Slax - পেন/USB ড্রাইভ থেকে চালানোর পারফেক্ট লিনাক্স

ছবি
অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন এবং উইন্ডোজ এক্সপি এর লাইভ সিডি ব্যবহার করে আসছি। এ ধরনের সিডি গুলি দিয়ে খুব সহজেই সমস্যা আক্রান্ত পিসি ডায়াগনোসিস করা যায়। কিন্তু আমি এ রকম একটি বহনযোগ্য অপারেটিং সিস্টেম খুজছিলাম যেটি হবে ইউএসবি ডিভাইস চালিত অর্থাৎ যেকোন মেশিন এ নিয়ে বুট করলেই হল। যাবতীয় কনফিগারেশনসহ আপনার সামনে হাজির হবে। চাইলে যেকোন ফাইল সেভ করে রাখতে পারবেন। সেদিন হঠাৎ স্ল্যাক্স নামে একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন ডাউনলোড করলাম - মাত্র ১৮০ মেগাবাইট(http://www.slax.org)। এটি লিনাক্সের প্রথম দিককার একটি মানসম্মত ডিস্ট্রিবিউশন স্ল্যাকওয়্যার এর একটি সংক্ষিপ্ত ভার্সন এবং কেডিই বেজড। ইচ্ছে হলে আপনি অন্য উইন্ডো ম্যানেজার যেমন-এক্সএফসিই মডিউল হিসেবে এ্যাড করতে পারেন।


কিভাবে ইনস্টল করবেন?

এটি দুভাবেই - সিডি বা ইউএসবি থেকে- চালানো যায়। এর সবচেয়ে চমৎকার বিষয়টি হল এটি খুব সহজে পেন ড্রাইভে ইনস্টল করা যায়। অর্থাৎ টার ফাইলটি(http://www.slax.org/get_slax.php?download=tar) নামিয়ে সেভেনজিপ দিয়ে পেন ড্রাইভে এক্সট্রাক্ট করতে হবে। তারপর বুট নামক ফোল্ডারে ঢুকে bootinst.bat ফাইলে ডাবল ক্লিক করলেই হল। সাথে সাথে আপনার পেন ড্রাইভ বুটেবল হয়ে যাবে। তারপর মাদারবোর্ডে পেন ড্রাইভ/ইউএসবি কে বুট অপশনে দিয়ে দিন এবং পেন ড্রাইভ ইউএসবি পোর্টে দিয়ে মেশিন বুট করুন। চমৎকার এক চেহারা নিয়ে আপনার সামনে নিমিষেই হাজির হবে স্ল্যাক্স। এটি এত দ্রুত চলতে সক্ষম যে আপনার মেশিনে মাত্র ১২৮ মেগাবাইট মেমোরিই যথেষ্ট।

ট্রাবলশুটিং
যদি আপনার স্ল্যাক্সটি করাপ্টেড হয়ে যায় কোন চিন্তা নাই - আপনি উইন্ডোজ বা লিনাক্স থেকে পেন ড্রাইভের স্ল্যাক্স ফোল্ডারে change নামক ফোল্ডারটির সব গুলি ফাইল ডিলিট করে দিন। ব্যস আপনার স্ল্যাক্স আবার নতুন হয়ে যাবে।

এক নজরে সুবিধাঃ
১. হার্ডডিস্ক এর সব পার্টিশন অটো মাউন্টেড এবং রাইটেবল হয়ে যায়(NTFS, FAT, FAT32, ext2)। অর্থাৎ আপনি যেকোন ড্রাইভে পরিবর্তন করতে পারবেন। এটি উইন্ডোজ মেশিন করাপ্ট হলে খুব কাজে লাগে।

২. বেসিক সব ধরনের প্রোগ্রাম দেওয়াই আছে। যেমন-কে অফিস, এম প্লেয়ার, পিডিএফ রিডার, কনকারার ওয়েব ব্রাউজার, কেপিপি মডেম ডায়ালার, মেইল ক্লায়েন্ট, সিডি/ডিভিডি বার্নার ইত্যাদি। আমি সব ধরনের মাল্টিমিডিয়া ফাইলই চালাতে পেরেছি।

৩. অতিরিক্ত প্রোগ্রাম চাইলে মডিউল ডাউলোড করে(স্ল্যাক্স এর ওয়েব সাইট থেকে) এর মডিউল নামক ফোল্ডারে কপি পেস্ট করে দিলেই চলে। তারপর রিস্টার্ট দিলে এ প্রোগ্রামগুলি নিজেই যোগ করে নেয়। আমি এভাবে আমার পেন ড্রাইভে স্ল্যাক্স এর সাথে এ্যাভাস্ট এবং এফ-প্রট এন্টিভাইরাস লোড করে নিয়েছি।

৪. খুবই দ্রুত চলে। মনেই হবে না ইউএসবি ডিস্ক থেকে চলছে। এমনকি হার্ডডিস্ক এ ইনস্টলড উবুন্তু বা ডেবিয়ান থেকে ও দ্রুত মনে হয়েছে। যদি ও কেডিই একটু পুরনো কিন্তু ইন্টারফেস যথেষ্ট আকর্ষনীয়।

৫. এটি চালু অবস্থায় আপনি অন্য ইউএসবি পোর্টে কোন ডিভাইস লাগালে সেটি অটো ডিটেক্ট হবে।

৬. এটি দিয়ে আপনি ব্লু-টুথ বা ওয়াই ফাই ডিভাইস কানেক্ট করতে পারেন মেশিনে।

৭. ডেবিয়ান এর প্যাকেজ কে আপনি এর নিজস্ব মডিউল ভিত্তিক প্যাকেজ( lzm) এ কনভার্ট করে নিতে পারেন। তাছাড়া অন্যদের তৈরী মডিউল গুলি তো আছেই।
৮. নতুন কাউকে লিনাক্স এর অভিজ্ঞতা দিতে চাইলে এর চেয়ে ভাল বিকল্প আর নেই। শুধুমাত্র তার পেন ড্রাইভে এটিকে ইন্সটল করে দিন (যা মাত্র ১/২ মিনিট লাগবে) এবং এক্সপেরিমেন্ট করতে দিন। নির্ভয়ে সে এটি তার বাসায় চালিয়ে লিনাক্স ভীতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। আর ও মজার ব্যাপার হচ্ছে এটি আপনার ইউএসবি ড্রাইভের ফ্যাট/ফ্যাট৩২ ফাইল সিস্টেমেই ইন্সটল করা যায়। কোন ফরম্যাট করার প্রয়োজন নেই।

অসুবিধাঃ
ডিফল্ট হিসেবে রুট ইউজার অটো লগইন হয়ে যায়- যা একটি সিকিউরিটি সমস্যা। ইচ্ছা করলে আপনি এটি পরিবর্তন করে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে অন্য আর একটি ইউজার সেট আপ করে নিতে হবে।

UNetbootin- দিয়ে তৈরী করুন যেকোন লিনাক্স এর লাইভ ইউএসবি

UNetbootin-অসাধারন একটি সফটওয়্যার লিনাক্স এর লাইভ ইউএসবি তৈরীর জন্য। একই সাথে এটিকে আপনি হার্ডডিস্কে লিনাক্স ইন্সটল এর কাজে ও লাগাতে পারেন- তাও আবার হার্ডডিস্কে সেভ করা আইএসও ইমেজ থেকে। অর্থাৎ লিনাক্স এর আইএসও ডাউনলোড করে সিডিতে বার্ন না করলে ও চলবে। কি দারুন ফিচার - তাই না?

তবে এজন্য সফটওয়্যারটিকে অবশ্যই অন্য আরেকটি অপারেটিং সিস্টেম যেমন লিনাক্স/উইন্ডোজ ২০০০/এক্সপি থেকে চালাতে হবে। সফটওয়্যারটি লিনাক্স এবং উইন্ডোজ দু’ধরনের প্লাটফরমেই চলে। ফাইল সাইজ মাত্র ৩.৮৩ মেগাবাইট।

ডাউনলোড করুন এখান থেকে- http://unetbootin.sourceforge.net/ আপনার কাঙ্খিত প্লাটফরমের জন্য যেটি প্রয়োজন।

সফটওয়্যারটি প্রায় বেশিরভাগ লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনকেই লাইভ ইউএসবিতে রূপান্তর করতে ওস্তাদ। দেখুন নিচের ছবিতে-
ছবি

ব্যবহারবিধিঃ
ডেবিয়ান, স্ল্যাকওয়্যার, ম্যানড্রিভা, উবুন্তু, সাবায়ন, ওপেনসুসি, লিনাক্স মিন্ট, ফেডোরা ইত্যাদি প্রচলিত প্রায় সবগুলি ডিস্ট্রিবিউশনকেই সাপোর্ট করে। ব্যবহার ও খুবই সহজ। এমনকি ম্যানুয়্যাল না দেখলে ও চলে। এটি সরাসরি আইএসও ডাউনলোড করে নিয়ে নিজেই কাজ করতে পারে অথবা আপনি হার্ডডিস্কে আপনার সেভ করা আইএসও দেখিয়ে দিন। তারপর ডেস্টিনেশন ড্রাইভ হিসেবে ইউএসবি/হার্ডডিস্ক সিলেক্ট করুন এবং ও.কে. করুন। ব্যস আপনার কাজ শেষ। এবার মেশিন রিস্টার্ট দিন এবং লিনাক্স এ লগইন করুন।

সুবিধাঃ

এটি দিয়ে হার্ডডিস্ক বা ইউএসবিকে ফরম্যাট না করেই লিনাক্স ইন্সটল করা যায়। অর্থাৎ আপনার ডাটা থাকবে সুরক্ষিত।

অসুবিধাঃ

হার্ডডিস্ক এ উইন্ডোজ থেকে ইন্সটল করলে লিনাক্স এর নেটিভ ফাইল ফরম্যাট পাবেন না। অর্থাৎ উইন্ডোজ পার্টিশনেই এটি ইন্সটল করবে। তাই নিজেকেই পার্টিশন তৈরী করে নিতে হবে। না হলে মেশিন কিছুটা স্লো কাজ করবে।
--------------------
অবশ্য সুবিধার তুলনায় এটা কোন ব্যাপারই না। Go Ahead.

বায়োস সাপোর্ট ছাড়াই ইউএসবি ড্রাইভ থেকে কম্পিউটার বুট করা

আমার এক আত্মীয় শখ করে একটি ল্যাপটপ কিনে বেশ কিছুদিন হল ব্যবহার করছে। হঠাৎ তার সিডি রম ড্রাইভটি সমস্যা করতে শুরু করল। সে এটি ঠিক করতে গিয়ে দেখতে পেল বাজারে প্রচলিত কোন ল্যাপটপের সিডিরম ই তার ল্যাপটপে সাপোর্ট করছে না। অতঃপর সে এটি ঢাকাতে বেশ কয়েকটি দোকানে কয়েক সপ্তাহ ফেলে রাখতে বাধ্য হল। তারপর বাসায় এনে এভাবেই কিছুদিন চালাতে থাকলেন। একদিন তার এক বন্ধুর পেনড্রাইভ কম্পিউটারে এটাচ করার সাথে সাথেই ভাইরাস এফেক্টেড। এখন কি করা? নতুন করে কিভাবে উইন্ডোজ ইনস্টল করবেন এই চিন্তায় ঘুম হারাম। অবশেষে ল্যাপটপটি ঢাকায় এক দোকান থেকে ফরম্যাট করে উইন্ডোজ ইন্সটল করে আনলেন। সবশেষে উপায়ন্তর না দেখে এটি বিক্রি করে একটি ডেস্কটপ কিনে তারপর নিশ্চিন্ত হলেন। তার ল্যাপটপে ২/৩ টি ইউএসবি পোর্ট থাকার পরও সেগুলি বুটেবল ছিল না। ফলে এক্সটারনাল সিডিরম লাগিয়ে বুট করতে পারেননি।

উপরে যে ঘটনাটি বললাম এটি আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা। যেমন সেদিন এক ওষুধ সাপ্লাই কোম্পানির অফিসে গিয়ে দেখলাম তাদের ৪/৫ টি কম্পিউটারের প্রায় সবকটিতেই সিডিরম ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু মাদারবোর্ডে ইউএসবি বুটের অপশন না থাকাতে সবসময় ঝামেলায় পড়তে হয়। তাই আজ কিভাবে মাদারবোর্ড এ ইউএসবি বুটিং অপশন না থাকলেও কিভাবে ইউএসবি বুটেবল করা যায় তা দেখব। আসুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

ইউএসবি ড্রাইভ/পেন ড্রাইভ থেকে কম্পিউটার বুট করা/ লাইভ অপারেটিং সিস্টেম চালানো এখন একটি সাধারন ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। আপনার মাদারবোর্ড যদি ইউএসবি বুট সাপোর্ট করে তাহলে খুব সহজেই আপনি লাইভ অপারেটিং সিস্টেম চালিয়ে হার্ডডিস্কের সুবিধা আদায় করে নিতে পারেন। এছাড়া ভাইরাস, স্পাইওয়্যার এফেক্টেড কম্পিউটারকে ক্লিন করতে পারেন, নর্টন ঘোস্ট ইমেজ সফটওয়্যার এর মত ইমেজিং সফটওয়্যার এর সাহায্যে ইমেজ রিস্টোর করতে পারেন, সিস্টেম ফাইল করাপ্ট হলে/মিসিং হলে ম্যানুয়ালি কপি/রিপ্লেস করে দেয়া, ইত্যাদি বহু সুবিধার কথা বলা যায়। এছাড়া ধরুন আপনার ল্যাপটপের সিডি, ডিভিডি ড্রাইভটি নষ্ট কিন্তু নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা প্রয়োজন। তখন ইউএসবি বুট ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। এমনকি আপনি এক্সটারনাল ইউএসবি সিডি/ডিভিডি ড্রাইভ বুট করতে চান তাহলে অবশ্যই মাদারবোর্ডে ইউএসবি বুট সাপোর্ট থাকতে হবে। কিন্তু একটু পুরনো মাদারবোর্ড এই ইউএসবি বুট সাপোর্ট করে না। সেক্ষেত্রে কি এই সাপোর্ট পাওয়া সম্ভব নয়। হ্যা সম্ভব তবে একটু অন্যভাবে-PLoP নামক একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে। প্রথমেই আসুন এটি ডাউলোড করে নিই-
লিংক- http://download.plop.at/files/bootmngr/plpgenbtldr-0.3.zip

এটি প্রথমেই আনজিপ করে নিন। তারপর এর ভিতর plpbt.bin এবং plpgenbtldr.exe ফাইল দুটিকে c:\ এ কপি করুন। এবার কমান্ড প্রম্পটে গিয়ে c:\ এ যান এবং plpgenbtldr.exe রান করুন। ফলে plpbtldr.bin নামে একটি ফাইল তৈরী হবে। এবার স্টার্ট থেকে রান মেনুতে গিয়ে লিখুন c:\boot.ini এবং এন্টার কি প্রেস করুন। তারপর এই ফাইলের একদম শেষ লাইনে নিচের লাইনটি যোগ করুনঃ
c:\plpbtldr.bin="Start PLoP Boot Manager"
এবার ফাইলটি সেভ করে বের হয়ে আসুন। এখন মেশিন রিস্টার্ট দিয়ে বুট অপশন থেকে Start PLoP Boot Manager সিলেক্ট করুন এবং এন্টার প্রেস করুন। ফলে নিচের স্ক্রিন দেখতে পাবেনঃ


এখান থেকে আপনি সিডি রম, ইউএসবি যে কোন ড্রাইভ সিলেক্ট করলেই সে নিজে থেকেই সার্চ করে আপনার দেয়া পেন ড্রাইভ বা কোন ইউএসবি সিডি রম ড্রাইভ, হার্ডডিস্ক থেকে মেশিন বুট করবে। এ পদ্ধতি শুধুমাত্র এক্সপি, উইন্ডোজ ২০০০ এর জন্য। ও হ্যা বলতে ভুলে গেছি এটি শুধু মাত্র এনটিএফএস ফাইল সিস্টেম সাপোর্টেড। তবে লিনাক্স ফাইল সিস্টেম সাপোর্ট করবে।

লিনাক্সের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গ্রাব এর সিস্টেমটি আলোচনা করব যেটি ডেবিয়ান, উবুন্তু ইত্যাদিতে ডিফল্ট দেয়া থাকে।
প্রথমে ফাইলটি আনজিপ করুন এবং plpbt.bin ফাইটিকে /boot এ কপি করুন রুট ইউজার হিসেবে।

এবার কমান্ড দিন sudo gedit /etc/menu.lst । তাহলে menu.lst ফাইলটি ওপেন হবে। এখানে বুট অপশনের শেষে নিচের লাইন তিনটি যোগ করুনঃ

title PLoP Boot Manager
root (hd0,0)
kernel /boot/plpbt.bin

hd0- এখানে আপনার হার্ডডিস্কের ধরন অনুযায়ী অপশন দিতে হবে। যেমন সাটার ক্ষেত্রে sca1, scb2 ইত্যাদি।

এখন আপনি মেশিন রিবুট/রিস্টার্ট করলেই PLoP কে গ্রাব বুট ম্যানেজারে পাবেন।
এ প্রোগ্রামটি সি++ ব্যবহার করে তৈরী করা হয়েছে এবং সোর্স কোড জিপ ফাইলের সাথেই দেওয়া আছে। ইচ্ছে করলে আপনি নিজেই কম্পাইল করে নিতে পারেন আপনার সুবিধামত।

আজ এ পর্যন্তই। আশা করি এটি আপনাদের কাজে লাগবে।

পেনড্রাইভ এর রেভমন ভাইরাস রিমুভার টুলস

রেভমন হচ্ছে একটি ভাইরাসের নাম। রেভমন ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কম্পিউটারের স্পীড স্লো হয়ে যায় এবং কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ এবং ফ্লাস মোমোরিগুলো নরমালি ওপেন করা সম্ভব হয় না । ড্রাইভগুলোতে মাউচ রেখে মাউচের ডানপাশে ক্লিক করলে open ও Explorer লেখাগুলোর পরিবর্তে কতকগুলো এলোমেলো লেখা দেখা যায়।

ravmonjpg রেভমন ভাইরাস রিমুভার টুল্স

এছাড়াও autoplay নামে বাড়তি একটি মেনুও দেখা যায়। রেভমন ভাইরাসটি সাধারণ কোনা এন্টিভাইরাস দিয়ে রিমুভ করা যায় না। গুগল থেকে সার্চ করলে ravmon virus রিমুভের অনেক সাইট পাওয়া যায়। যার বেশীরভাই ভাইরাস । ঐ সব সাইট থেকে কোনো কিছু ডাউনলোড না করাই ভাল । Ravmon ভাইরাস রিমুভের জন্য এখানে একটি লিংক দেওয়া হল। ডাউন লোড করুন Smart virus remover 1.4। এর সাহায্যে আপনি রেভমন ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে পারেন ।

 রেভমন ভাইরাস রিমুভার টুল্স

 রেভমন ভাইরাস রিমুভার টুল্স

নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

উইন্ডোজ সেটাপ করার আগে কম্পিউটার থেকে প্রয়োজনীয় ফাইল সরিয়ে ফেলতে হবে । সিডি অথবা ফ্লাশ মেমোরীতে কপি করা যেতে পারে অথবা কম্পিউটারে যদি একাধিক ডিস্ক পার্টিশন থাকে C ড্রাইভ ছাড়া অন্য যেকোন ড্রাইভে প্রয়োজনীয় ফাইল কপি করে রাখা যাবে । WINDOWS সাধারণত: C ড্রাইভে সেটাপ করতে হয় ।

বায়োসে প্রবেশ করার জন্য সাধারণত: F2 অথবা DELETE প্রেস করতে হয় । কোন কোন কম্পিউটারে এর ব্যতিক্রমও আছে । কম্পিউটার চালু করে স্কীনে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বায়োসে প্রবেশ করার জন্য কোন কী প্রেস করতে হবে । নীচের ছবিটি লক্ষ্য করুন । press F2 to enter setup এখানে বায়োস সেটাপে প্রবেশ করার জন্য F2 প্রেস করতে হবে ।

q-large নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

নীচের ছবিটিতে লক্ষ্য করুন 1ST BOOT DEVICE [CDROM] সেট করা আছে । এটিকে প্রয়োজনে পরিবর্তন করা যায় । একটি কম্পিউটারে একাধিক BOOT ডিভাইচ থাকে । আমরা যেহেতু সিডি থেকে WINDOWS XP SETUP করব সেজন্য আমাদেরকে 1ST BOOT সেটাপ করতে হবে CDROM . কোন কোন কম্পিউটারে বায়োচে প্রবেশ না করে F12 প্রেস করেও BOOT সিলেক্ট করা যায় ।

উইন্ডোজ সিডি অথবা সিডিরমে যদি কোন সমস্যা থাকে অথবা সিডি রম যদি দুর্বল হয় তাহলে উইন্ডোজ সেটাপ করতে সমস্যা হতে পারে ।

bootscreen1-large নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

xp1-large নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

বায়োচ সেটাপ কমপ্লিট করার পর F10 প্রেস করে SAVE করুন । সিডি রমে WINDOWS সিডি দিয়ে বায়োচ থেকে বেরিয়ে আসুন ।

WINDOWS SETUP করার জন্য কম্পিউটার RESTART করুন । PRESS ANY KEY TO BOOT FORM CD লেখাটি স্কীনে দেখা যাবার সাথে সাথে কীবোর্ড থেকে যেকোন একটি কী প্রেস করুন ।

newpicture-large নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

বুট শুরু হবার পর BLUE NCREEN –এর নীচে একটি ম্যাসেজ থাকবে PRESS F6 IF YOU NEED TO INSTALL ANY THIRD PARTY OR RIDE DRIVERS. এই RIDE DRIVER বা সাটা DRIVER সব কম্পিউটারে দরকার হয় না । যদি সাটা ড্রাইভার সেটাপ করার প্রয়োজন হয় তাহলে F6 প্রেস করে ফ্লপি থেকে সাটা ড্রাইভার ইনস্টল করতে হবে ।

newpicture1-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

নীচের ছবিতে লক্ষ্য করুন ENTER = CONTINUE R=REPAIR F3 = QUIT

এখানে CONTINUE করার জন্য ENTER করুন ।

newpicture2-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

নীচের ছবিটি লক্ষ্য করুন F8 = I AGREE ESC = I DO NOT AGREE. এখানে F8 প্রেস করুন ।

newpicture3-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

নীচের স্কীনে লক্ষ্য করুন ENTER = INSTAL D=DELETE PARTITION F3=QUIT

এখানে হার্ডডিস্কে প্রয়োজনমত যে কোন সাইজে পাটিশন করা যাবে । পার্টিশনা করতে চাইলে প্রথমে D প্রেস করে পার্টিশান DELETE করে নিতে হবে । এরপর C প্রেস করে পাটিশন সাইজ দিয়ে এন্টার করতে হবে । কোন একটি ড্রাইভকে ২০ গিগাবাইটে ভাগ করতে চাইলে ২০০০০ টাইপ করুন । কোন একটি পার্টিশন ডিলিট করার আগে খেয়াল রাখতে হবে সে ড্রাইভে কোন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল জমা আছে কিনা ।

newpicture4-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

পার্টিশন শেষ করে C ড্রাইভ সিলেক্ট করে এন্টার করলে নীচের ছবিটি দেখা যাবে । এখানে QUICK FORMAT এর দুটি এবং NORMAL FORMAT এর দুটি অপশন দেখা যাবে । NTFS FAT হচ্ছে ফাইল সিসটেম । NORMAL FORMAT করাই উত্তম । এখান থেকে যেকোন একটি অপশন সিলেক্ট করে এন্টার করুন ।

newpicture5-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

ফাইল সিসটেম সিলেক্ট করে এন্টার করার পর নীচের ছবিটি আসবে । F = FORMATE ESC = CANCEL . ফরমেট করার জন্য F প্রেস করুন ।

newpicture6-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

ফরমেট শেষ হবার পর অটোমেটিক সিডি থেকে ফাইল কপি শুরু হবে । কপি শেষ হবার পর কম্পিউটার RESTART হবে । আবারো স্কীনে ম্যাসেজ আসবে PRESS ANY KEY TO BOOT FORM CD……. এবারে কোন কী প্রেস করা যাবে না ।

newpicture7-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

RESTART হবার পর নীচের স্কীনটি আসবে । এতে বেশ কিছু সময় ধরে সেটাপ চলতে থাকবে ।

newpicture14-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

নীচের স্কীনটি আসার পর NEXT –এ ক্লিক করুন ।

newpicture9-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

নীচের স্কীনটি আসার পর কীবোর্ড থেকে যেকোন একটি নাম টাইপ করে NEXT –এ ক্লিক করুন ।

newpicture10-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

এবারে উইন্ডোজ এক্সপির ২৫টি কী টাইপ করে NEXT –এ ক্লিক করুন । এই কীগুলো সিডির লেবেলের সংগে দেয়া থাকে । যদি অরিজিনাল উইন্ডোজ না হয় তাহলে এই কীগুলো ব্যবহার করতে পারেন । [ V2C47-MK7JD - 3R89F - D2KXW - VPK3J]

newpicture11-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

নীচে স্কীনে কম্পিউটার নেম ও পাসওয়ার্ড দেয়া যেতে পারে । এটি অপশনাল । না দিলেও কোন সমস্যা নেই । সেটাপ কমপ্লিট করার পরেও ইউজার নেম পাসওয়ার্ড দিয়ে কম্পিউটার লক করা যায় । CONTINUE করার জন্য NEXT- এ ক্লিক করুন ।

newpicture12-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

নীচের স্কীনটি আসার পর NEXT-এ ক্লিক করুন ।

newpicture13-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

এখানেও NEXT - এ ক্লিক করুন ।

newpicture15-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

এখানে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে ।

newpicture16-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

নীচের স্কীনটি আসার পর OK করুন । এরপর আরো একটি ম্যাসেজ বক্স আসবে সেখানে CENCLE অথবা OK করতে পারেন । CNCLE করলে সেটাপ কমপ্লিট হবে । আর যদি OK করেন তাহলে আরো কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে ।

newpicture17-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

উপরের শেষের ম্যাসেজটি আসার পর যদি OK করেন তাহলে নীচের ম্যাসেজটি আসবে । এখানেCONTINUE করার জন্য NEXT-এ ক্লিক করুন ।

newpicture18-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

নীচের স্কীনটি আসার পর SKIP-এ ক্লিক করুন ।

newpicture19-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

নীচের স্কীনটি আসার পর NOঅপশনটি সিলেক্ট করে NEXT –এ ক্লিক করুন ।

newpicture20-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

নীচের এই স্কীনটি আসার পর একাধিক ইউজার অথবা একটি ইউজার নেম দিয়ে NEXT-এ ক্লিক করুন । একাধিক ইউজার নেম দিলে ভিন্ন ভিন্ন ইউজার তৈরি হবে ।

newpicture21-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

এটি হলো WELCOME SCREEN.

newpicture22-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

এখানেই সেটাপ সমাপ্ত ।

newpicture23-largepng নিজেই সেটাপ করুন উইন্ডোজ এক্সপি

এবারে ড্রাইভার সিডি থেকে প্রয়োজনীয় ড্রাইভার ও সফ্টওয়ার সেটাপ করে নিতে হবে ।

এক বাংলাদেশীর তৈরী উবুন্টু Add-on

আপনারা যারা আমার পূর্বে লেখা উবুন্টু টিউটোরিয়াল গুলো পড়ে প্রণোদিত হয়ে Ubuntu ইনস্টল করেছেন তাদের অনেকেই মাল্টিমিডিয়া অর্থাৎ এমপি৩ (MP3) ও বিভিন্ন ভিডিও ফাইল প্লে করতে পারছেন না। এর কারন, আইনগত কারনে উবুন্টুতে সরাসরি এসব কোডেক দেয়া থাকেনা এগুলো ইন্টারনেট থেকে উবুন্টু রিপোজিটরী থেকে ডাউনলোড করে নিতে হয়। কিন্তু যাদের ইন্টারনেট সংযোগ নেই তারা কি করবেন??

এ সকল ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে বাংলাদেশী ডেভলপার সালাউদ্দিন পাশা ( যিনি অন্কুরের একজন স্বেচ্ছাসেবক) একটি এডঅন সিডি তৈরী করেছেন যাতে এসকল অডিও ভিডিও কোডেক মিডিয়া প্লেয়ার প্রয়োজনীয় ইন্টারনেট এপ্লিকেশন সহ সফটওয়্যার ডেভলপমেন্টের প্রয়োজনীয় এপ্লিকেশন রয়েছে।

100 এক বাংলাদেশীর তৈরী উবুন্টু Add-on

42 এক বাংলাদেশীর তৈরী উবুন্টু Add-on

তবে এপ্লিকেশনের পূর্ণাঙ্গ তালিকা পেতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

http://sites.google.com/site/addonpackages/Home

প্যাকেজের মধ্যে উল্যেখযোগ্য প্যাকেজ গুলো হচ্ছেঃ

মাল্টিমিডিয়াঃ

  • Dvdrip - ডিভিডি রিপিং এর জন্য আরো রয়েছে Mencoder, Subtitleripper,
  • Player - Gnome-mplayer, Helix-Player, Mplayer, Videolan VLC Player, XinePlayer
  • wammu - মোবাইল ফোন ম্যানেজার
  • SWF Tools - pdf2swf, jpeg2swf, png2swf, gif2swf, font2swf, wav2swf, swfcombine, swfextract ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়
  • wav2cdr- ওয়েভ মিউজিক ফাইলকে অডিও সিডির উপযোগী ফাইলে রুপান্তর করে
  • Sound-Juicer- গনোম ডেক্সটপের জন্য সিডি রিপার
  • Soundconverter- গনোম ডেক্সটপের জন্য সাউন্ড কনভার্টার যা অডিও ফাইল কে Ogg Vorbis, FLAC, or WAV format, MP3 ইত্যাদি format এ কনভার্ট করে।

আর সবরকম অডিও ভিডিও কোডেক তো রয়েছেই

ডেভলপমেন্টঃ

এই এড অন সিডিতে রয়েছে প্রয়োজনীয় অনেকগুলো প্রোগ্রামিং ও ডেভলপিং এর সহায়ক অনেক গুলো এ্যাপলিকেশন

ইন্টারনেটঃ

  • gwget - লিনাক্স এর জনপ্রিয় কমান্ডলাইন ডাউনলোড ম্যানেজার wget এর গ্রাফিক্যাল সংস্করণ
  • XChat- IRC চ্যাটিং এ্যাপলিকেশন

এগুলো সহ আরো অনেক এ্যাপলিকেশন

ডাউনলোড লিন্ক

টরেন্ট
http://thepiratebay.org/torrent/4565581

সরাসরি
http://www.uploadjockey.com/download/9414384/simpleaddon.part1.rar
http://www.uploadjockey.com/download/2690650/simpleaddon.part2.rar
http://www.uploadjockey.com/download/7786959/simpleaddon.part3.rar
http://www.uploadjockey.com/download/4728575/simpleaddon.part4.rar

ইন্সলেশন

Add-On.tar.gz ফাইল টি ডাউনলোড করে আনজিপ করুন এবং Simple_Add-On ফাইল টি রান করুন তাহলে আইকন সহ তিনরকম অপশন পাবেন। শুধু মাল্টিমিডিয়া প্যাকেজ ইনস্টল করতে চাইলে প্রথমটি, ইন্টারনেট সম্পর্কিত প্যাকেজ ডাউনলোড করতে চাইলে দ্বিতীয়টি, সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট সম্পর্কিত এ্যাপলিকেশন ইনস্টল করতে চাইলে তৃতীয় অপশন টিতে ক্লিক করুন তাহলে প্যাকেজ সমূহ ইনস্টল হয়ে যাবে।

আর সমস্যা হলে ওনার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন : salahuddin66@gmail.com এ