর্বশেষ অপশনটি এনাবল করে। এবার কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন। তারপর আপনি যে ফাইলটি দিয়ে ডিপ ফ্রিজ ইনস্টল করেছেন সেটিতে ডাবল ক্লিক করুন (এটি অবশ্যই আপনার কম্পিউটারে থাকতে হবে কারন ডিপ ফ্রিজ যেটি দিয়ে ইনস্টল করা হয় ঠিক সেই ফাইলটিই আনইনস্টল করতে কাজে লাগে)। এটিই বুঝতে অনেকের সমস্যা হতে পারে। এবার অনস্ক্রিন কমান্ড ফলো করে এটিকে আনইনস্টল করে ফেলুন।

How To Manage & backup Profiles in Thunderbird

Mozilla Thunderbird stores all your personal settings, such as your mail, passwords and extensions, in a profile. The profile is stored on your hard drive in a profile folder.

If you run into problems using Thunderbird (e.g. problems starting after installing an extension, or other features not functioning properly), the first thing you're usually asked to do in the tech support forum is to create a new profile. This tutorial will not only show you how to do that, but also how to create backups and move or restore existing profiles.

Contents

Locate your profile folder

Knowing where your profile folder is stored can be useful if, for example, you want to make a backup of your personal data.

  • On Windows Vista/XP/2000, the path is usually %AppData%\Thunderbird\Profiles\xxxxxxxx.default\, where xxxxxxxx is a random string of 8 characters. Just browse to C:\Documents and Settings\[User Name]\Application Data\Thunderbird\Profiles\ on Windows XP/2000 or C:\users\[User Name]\AppData\Roaming\Thunderbird\Profiles\ on Windows Vista, and the rest should be obvious.
  • On Windows 95/98/Me, the path is usually C:\WINDOWS\Application Data\Mozilla\Thunderbird\Profiles\xxxxxxxx.default\
  • On Linux, the path is usually ~/.thunderbird/xxxxxxxx.default/
  • On Mac OS X, the path is usually ~/Library/Thunderbird/Profiles/xxxxxxxx.default/

%AppData% is a shorthand for the Application Data path on Windows 2000/XP/Vista. To use it, click Start > Run... (use the search box on Vista), enter %AppData% and press Enter. You will be taken to the "real" folder, which is normally C:\Documents and Settings\[User Name]\Application Data on Windows XP/2000, C:\users\[User Name]\AppData\Roaming on Windows Vista.

Create a new profile

The screenshots are from Firefox, but the appearance is the same in Thunderbird.

In order to create a new profile, you use the Profile Manager. To start the Profile Manager in Windows, follow these steps:

  1. Close Thunderbird completely (select File > Exit from the main menu of Thunderbird).
  2. Select Start > Run... from the Windows Start menu (use the search box on Vista).
  3. Enter thunderbird.exe -ProfileManager and press OK.

On Mac OS X, hold down the Option key and double click the Thunderbird icon.

On Linux, start Thunderbird with the the -profilemanager switch, e.g. ./thunderbird -ProfileManager (this assumes that you're in the Thunderbird directory).

You should now see the Profile Manager window, shown in the screenshot to the right.

From the Profile Manager you are also able to remove and rename profiles.

Click on the Create Profile... button to start the Create Profile Wizard. Click Next and enter the name of the profile, e.g. your name or something descriptive.

You can also choose where on the disk you want the profile to be stored, which is useful if you plan on exporting your settings to another computer or setup in the future.

Finally, click Finish to have Thunderbird create the new profile.

You should now be taken back to the Profile Manager and the newly created profile should be listed. Select it and click Start Thunderbird. That's it!

You are now running Thunderbird with the new profile, which means all settings are reset to default. If you want to switch back to your old profile, just start the Profile Manager again (instructions above) and select the old profile.

You can also have Thunderbird start a selected profile automatically, so you don't have to pick one each time the browser is launched. Do this by checking the Don't ask at startup option.

Backing up your profile

Backing up your profile folder in Thunderbird is easy. Just follow these steps (which assumes you know how to manage files on your computer):

  1. Shut down Thunderbird completely (File > Exit).
  2. Make a copy of your profile folder to, for example, a CD-RW disc or a separate hard disk for backup purposes.

Move an existing profile or restore a backed up profile

It's possible to move the location of a profile folder. This could be useful if you have a backed up profile folder somewhere on your hard drive and want to tell Thunderbird to use that as your profile. This section explains how to do this.

  1. Shut down Thunderbird completely (File > Exit).
  2. Move the profile folder to the desired location. For example, on Windows XP, move the profile from C:\Documents and Settings\[username]\Application Data\Thunderbird\Profiles\xxxxxxxx.default to D:\Stuff\MyMailProfile. If you are reading these instructions because you want to restore a previously backed up profile, this step isn't necessary. Just note the current location of the profile you want to restore.
  3. Open up profiles.ini in a text editor. The file is located in the application data folder for Thunderbird:
    • On Windows Vista/XP/2000, the path is %AppData%\Thunderbird\
    • On Windows 95/98/Me, the path is usually C:\WINDOWS\Application Data\Thunderbird\
    • On Linux, the path is ~/.thunderbird/
    • On Mac OS X, the path is ~/Library/Application Support/Thunderbird/
  4. In profiles.ini, locate the entry for the profile you've just moved. Change the Path= line to the new location. If you are using a non-relative pathname, the direction of the slashes may be relevant (this is true for Windows XP).
  5. Change IsRelative=1 to IsRelative=0.
  6. Save profiles.ini and restart Thunderbird.

ডীপ ফ্রিজকে ব্যবহার করুন অ্যান্টিভাইরাস হিসেবে

ভাইরাসের (Virus) আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমরা সাধারণত এভিজি, নর্টন, ক্যাস্পার স্কাই (AVG, Norton, Kasper sky) প্রভৃতি অ্যান্টিভাইরাস (Anti-virus) ব্যবহার করে থাকি। এসব অ্যান্টিভাইরাসের উপকারিতার পাশাপাশি কিছু কিছু অপকারিতা এবং সীমাবদ্ধতাও আছে। যেমন নর্টনের কথা যদি ধরা হয়, এটা কম্পিউটারকে ভয়াবহ রকমের স্লো করে দেয়। এভিজি যদিও কম্পিউটারকে খুব বেশি স্লো করে না, কিন্তু এটা অনেক সময় অনেক নির্দোষ এক্সিকিউট্যাবল (*.exe) ফাইলকেও ভাইরাস সন্দেহে অযথা হয়রানি করে। এছাড়া যত শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাসই হোক না কেন, নিয়মিত আপডেটের বিরক্তিকর ঝামেলাটা না পোহালে কেউই নতুন ভাইরাসগুলোকে আটকাতে পারেনা। ফলে অ্যান্টিভাইরাস থাকা সত্ত্বেও কম্পিউটারের বারোটা বেজে যেতে পারে। আর সৌভাগ্যক্রমে ভাইরাস যদি আপনার বুট সেক্টরে (Boot Sector) আক্রমণ করে বসে, তাহলে তো কথাই নেই। উইন্ডোজ নতুন করে ইনস্টল করা ছাড়া আপনার সামনে আর কোন পথ খোলা থাকবে না।

এসব ক্ষেত্রে আপনি ডীপ ফ্রিজ (Deep Freeze) সফটওয়্যারটিকে অ্যান্টিভাইরাসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ডীপ ফ্রিজ হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার, যা কম্পিউটারকে অনাকাংখিত পরিবর্তনের হাত থেকে রক্ষা করে। ব্যাপারটা এরকম যে, আপনি কোন একটি হার্ড ডিস্ক ড্রাইভকে ফ্রিজ করার সময় এতে যেসকল ফাইল-ফোল্ডার (File-Folder) থাকবে, বা এতে যেসকল সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকবে, একবার ফ্রিজ করার পর আপনি সেগুলো যতই পরিবর্তন করুন না কেন, কম্পিউটার রিস্টার্ট (Restart) করা মাত্রই সব আবার আগের মত হয়ে যাবে। এরফলে আপনি যদি আপনার রুট ড্রাইভটিকে (যে ড্রাইভে আপনি সফটওয়্যারটি ইনস্টল করবেন – সাধারণত C :) ডীপ ফ্রিজের সাহায্যে ফ্রিজ করে রাখেন, তাহলে কোন ভাইরাস যদি আপনার বুট সেক্টরেও আক্রমণ করে বসে, তবুও কম্পিউটার রিস্টার্ট করামাত্রই সব ভাইরাস সমূলে বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

কোন অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার না করে শুধু ডীপ ফ্রিজ ব্যবহার করলে অবশ্য আপনার ফ্রিজ না করা ড্রাইভগুলো অর্থাত্‍ D: বা E: ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তবে সেটা রুট ড্রাইভ আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে অনেক কম ক্ষতিকর। কারণ অন্যান্য ড্রাইভে ভাইরাসের আক্রমণে আপনার শুধু কিছু এক্সিকিউট্যাবল ফাইল (*.exe) তথা সফটওয়্যার এবং কিছু গেমস ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার অধিকাংশই আপনি ইন্টারনেট অথবা সিডি থেকে রিকভার (Recover) করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ডীপ ফ্রিজ ব্যবহার করে আপনার রুট ড্রাইভটিকে ফ্রিজ করে রাখেন, তাহলে ঐ ড্রাইভে কোনভাবেই ভাইরাস আক্রমণ করতে পারবে না। ফলে আপনার বুট সেক্টর আক্রান্ত হওয়ারও কোন সম্ভাবনা থাকবে না এবং ফলে আপনাকে উইন্ডোজ নতুন করে ইনস্টল করার ঝামেলাও পোহাতে হবে না।

ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে উইন্ডোজ ইনস্টল করাকে ভীষণ ভয় পাই। কারণ উইন্ডোজের সাথে সাথে আমাকে প্রায় 50-60 টা প্রোগ্রাম ইনস্টল করতে হয় যেগুলো আমি নিয়মিত ব্যবহার করি। অথচ এভিজি ব্যবহার করা সত্ত্বেও এই বিরক্তিকর সময়সাপেক্ষ কাজটা আমাকে প্রতি কয়েক মাস পরপরই বাধ্য হয়ে করতে হতো। কিন্তু ডীপ ফ্রিজ ব্যবহার শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছর হতে চলল, এখনও একবারও উইন্ডোজ ইনস্টল করতে হয়নি। এর মাঝে একবারও যে ভাইরাস আক্রমণ করেনি, তা নয়। যতবারই ভাইরাসের আগমন টের পেয়েছি, রিস্টার্ট করা মাত্রই সব আবার ফ্রেশ; কোন রকম অ্যান্টিভাইরাস ছাড়াই। শুধু একবার ফ্রিজ না করা D: ড্রাইভে ভাইরাসের আক্রমণে কিছু ফ্ল্যাশ গেমস (Flash Games) নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যার প্রায় সবগুলোই পরে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পেরেছি। কাজেই আমার নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যান্টিভাইরাস হিসেবে এভিজি অথবা নর্টন অপেক্ষা ডীপ ফ্রিজ অনেক ভালো।

ডীপ ফ্রিজ সফটওয়্যারটা ইনস্টল এবং ব্যবহার করা খুবই সহজ। এর নতুন সংস্করণগুলোতে কিছু জটিলতা থাকলেও পুরানো সংস্করণগুলো খুবই সিম্পল। এখানে আমি ডীপ ফ্রিজ 5.70 ভার্সনটা আপনাদের জন্য আপলোড করে দিলাম। এর সাইজ মাত্র 2.35 মেগাবাইট। এটি ইনস্টল করার সময় আপনাকে ঠিক করে দিতে হবে আপনি কোন কোন ড্রাইভ ফ্রিজ করে রাখতে চান। সেক্ষেত্রে আপনাকে শুধু আপনার রুট ড্রাইভের (যে ড্রাইভে আপনি সফটওয়্যারটি ইনস্টল করবেন – সাধারণত C :) আইকনের পাশের চেকবক্সে টিকমার্ক দিতে হবে। আপনি যদি ভুলক্রমে D: বা E: এর পাশে টিকমার্ক দেন, তাহলে ঐ ড্রাইভগুলোও ফ্রিজ হয়ে যাবে এবং এরফলে আপনি ঐ সব ড্রাইভে কোন কিছু পরিবর্তন করতে পারবেন না।

ডীপ ফ্রিজ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আপনি ইচ্ছে করলে যেকোন সফটওয়্যারের ট্রায়াল ভার্স থেকে প্রায় ফুল ভার্সনের সুবিধা আদায় করে নিতে পারেন। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এই লিংকে।

উবুন্টুতে গ্রামীণফোন ইন্টারনেট সংযোগ





লিখেছেন শাহরিয়ার তারিক
বৃহস্পতিবার, 27 মার্চ 2008

গ্রামীনফোন এজ-এর সাহায্যে দিনদিন অনেক মানুষই ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করেন। তাদের অনেকেই এখন উবুন্টুতে গ্রামীনফোনের ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করতে চান। এই লেখাটি লেখা হয়েছে যাতে তারা সহজেই গ্রামীনফোনের এজ ইন্টারনেট সংযোগ চালু করতে পারেন।

গ্রামীনফোন এজ চালু করার জন্য প্রথমে  এই লিঙ্ক থেকে নোম পিপিপি(Gnome PPP) সফ্টওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন(উবুন্টু রিপোজিটরিতে নোম পিপিপির মূল সংস্করণে কিছু সমস্যা আছে, এই ভার্সনে সমস্যাটি ঠিক করা হয়েছে)। এরপর উবুন্টুতে বুট করে ডাউনলোডকৃত ফাইলটিতে ডাবল ক্লিক করে ইন্সটল প্যাকেজ বাটনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার এজ মডেম/এজ, জিপিআরএস সমর্থিত হ্যান্ডসেট ইউএসবি কেবল দিয়ে সংযুক্ত করুন।

এবার উবুন্টুর Applications>>Internet মেনু থেকে Gnome PPP চালু করুন। Setup মেনু থেকে মডেম অংশের Detect বাটনে ক্লিক করে দেখুন মডেম খুঁজে পায় কিনা**... খুঁজে পেলে INIT Strings মেনুতে গিয়ে INIT 2 তে ডাবল ক্লিক করে at+cgdcont=,,"gpinternet" লিখে Enter চাপুন এবং উইন্ডোটি বন্ধ করুন...
http://i200.photobucket.com/albums/aa36/unknown300990/Forum/InitStrings.jpg

এরপর Options মেনু থেকে নিচের ছবির মত অপশনগুলো নির্বাচন করুন...
http://i200.photobucket.com/albums/aa36/unknown300990/Forum/PPPOptions.jpg

এবার Setup উইন্ডোটি বন্ধ করে দিন। ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড উভয় ঘরেই gp লিখে এবং ফোন নম্বর এর ঘরে *99***1# লিখে Connect বাটনে ক্লিক করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মডেমটি ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে যাবে এবং ইন্টারনেট ব্রাউজসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ করতে পারবেন।

**ডিটেক্ট অপশন থেকে মডেম খুঁজে না পেলে মডেমের ড্রাইভার আলাদাভাবে ইন্সটল করে নিতে হবে। ড্রাইভারের জন্য মডেমের কোম্পানী এবং মডেল নম্বর লিখে গুগলে অনুসন্ধান করুন, উদাহরণ: nokia 3110c modem driver for ubuntu

উবুন্টু ও উইন্ডোজের দুইটি পিসির মধ্যে ল্যানের মাধ্যমে ফাইল আদানপ্রদান





লিখেছেন শাহরিয়ার তারিক
শুক্রবার, 04 জুলাই 2008
আমাদের অনেকের বাসায়ই বা অফিসে একাধিক পিসি থাকে। মাঝে মধ্যেই এক পিসি থেকে অন্য পিসিতে তথ্য আদানপ্রদান করতে হলে বারবার পেনড্রাইভ বা এক্সটার্ন্যাল ড্রাইভ ব্যবহার করা বিরক্তিকর হতে পারে। এজন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হলো পিসি দুইটির মধ্যে যদি ল্যান সেটিং স্থাপন করে নেয়া।

কিছুদিন পূর্বে আমাদের পরিচিত হাসান ইমতিয়াজ ভাই তার বাসার দুইটি পিসিতে ল্যান সেটিং এর মাধ্যমে ফাইল শেয়ার করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু করতে গিয়ে দেখেন উইন্ডোজ সিস্টেমে ল্যান সেটিং করার জন্য অনেক টিউটোরিয়াল থাকলেও উবুন্টুর জন্য সুনির্দিষ্ট টিউটোরিয়াল নেই। তিনি স্মরনাপন্ন হলেন আমাদের irc #ubuntu-bd চ্যানেলে। সেখানে শিপলু ভাই, রাসেল ভাই, নাসিম ভাইসহ আরও কয়েকজন সাহায্য করেন। এবং নিজে কিছুটা ইন্টারনেট ঘেটে যা জেনেছেন তা প্রয়োগ করে সমস্যার সমাধান করেন। এখন তিনি (কিছু ক্ষুদ্র সমস্যা ছাড়া) ভালোই দুইটি কম্পিউটারের মধ্যে ল্যান সেটিং করে ফাইল আদানপ্রদান করছেন। তাহলে এবার মূল কথায় চলে যাওয়া যাক।

প্রয়োজনীয় উপকরণ
এই লেখাটি পড়ার পর আপনারা ক্রসওভার ল্যান ক্যাবল দিয়ে দুইটি কম্পিউটার সংযুক্ত করতে পারবেন ফাইল শেয়ারিং-এর উদ্দেশ্যে। যদি দুইটির বেশি কম্পিউটার ফাইল শেয়ারিং এর জন্য সংযুক্ত করার প্রয়োজন পরে তবে কিন্তু নেটওয়ার্ক হাবের (HUB) প্রয়োজন পরবে। ল্যান সেটিং-এর জন্য যেসকল উপকরণের প্রয়োজন পরবে সেগুলো হলো-

=> ১০/১০০ এমবি/এস ল্যান কার্ডসহ উবুন্টু ৮.০৪ কম্পিউটার
=> ১০/১০০ এমবি/এস ল্যান কার্ডসহ উইন্ডোজ এক্সপি প্রফেশন্যাল কম্পিউটার
=> ক্রসওভ্যার ল্যান কেবল (cross-over LAN cable)
=> কিছু ফাইল ও প্যাকেজ ইনস্টলের জন্য ইন্টারনেট কানেকশন অথবা উবুন্টু লোকাল রিপোসিটরি।
=> দুইটি কম্পিউটারে এডমিনিস্ট্রেটর একাউন্ট



পদ্ধতি:
প্রথমে আপনার উবুন্টু কম্পিউটারে লগ ইন করুন এবং স্যাইন্যাপটিক প্যাকেজ ম্যানেজমেন্ট অথবা কমান্ড লাইন ব্যবহার করে নিম্নোক্ত প্যাকেজ দুইটি ইনস্টল করুন। => samba => smbfs

এখন নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরন করুন।

1.নেটওয়ার্ক কনফিগার করার জন্য নেটওয়ার্ক প্যাকেজ খুলুন। (system>>Administrator>>Network)

2.Unlock ক্লিক করে আপনার এডমিনিস্ট্রেরট পাসওয়ার্ড দিন।

3.Wired Connection নির্বাচিত করে Properties ক্লিক করুন।

4.Static IP Address নির্বাচন করে 192.168.0.1 এরকম কোন IP Address দিন।

5.এবার Subnet Mask ফিল্ড নির্বাচন করুন। এটি সংক্রিয়ভাবে মান বসাবে।

6.ok নির্বাচন করুন। এবার close করুন।

7.এবার আপনার উইন্ডোজ কম্পিউটারে এডমিন একাউন্টে লগইন করুন।

8.এখানে নেটওয়ার্ক সেটিং-এর জন্য নেটওয়ার্ক কানেকশনে যান। (Start>>Settings>>Network Connections )

9.TCP/IP সেটিং properties নির্বাচন করুন।

10.এখানে আপনি নিজের IP এ্যাড্রেস লিখুন যা উবুন্টু কম্পিউটারের IP থেকে সর্বশেষ ডিজিটে পার্থক্য থাকবে। যেমন- 192.168.0.2

11.এবার Subnet Mask ফিল্ডে নির্বাচন করুন। এটি সয়ংক্রিয়ভাবে 255.255.255.0 -তে সেট হবে।

12.এখন ক্রসওভ্যার ল্যান কেবলের RJ-45 কানেক্টর দুইটি কম্পিউটারেই সংযুক্ত করুন। আপনাকে এসময় উইন্ডোজ কম্পিউটারে ১০০ এমবি/সেঃ কেবল সংযুক্ত আছে এটা নোট করতে হবে।

13.উইন্ডোজ কম্পিউটারে My Network Places-এ যান। সেখানে 'Set up a home or small office network' নির্বাচন করুন।

14.কম্পিউটারটিকে একটি নাম দিন যাতে অন্য কম্পিউটার থেকে এই কম্পিউটারটি চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। ওয়ার্কগ্রুপের নাম রাখুন 'WORKGROUP'

15.ফাইল শেয়ারিং সক্রিয় করার জন্য আপনি যে ফোল্ডার শেয়ার করতে চান সেটিতে রাইট ক্লিক করে 'Sharing and Security' নির্বাচন করুন।

16.এবার 'Sharing this folder on the network' নির্বাচন করে সঠিক নাম প্রদান করুন।

17.ok ক্লিক করুন। তাহলেই ফোল্ডারটি শেয়ার‍্ড হয়ে গেলো।

18.উবুন্টু কম্পিউটারে শেয়ারিং সয়ংক্রিয় করার জন্য একই রকম কাজ করার প্রয়োজন। যে ফোল্ডারটি শেয়ার করতে চান তাতে রাইট ক্লিক করে 'Sharing Options' নির্বাচন করুন।

19.তিনটি চেকবক্সের সবগুলো নির্বাচন করুন। ok ক্লিক করুন।

20.দুইটি কম্পিউটারই চালু করুন। (আগে উইন্ডোজ কম্পিউটারটি চালু করতে হবে এরপর উবুন্টু কম্পিউটারটি)

21.এখন দুইটি কম্পিউটার থেকে নেটওয়ার্ক ping করে দেখুন নেটওয়ার্ক কাজ করছে নাকি।

22.উইন্ডোজ কম্পিউটারে 'start>>run' 'cmd' লিখে এন্টার চাপুন। কমান্ড প্রম্পট আসলে 'ping 192.168.0.1' লিখে এন্টার চেপে ping করে দেখুন উবুন্টু কম্পিউটারকে। ডাটা ট্রান্সফার সফল হয়েছে দেখতে পাবার কথা।

23.একই রকমভাবে উবুন্টু কম্পিউটারে 'Applications>>Accessories>>Terminal' থেকে টার্মিন্যাল খুলে 'ping 192.168.0.2 কমান্ডটি লিখে ping করুন উইন্ডোজ কম্পিউটারকে। এক্ষেত্রেও ডাটা ট্রান্সফার সফল হয়েছে দেখতে পাবার কথা।

24.এবার উবুন্টু কম্পিউটারে Alt+F2 লিখে কমান্ড প্রম্পট আনুন। 'smb://192.168.0.2/ লিখে এন্টার চাপুন। আপনার ফাইল ব্রাউসারে এখন উইনডোজ কম্পিউটারটিতে অবস্থিত শেয়ার‍্ড ফোল্ডারটি দেখাবে।

25.উইন্ডোজ কম্পিউটার থেকে উবুন্টু কম্পিউটারে অবস্থিত শেয়ার‍্ড ফোল্ডার ব্রাউজ করার জন্য 'Start>>Run' থেকে 192.168.0.1 লিখে এন্টার চাপুন। উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে উবুন্টু কম্পিউটারের শেয়ার‍্ড ফোল্ডার দেখাবে।


পরিশেষে
উপরে বর্নিত পদ্ধতিতে উবুন্টু ও উইন্ডোজ কম্পিউটারের মাঝে ফাইল শেয়ারিং করা সম্ভব হলেও একটি সমস্যা দেখা গেছে। আপনি যদি উইন্ডোজ কম্পিউটার চালুর আগে উবুন্টু কম্পিউটার চালু করেন তাহলে ফাইল শেয়ারিং করা যায় না। উবুন্টু কম্পিউটার আগে চালু করার প্রয়োজন পরছে। তবে উবুন্টু কম্পিউটার রিস্টার্ট করলেও ফাইল শেয়ারিং সম্ভব হবে।

অ্যারোভ্যাক্স শিল্ড

অ্যারোভ্যাক্স শিল্ড একটি ভালো সিস্টেম প্রোটেকশন সফটওয়্যার। এটি এন্টিভাইরাসের সাথেই ব্যবহার করা যায় সহযোগী হিসেবে। সাধারনতঃ আমরা যে সমস্ত স্পাইওয়্যার অ্যাটাকের সম্মুখীন হই ব্রাউজারের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন স্টার্ট আপ অপশনের মাধ্যমে সেগুলি থেকে এটি ভালো প্রটেকশন দেয়। সর্বোপরি এটি পার্সোনাল ব্যবহারের জন্য ফ্রি। আর এটির বড় সুবিধা এটি পুরোপুরি কাস্টোমাইজেবল।আমি আগে প্রায়ই পেন ড্রাইভের মাধ্যমে স্টার্ট আপকে করাপ্ট করে ফেলতাম নিজের অজান্তে। এখন আমি এটি ব্যবহারের মাধ্যমে মোটামুটি নিরাপত্তা পাই। ফোরামের সদস্যদের সাথে শেয়ার করার জন্য আমার এই লেখা। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।
ডাউনলোড লিংক
http://www.arovaxshield.com/download.php



ফায়ারফক্স এর আকর্ষণীয় কিছু ট্রিক......

পোস্টলিখেছেন আলোকিত বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০০৭ ৫:৫৪ পূর্বাহ্ন

জনপ্রিয় ওপেন-সোর্স ব্রাউজার মোজিলা ফায়ারফক্স সাধারণ অবস্থাতেই অতুলনীয়। এর সাথে বিনামূল্যে প্রাপ্ত কিছু এ্যাড-অন যোগ করে একে আরো উন্নত ও বিভিন্ন কাজের উপযোগী করে গড়ে তোলা যায়।

ফায়ারফক্স এর অভ্যন্তরে খুঁজে দেখলে এমন অনেক সুবিধা পাওয়া সম্ভব যা একে আরো দ্রুতগতিসম্পন্ন, আকর্ষণীয় ও সুবিধাজনক করে তুলবে। নিচে এমন কিছু সুবিধা তুলে ধরা হল...

১)পৃষ্ঠা দেখার জন্য অধিক স্থানঃ ফায়ারফক্স এর আইকনসমূহকে(হোম, রিফ্রেশ ইত্যাদি) ক্ষুদ্রতর করলে ওয়েব পেজ দেখবার জন্যে অধিক জায়গা পাওয়া যায়। এ জন্যে ভিউ মেনু থেকে টুলবার সাবমেনুতে যান। এরপর কাস্টোমাইজ অপশনে ক্লিক করে “Use small icons” এর পাশের চেকবক্সে টিকচিহ্ন দিয়ে Ok করুন।

২)কীবোর্ড শর্টকাটঃ ফায়ারফক্স এর কিছু কীবোর্ড শর্টকাট ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ব্রাউজিংকে অনেক গতিশীল এবং সাচ্ছ্যন্দময় করে তোলা সম্ভব। এখানে কিছু জনপ্রিয় কী-বোর্ড শর্টকাট এবং এদের কাজ উল্লেখ করা হলঃ
Spacebar (পৃষ্ঠার নিচে গমন) (page down)
Shift-Spacebar (পৃষ্ঠার উপরে গমন) (page up)
Ctrl+F (খোঁজা) (find)
Alt-N (পরবর্তী মিল খোঁজা) (find next)
Ctrl+D (পৃষ্ঠা চিহ্নিত করা) (bookmark)
Ctrl+T (নতুন ট্যাব খোলা) (new tab)
Ctrl+K (সন্ধান বাক্সে গমন) (go to search box)
Ctrl+L (এ্যাড্রেস বারে গমন) (go to address bar)
Ctrl+= (লেখার আকার বড় করা) (increase text size)
Ctrl+- (লেখার আকার ছোট করা) (decrease text size)
Ctrl-W (ট্যাব বন্ধ করা) (close tab)
F5 (রিলোড) (reload)
Alt-Home (হোম পেইজে গমন) (go to home page)

৩)এ্যাড্রেসবারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডোমেইন নাম পূরণঃ এটি আরেকটি কী-বোর্ড শর্টকাট। এটি সার্বিকভাবে তেমন পরিচিত নয় কিন্তু খুবই কার্যকরী। প্রথমে আপনার এ্যাড্রেস বারে যেকোন সাইটের মাঝের অংশটি টাইপ করুন(“www” এবং ”.com” বাদ দিয়ে)। এবার Ctrl চেপে ধরে রেখে enter চাপুন। দেখবেন যে “www” এবং “.com” স্বয়ংক্রিয় ভাবে বসে গিয়েছে এবং পেজ লোড শুরু হয়েছে! :thumb:
(এই ট্রিকটি ফায়ারফক্স ছাড়াও অন্যান্য ব্রাউজারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য)

৪)ট্যাব পরিবর্তনঃ ট্যাব পরিবর্তনে মাউস দিয়ে সিলেক্ট করার বিকল্প হিসাবে কিছু কী-বোর্ড শর্টকাট ব্যবহার করা যায়। শর্টকাটগুলো হলঃ
Ctrl+Tab (পরবর্তী ট্যাবে গমন) (rotate forward among tabs)
Ctrl+Shft+Tab (পূর্ববর্তী ট্যাবে গমন) (rotate to the previous tab)
Ctrl+1-9 (একটি অংকের সাহায্যে নির্দিষ্ট ট্যাবে গমন) (choose a number to jump to a specific tab)

৫)মাউস শর্টকাটঃ আধুনিক কম্পিউটিং এর জগতে মাউস একটি অপরিহার্য উপাদান। কীবোর্ডের পাশাপাশি মাউসের বিভিন্ন ক্লিক, স্ক্রল বাটন, মিডল মাউজ বাটন ইত্যাদির সাহায্যে অত্যন্ত সহজে প্রয়োজনীয় কমান্ড প্রদান করা যায়। এতে সময় যেমন অনেক কম লাগে তেমনি কাজের গতিও অনেক দ্রুততর হয়। এখানে ফায়ারফক্সে মাউস শর্টকাটের কিছু প্রয়োগ তুলে ধরা হলঃ
Middle click on link (লিঙ্কটি নতুন ট্যাবে খোলা) (opens in new tab)
Shift-scroll down (পূর্ববর্তী পৃষ্ঠা) (previous page)
Shift-scroll up (পরবর্তী পৃষ্ঠা) (next page)
Ctrl-scroll up (লেখার আকৃতি ছোট করা) (decrease text size)
Ctrl-scroll down (লেখার আকৃতি বড় করা) (increase text size)
Middle click on a tab (ট্যাব বন্ধ করা) (closes tab)

৬)ইউজার ক্রোম(User chrome): আপনি যদি ফায়ারফক্সে উচ্চস্তরের সম্পাদনা করতে চান তাহলে ইউজারক্রোম ফাইলের সাহায্য নিতে পারেন। এটি করতে হবে একটি UserChrome.css ফাইল তৈরীর মাধ্যমে। এটি কিছুটা জটিল প্রক্রিয়া। বিস্তারিত জানতে চাইলে এই টিউটোরিয়ালটির সাহায্য নিন...

৭)ইউজার.জেএস ফাইল তৈরীঃ এটি ফায়ারফক্সকে সাজানোর আরেকটি উপায়। একটি user.js ফাইল তৈরীর মাধ্যমে আপনার ব্রাউজিং এ প্রচুর গতি নিয়ে আসা সম্ভব। এর জন্য আপনাকে আপনার প্রোফাইল ফোল্ডারে user.js নামক একটি টেক্সট ফাইল তৈরী করে নিতে হবে। (প্রোফাইল ফোল্ডারের অবস্থান জানার জন্য এই লিঙ্কটি দেখুন...) এবং user.js ফাইলসম্পর্কে জানার জন্যে এই নমুনা user.js ফাইলটি দেখুন। এই নমুনার কমেন্টগুলো পড়লে ইউজার.জেএস ফাইলের কার্যকারীতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

৮)এ্যাবাউট.কনফিগ(about.config): এটি অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীদের জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী একটি টুল। পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ব্যতীত এই টুল ব্যবহার করা উচিৎ নয়, কারণ এই টুলের ভুল ব্যবহার আপনার নেট সংযোগ ও ব্রাউজারের ক্ষতি করতে পারে। ফায়ারফক্স এর এ্যাড্রেস বারে “about:config” টাইপ করে এন্টার চাপলে এবাউট.কনফিগ স্ক্রিনটি প্রদর্শিত হবে। বিস্তারিত জানতে মোজিলাযাইনের এবাউট.কনফিগ টিপ্‌স এবং স্ক্রিনশট দেখুন...


৯)বুকমার্কে কী-ওয়ার্ড সংযোজনঃ বুকমার্কের সাথে কী-ওয়ার্ড সংযোজনের মাধ্যমে অধিক দ্রুততার সাথে বুকমার্ককৃত সাইটসমূহ পরিদর্শন করা সম্ভব। যেকোন বুকমার্কে রাইট ক্লিক করে প্রোপারটিজ –এ ক্লিক করুন। এরপর কী-ওয়ার্ড বক্সে একটি ছোট কী-ওয়ার্ড বসিয়ে সংরক্ষণ করুন। এখন এ্যাড্রেস বারে ওই কী-ওয়ার্ডটি টাইপ করে এন্টার চাপলেই বুকমার্ককৃত সাইটটি প্রদর্শিত হবে।

১০)দ্রুততর ফায়ারফক্সঃ আপনি যদি ব্রডব্যান্ড কানেকশন ব্যবহার করেন তাহলে পাইপলাইনিং এর সাহায্যে পেজ লোড টাইম কমিয়ে আনা সম্ভব। এর সাহায্যে ফায়ারফক্স-এ একই সাথে একাধিক উপাদান(ছবি,শব্দ ইত্যাদি) লোড করা যায়। ব্রডব্যান্ড কানেকশনের জন্য এভাবে পাইলাইনিং সেটিং ঠিক করে নিনঃ
*এ্যাড্রেস বারে about:config টাইপ করুন এবং এন্টার চাপুন।
ফিল্টার বক্সে “network.http” টাইপ করুন, এবং নিচের সেটিংসমূহ পরিবর্তন করুন(কোন সেটিং পরিবর্তনের জন্য সেটিতে ডাবল ক্লিক করুন)......
*”network.http.pipelining” এর সেটিং দিন “true”
*network.http.proxy.pipelining” এর সেটিং দিন “true”
*”network.http.pipelining.maxrequest” এ ডাবল ক্লিক করে “30” সেট করুন (ব্যবহারকারী নিজ সুবিধামত ও ইন্টারনেট সংযোগের গতি অনুযায়ী এই মান বাড়িয়ে/কমিয়ে নিতে পারেন)
*সেইসাথে, যেকোন স্থানে রাইট ক্লিক করে New- > Integer.Name নির্বাচন করুন। এর নাম দিন “nglayout.initialpaint.delay” এবং এর ভ্যালু সেট করুন “0” এই ভ্যালু হচ্ছে যতটুকু সময় পর্যন্ত ব্রাউজার প্রাপ্ত কোন তথ্য প্রদর্শনের জন্য অপেক্ষা করে।

১১)র‌্যামের ব্যবহার সীমিতকরণঃ ফায়ারফক্স যদি মাত্রাধিক পরিমাণে আপনার কম্পিউটারের র‌্যাম ব্যবহার করে তাহলে আপনি এর র‌্যামের ব্যবহার সীমিত করে দিতে পারেন। এর জন্যে পুনরায় about:config এ যান। ফিল্টার বাক্সে “browser.cache” টাইপ করুন এবং “browser.cache.disk.capacity” নির্বাচন করুন। এতে ডিফল্ট হিসাবে ৫০০০০কিলোবাইট(৫০ মেগাবাইট) ডিস্ক স্পেস ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া থাকে। আপনার র‌্যামের পরিমাণ যদি ৫১২ মেগাবাইট থেকে ১ গিগাবাইট পর্যন্ত হয় তাহলে “15000” বসিয়ে Ok করে বের হয়ে আসুন।

১২)মিনিমাইজ্‌ড অবস্থায় র‌্যামের ব্যবহার সীমিতকরণঃ এই সেটিং এর ফলে মিনিমাইজ্‌ড অবস্থায় ফায়ারফক্সের উপাদানগুলো ফিজিক্যাল র‌্যাম থেকে হার্ডড্রাইভের ভার্চুয়াল মেমোরীতে চলে যাবে। পরবর্তীতে ফায়ারফক্স উইন্ডো রিস্টোরের পরও পারফরমেন্সের কোন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে না। ফলে ফায়ারফক্স চালু থাকা অবস্থায় আপনি অন্যান্য বড় ধরনের সফ্‌টওয়্যার চালাতে পারবেন কম্পিউটারের পারফরমেন্সে কোন রকম ব্যাঘাত ছাড়াই।
এই সেটিংটি আনার জন্যে পুনরায় about:config স্ক্রিনে যান। এরপর যেকোন স্থানে রাইট ক্লিক করে সিলেক্ট করুন New-> Boolean. এর নাম দিন “config.trim_on_minimize” এবং এটি সেট করুন “true”
এই সেটিংটি কার্যকর করতে হলে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করতে হবে। :idea: একইভাবে “.net” ডোমেইনের ঠিকানার ক্ষেত্রে Shift+enter এবং “.org” ডোমেইনের ঠিকানার ক্ষেত্রে Ctrl+Shift+Enter চাপতে হবে।
সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেনঃআলোকিত , সময়ঃশুক্রবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০০৭ ৭:০০ অপরাহ্ন, মোট সম্পাদনা করা হয়েছেঃ ১ বার

ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ

পোস্টলিখেছেন mehdiakram রবিবার, জুলাই ০৬, ২০০৮ ৯:১৯ অপরাহ্ন

আপনার বন্ধু থাকে প্রবাসে আর আপনি বাংলাদেশে। আপনার বন্ধু কম্পিউটারে খুব বেশী দক্ষ না। আপনি আপনার বন্ধুকে কিছু শেখাতে চান বা তার কম্পিউটারের কিছু কাজ করে দিতে চান। কিন্তু দুজন হাজার কিলোমিটার দুরে থেকে কিভাবে এটা সম্ভব। টিমভিউয়ার সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধুর কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন, ফলে আপনি তাকে যেমন কিছু শেখাতে পারবেন তেমনই তার বিভিন্ন কাজও করে দিতে পারবেন। এজন্য অবশ্যই উভই কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ এবং টিমভিউয়ার সফটওয়্যার ইনষ্টল থাকতে হবে।
এজন্য উভয়ই http://www.teamviewer.com থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইনষ্টল করুন। এবার উভয়ই সফটওয়্যারটি চালু করুন, তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যে Your Details অংশে ID এবং Password আসবে। যেহেতু আপনি আপনার বন্ধুর কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করবেন তাই আপনার বন্ধুর কাছ থেকে এসএমএস, ফোন, মোবাইল, ম্যাসেজ (চ্যাট) বা ইমেইলের মাধ্যমে তার টিমভিউয়ারের ID এবং Password জেনে নিন। এখন আপনার টিমভিউয়ারের (Remote Support নির্বাচন রেখে) Partner Details এর ID অংশে আপনার বন্ধুর দেওয়া আইডি লিখে Connect Partner বাটনে ক্লিক করুন। তাহলে সফটওয়্যার ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের টিমভিউয়ার পরীক্ষা করবে। এবপরে পাসওয়ার্ড চাইলে আপনার বন্ধুর দেওয়া পাসওয়ার্ড লিখে Log On বাটনে ক্লিক করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে আপনার বন্ধুর দেওয়া আইডির টাইটেলে একটা উইন্ডো আসবে, যা আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের ডেক্সটপ। এখন আপনি উক্ত ডেস্কটপের মাধ্যমে আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ (ফাইল/ফোল্ডার তৈরী, ডিলিট করা, টাইপ করা, সফটওয়্যার ইনষ্টল করা, ডাউনলোড করা, গান দেখা ইত্যাদি) করতে পারবেন। মোট কথা ইন্টারনেটর সংযোগ অক্ষুন্ন রেখে কম্পিউটার লগঅফ/সার্টডাউন ছাড়া বাকি সবই করতে পারবেণ। এছাড়াও Filetransfer থেকে সংযোগ নিলে আপনার নিজের কম্পিউটারের ফাইল আপনার বন্ধুর কম্পিউটারের মধ্যে ফাইল/ফোল্ডার আদান প্রদান করতে পারবেন।
মূল লেখা এখানে

বিনামূল্যে কম্পিউটার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ

পোস্টলিখেছেন আলোকিত শুক্রবার, অক্টোবর ১৯, ২০০৭ ১:১৯ পূর্বাহ্ন

প্রতিনিয়ত বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে ইন্টারনেটে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের পরিমাণ। নামি-বেনামী অসংখ্য ভাইরাস ও স্পাইওয়্যার নামক ঘাতক প্রোগ্রামের দ্বারা প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে বিশ্বের হাজার হাজার কম্পিউটার এবং কম্পিউটারে সংরক্ষিত মূল্যবান তথ্য। এতে ব্যবহারকারীরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়াও হ্যাকার নামে পরিচিত একশ্রেণীর অসাধু কম্পিউটার ব্যবহারকারী ইন্টারনেটের সাহায্যে আত্মসাৎ করছে অনলাইনে সংরক্ষিত ব্যাংক একাউন্ট ও ক্রেডিট কার্ডের গোপন নাম্বার, নেট ব্যবহারকারীদের ই-মেইল এ্যকাউন্ট ও মেসেঞ্জার আইডি, গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড ইত্যাদি এবং এভাবে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্যপক ক্ষতি করছে এই হ্যাকাররা। এছাড়াও এরা অনলাইন কেনাবেচার সাইট থেকে ব্যালেন্স চুরি করে নেয়, ছোটবড় বিভিন্ন কোম্পানীর ডাটাবেজ মুছে দেয়, ওয়েব সাইটের এফটিপি একাউন্ট হ্যাক করে মুছে দেয় সব ফাইল। ফলস্বরূপ ওইসব কোম্পানী ব্যপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এসব ভাইরাস, স্পাইওয়্যার ও হ্যাকারদের ঠেকাতে তৈরী হয়েছে নরটন, ম্যাকাফির মত নামি দামী সব অনলাইন নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যার কোম্পানী এবং তাদের তৈরীকৃত সফ্‌টওয়্যারের সাহায্যে নিশ্চিত করছে সকল শ্রেণীর কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যারের বিক্রয়মূল্য সাধারণ গ্রাহকদের ক্রয়সীমার বাইরে থাকে বিধায় সাধারণ গ্রাহকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্ছিত হন। অনলাইন হুমকির সবচেয়ে বড় শিকার বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশসমূহের জনগণ যাদের এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে অনলাইন নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যার কেনার সামর্থ্য নেই। তাই দেখা যায়... কেউ একটি নতুন কম্পিউটার কেনার কিছুদিনের মাঝেই কম্পিউটারটিতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয় এবং একসময় কম্পিউটারটি অকেজো হয়ে পরে। সাধারণ গ্রাহকদের নিরাপত্তার এই চাহিদার কথা বিবেচনা করে কিছু নিবেদিতপ্রাণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামার তাদের তৈরীকৃত কিছু নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যার সকল শ্রেণীর কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এখানে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সেরা কিছু অনলাইন নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যারের বর্ণনা দিয়ে এদের প্রাপ্তিস্থান উল্লেখ করা হলঃ

কমোডো ফায়ারওয়াল প্রোঃ অনলাইন নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফায়ারওয়াল। এটি ইন্টারনেট এর ইনকামিং ও আউটগোইং ট্রাফিক ফিল্টার করে হ্যাকারদের আক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং কম্পিউটারে কোনপ্রকার ক্ষতিকারক সফ্‌টওয়্যার(ভাইরাস, স্পাইওয়্যার ইত্যাদি) প্রবেশে বাধা দেয়। এছাড়াও এটি কম্পিউটারে ইন্সটলকৃত প্রোগ্রামসমূহ মনিটর করে কোন সন্দেহজনক কর্মকান্ড দেখলে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে এবং প্রয়োজনবোধে ঝুঁকিপূর্ণ কোন কমান্ড এক্সেকিউশন প্রতিরোধ করে। ফলে কম্পিউটার ব্যপক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
সর্বাধিক ব্যবহৃত উইন্ডোজ ঘরানার অপারেটিং সিস্টেমের একটি অংশ হিসাবে উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল সচল থাকে। কিন্তু এই ফায়ারওয়াল শুধু ইনকামিং হ্যাকারদের প্রবেশে বাধা দেয়, কম্পিউটারের অভ্যন্তরে অবস্থিত স্পাইওয়্যারসমূহের ইন্টারনেট প্রবেশে কোনরকম বাধা দেয় না। ফলে নিরাপত্তার ফাঁক থেকেই যায়। উইন্ডোজ ফায়ারওয়ালের এই সীমাবদ্ধতাগুলো দূর করতে বিভিন্ন নামকরা কম্পিউটার সিকিউরিটি কোম্পানী সর্বাধিক নিরাপত্তার জন্যে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ফায়ারওয়াল তৈরী করে থাকে।

বিনামূল্যে প্রাপ্ত ফায়ারওয়্যালগুলোর মধ্যে সেরা হচ্ছে জোন এলার্ম এবং কমোডো ফায়ারওয়্যাল প্রো। জোন এলার্মের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী হলেও এটি অধিক পরিমাণ সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে... ফলে এটি ব্যবহারের কারণে কম্পিউটার কিছুটা স্লো হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে কমোডো ফায়ারওয়াল প্রো জোন এলার্ম এর মতই শক্তিশালী নিরাপত্তা সম্পন্ন এবং এটি অনেক কম সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে। কম্পিউটারে মাত্র ১২৮ মেগাবাইট Ram থাকলেই এটি চালানো সম্ভব এবং এটি ব্যবহারে কম্পিউটার একটুও স্লো হয় না। এটি অনলাইন এবং ডেস্কটপ ফায়ারওয়্যাল দুধরণের কাজই করতে সক্ষম, তবে ব্যবহারকারি চাইলে ডেস্কটপ ফায়ারওয়্যালটি বন্ধ রাখতে পারেন কারন এটি ঘনঘন বিভিন্ন পপ-আপ উইন্ডো প্রদর্শন করে যা অনেকের কাছেই বিরক্তিকর।
কমোডো ফায়ারওয়্যাল প্রো ডাউনলোড করতে পারবেন এই সাইট থেকে...

কমোডো ফায়ারওয়্যাল সংক্রান্ত কিছু টিপসঃ
১। কমোডো ফায়ারওয়্যাল ইন্সটলের পর কম্পিউটার রিস্টার্ট করে প্রথমেই নেটওয়ার্ক ডিফেন্স ট্রেইনিং মোডে সেট করুন এবং প্রো-এ্যাক্টিভ ডিফেন্স ডিজেবল করে দিন। আপনার কম্পিউটারে আলাদা এন্টিভাইরাস ইন্সটল করা থাকলে প্রো-এ্যাক্টিভ ডিফেন্সের কোন প্রয়োজন নেই।
২। এরপর Miscellaneous ট্যাবের Settings মেনুতে গিয়ে Show the balloon messages অপশনটি বন্ধ করে দিন। তাহলে আর কোন বিরক্তিকর পপ-আপ প্রদর্শিত হবে না এবং কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই কমোডো ফায়ারওয়্যাল ব্যবহার করতে পারবেন।
৩। কমোডো ফায়ারওয়্যাল ইন্সটলের পর প্রথমবার ইন্টারনেটে সংযুক্ত হলে New Network Found সংক্রান্ত একটি উইন্ডো প্রদর্শিত হবে। এখানে Don’t detect new networks automatically অপশনটি নির্বাচন করুন।
কমোডো ফায়ারওয়াল প্রো এর স্ক্রিণশটঃ
ছবি

আভাস্ট এন্টিভাইরাসঃ ভাইরাস হচ্ছে একধরণের এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম অথবা নির্দেশাবলী যা কোন কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে অবস্থানকালে মারাত্মক ঝুঁকিসম্পন্ন কমান্ড এক্সেকিউট করে হার্ডডিস্কে অবস্থিত জরুরী তথ্য অথবা সিস্টেম ফাইল মুছে দেয়। এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামসমূহের মৌলিক কাজ হচ্ছে সমগ্র হার্ডড্রাইভ অথবা হার্ডড্রাইভের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা(সিস্টেম ডিস্ক) থেকে ভাইরাসসমূহ খুঁজে বের করা এবং এদের নির্মূল করা। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিচিত্র ধরণের নিত্যনতুন ভাইরাস নির্মূলের জন্য বর্তমানে এ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামসমূহের কর্মক্ষমতাও আগের চেয়ে অনেক বিস্তৃত এবং শক্তিশালী রূপ নিয়েছে। একটি আধুনিক এ্যান্টিভাইরাসের বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে রয়েছে রিয়াল টাইম প্রটেকশন(যা হার্ডডিস্কে অবস্থিত কোন ফাইল ব্যবহৃত হওয়ামাত্র স্ক্যান করে দেখে), ভাইরাস রিকভারি ডাটাবেজ(ভাইরাস আক্রমনের পর কম্পিউটারকে পূর্ববর্তী অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য), লাইভ আপডেট(সর্বশেষ চিহ্নিত ভাইরাসমূহের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ) ইত্যাদি। বিনামূল্যে প্রাপ্ত এ্যান্টিভাইরাস সফ্‌টওয়্যারসমূহের মধ্যে এভিজি এ্যান্টিভাইরাস, এ্যান্টি ভিআইআর এবং আভাস্ট হোম এডিশন উল্লেখযোগ্য। এরমধ্যে আভাস্ট এন্টিভাইরাসই সবচেয়ে কার্যকরী কারণ এটি সবচেয়ে কম সিস্টেম রিসোর্স(প্রসেসর ও র‌্যাম) ব্যবহার করে এবং খুব দ্রুত ও নির্ভুলভাবে স্ক্যান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। আভাস্টের মূল কম্পোনেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড শিল্ড(রিয়াল টাইম প্রটেকশন), ওয়েব শিল্ড(ছোটখাট একটি ফায়ারওয়াল), আই.এম.(ইন্সট্যান্ট মেসেজিং) প্রটেকশন, ইন্টারনেট মেইল(আউটলুক এক্সপ্রেস, এম.এস. আউটলুক, মোজিলা থান্ডারবার্ড ইত্যাদি) প্রটেকশন, এবং পি.টু.পি.(Peer2Peer) ফাইল শেয়ারিং শিল্ড। এছাড়াও এতে রয়েছে বুট টাইম স্ক্যানার যা সিস্টেম স্টার্টআপ এর সময় হার্ডডিস্ক ড্রাইভ স্ক্যান করে। যেহেতু স্টার্টআপের সময় অন্য কোন প্রোগ্রাম চালু থাকে না তাই এই স্ক্যান হয় অনেক দ্রুত এবং কার্যকরী। ইন্সটলেশনের পরপরই এটি একটি ভাইরাস রিকভারী ডাটাবেজ তৈরী করে নেয় যাতে ভাইরাস আক্রমণের পর ক্ষতিগ্রস্থ কম্পিউটারকে এর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
আভাস্ট এন্টিভাইরাস বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন এই সাইট থেকে।
ডাউনলোডের পর একটি ফ্রি রেজিস্ট্রেশনের কোডের জন্য আপনাকে এই পেজ থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখানে প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ(ব্যবহারকারীর নাম, মেইল এ্যাড্রেস) ইত্যাদি প্রবেশ করিয়ে রেজিস্টারের পর আপনার প্রদত্ত ই-মেইল ঠিকানায় রেজিস্ট্রেশন কোডটি পৌঁছে যাবে। এরপর উইন্ডোজ টাস্কবারে অবস্থিত
আভাস্ট আইকনটিতে রাইট ক্লিক করে About Avast মেনুতে গিয়ে নতুন লাইসেন্স-কী টি বসিয়ে নিন।
আভাস্ট এন্টিভাইরাস এর একটি স্ক্রিণশটঃ
ছবি

স্পাইবট সার্চ এন্ড ডেসট্রয়ঃ ভাইরাস ছাড়াও বর্তমানে আরেকধরণের ক্ষতিকারক সফ্‌টওয়্যার দেখা যায় যা ব্যবহারকারীর অগোচরে কম্পিউটারে অবস্থিত তথ্যসমূহ চুরী করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন হ্যাকার বা ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দেয়। এছাড়াও এক ধরণের স্পাইওয়্যার ব্যবহারকারীর ব্রাউজিং Habit মনিটর করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দেয় যা ব্যবহারকারীর ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ করে। স্পাইওয়্যারজনিত আরো কিছু সমস্যা হল বিভিন্ন ধরণের পপ-আপ এ্যাড, অযৌক্তিক এরর মেসেজ ইত্যাদি। এছাড়াও কিছু কিছু স্পাইওয়্যার বিপুল পরিমাণ সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে কম্পিউটারের গতি মন্থর করে দেয়। স্পাইওয়্যার সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন এন্টি-স্পাইওয়্যার সফ্‌টওয়্যার রয়েছে। এর মধ্যে অত্যন্ত কার্যকর ও বিনামূল্যে প্রাপ্ত একটি সফ্‌টওয়্যার হল স্পাইবট সার্চ এন্ড ডেস্ট্রয়। এর প্রধান বৈশিষ্টগুলো হল নিয়মিত হালনাগাদ(আপডেট), নিরাপত্তাজনিত ফাঁকগুলো নিশ্ছিদ্রকরণ(Immunization), টি-টাইমার প্রটেকশন(উইন্ডোজ ও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডিফল্ট সেটিংগুলোকে স্পাইওয়্যারজনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা) ইত্যাদি। এই সফ্‌টওয়্যারটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন এই সাইট থেকে।
স্পাইবট সার্চ এন্ড ডেসট্রয় এর একটি স্ক্রিণশটঃ
ছবি

সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য কিছু সাবধানতাঃ
১। সন্দেহজনক কোন ফাইল ডাউনলোড থেকে বিরত থাকুন... বিশেষ করে .exe এক্সটেনশন এর ফাইল ডাউনলোড করার পূর্বে দেখে নিন ডাউনলোড সোর্সটি নিরাপদ কিনা।
২। অপরিচিত কোন ওয়েবসাইটে বিশেষ প্রয়োজন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ব্যতীত প্রবেশ করবেন না। অপরিচিত কোন সাইটে প্রবেশের পূর্বে গুগলে ওই সাইট সম্পর্কে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখুন সাইটটি নিরাপদ ও ভাইরাসমুক্ত কিনা।
৩। কম্পিউটারে কোন সিডি বা বহনযোগ্য কোন হার্ডওয়্যার(ফ্লপি, পেন ড্রাইভ, মেমোরী কার্ড) ইত্যাদি প্রবেশ করানোর সাথে সাথে এন্টিভাইরাস সফ্‌টওয়্যার দিয়ে স্ক্যান করুন। স্ক্যান না করে কখনোই বাইরের কোন ডাটা কম্পিউটারে প্রবেশ করানো উচিৎ নয় কারন এতে ভাইরাস, স্পাইওয়্যারসহ নানা ক্ষতিকারক উপাদান থাকতে পারে।
৪। সর্বক্ষণ উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল বা আলাদাভাবে ইন্সটলকৃত কোন ফায়ারওয়াল চালু রাখুন। ফায়ারওয়াল বন্ধ রাখা মানে হ্যাকারদের প্রবেশ উন্মুক্ত করে দেয়া।
৫। এ্যান্টিভাইরাস সফ্‌টওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেম নিয়মিত হালনাগাদ(আপডেট) করুন। এর ফলে কম্পিউটার নিত্যনতুন অনলাইন হুমকির হাত থেকে নিরাপদ থাকবে। অনেকের কাছে উইন্ডোজ অটোমেটিক আপডেট বিরক্তিকর মনেহয় এবং এটি বেশ কিছু ব্যান্ডউইড্‌থ রিজার্ভ করে রাখে। মাইক্রোসফ্‌টের এই সাইট থেকে পছন্দমত উইন্ডোজের সর্বশেষ আপডেট ইন্সটল করে নিতে পারেন।
৬। শিশুকিশোরের অনলাইন নিরাপত্তার জন্য ওয়েব কনটেন্ট ফিল্টারিং সফ্‌টওয়্যার ব্যবহার করুন। এই সফ্‌টওয়্যার পেতে আপনার ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করুন। এটি বিভিন্ন পর্ণ সাইট ও অন্যান্য ক্ষতিকারক সাইট থেকে শিশুকিশোরদের নিরাপদ রাখবে।
(প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন মানচুমাহারা এবং তানভীর জামান)

আশা করি এই সফ্‌টওয়্যার ও সাবধানতাগুলো সবার কাজে আসবে।
এছাড়াও কারো কোন গুরুত্বপূর্ণ সিকিউরিটি টিপ্‌স জানা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ছবি

আপডেটঃ ফায়ারওয়্যাল অংশে জোন এলার্ম এর পরিবর্তে কমোডো ফায়ারওয়্যাল এর বর্ণনা দেয়া দেয়া হল, এবং আভাস্ট ও স্পাইবট সার্চ এন্ড ডেস্ট্রয় এর ডাউনলোড লিঙ্ক পরিবর্তন করে নতুন ভার্সনের লিঙ্ক দেয়া হ

Bangla Anubadok Software Link

http://bengalinux.sourceforge.net/cgi-bin/anubadok/index.pl

সফটওয়্যারের স্বাধীনতাযোদ্ধা রিচার্ড স্টলম্যান


| প্রিন্ট |
লিখেছেন বিপ্র রঞ্জন ধর
Saturday, 21 June 2008

স্বাধীনতার আকাঙ্খা প্রতিটি মানুষের মাঝেই আছে। মানবসভ্যতার জন্মলগ্ন থেকেই মানুষ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যুদ্ধ করে আসছে। তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্বেও এখন বিচিত্র এক যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধ সফটওয়্যারের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ। বিচিত্র এই যুদ্ধের মহানায়কের নাম রিচার্ড ম্যাথু স্টলম্যান। লোভী সফটওয়্যার ব্যবসায়ীদের কালো থাবার মুখে তিনিই বিশ্ববাসীকে উচ্চারণ করতে শিখিয়েছিলেন এক সাহসী শ্লোগাণ-সফটওয়্যারের স্বাধীনতা চাই!

১৯৫৩ সালের ১৬ মার্চ নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্ম নেয়া এই রিচার্ড স্টলম্যান প্রথম প্রোগ্রামটি লিখেন হাই স্কুল গ্র্যাজুয়েশনের কিছুদিন পরে। তখন তিনি রকফেলার ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞান বিভাগের গবেষনাগারে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতেন। তবে ইতোমধ্যে তার ক্যারিয়ার গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞানের পথেই এগিয়ে গেছে, যদিও তার তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষকরা মনে করতেন তিনি হয়তো জীববিজ্ঞানেই উচ্চশিক্ষা গ্রহন করবেন।

১৯৭১ সালের জুন মাসে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র হিসেবে তিনি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষনাগার একজন প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করার সুযোগ লাভ করেন। একজন হ্যাকার হিসেবেও তার হাতে খড়ি হয় সেখানেই। হ্যাকিংয়ের কথা শুনে মোটেও চমকে উঠবেন না যেন। তখনকার দিনে হ্যাকিংয়ের সংজ্ঞা ছিল একেবারেই অন্যরকম। তখন কম্পিউটার এবং এর নিরাপত্তা সম্পর্কে যারা খুব দক্ষ ছিলেন তাদেরকে হ্যাকার বলা হতো। হ্যাকিংয়ের যাত্রা শুরু এমএইটি’র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষনাগারেই। স্টলম্যান ‘RMS’ নামে খুব অল্প দিনের মাঝে এমআইটি’র হ্যাকার সমাজে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। উল্লেখ্য, ‘RMS’ তার পুরো নাম রিচার্ড ম্যাথু স্টলম্যানের সংক্ষিপ্ত রূপ। হ্যাকার হিসেবে তার বেশ কিছু আলোচিত ঘটনাও আছে। ১৯৭৭ সালে এমএইটির কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে প্রত্যেক ছাত্রদের কম্পিউটারে লগইন করার জন্য আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড দেয়া হয়। যথারীতি স্টলম্যানের এই পাসওয়ার্ডের শৃঙ্খল মোটেও পছন্দ হলো না। তিনি পাসওয়ার্ড ভেঙ্গে সবার পাসওয়ার্ড তুলে দিয়ে সবাইকে ই-মেইলে জানিয়ে দিলেন। এরই মাঝে স্টলম্যান এমআইটি-তে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর শুরু করেছেন।

আশির দশকের শুরুতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিকাশের সাথে সাথে কপিরাইটের বাড়াবাড়ি শুরু হয়। এর ফলে অনেক দাম দিয়ে সফটওয়্যার কিনেও ক্রেতারা তা স্বাধীনভাবে ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতে শুরু করেন। শুধু তাই নয় ব্যবসায়ীরা সফটওয়্যার কপি করা বা না কিনে বন্ধুর কাছ থেকে নিয়ে সফটওয়্যার ব্যবহারের মতো বিষয়গুলোকে ‘চুরি’র মতো নোংরা কাজের সাথে তুলনা করতে শুরু করে। এর মাঝে এমআইটি’র গবেষনাগারেও একটি ঘটনা ঘটে। ১৯৮০ সাল। একদিন স্টলম্যান ৫০ পাতার একটি জরুরী ফাইল প্রিন্ট করতে দিয়েছেন। লেজার প্রিন্টারটি অন্য তলায়। স্টলম্যান গিয়ে দেখেন প্রিন্টারের ট্রে-তে মাত্র চারটি পাতা পড়ে আছে, তাও অন্য আরেকজনের। তার ফাইলের একটা পাতাও প্রিন্ট হয়নি। জ়েরক্স ৯৭০০ মডেলের এই প্রিন্টারটি এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে বিনামূল্যে পাওয়া। স্টলম্যান এই সমস্যা সমাধানের জন্য প্রিন্টার সফটওয়্যারের সোর্স কোডে কিছু পরিবর্তন করলেন যেন প্রিন্টারে ফাইল প্রিন্ট হয়ে গেলে বা প্রিন্টার ব্যস্ত থাকলে ল্যাবের কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা তাৎক্ষনিক বার্তা আকারে দেখায়। এমআইটি’র ল্যাব স্টলম্যানের রূপান্তর করা এই সফটওয়্যারটি প্রত্যাখান করে, কারন এটি অন্য একটি সফটওয়্যারকে রূপান্তর করে তৈরি করা। এই ঘটনাটি সফটওয়্যারের ভবিষ্যত স্বাধীনতাযোদ্ধা স্টলম্যানের উপর বেশ বড়সর প্রভাব ফেলে।

এরই মাঝে এমএইটি’র হ্যাকার সমাজেও ভাঙ্গন ধরেছে। এমএইটির হ্যাকার সমাজের শেষ সদস্য হিসেবে তিনি নন-ডিসক্লোসার এগিমেন্ট স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করেন। এই চুক্তির শর্ত ছিল নিজের ডেভোলপকৃত সফটওয়্যারের সোর্স কোড কাউকে দেয়া যাবে না। রিচার্ড স্টলম্যান এই চুক্তিকে ‘অনৈতিক’ এবং ‘অসামাজিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। একটি নিশ্চিত জীবনযাপনের হাতছানিকে দূরে ঠেলে ১৯৮৪ সালের জানুয়ারি মাসে এমআইটি’র প্রোগ্রামারের চাকুরি ছেড়ে দেন। মুক্ত সফটওয়্যার তৈরির লক্ষ্যে পুরোটা সময় গনুহ (GNU) প্রকল্পে ব্যয় করা। গনুহ প্রকল্পের ঘোষনা অবশ্য আগের বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই দিয়েছিলেন। সফটওয়্যারের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর গল্প মোটামুটি এই। কিন্তু শুধু যুদ্ধ শুরু করলে তো হবে না, চাই অস্ত্র, চাই মানুষ…। স্টলম্যান বুঝতে পারছিলেন মানুষের হাতে শুধু উন্মুক্ত সফটওয়্যার তুলে দিলেই হবে না, সেই সফটওয়্যারগুলো চালানোর জন্য একটি উন্মুক্ত অপারেটিং সিস্টেমও তো চাই।

১৯৮৫ সাল। মার্চ মাসে প্রকাশিত হয় গনুহ প্রকল্পের ইশতেহার । এই ইশতেহারে গনুহ প্রকল্পের বিভিন্ন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরার পাশপাশি জানানো হয় ইউনিক্স ভিত্তিক একটি ফ্রি অপারেটিং সিস্টেম তৈরির কথা। ইউনিক্সের মতো হলেও এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যাবে একদম বিনে পয়সায়। এছাড়াও মুক্ত সফটওয়্যারের আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে সে বছরের ৪ অক্টোবর গঠন করেন ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। মুক্ত সফটওয়্যারের বিতরন এবং রুপান্তর যেন কপিরাইটের হুমকির মুখে না পড়ে সেজন্য স্টলম্যান এক নতুন ধারনার জন্ম দেন যার নাম ‘কপিলেফট’। কপিলেফটের ফলে একটি সফটওয়্যার স্বাধীনভাবে ব্যবহার করা ছাড়াও ব্যবহারকারী এর পরিবর্তন করতে পারবেন, এমনকি এই সফটওয়্যারকে রূপান্তর করে একটি নতুন সফটওয়্যারও তৈরি করা যাবে। এজন্য কারো অনুমতি নিতে হবে না বা এর জন্য কোন প্রকার অর্থও প্রদান করতে হবে না। কপিরাইটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়, আর অন্যদিকে কপিলেফট ব্যবহারকারীর স্বাধীনতা বজায় রাখতে সদা সচেষ্ট। তবে এর মূল উন্নয়নকারীর অবদান যেন ক্ষুন্ন না হয় সেজন্য কিছু শর্তও থাকে। উল্লেখ্য, কপিলেফটের ক্ষেত্রে এখন বেশ কিছু লাইসেন্স আছে-GPL, LGPL, FDL। স্টলম্যানের এসব নিত্যনতুন ধারনা অনেকেই আকৃষ্ট করে তুলে। ফলে এ প্রকল্পে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে।

নব্বই দশকের শুরু… গনুহ অপারেটিং সিস্টেম উন্মুক্ত হবার অপেক্ষায়। তবে এর একটি বড় অংশ তখনও বাকী, আর সেই অংশটি হলো অপারেটিং সিস্টেম কার্নেল। সেই কাজটিকে সহজ করে দেন ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিনাস টরভেল্ট। ইউনিক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ‘মিনিক্স’ নিয়ে শখের বশে কাজ করতে করতে ১৯৯১ সালের মার্চ মাসে লিনাস তৈরি করে ফেলেন একটি অপারেটিং সিস্টেম কার্নেল। ফলে গনুহ অপারেটিং সিস্টেমের কার্নেল হিসেবে একেই বেছে নেয়া হয়, জন্ম নেয় মুক্ত সফটওয়্যার যুদ্ধের সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র-‘লিনাক্স’! লিনাসের নামানুসারেই এর নামকরন করা হয়। ফলে অনেকেই ধারনা করে বসেন লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের পুরোটাই বোধহয় লিনাসের তৈরি করা। আসলে লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের বেশির ভাগ অংশ তৈরি না করেও লিনাক্সের সাথে সাথে লিনাক্সের জনক হিসেবে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন লিনাস টরভেল্ট। লিনাক্স আসার পরপরই মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলন একটি নতুন মাত্রা পায়। উন্মুক্ত সোর্সকোড ভিত্তিক এই অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটার ব্যবহারকারী এবং প্রোগ্রামারদের সামনে নতুন দ্বার উন্মোচন করে।

স্টলম্যান একজন সাধারন ছাত্রের মতো সস্তা জীবন-যাপনই বেশি পছন্দ করেন। মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং, নেলসন ম্যান্ডেলা, অং সাং সুচি’র মতো মানুষেরাই তার জীবনে বেশি প্রভাব ফেলেছেন বলে মনে করেন তিনি। ব্যাক্তিগত জীবনে নাস্তিক; জন্মসূত্রে খ্রিষ্টান হলেও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা কখনও পালন করা হয় না। কাজ শেষে অফিসেই ঘুমিয়ে পড়েন। মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। তার ব্যাক্তিগত সম্পদ বলে তেমন কিছুই নেই। আসলে প্রায় গত তিন দশক ধরে তার ধ্যান-জ্ঞান একটাই, আর তা হলো মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

তথ্যপ্রযুক্তির মতো বিশ্ব রাজনীতিকেও বানিজ্যের আওতামুক্ত করার পক্ষপাতী স্টলম্যান। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক ক্ষমতা সর্বাগ্রে লোভী ব্যবসায়ীদের হাতে চলে যাওয়াতেই গণতন্ত্রের মুক্তি সম্ভব হচ্ছে না। তাই ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রাজনৈতিক ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব না হলে গনতন্ত্র তথা মানবতার মুক্তি সম্ভব নয়। এছাড়াও মুক্ত সফটওয়্যার আন্দোলনের অগ্রদূত স্টলম্যান মনে করেন সফটওয়্যারের বানিজ্যিকরন পৃথিবীর প্রধান সমস্যা নয়। তাঁর মতে, বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর সমস্যা হলো পরিবেশ দূষন এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন (Global Warming)।

মুক্ত সফটওয়্যার সম্পর্কে স্টলম্যান প্রচুর প্রবন্ধ লিখেছেন। তার সবেচেয়ে বিখ্যাত প্রবন্ধের নাম-কেন সফটওয়্যারের মালিক থাকা উচিত নয়? অনেকেই বলেন, মুক্ত সফটওয়্যার মানে হচ্ছে মেধার অপচয় বা মুক্ত সফটওয়্যার তৈরি করে কোন লাভ নেই । তাদের এসব প্রশ্নের সব জবাব আছে এই প্রবন্ধে। এ পর্যন্ত অনেক ভাষায় এই প্রবন্ধটি অনুবাদ করা হয়েছে। সায়েন্স ফিকশনের ভক্ত স্টলম্যান দুটি সায়েন্স ফিকশনও লিখেছেন। সফটওয়্যার কপিরাইট এর প্যাটেন্টের বিরূদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ২০০৬ সালে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কেরলায় রাজ্য সরকারের স্টলম্যানের এক বৈঠকের পর সরকার এই রাজ্যের প্রায় সাড়ে বারো হাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম মাইক্রোসফট উইন্ডোজের বদলে উন্মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার সিদ্ধান্ত নেয়।

সফটওয়্যার কপিরাইট আর প্যাটেন্টের চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা করে তিনি প্রথম বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছিলেন মুক্ত সফটওয়্যারের স্বপ্ন। তার স্বপ্ন ছুঁয়ে গেছে সমস্ত বিশ্বকে। এর বড় উদাহরন সম্ভবত আমাদের এই বাংলাদেশ। প্রযুক্তি বিমুখ একটি জাতি হিসেবে আমাদের দুর্নাম থাকলেও আমাদের তরুন সমাজ এখন স্টলম্যানের মন্ত্রে দীক্ষিত। আসলে যেকোন যুদ্ধে অনেকেই অংশগ্রহন করে, তবে সেই যুদ্ধ কাউকে না কাউকে শুরু করতে হয়। সেই শুরুটা তিনিই করেছেন। তাহলে এই সফটওয়্যার যুদ্ধের মহানায়ক তিনি ছাড়া আর কে হবেন?

[লেখাটি কিছুটা পরিবর্তিত রূপে বাংলা উইকিতে অন্তর্ভুক্ত। ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত]