ডেবিয়ানে রুট ইউজার এর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে রিসেট করা

যদি অনেকদিন ধরে লিনাক্স ব্যবহার করেন তাহলে লিনাক্সের রুট (এ্যাডমিনিস্ট্রেটর) পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার মত অবস্থায় পড়বেন না এটা ভাবা খুবই কঠিন এবং সেসময় পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা ভাগ্যের হাতে ছেড়ে না দিয়ে উপায় থাকে না। যদি মেশিনের সামনে আপনি সরাসরি থাকতে পারেন তবে এটি তিন মিনিটেই উদ্ধার করতে পারবেন। আসুন আজ সেটিই দেখি।

  • ১নং ধাপঃ একটি লাইভ সিডি যোগাড় করা
প্রথমেই একটি স্ট্যান্ডার্ড লাইভ সিডি যোগাড় করুন যেটি হতে পারে KNOPPIX, Ubuntu LiveCD অথবা Debian LiveCD। যে কোন একটি লাইভ ডিস্ট্রোর আইএসও(ISO) ইমেজ ডাউনলোড করে সিডিতে বার্ন করে নিন নিরো, ব্রাশেরো, এক্সসিডি রোস্ট(XCD-Roast) বা অন্য কোন বার্নার দিয়ে।
  • ২নং ধাপঃ লাইভ সিডি থেকে বুট করা
এবার আপনার মেশিনের সিডি রমে সিডি ঢুকিয়ে লাইভ সিডি থেকে মেশিন বুট করুন। যদি বায়োসে সিডি থেকে বুট করার অপশন না থাকে তাহলে বায়োস সেটআপে প্রবেশ করে সিডি থেকে বুট করার অপশন দিয়ে দিন।
  • ৩নং ধাপঃ ড্রাইভ মাউন্ট করা
লাইভ সিডি থেকে বুট করা শেষ হলে একটি শেল প্রম্পট চালু করুন এবং আপনার যে ড্রাইভে ডেবিয়ান ইনস্টলড আছে সেটি মাউন্ট করে নিন অর্থাৎ যেটির পাসওয়ার্ড আপনি পরিবর্তন করতে চান।
#mount /dev/ /mnt/
Example:
# mount /dev/hda1 /mnt
or
# mount /dev/sda1 /mnt

  • ৪নং ধাপঃ আপনার পার্টিশনে chroot করা
এর পরের ধাপ হচ্ছে আপনি যে পার্টিশন মাউন্ট করেছেন সেখানে chroot করা।
# chroot /mnt/
এখন আপনি আপনার হার্ডডিস্কে ইনস্টলকৃত ডেবিয়ানের শেল প্রম্পট এনভারোনমেন্ট পেয়ে যাবেন।

chroot এর কাজ হচ্ছে বর্তমান রুট পাথ পরিবর্তন করে অন্য কোন পাথকে রুট পাথ (/) হিসেবে সেট করা। অর্থাৎ বর্তমানে আপনি যেহেতু লাইভ সিডি চালাচ্ছেন তাই কোন কমান্ড দিলে লাইভ সিডির অপারেটিং সিস্টেম তা গ্রহন করবে এবং লাইভ সিডির ফাইল সিস্টেমে পরিবর্তন করবে। কিন্তু আপনি chroot কমান্ড দিয়ে /mnt তে মাউন্টকৃত ড্রাইভকে রুট পাথ হিসেবে সেট করে নিচ্ছেন তাই পরবর্তীতে কমান্ড দিলে আপনার হার্ডডিস্কে অবস্থিত ডেবিয়ানে তা কার্যকরী হবে। এটি রিমোট লোকেশন থেকে কোন সার্ভারকে মেইনটেন্যান্স করার জন্য বেশ ব্যবহৃত হয়।
  • ৫ নং ধাপঃ রুট পাসওয়ার্ড রিসেট করা
এখন নিচের কমান্ডটি দিন এবং রুট এর জন্য একটি নতুন পাসওয়ার্ড সেট করুন।
# passwd

আউটপুটঃ

# Enter your new UNIX password:
# Retype new UNIX password:


এখানে আপনি ইচ্ছা করলে অন্য ব্যবহারকারীর জন্যও পাসওয়ার্ড সেট করতে পারবেন যখন আপনি রুট ইউজার হিসেবে লগইন করতে পারবেন।
  • ৬নং ধাপঃ আনমাউন্ট ও রিবুট করা
সবার শেষে আপনার হার্ডডিস্ককে আনমাউন্ট করুনঃ

# umount /mnt

এবং কম্পিউটার রিস্টার্ট/রিবুট করুন। তারপর হার্ডডিস্ক থেকে পুনরায় বুট করুন। এখন আপনি আপনার নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারবেন যেটি ৫নং ধাপে দিয়ে এসেছেন।

ডেবিয়ান লিনাক্স টিপস এন্ড ট্রিকস-২

  • এ্যাপ্লিকেশন বা প্রোগ্রামসমূহের স্টার্ট আপ স্পিড বাড়ানো
একটি ডেস্কটপ মেশিনে সাধারনত ক্যাশিং পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে এর সাড়া প্রদানের হার বা রেসপন্স টাইম দ্রুত করা হয়ে থাকে। যখন মেশিন বুট বা চালু করা হয় তখন সাধারনত যে ফাইল/বাইনারীসমূহ প্রায়ই ব্যবহৃত হয় সেগুলিকে মেশিন র‌্যাম এ লোড করে নেয়। ডেবিয়ানে এ কাজটি করার জন্য preload নামে একটি চমৎকার প্যাকেজ আছে। Preload ব্যবহারকারীর এ্যাপ্লিকেশনসমূহের গতি বা পারফর্ম্যান্স বাড়াতে ব্যবহৃত হয়, এটি মেশিন এর বুটিং স্পিড বাড়াতে কোন সাহায্য করে না। বরং এটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে বুটিং স্পিড কমিয়েও ফেলতে পারে। তাই এটি ব্যবহারে কিছটা সতর্ক হওয়া দরকার।

preload একটি ডেমন বা ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোগ্রাম হিসেবে রান করে থাকে এবং মনিটরিং করতে থাকে ব্যবহারকারী যে সমস্ত প্রোগ্রাম ব্যবহার করে থাকে তার উপর। তাই প্রথম প্রথম আপনি এর কোন ফলাফল দেখতে না পেলেও সময়ের সাথে সাথে আপনার পিসির পারফর্ম্যান্স লক্ষনীয় ভাবে বাড়তে থাকবে। তাই এ প্রোগ্রামটিও আপনার পিসির জন্য একটি প্রয়োজনীয় টুলস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

ইনস্টল করার জন্য কমান্ড:
# apt-get install preload

এটুকুই যথেষ্ট প্রোগ্রামটি রান করার জন্য। প্রোগ্রামটি কনফিগার করা যায় তবে এর ডিফল্ট সেটিংস-ই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পারফর্ম্যান্স প্রদানের জন্য যথেষ্ট।

  • অ্যাপ্লিকেশনসহ মেশিনের সামগ্রিক পারফর্ম্যান্স বাড়ানো
লিনাক্স নির্ভর অপারেটিং সিস্টেমগুলিতে ফাইল এবং ডিরেক্টরি প্রবেশ/পরিবর্তনের সময়/হিস্টোরী সংরক্ষন করার ব্যাপারটি সব সময়ই এর পারফর্ম্যান্সে একটি প্রভাব ফেলে থাকে। সাধারনত যখনই কোন ফাইল অথবা ফোল্ডারে প্রবেশ করা হয় এমনকি যদি ক্যাশ করা হয় শুধুমাত্র পড়া/রিড করার জন্য তারপরও প্রবেশের সময়ক্ষন (একসেস টাইম) ডিস্কে সংরক্ষন করা হয়ে থাকে। লিনাক্স কার্নেল টিম এর গুরুত্বপূর্ন একজন সদস্য ইনগো মলনার এর উক্তি উল্লেখ করা যায় এ প্রসঙ্গেঃ

"আমি জোর দিয়ে বলতে পারি না যে, এটি বাস্তবে ঠিক কতটা প্রয়োজনীয়। atime (access time) আপডেট করার ব্যাপারটি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের পারফর্ম্যান্সে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশী ঘাটতি তৈরী করে থাকে। atime আপডেট বন্ধ করে দিয়ে আমরা লিনাক্সের পারফর্ম্যান্স গত ১০ বছরে সব ধরনের পেজক্যাশ স্পিড বাড়ানোর ফলে যে স্পিড বেড়েছে তার থেকেও বেশী বাড়াতে পারি।

এটি সম্ভবতঃ ইউনিক্স ডিজাইনে সর্বকালের সব থেকে দূর্বল দিক গুলির একটি। ইউনিক্স বাস্তবিক অর্থেই চমৎকার ও স্থিতিশীল একটি অপারেটিং সিস্টেম কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তোঃ ‘যখন যে ফাইল হার্ডডিস্ক থেকে পড়া/রিড করা হচ্ছে তখনই ডিস্কে তার একসেস টাইম তথ্য সংরক্ষিত হচ্ছে! এবং যে ফাইলগুলি ক্যাশে সংরক্ষিত আছে এবং যেগুলি সেখান থেকেই রিড করা হচ্ছে ... সেগুলির জন্যও একই রকমভাবে তথ্য সংরক্ষিত হচ্ছে!"

তবে এ সমস্যার সমাধান আমরা খুব সহজেই করতে পারি ছোট একটি টিপস ব্যবহার করে। এজন্য /etc/fstab ফাইলে সামান্য একটু এডিট করে আপনাকে noatime অথবা relatime ফ্ল্যাগ যুক্ত করে দিলেই চলবে। যদি আপনি noatime ব্যবহার করেন তাহলে nodiratime ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই। অবশ্য অনেকেই এটি করে থাকেন এবং পরামর্শ ও দিয়ে থাকেন কিন্তু nodiratime আদতেই noatime এর একটি সাবসেট অর্থাৎ noatime কমান্ডের ভিতর nodiratime এর সকল ফিচার বিদ্যমান।

উদাহরনঃ

/etc/fstab ফাইলে নিচের কোডটি পরিবর্তন করে

/dev/sda1 / ext3 defaults,errors=remount-ro 0 1
/dev/sda3 /home ext3 defaults 0 2


তার বদলে দিন নিচের কোডটি

/dev/sda1 / ext3 defaults,noatime,errors=remount-ro 0 1
/dev/sda3 /home ext3 defaults,noatime 0 2


তারপর ফাইলটি সেভ করুন ও সবার শেষে রিস্টার্ট দিন। এবার হার্ডডিস্কের ফোল্ডারগুলিতে একসেস করুন ও পরিবর্তন লক্ষ্য করুন।

  • মেশিনের পারফর্ম্যান্স বাড়ানোর আরো কিছু টিপস
আপনার মেশিনের গতি বাড়াতে আরো দুটি ছোট ট্রিকস রয়েছে যা আমরা এখন শিখব। লিনাক্স সাধারনভাবে র‌্যাম বা মেমোরী ফ্রি করার জন্য ডাটা এবং এ্যাপ্লিকেশনগুলিকে ডিস্কে সোয়াপিং করে থাকে। এটি কার্যকরী কিন্তু যদি আপনার সিস্টেমটি যদি হয় সাধারন ডেস্কটপ তাহলে এ অপশনটি অনেক সময় আপনাকে হতাশ করতে পারে। ডেস্কটপ সিস্টেমে একজন ব্যবহারকারী সাধারনত এ্যাপ্লিকেশনের কাছ থেকে বেশী বেশী গতি আশা করে থাকে।

উদাহরনস্বরূপঃ যদি একটি কাজ (যেমন লেখালেখি, গান শোনা, মুভি দেখা) করার সময় অন্য আরেকটি কাজ যেমন একটি বড় ফাইল আনজিপ করার সময় ৯৫ সেকেন্ডের বদলে ১০০ সেকেন্ড লাগে তাতে কি আপনার কোন যায় আসে? না, এটি কোন সমস্যাই নয় অন্ততঃ আমার ক্ষেত্রে। আমি আমার মূল কাজ (গান শোনা, লেখালেখি করা) ভালভাবে দ্রুতগতিতে করতে পারলেই হল। কিন্তু যদি আপনার কোন এ্যাপ্লিকেশন বা পুরো ডেস্কটপ ৫ সেকেন্ড দেরী করে কোন কাজ করতে বা পুরো ফ্রিজ হয়ে যায় তাহলে কেমন লাগবে? অবশ্যই তা ভাল লাগবে না। এটি অবশ্য সার্ভারের জন্য ভাল কারন সেখানে তো কেউ একটি ফাইল আরেকটি ট্যাবে কতক্ষন পরে খুলছে, গান কতক্ষন পরে চালু হচ্ছে, কোন ডিরেক্টরী ব্রাউজ করতে কতসময় লাগছে তা দেখার জন্য বসে থাকে না এবং সেখানে কতটুকু ডাটা আদান-প্রদান হচ্ছে তা যেকোন কিছুর চেয়ে মূল্যবান। কিন্তু ডেস্কটপের জন্য এটি সত্যিই সমস্যায় আক্রান্ত করে থাকে ব্যবহারকারীকে।

এ সমস্যার সমাধান দু’ভাবে করা যেতে পারে।

প্রথমতঃ কার্নেলের পেজিং বিহেভিয়ার পরিবর্তনের মাধ্যমে। এটি /etc/sysctl.conf এ সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে এবং vm.swappiness এর জন্য একটি ভ্যালু বাড়িয়ে করা হয়ে থাকে। আমরা ০(শূন্য) এবং ১০০(একশত) এর মধ্যে যে কোন একটি মান বেছে নিতে পারি যেখানে ০(শূন্য) বলতে বোঝায় কার্নেল সবকিছুকে RAM এ রাখতে চেষ্টা করে থাকে এবং ডিস্কে ক্যাশ করবে না। ১০০(একশত) বলতে বোঝায় কার্নেল RAM বা মেমোরী ফ্রি করে ডিস্কে ক্যাশ করতে চেষ্টা করবে অব্যাহতভাবে। ডেবিয়ানে ডিফল্ট মান হচ্ছে 60, এটি মোটামুটি ঠিকই আছে কিন্তু কিছুটা রক্ষনশীল। ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদেরকে অবশ্যই এখানে কম মান ব্যবহার করা উচিত কারন তাতে কার্নেল সবকিছুকে RAM এ সংরক্ষন করার চেষ্টা করবে যা ব্যাটারীর কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

এটি করার জন্য কমান্ড দিনঃ
# echo 'vm.swappiness=20' >> /etc/sysctl.conf

দ্বিতীয়তঃ কার্নেল যে পদ্ধতিতে ব্লক ডিভাইস এবং বিপরীতে ফাইলসিস্টেম এন্ট্রি-র ক্যাশ খালি করে থাকে সেটি পরিবর্তন করার মাধ্যমে এটি করতে পারি। তাই আমরা এ ক্ষেত্রে কার্নেল যখন ক্যাশ ফ্রি করার চেষ্টা করে থাকে তখন ফাইল সিস্টেম এন্ট্রি ক্যাশ হওয়ার আগেই যাতে ব্লক ডিভাইসগুলি ক্যাশ থেকে ফ্রি হতে পারে তার ব্যবস্থা করব। কারন ফাইল সিস্টেম এন্ট্রি ক্যাশে থাকলে ফাইল ম্যানেজার ও অন্যান্য প্রোগ্রামগুলি আরো দ্রুত কাজ করতে পারবে যেখানে অরিজিনাল ফাইল সিস্টেম থেকে খুজে নিতে হলে আরও বেশী সময় লাগত। এবার ও আমরা /etc/sysctl.conf ফাইলে vm.vfs_cache_pressure এর জন্য একটি মান দিয়ে দেব। এর ডিফল্ট মান হচ্ছে 100, এর সর্বোচ্চ মান কত দেওয়া যায় তা ততটা স্পষ্ট নয় তবে ০(শূন্য) দিলে আপনার সিস্টেম বড় ফাইলে কাজ করার সময় ভয়াবহ সোয়াপিং সমস্যায় পড়তে পারে।

এটির মান দেয়ার জন্য নিচের কমান্ডটি দিনঃ
# echo 'vm.vfs_cache_pressure=50' >> /etc/sysctl.conf

সবশেষে মেশিন রিস্টার্ট দিন। আজ এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে।

ডেবিয়ান/উবুন্তুতে নতুন কার্নেল ইনস্টল করার পদ্ধতি

কার্নেল রি-কম্পাইল... শুনে মনে হয় কি জিনিস রে বাবা! কার্নেল তাও আবার রিকম্পাইল। বিগ বিগ লিনাক্স ফ্যান, টেকিরা উল্টা পাল্টা কিছু হলেই বলেন কার্নেল রিকম্পাইল মারো। তা আসুন আজ একটু দেখি কার্নেল কি জিনিস, রিকম্পাইল কি জিনিস আর এটি দিয়ে আসলে কি-ইবা করে থাকে লিনাক্স গুরুরা।

কার্নেল হল যে কোন অপারেটিং সিস্টেমের প্রান ভোমরা স্বরূপ। অপারেটিং সিস্টেমের বেসিক কাজ যেমনঃ ডিভাইস ড্রাইভার চালানো, ফাইল সিস্টেম (FAT, NTFS, EXT2) ম্যানেজমেন্ট, মেমোরী ম্যানেজমেন্ট, স্টোরেজ ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি কাজের বেশীরভাগই কার্নেল লেভেলে হয়ে থাকে। কারন এ সমস্ত বেশীরভাগ কাজ প্রতিটি প্রোগ্রামেই দরকারী।
উদাহরনস্বরূপঃ আপনি যদি নোটপ্যাডে একটি ফাইল খুলে কিছু লেখেন তাহলে প্রথমে কার্নেল ফাইলটিকে ডিস্ক থেকে খুজে বের করবে, তারপর নোটপ্যাডকে ঐ লোকেশনটি প্রদান করে খুলতে সহায়তা করবে, তারপর যখন কিছু লিখবেন তখন কি-বোর্ড ড্রাইভার ও গ্রাফিকস কার্ডের ড্রাইভারকে নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে তা স্ক্রিনে আউটপুট প্রদান করবে। সবশেষে উক্ত লেখা সেভ করার সময় কার্নেল ডিস্ককে বলে দেবে কোথায় সেটি সেভ করবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যেকোন কাজের পেছনে কার্নেল এর ভূমিকা কত ব্যাপক। এ সমস্ত সাধারন কাজ যা প্রায় প্রতিটি প্রোগ্রামেই লাগে তা প্রতিটি প্রোগ্রামের সাথে জুড়ে দিলে এক একটি প্রোগ্রামের সাইজ কত হত তা একবার ভেবে দেখেছেন কি? তাই কার্নেল এর মাধ্যমে এ সমস্ত সাধারন কাজগুলিকে একটি জায়গা থেকেই মেইনটেইন করা হয়ে থাকে।

লিনাক্সের ক্ষেত্রে কার্নেলকে মেইনটেইন করেন খোদ এর স্রষ্টা লিনাস টোরভাল্ডস। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান সব কার্নেল হ্যাকাররা লিনাসের নেতৃত্বে এক বিশাল কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। হ্যাকার নাম শুনে ঘাবড়াবেন না। লিনাক্স জগতে হ্যাকারদেরকে উইন্ডোজ জগতের মত ভীতির চোখে দেখা হয় না বরং সমীহ করে চলা হয়। কারন তারাই তো এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বিনা পারিশ্রমিকে লিনাক্সের খুটিনাটি বিষয়গুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা, মেইনটেইন করা, বাগ ফিক্স করা, রিলিজ করা সব করে যাচ্ছেন নীরবে।

লিনাক্স কার্নেলে নতুন কিছু যোগ করা বা পরিমার্জন করা হলে হ্যাকাররা তা সম্পাদন করে লিনাসের কাছে জমা দিয়ে থাকেন। লিনাস সুবিধাজনক সময়ে সেটি আবার http://www.kernel.org/ সাইটে রিলিজ দিয়ে থাকেন। এখান থেকে যে কেউ কার্নেল ডাউনলোড করে তা কম্পাইল করে নিতে পারেন। কিন্তু শুনতে সহজ মনে হলেও কাজটি অত সহজ নয়। কার্নেল নামিয়ে কম্পাইল করতে গেলে মেশিনভেদে এটি ২/৪ ঘন্টা পর্যন্ত লাগতে পারে। এমনকি কম্পাইল এর মাঝে যদি পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সব কাজ ফিনিস। আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। তাই নতুন ব্যবহারকারীরা প্রায়ই কম্পাইল করতে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু কেন এই কার্নেল রিকম্পাইল করবেন?

কারন আর কিছুই না। যদি আপনার কোন ডিভাইস বর্তমান কার্নেল সাপোর্ট না করে যেমন গ্রাফিক্স কার্ড, সাউন্ড কার্ড, ইউএসবি এজ মডেম ইত্যাদি তাহলে নতুন কার্নেল এ থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। তারপরও যদি না থাকে ফোরাম সার্চ করুন, গুগল করুন অথবা কার্নেল বাগ ডাটাবেজে এ রিপোর্ট করুন। তাহলে পৃথিবীর অপর প্রান্তের কেউ একজন এ বাগ ঠিক করে যখন নতুন কার্নেল রিলিজ করবে তখন তা মেশিনে ইনস্টল করে নিন। তাহলে আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে ও যেতে পারে। এখানেই লিনাক্সের মূল শক্তি নিহিত। ওপেন সোর্স হওয়ায় আপনি সহজেই সাহায্য পাচ্ছেন। যা উইন্ডোজে মোটেই সম্ভব না। এছাড়াও কার্নেলে নতুন ফাইল সিস্টেম এর কোড, পুরাতন কার্নেল এর বাগ ফিক্সিং, মেশিন দ্রুতগতিসম্পন্ন করার জন্য টিউনিং কোড ইত্যাদি দেয়া হয়ে থাকে।

আপনার কার্নেল এর ভার্সন নম্বরটি জানতে লিনাক্সে ঢুকে শেল প্রম্পটে টাইপ করুন uname –a। এখানকার আউটপুটের যে অংশটি 2.6.xx.xx টাইপের সেটিই আপনার কার্নেল ভার্সন। ধরি আপনার বর্তমান কার্নেল নম্বর 2.6.26। এখন আপনি যদি নতুন কার্নেল 2.6.30 তে কার্নেল আপডেট করতে চান তাহলে আপনার জন্য উবুন্তু টিম রেডিমেড কম্পাইলড প্যাকেজ নিয়ে বসে আছে। আপনি শুধু ডাউনলোড করুন আর ইনস্টল করুন। ব্যস কেল্লা ফতে।

এ ফাইলগুলি আপনি এ লোকেশনে পাবেন- http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/mainline/

আপনার যে ভার্সন দরকার সে ভার্সনের ফোল্ডারে ক্লিক করুন আর নিচে উল্লেখিত ফাইলগুলি ডাউনলোড করুন।
যেমন ভার্সন ২.৬.৩০ এর লোকেশন হবে http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/mainline/v2.6.30/
ইনস্টলেশন পদ্ধতি
  • প্রথমেই ডাউনলোড করুন
http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/ma ... 30_all.deb লোকেশন থেকে linux-headers-2.6.30-020630_2.6.30-020630_all.debফাইলটি

  • এবার কার্নেল হেডার প্যাক ডাউনলোড করুনঃ
i386 মেশিনের জন্যঃ
http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/ma ... 0_i386.deb

64 বিট মেশিনের (এএমডি/ইন্টেল উভয়ের) জন্যঃ
http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/ma ... _amd64.deb

  • কম্পাইলড কার্নেল ইমেজ ডাউনলোড করুনঃ
i386 মেশিনের জন্যঃ
http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/ma ... 0_i386.deb

64 বিট মেশিনের (এএমডি/ইন্টেল উভয়ের) জন্যঃ
http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/ma ... _amd64.deb

উপরে ঠিক যে ক্রমানুযায়ী ডাউনলোড করেছেন সেভাবেই এগুলিকে ইনস্টল করুন। অথবা সব ফাইলগুলিকে একটি ফোল্ডারে রেখে উক্ত ফোল্ডারে গিয়ে নিচের এক কমান্ডেই কাজ করুনঃ
dpkg –i *.deb
সবশেষে নতুন কার্নেলকে ইমেজসহ গ্রাব মেনুতে যোগ করার জন্য কমান্ড দিনঃ
update-grub
তাহলে গ্রাব মেনুতে অটোমেটিক্যালি নতুন কার্নেল যোগ হয়ে যাবে যা বুট করার সময় সিলেক্ট করতে পারবেন। এখন বুট করুন আর নতুন কার্নেল সিলেক্ট করে অপারেটিং সিস্টেম চালু করুন। বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালিয়ে দেখুন কার্নেল এ কোন সমস্যা আছে কিনা। এছাড়া যে ডিভাইসটি সমস্যা করছিল পুরাতন কার্নেলে সেটি ঠিক হয়েছে কিনা তাও দেখুন। যদি কোন সমস্যা থাকে তবে মেশিন রিস্টার্ট করে আবার পুরনো কার্নেল দিয়ে মেশিন চালু করুন এবং নতুন কার্নেল আনইনস্টল করে দিন সিন্যাপটিকে গিয়ে। এখানে সার্চ দিনঃ linux-image ও linux-header দিয়ে তারপর কার্নেল নম্বর দেখে আনইনস্টল করে দিন নতুন কার্নেলকে।

আশা করি উপরের বর্নিত পদ্ধতি আপনাকে কার্নেল সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা দেবে। তবে আরও ভাল ধারনা পাওয়ার উপায় হলো মূল কার্নেল টার ফাইল নামিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে দেখা (যদি সি ল্যাংগুয়েজ জানেন), তারপর কম্পাইল করা এবং ইনস্টল করা। তবে কথা আছে- যদি আপনার একটি খুব উন্নত ও দ্রুতগতির মেশিন থাকে তাহলে রিকম্পাইলের রিস্ক নিতে পারেন। আজ এ পর্যন্তই। ভাল থাকুন সবাই।

ডেবিয়ান লিনাক্স টিপস এন্ড ট্রিকস-১

এখানে একটি সাধারন ডেবিয়ান ডেস্কটপ সিস্টেম এর গতি এবং পারফরম্যান্স কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। ধরে নিচ্ছি এ সিস্টেমটি কোন সার্ভার বা কনসোল নির্ভর সিস্টেম নয়।

ডেবিয়ান এর ডিফল্ট সেটিংসে এটি অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম এর তুলনায় কিছুটা ধীর গতিতে বুট করে থাকে। এছাড়া ও ডেস্কটপ এর কিছু বড়সড় প্রোগ্রাম যেমন ওপেন অফিস.অর্গ রাইটার, ফায়ারফক্স/উইজেল এর মত প্রোগ্রামগুলি ও ডেবিয়ানে কিছুটা ধীরগতিতে কাজ করে থাকে। বুট স্পিড বাড়ানো, প্রোগ্রামসমূহ চালু হওয়ার স্পিড বাড়ানো এবং অন্যান্য কাজ সমূহ দ্রুতগতিতে করার জন্য কতিপয় উপায় রয়েছে। কিন্তু ডেবিয়ান এগুলির একটিও সাধারনভাবে ব্যবহার করে না।

কিন্তু এগুলি ঠিক করে একটি দ্রুতগতি সম্পন্ন ডেবিয়ান ডেস্কটপে পরিনত করা কি সম্ভব নয় আপনার মেশিনকে? অবশ্যই সম্ভব। তবে সেজন্য আপনাকে কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস ফলো করতে হবে। আজ সে ধরনের কিছু বিষয় নিয়েই আলোচনা করতে চাই। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তাহলে আসুন শুরু করা যাক।

  • প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার
লিনাক্সের গতি বাড়ানোর জন্য কয়েকটি সফটওয়্যার লাগবে। তবে এজন্য আপনাকে ইন্টারনেট কানেকশন রাখলেই চলবে। আর প্যাকেজগুলি শুধুমাত্র মেইন রিপোজিটরী থেকেই নেয়া হবে। তাই চিন্তার কিছু নেই। যদি না পান রিপোতে তাহলে সার্চ করে নিতে পারেন।

লিনাক্সে কোন কিছু পরিবর্তনের আগে কনফিগারেশন ফাইলের ব্যাক আপ নিয়ে রাখা ভাল। যদি কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে সহজেই আগেই ফাইল দিয়ে মেশিন যাতে ঠিক করতে পারেন সেজন্যই এ পরামর্শ।

  • বুট স্পিড বাড়ানো
আপনি হয়তো অন্যান্য ডিস্ট্রো (যেমন আর্ক) ফ্যানদের কথায় কিছুটা হতাশ যারা ডেবিয়ানের বুট স্পিড নিয়ে কটাক্ষ করে থাকে। চিন্তার কিছু নেই। ঐ সব ডিস্ট্রোগুলির ব্যবহৃত টেকনিক আপনার ডেবিয়ানেও কাজে লাগাতে পারেন। অন্য ডিস্ট্রোগুলিতে সাধারনত সার্ভিসগুলি বুটের সময় পর্যায়ক্রমিকভাবে চালু হয় না। পর্যায়ক্রমিকভাবে চালু বলতে আমি বোঝাচ্ছি যে, একটি প্রসেস যদি চালু হতে দেরী হয় তবে পরবর্তী সার্ভিস গুলিও চালূ হতে দেরী হবে। এর বিকল্প হিসেবে আপনি প্যারালাল বা সমান্তরাল ভাবে সার্ভিস সমূহ চালু করতে পারেন যেখানে একটি সার্ভিস চালু হতে দেরী হলেও অন্যান্য সার্ভিস যেগুলি এর উপর নির্ভরশীল নয় তা একই সাথে চালু হতে শুরু করবে। ফলাফল হাতেনাতে পাবেন।

আরেক বিষয়- যখন ডেবিয়ান বুট হয় তখন কিছু সার্ভিস (যেমন ফায়ারস্টার্টার) পুনরায় স্টার্ট/স্টপ/স্টার্ট হয়। এর কারন হচ্ছে - এ স্ক্রিপ্টগুলি LSB ডিপেনডেন্সির যে ক্রমানুযায়ী চালু হবার কথা তা অনেক সময় মেনে চলে না।

সুতরাং LSB এর ক্রমান্বয় মেনে চলার জন্য স্ক্রিপ্টকে নির্দেশ দান করার পর প্যারালাল স্টার্ট আপের নির্দেশ দিব।

স্ক্রিপ্টগুলির ক্রমান্বয় নতুন করে সাজাবার জন্যঃ

# apt-get install insserv

Read the warning and go ahead if you like.
Allow parallel starts:

# echo 'CONCURRENCY=shell' >> /etc/default/rcS

কেউ কেউ এখানে CONCURRENCY=startpar ব্যবহার করতে পারেন। তবে তারা মূলত একই জিনিস কিন্তু শেল পুরনো নিয়মে স্ক্রিনে আউটপুট প্রদর্শন করে থাকে এবং কিছুটা দ্রুতগতির বলেই মনে হয়।

  • Readahead
readahead প্যাকেজটি বুট এর সময়ে চালু হয় এবং বুটের সময়ে যে সমস্ত ফাইল প্রয়োজন হয় সেগুলিকে কার্নেল এর ডিস্ক ক্যাশে জমা করতে থাকে। এটিকে চালু করার জন্য প্রথমে ইনস্টল করুন readahead প্যাকেজ, তারপর touch কমান্ড দিয়ে /etc/readahead/profile-once ফাইলটি তৈরী করুন এবং সবার শেষে মেশিন রিবুট বা রিস্টার্ট করুন।

প্যাকেজটির প্রোফাইল নেয়ার জন্য প্রথমবার বুট হবে খুব ধীরে এবং পরবর্তীতে বুটের সময় প্রোফাইল সেট আপ রান করবে এসব ফাইলগুলিকে দ্রুতগতিতে লোডের মাধ্যমে।

কমান্ডঃ
# apt-get install readahead

# touch /etc/readahead/profile-once
reboot


  • অন্যান্য বিষয় যা বুটিংকে প্রভাবিত করে থাকেঃ

বুটিং এর সময় কি কি সার্ভিস চালু হচ্ছে তা কি আপনি জানেন? এটি কিন্তু সম্পর্ন আপনারই উপর নির্ভর করে। আপনার যদি প্রিন্টার না থাকে তাহলে অবশ্যই cups সার্ভিস ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু করে কোন লাভ নেই। তাই এ রকম অপ্রয়োজনীয় সার্ভিসগুলিকে সহজেই বাদ দিয়ে আপনার বুটিং স্পিড বেশ খানিকটা বাড়িয়ে নিতে পারেন। কিন্তু এটি কিভাবে করবেন?

আপনি গ্রাফিক্যাল মোড এর সার্ভিস(Administration-->Services) অপশন থেকে এটি করতে পারেন। তবে সব সার্ভিসগুলিকে এখানে পাবেন না। সেজন্য আপনাকে প্রথমেই জেনে নিতে হবে আপনার ডিফল্ট রান লেভেল কত। ডিফল্ট রান লেভেল হচ্ছে আপনার কম্পিউটার যে মোডে লগইন হয়ে থাকে তার নম্বর। এটি লিনাক্সে ০-৬ এ যেকোন একটি হতে পারে। যেমন ডেবিয়ান লিনাক্সের ডিফল্ট রানলেভেল হচ্ছে ২। এটি জানার জন্য /etc/inittab ফাইলটি খুলুন যেকোন টেক্সট এডিটর দিয়ে। তারপর নিচের লাইনে যানঃ

id:2:initdefault:

উপরের লাইনে id এর পর যে নম্বরটি (২) আছে সেটিই হচ্ছে আপনার ডিফল্ট রান লেভেল।

এবার আসুন সার্ভিসগুলি বাদ দেবার পালা। এজন্য প্রথমেই শেল মোডে রুট হিসেবে লগইন করুন। তারপর /etc/rc2.d নামক ফোল্ডারে যান। দেখুন এখানে কি কি ফাইল আছে। এখানে ফাইলগুলি সাধারনত S অক্ষর দিয়ে শুরু হয়েছে। এগুলি দ্বারা সার্ভিস কে বোঝায়। তারপর একটি নম্বর আছে ১০, ২০, ৩০ এরকম। এ নম্বরগুলি অনুযায়ী বুটের সময়ে ধারাবাহিকভাবে সার্ভিসগুলি চালু হয়ে থাকে। এ নম্বরটি বেশ গুরুত্বপূর্ন। এখন আপনি যে সার্ভিসটিকে বন্ধ করতে চান সে নামের ফাইলটিকে রিনেম করে দিন তার আগে একটি আন্ডারস্কোর (_) চিহ্ন দিয়ে। উদাহরনস্বরূপঃ

আপনি যদি S90apache সার্ভিসটিকে বন্ধ করতে চান তাহলে কমান্ড দিনঃ

cd /etc/rc2.d
mv S90apache _S90apache


ব্যস আপনার সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে গেল। সার্ভিসটিকে পূনরায় চালু করতে কমান্ড দিনঃ

mv _S90apache S90apache