ল্যাপটপ রিভিউ - Toshiba LQ 300- P503

নতুন একটি ল্যাপটপ নিলাম গত ২৯ অক্টোবর, ২০০৯ এ।
ছবি
মোটামুটি মানের কনফিগারেশন বলতে পারেন।

Toshiba Satellite L300-P503
Model No: PSLBGL-02500L
Intel® Pentium® Dual-Core processor T4300 (2.1GHz, 1MB L2 Cache, 800MHz FSB) ) with Intel® 64 Architecture
No Operating System
1024MB DDR2 SDRAM expandable to 4096MB
250GB (SATA) with shock absorbers HDD
12.7mm 8x DVD-SuperMulti +-R DL(SATA)
15.4" WXGA (200NIT) Clear SuperView TFT display , resolution 1,280 x 800
Intel® Graphics Media Accelerator 4500M
Built in Web Camera, Carrying Bag, Driver CD
1-year carry-in International Limited Warranty (parts & labor), 1-year battery (carry-in)
Price: 42500/-

বাংলাদেশে তোশিবার ডিস্ট্রিবিউটর ইন্টারন্যাশনাল অফিস মেশিনস লিমিটেড। কিছুদিন আগে স্মার্ট টেকনোলজিকেও তারা ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে।

ওএস ইনস্টল

দোকানে বসে পেনড্রাইভ থেকেই মেপিস ৮.১০ ভার্সন ইনস্টল করেছি মাত্র ৬ মিনিটে। হার্ডডিস্ক পার্টিশন করতে প্রথমে ৮/১০ মিনিট লেগেছে। পুরো সিস্টেমের হার্ডওয়্যার অটো ডিটেক্ট করেছে মেপিস। শুধুমাত্র গ্রাফিক্স কার্ডে 1024 x 768 রেজুলেশনের বেশী পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই /etc/X11/xorg.conf ফাইলের Device সেকশনে Driver এর জায়গায় Intel করে দিয়েছি। ব্যস পুরো 1,280 x 800 রেজুলেশন পাওয়া গেল।

Section "Device"
Identifier "Configured Video Device"
Driver “intel”
EndSection

গ্রাফিক্স কার্ড নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা

আপনার মেশিনে কয়টি গ্রাফিক্স কার্ড ড্রাইভার ইনস্টলড আছে তা দেখার জন্য /usr/lib/xorg/modules/drivers / এ পাথে যান। তারপর এখানে যে কটি ফাইলের শেষে (vesa_drv.so) এ রকম _drv দেখতে পাবেন সেগুলিই ড্রাইভার। এগুলিকে পর্যায়ক্রমে উপরে বর্নিত /etc/X11/xorg.conf ফাইলে এক এক করে বদলে নিয়ে দেখতে পারেন কোনটি আপনার জন্য ভাল হবে। যেমন আমি ইন্টেল এর আরো কয়েকটি ড্রাইভার (i310, i810) দিয়ে দেখেছি কিন্তু খুব ভাল সাপোর্ট পাইনি। পরে শুধুমাত্র intel করে দিলেই সব থেকে ভাল সাপোর্ট পেয়েছি। গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার পরিবর্তনের পর ফাইলটি সেভ করে /etc/init.d/kdm restart কমান্ড দিন তাহলে আর মেশিন রিস্টার্ট দিতে হবে না। আরেকটি কথাঃ ড্রাইভার সাপোর্ট না দিলে মেশিন কিন্তু কমান্ড প্রম্পটে চলে আসবে। না ঘাবড়িয়ে Vim বা অন্য কোন এডিটর দিয়ে ফাইলটিতে পরিবর্তন করে দিন এবং kdm রিস্টার্ট করুন। যদি খুব বেশী সমস্যা হয় তবে vesa ড্রাইভার ব্যবহার করুন।

উপরোক্ত intel ড্রাইভারের লেটেস্ট ভার্সন ইনস্টলের জন্য /etc/apt/sources.lst ফাইলে ডেবিয়ান এর কাটিং এজ ডিস্ট্রো sid এর রিপো যোগ করার পর xserver-xorg-video-intel প্যাকেজটি আপডেট করে নিয়েছি ইন্টারনেট থেকে। ফলে স্ক্রিন এর মসৃনতা আরো বেশি বেড়ে গেছে। এখন চমৎকার লাগছে স্ক্রিনের আউটপুট। মাঝে মাঝে ইন্টারনেটে গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার চেক করে নিয়ে আপডেট করলে বেশ ভাল ফল পাওয়া যায়। যেমন আমার আগের ইন্টেল ড্রাইভার ভার্সন যেটি মেপিসে দেয়া ছিল তার ভার্সন ছিল 2.3.2-2 এখন নতুন ভার্সন আপডেট করার পর তার নম্বরটি হয়েছে 2.9.0-1 যেটি উবুন্তু কারমিকে দেয়া আছে। ভার্সন নম্বর দেখার জন্য সিনাপ্টিকের সাহায্য নিতে পারেন।

সাউন্ড


সাউন্ড কার্ড অটোমেটিকভাবেই পেয়ে গেছি। Amarok ও kmplayer দিয়ে প্রায় সবধরনের মাল্টিমিডিয়া ফাইল চালাতে পারছি।

ইন্টারনেট


কেপিপি দিয়ে ইন্টারনেট কনফিগার করতে পারিনি। ফলে বাধ্য হয়ে wvdial এবং gnome-ppp ইনস্টল করে কনফিগার করেছি।

বাংলা কি-বোর্ড

কেডিই কন্ট্রোল প্যানেল থেকে ন্যাশনাল কি-বোর্ড যোগ করে নিয়েছি। প্রায় বিজয়ের মতই লে-আউট। তাই খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না।

ওয়েবক্যাম

কেডিই এর জন্য তেমন ভাল কোন Webcam প্যাকেজ পাইনি তাই Cheese ইনস্টল করেছি। বেশ সাদামাটা আউটপুট। পছন্দ হচ্ছে না - তাই ভাল কোন প্যাকেজ খুজছি।

কুবুন্তু লাইভ সিডি ৮.১০ দিয়ে ও ল্যাপটপ চালিয়ে দেখেছি। খুবই চমৎকার ইন্টারফেস নতুন কেডিইর। মেশিনের পারফরম্যান্স ও ভাল ছিল কুবুন্তুতে। তবে মেপিসে সবচেয়ে ভাল লেগেছে ব্যাটারী পাওয়ার সেভিংস অপশন। এটি ল্যাপটপের জন্য সবচেয়ে জরুরী। এজন্য মেপিসই চালাবো বলে ঠিক করেছি। মেপিসে প্রায় ৩ ঘন্টার কাছাকাছি ব্যাক আপ পাওয়া যাচ্ছে। তবে অন্যান্য ডিস্ট্রোতে চালিয়ে দেখিনি। পাওয়ার কনজাম্পশন সেটিংস দেখে মনে হয়েছে মেপিস অনেক গুন এগিয়ে আছে এ দিক থেকে। এছাড়াও ওয়ারেন তার ডিস্ট্রোতে বেশ কিছু ফিচার বাড়তি যোগ করেছে যা সত্যিই চমৎকার।

মেপিস লিনাক্স(Mepis Linux)একটি চমৎকার ব্যবহার বান্ধব ডিস্ট্রো

ছবি

লিনাক্স জগতে এসে বেশ কিছু লিনাক্স ডিস্ট্রো ব্যবহারের পর ডেবিয়ান লিনাক্সের স্ট্যাবিলিটি সব থেকে ভাল লেগেছে। এজন্য অনেকদিন ধরেই ডেবিয়ান ব্যবহার করে আসছিলাম। এখন ও ডেস্কটপে ডেবিয়ান ব্যবহার করছি।

তবে ডেবিয়ানে একটি জিনিস খুব মিস করতাম। ডেবিয়ান ইনস্টলের পর নিজের পছন্দ অনুযায়ী একে সাজিয়ে গুছিয়ে একটা প্রফেশনাল লুক আনতে অনেক সময় লাগতো। তাছাড়া বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ড্রাইভার সাপোর্ট(যদি সমস্যা দেখা দেয়), এনটিএফএস ফাইল সিস্টেম সাপোর্ট, মাল্টিমিডিয়া সাপোর্ট ইত্যাদি প্রদান করতে অনেকটা সময় ব্যয় করা লাগে। এজন্য মাঝে মাঝে অন্যান্য ডিস্ট্রো যেমনঃ উবুন্তু, ফেডোরা, স্ল্যাক্স, ড্রিম লিনাক্স, সিডাক্স ইত্যাদি ডিস্ট্রো ট্রাই করেছি। তবে একটি কারনেই বারবার ডেবিয়ানের কাছেই ফেরত এসেছি। তা হচ্ছে এর রক-সলিড সিস্টেম সাপোর্ট।

এজন্য ডেবিয়ান বেজড একটি পোলিশড, ফাইন টিউনড অপারেটিং সিস্টেমের খোঁজ করে এসেছি সবসময়। যার বৈশিষ্ট্য হবেঃ

১. ডেবিয়ান বেজড এবং ডেবিয়ান রিপো/সিডি ইত্যাদি থেকে সফটওয়্যার ইনস্টলের সুবিধা।

২. ডেবিয়ান স্ট্যাবল ভার্সন (যেমনঃ বর্তমান ডেবিয়ান লেনি) নির্ভর ডিস্ট্রো।

৩. সিস্টেমের পারফর্ম্যান্স বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সেটিংস এনাবল থাকা। যেমনঃ /etc/fstab ফাইলে relatime, noatime অপশন এনাবল থাকা।

৪. মাল্টিমিডিয়া ফাইল যেমন অডিও, ভিডিও চালানোর জন্য সাপোর্ট থাকা (mp3, mpeg, dat file)

৫. লাইভ সিডি বেজড হতে হবে অর্থাৎ ইনস্টল না করে সিডি থেকেই ডিস্ট্রো টেস্ট করে দেখা যাবে।

বিল গেটস এর অপারেটিং সিস্টেমে অনেক ত্রুটি থাকলেও উইন্ডোজকে বেশ ঘষে-মেজে একটি প্রফেশনাল লুক আনার পরই তা বাজারজাত করা হয়। এটি লিনাক্সের বেশিরভাগ ডিস্ট্রোতেই মনে হয় করা হয় না (আমার ব্যক্তিগত মত)। কারন সিস্টেমকে ব্যবহার উপযোগী করতে গেলে বেশ খাটুনি করতে হয় অন্ততঃ প্রথম কয়েকদিন। তবে একবার সিস্টেম মোটামুটি ব্যবহার উপযোগী হলে আর খুব একটা পরিশ্রম /টেনশন করতে হয় না। সেজন্যই অনেক দিন ধরে উইন্ডোজের মত একটি রেডিমেড ডিস্ট্রো মনে মনে চাচ্ছিলাম- যদিও উইন্ডোজে গেমস, মাল্টিমিডিয়া, বাংলা কি-বোর্ড সাপোর্ট সব কিছুই ম্যানুয়ালি করতে হয়।

এ লক্ষ্যে ডেবিয়ান নির্ভর তিনটি ডিস্ট্রো যথাক্রমেঃ ড্রিম লিনাক্স, সিডাক্স ও মেপিস লিনাক্স ব্যবহার করে দেখেছি। তিনটি ডিস্ট্রোতেই কম-বেশী উপরের বৈশিষ্ট্যগুলি রয়েছে। তবে এর মধ্যে মেপিসকে সব থেকে পোলিশড এবং টিউনড মনে হয়েছে।

এছাড়াও মেপিসে সিস্টেম সেটিংস এর জন্য বেশ কিছু কাস্টোমাইজড টুলস দেয়া আছে। যেমনঃ

  • Network Assistant: ল্যান নির্ভর ও ওয়্যারলেস নির্ভর নেটওয়ার্ক কনফিগার করার টুলস
  • System Assistant: লাইভ ইউএসবি/পেন ড্রাইভ তৈরী, করাপ্টেড পার্টিশন রিপেয়ার করার টুলস
  • User Assistant: ইউজার বা ব্যবহারকারীদের একাউন্ট ব্যবস্থাপনার টুলস
  • X-Windows Assistant: গ্রাফিক্স কার্ড এর ড্রাইভার ইনস্টল করা, মনিটর এর মডেল নির্বাচন ইত্যাদি করার টুলস

গান শোনার জন্য পাবেন Amarok player এবং মুভি, ভিডিও দেখার জন্য আছে Mplayer based Kmplayer। অফিস প্রোগ্রাম হিসেবে সব সময় লেটেস্ট ওপেন অফিস পাওয়া যায়, ব্রাউজারের জন্য ফায়ারফক্সের আপ-টু-ডেট ভার্সন দেয়া থাকে ফ্ল্যাশ প্লেয়ার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় এ্যাড অন সহ।
ডেবিয়ান রিপো এনাবল করে নিলে সাথে সাথেই প্রায় ২৩০০০ প্যাকেজ থেকে আপনার পছন্দের যেকোন প্যাকেজ ইনস্টল করতে পারবেন।
মেপিস লিনাক্সের প্রত্যেকটি অংশই খুব সতর্কতার সমন্বয় করা হয়েছে। গ্রাব মেনু থেকে শুরু করে লগইন স্ক্রিন, স্টার্ট মেনু, ওয়ালপেপার, থিম প্রতিটি দিকেই আছে পোলিশনেস যা আপনাকে সত্যিই মুগ্ধ করবে।
ছবি
চিত্রঃ গ্রাব মেনু

ছবি

চিত্রঃ লগইন স্ক্রিন

মেপিসের সাথে একটি চমৎকার টিউটোরিয়াল দেয়া আছে যা ডেস্কটপের একটি আইকন ক্লিক করেই খোলা যায়। মেনু ভিত্তিক এ টিউটোরিয়ালে খুব সংক্ষেপে লিনাক্সের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় সহজ ভাষায় আলোচনা করা হয়েছে যা খুব কম ডিস্ট্রোতেই আছে। বেশিরভাগ লিনাক্স ডিস্ট্রোতে খুব বড়সড় টিউটোরিয়াল দেয়া থাকে যা থেকে তথ্য উদ্ধার করা খুবই দুরূহ নতুনদের জন্য। তাই নিঃসন্দেহে মেপিস এগিয়ে আছে এ দিক থেকে। টিউটোরিয়ালটির ওয়েব এ্যাড্রেস হচ্ছেঃ Mepis Manual । পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভাল লাগবে।

ছবি

চিত্রঃ মেপিস টিউটোরিয়াল

সংক্ষেপে মেপিস লিনাক্স পরিচিতিঃ

মেপিস লিনাক্স ওয়ারেন উডফোর্ড এর নেতৃত্বে ২০০২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি ইউ.এস. বেজড একটি ডিস্ট্রো যার ওয়েব এড্রেস হচ্ছেঃ http://www.mepis.org। ডিস্ট্রোওয়াচে মেপিসের বর্তমান Rank হচ্ছে 15। কেডিই ডেস্কটপ এর উপর ভিত্তি করে এটি প্রকাশিত হয়। বছরে সাধারনতঃ ২/৩ বার ডিস্ট্রো আপডেট করা হয় - খানিকটা উবুন্তুর মত। বর্তমান ভার্সন নম্বর ৮.১০ এবং লেটেস্ট কেডিই ৪.৩.২ এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ভার্সন ৮.৫ ছাড়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। মেপিসের সাইটে twitter এর মাধ্যমে ওয়ারেন সবসময় লেটেস্ট কি কাজ হচ্ছে ডিস্ট্রোর উন্নয়নে তা ঘোষনা করে থাকেন।

উইন্ডোজ মেশিন থেকে লিনাক্স প্রোগ্রামের অফলাইন ইনস্টলার তৈরী

উইন্ডোজ চালিত মেশিন থেকে নেট দিয়ে খুব সহজে একটি প্যাকেজের সব ডিপেনডেন্সী সহ ডাউনলোড করা যায়। এজন্য প্রথমে সিনাপ্টিক প্যাকেজ ম্যানেজার থেকে নির্দিষ্ট প্যাকেজকে ডাউনলোডের জন্য সিলেক্ট করুন। তারপর মেনু থেকে সিলেক্ট করুন Download Script Only। তারপর Apply Click করুন। যেখানে ফাইলটি Save করতে বলবে সেখানে সেভ করুন। এ ফাইলটিতেই কোন কোন ফাইল কোথা থেকে ডাউনলোড করতে হবে একটি লিনাক্স প্যাকেজ/প্রোগ্রামের জন্য তা দেয়া থাকে।

তবে আপনার লিনাক্স মেশিনের সিনাপ্টিক লিস্টে প্যাকেজটি নাও থাকতে পারে। তাই আপনার প্যাকেজটি পাবার জন্য লিনাক্স মেশিনকে নেটে কানেক্ট করে কমান্ড দিনঃ apt-get update। তাহলে সব ধরনের প্যাকেজের লিস্ট আপডেট হয়ে যাবে। ফলে আপনি যেকোন প্যাকেজের স্ক্রিপ্ট এখন খুব সহজেই পেয়ে যাবেন লিনাক্স মেশিন থেকে যা পরবর্তীতে ডাউনলোড করতে পারবেন উইন্ডোজ মেশিনে নিয়ে। যদি আরও বেশি প্যাকেজ লিস্ট পেতে চান তাহলে /etc/apt/sources.list ফাইলে ডেবিয়ান সিড এর রিপো যোগ করে নিন।

সিড রিপোর জন্য /etc/apt/sources.list ফাইলে যোগ করুন নিচের লাইনটি-
deb http://http.us.debian.org/debian sid main contrib
এবং apt-get update কমান্ড চালান। তারপর প্যাকেজ স্ক্রিপ্ট তৈরী করুন।

ফাইলটির এন্ট্রিগুলি হবে নিচের মতঃ
wget -c cdrom:[Debian GNU/Linux testing _Lenny_ - Official RC i386 DVD Binary-1 20081104-07:33]/pool/main/q/qt4-x11/libqt4-test_4.4.3-1_i386.deb

wget -c cdrom:[Debian GNU/Linux testing _Lenny_ - Official RC i386 DVD Binary-1 20081104-07:33]/pool/main/q/qt4-x11/libqt4-core_4.4.3-1_i386.deb

wget -c ftp://ftp.mepis.com/mepis/pool/main/s/s ... 1_i386.deb

উপরে skype ইনস্টলের জন্য আমার মেপিস লিনাক্সে যে যে ফাইল ইনস্টল করতে হবে তার লিস্ট এখানে লক্ষ্য করে দেখুন- যে ফাইলের সামনে wget -c cdrom লেখা আছে সেটি আমার ডেবিয়ান ডিভিডি থেকেই ইনস্টল হবে সুতরাং এগুলিকে ডাউনলোডের দরকার নেই তবে ইচ্ছা হলে করতে পারেন আর যে ফাইলের সামনে wget -c ftp:// দিয়ে শুরু হয়েছে সেটি ডাউনলোড করে নিন সব ফাইলগুলিকে একটি ফোল্ডারে ডাউনলোড করুন এজন্য উইন্ডোজের ভাল কোন ডাউনলোড ম্যানেজার যেমন freedownloadmanager ব্যবহার করতে পারেন

সাধারনত এ লিস্টে ডিপেনডেন্সী সহ প্যাকেজ লিস্ট অনেক লম্বা হয়ে থাকে। তাই ডাউনলোড ম্যানেজার আপনার কাজকে অনেকখানি সহজ করে দিবে নিঃসন্দেহে।

তাহলে আসুন দেখি কিভাবে fdm দিয়ে উক্ত প্যাকেজটি উইন্ডোজে কিভাবে ডাউনলোড করতে পারি। উইন্ডোজ মেশিনে এফডিএম ইনস্টল করে চালু করুন যেখানে নেট আছে। ডেস্কটপের উপর একটি আইকন দেখতে পাবেন তীরচিহ্নের মত। এখানে রাইট মাউস ক্লিক করে Clipboard monitoring অপশন এ ক্লিক করে এনাবল করুন। তাহলে কোন ফাইলের লিংক কপি করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে fdm তা নিজেই ডাউনলোড করবে কিনা তা আপনাকে জানাবে।

ছবি

এখন আপনার প্যাকেজ স্ক্রিপ্ট ফাইলটিকে wordpad প্রোগ্রাম দিয়ে ওপেন করুন তাহলে ভালভাবে দেখতে পারবেন। Notepad এ অনেক সময় লম্বা লাইনগুলি ঠিকমত দেখাতে পারেনা। এবার যে লাইনের সামনে wget -c ftp:// লেখা দিয়ে শুরু হয়েছে সে লাইনে কার্সর নিয়ে ftp লেখা থেকে শুরু করে লাইনের শেষ লেখা .deb পর্যন্ত কপি করুন তাহলে নিচের মত fdm এর ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে।
ছবি

নিচের লেখা অংশের মত কপি করুনঃ

ftp://ftp.mepis.com/mepis/pool/main/s/skype/skype_2.0.0.72-1_i386.deb


OK করুন। এভাবে ফাইলের প্রতিটি প্যাকেজকে fdm দিয়ে ডাউনলোড করে নিন।

ছবি

সব ফাইল ডাউনলোড শেষ হলে fdm এর স্ক্রিনে উক্ত ফাইল সমূহের যে কোন একটির উপর রাইট মাউস ক্লিক করে Open folder এ ক্লিক করুন। তারপর উক্ত ফোল্ডার থেকে ফাইলগুলি কপি করে আপনার কাংখিত ফোল্ডারে নিয়ে প্যাকেজ তৈরী করুন এবং যাদের নেট কানেকশন নেই তাদেরকে প্যাকেজটি দিয়ে দিন ইনস্টলের জন্য।

অফলাইনে ইনস্টলের জন্যঃ

অফলাইন মেশিনের /var/cache/apt/archives ফোল্ডারে উক্ত ফাইলগুলি কপি করে দিন। তারপর apt-get install packagename লিখে এন্টার দিন। তাহলে সিডি-রমে যে ফাইল/ডিপেনডেন্সি প্যাকেজগুলি আছে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনস্টল করে নিবে আর যেগুলি নেট থেকে ডাউনলোড করতে হবে তা /var/cache/apt/archives ফোল্ডার থেকে ইনস্টল করে নেবে। ডাউনলোডের জন্য ইন্টারনেট কানেকশন চাইবে না। কারন প্যাকেজসমূহ apt-get কমান্ড ডাউনলোড করে এ ফোল্ডারেই রাখে। তাই উক্ত প্যাকেজ/ডিপেনডেন্সী ফাইল আগে থেকেই কপি করা থাকলে সে আর এগুলি ডাউনলোড করবে না এবং আপনার প্যাকেজও সঠিকভাবে ইনস্টল হয়ে যাবে।

তবে যাদের মেশিনে সিনাপ্টিক আপডেট/ আপনার ইনস্টল সিডি নেই তাদের জন্য সিডি/ডিভিডি থেকেও সব ফাইলগুলি একসাথে কপি করে দিন উক্ত সিডি/ডিভিডি থেকে। যেমন আমার ডেবিয়ান ডিভিডিতে /pool/main/q/qt4-x11/libqt4-test_4.4.3-1_i386.deb এ পাথে libqt4-test_4.4.3-1_i386.deb ফাইলটি আছে। তারপর অফলাইন মেশিনে সবগুলি কপি করার পর ঐ ফোল্ডারে ঢুকে শেল থেকে কমান্ড দিনঃ dpkg -i *.deb বা আশাবাদী ভাইয়ের দেখানো পদ্ধতি অনুযায়ী একটি shell কমান্ডের ফাইল তৈরী করে দিতে পারেন যা ডাবল ক্লিক করলেই ইনস্টল করা যায়।

তারপরও যদি কোন ডিপেনডেন্সী সমস্যা হয় /এরর দেখায় তবে নিচের কমান্ডটি দিন এবং স্ক্রিন নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করুন-

aptitude -f install

তাহলে যে প্যাকেজটি সমস্যা করছে সেটি আন-ইনস্টল করে ফ্রেশ করে নিতে পারবেন আপনার লিনাক্সকে।

আশা করি উপরের পদ্ধতিটি অনেকেরই কাজে লাগবে।

টিউটোরিয়াল- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড

যদিও ওপেন সোর্স কোন প্রোডাক্ট এর উপর টিউটোরিয়াল লেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু অগনিত ব্যবহারকারীদের কথা চিন্তা করেই মাইক্রোসফট এর প্রোডাক্ট এর উপর লিখেছি। আমাদের দেশে সাধারনতঃ ট্রেনিং সেন্টারগুলিতে যা শেখানো হয় তা সাধারনতঃ খুব প্রিলিমিনারী লেভেলের। কিন্তু অফিসে সত্যিকারের প্রোডাক্টিভিটি আনতে হলে যেকোন প্রোগ্রামকে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা প্রয়োজন। অফিসে সহকর্মীদের মধ্যে এ ধরনের দক্ষতায় ঘাটতি দেখেই আমার মধ্যে এ ধরনের টিউটোরিয়াল লেখার চিন্তাটা আসে। বিগত ৪ বছরের চাকুরীজীবনে সহকর্মীদেরকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়া ও অন্যান্য পরিচিতজনদের মোবাইলে সমস্যার সমাধান দেয়ার অভিজ্ঞতা থেকেই এ লেখা। এছাড়া আমি নিজে কম্পিউটার ব্যবহার করছি প্রায় ১১ বছর। এ টিউটোরিয়ালে সে অভিজ্ঞতারও প্রতিফলন থাকবে আশা করি। আমি এখানে শুধুমাত্র সেগুলির উপরই লিখেছি যেগুলি বাস্তবে ব্যবহারিক জীবনে কাজে লাগে প্রতিনিয়ত। তাই মেইল মার্জের মত বড় সড় কমান্ড এড়িয়ে গেছি যা বাস্তবে ততটা কাজে লাগে না।

মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩৮। শেষ পৃষ্ঠা ৩টি প্রাকটিস/রেফারেন্স শীট হিসেবে দিয়েছি যাতে এ তিন পৃষ্ঠা দেখে প্র্যাকটিস করা যায়। এটি মূল টিউটোরিয়ালের অংশ নয়।

শেষ কথাঃ টিউটোরিয়ালটি কেমন হল জানাবেন। কোন পরামর্শ থাকলেও তা এখানে দিতে পারেন। আপনার মূল্যবান পরামর্শ ভবিষ্যতে টিউটোরিয়ালটির গুনগত মান উন্নীতকরনে সহায়ক হবে। ভবিষ্যতে ওপেন সোর্স প্রোডাক্ট এর উপর এরকম টিউটোরিয়াল লেখার ইচ্ছা রয়েছে।

ডাউনলোড লিংকঃ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড টিউটোরিয়াল (Size- 1.08 MB)

লিনাক্সের কোন ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবহার করবেন?

লিনাক্স নিয়ে যে প্রশ্নটি প্রায়ই শোনা যায় তা হল - “কোন ডিস্ট্রোটি ব্যবহার করব আমি?”। সত্যি কথা বলতে কি- আমি নিজেও এক সময় এটি নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্ধে থাকতাম। যে ডিস্ট্রো ব্যবহার করি সেটিই ভাল লাগতো। আবার নতুন কিছুর কথা শুনলে সেটিও ব্যবহার করতাম এবং আরো পছন্দের তালিকা বাড়তে থাকতো। বিভিন্ন লিনাক্স ও প্রযুক্তি ফোরামেও এটি একটি আলোচিত বিষয়।

প্রশ্নের উত্তরটি খুব সহজ মনে হলেও আদতে তা কিন্তু মোটেই নয়। লিনাক্সের বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশনগুলি (সংক্ষেপে ডিস্ট্রো) বহু সংখ্যক প্যাকেজসহ প্রকাশিত হয়ে থাকে এবং এ প্যাকেজগুলির টার্গেট ও থাকে ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের ব্যবহারকারী। যেমনঃ কিছু ডিস্ট্রো গুরুত্ব দিয়ে থাকে ব্যবহারের স্বাচ্ছন্দ্যতাকে, কিছু ডিস্ট্রো টার্গেট করে থাকে পাওয়ার ইউজার/হ্যাকারদেরকে, কিছু ডিস্ট্রো অনেক অনেক Ram সম্পন্ন শক্তিশালী মেশিনের জন্য রিলিজ হয়ে থাকে আবার কোন কোনটি খুব কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারকে টার্গেট করে রিলিজড হয়ে থাকে।

এ প্রশ্নের উত্তরে কয়েকটি সম্ভাব্য উত্তর হতে পারে নিম্নরূপঃ

  • কয়েকটি ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবহার করুন এবং দেখুন কোনটি আপনার ভাল লাগে
  • আপনার পরিচিত লিনাক্স গুরু/ফ্যানরা যে ডিস্ট্রো ব্যবহার করেন সেটির উপর জোর দিন কেননা সমস্যায় পড়লে আপনি সহজেই তাদের কাছে সাহায্য পেতে সক্ষম হবেন।

লিনাক্স পরীক্ষা করে দেখার জন্য কোন ডিস্ট্রো ভাল?

যদি আপনি অন্য অপারেটিং সিস্টেমে দ্রুত সুইচ করতে না চান তবে মেশিনে লিনাক্সকে ডুয়াল বুটিং সিস্টেম হিসেবে রাখুন অথবা একটি ইউএসবি/পেন ড্রাইভে ইনস্টল করে নিন। অথবা Knoppix/Ubuntu/Mepis/Mint/Slax/Sidux এর মত কোন লাইভ সিডি বেজড ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবহার করে দেখুন। কিন্তু এ ধরনের ডিস্ট্রিবিউশনগুলি খুব ধীরে কাজ করে যেহেতু সিডি-রমের গতি অত্যন্ত কম। তাই যদি পরিপূর্ন শক্তি ও গতিতে লিনাক্স ব্যবহার করতে চান তাহলে কমপ্লিট ইনস্টল দিন হার্ডডিস্কে। বেশীরভাগ লাইভ সিডিই হার্ডডিস্কে ইনস্টল করা যায় যদি আপনি তা পছন্দ করেন।

নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য কোন লিনাক্স?

প্রথমেই লাইভ সিডি দিয়ে মেশিন বুট করে নিন, তারপর তা হার্ডডিস্কে ইনস্টল করে ডুয়াল বুটিং করে নিন আপনার বর্তমান অপারেটিং সিস্টেমের সাথে। এগুলি করার জন্য সবার আগে আপনার মূল্যবান ডাটা কোথাও ব্যাকআপ করে নিন যাতে পরে সমস্যায় না পড়েন।

যদি আপনি লিনাক্সে একদম নতুন হয়ে থাকেন এবং টেকনিক্যাল কোন কিছু না শিখে শুধুমাত্র এটিকে সফলভাবে ইনস্টল করে ব্যবহার করতে চান তাহলে বর্তমান অপারেটিং সিস্টেমের পাশাপাশি ডুয়াল বুটিং করাকেই অগ্রাধিকার দিন। এজন্য একেবারে লেটেস্ট ভার্সনের কোন ডিস্ট্রো যেমনঃ Linspire, Mepis, Mandriva, Fedora, Suse অথবা Ubuntu এর কোন একটিকে সংগ্রহ করুন। যদি লিনাক্সের স্বাদ গ্রহন করেই ক্ষান্ত হতে চান তবে অবশ্যই নতুন ভার্সন যেমনঃ আলফা, বিটা অথবা রিলিজ ক্যানডিডেট (RC) ভার্সন থেকে দূরে থাকুন। এগুলি যারা লিনাক্সে অভিজ্ঞ তাদের জন্য কারন এগুলি চলার সময় সমস্যা হলে তারা সহজেই ইন্টারনেট, ফোরাম বা অন্যান্য জায়গা ঘাটাঘাটি করে সমাধান করতে পারেন। কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীগন তা পারেন না সহজে। তাই অবশ্যই কোন স্ট্যাবল ভার্সন ডাউনলোড করে সিডি/ডিভিডিতে রাইট করে নিন। কোথা থেকে ডাউনলোড করবেন তা জানার জন্য সবচেয়ে ভাল সাইট হচ্ছে http://distrowatch.com/ । এখানে প্রায় সবধরনের ডিস্ট্রিবিউশন সম্পর্কে অতি সহজে জানতে পারবেন তাদের লিংক সহ। ঘুরে আসুন সময় পেলে। আমি প্রতিদিনই একবার ঘুরে আসি সাইটটি থেকে। কারন প্রতিদিন কোন ডিস্ট্রো আপডেট হচ্ছে তা জানার খুব ভাল রিসোর্স এটি। একসময় দেখবেন নেশা লেগে যাবে এ সাইটের জন্য।

অভিজ্ঞ (Power User) ব্যবহারকারীদের জন্য কোন লিনাক্স?

যদি আপনি একজন ভাল মানের ব্যবহারকারী হন এবং ইনস্টলের মাধ্যমে লিনাক্সের টেকনিক্যাল খুটিনাটি বিষয় শিখতে চান তবে যে কয়টি ডিস্ট্রো আপনার চাহিদা মেটাতে পারে তা হলঃ Gentoo, Arch Linux, Debian, Slackware। যদি আপনি আরো অভিজ্ঞ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন এবং লিনাক্স একদম গোড়া থেকে শুরু করতে চান তাহলে আপনার জন্য উপযোগী Linux From Scratch- যেটি আসলে কোন ডিস্ট্রিবিউশন নয় বরং কিছু নির্দেশনার সমষ্টি যাতে আপনি কিভাবে নিজের জন্য একটি ডিস্ট্রো বানাবেন তা দেখানো আছে।

বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য কোন ধরনের ডিস্ট্রো ব্যবহার করবেন এবার তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।

সার্ভারের জন্য কোন ডিস্ট্রো

ডেবিয়ান, রেডহ্যাট এবং স্ল্যাকওয়ার সার্ভারের জন্য খুব বিখ্যাত। ডেবিয়ানের সিকিউরিটি পলিসি এবং চমৎকার প্যাকেজিং সিস্টেম একে নন-কমার্শিয়াল সলুশনের জন্য এগিয়ে রেখেছে নিঃসন্দেহে। এতে সকল ধরনের সিকিউরিটি ফিক্সগুলিকে আলাদাভাবে আপডেট করা হয় যাতে মেইন প্রোডাকশন এর পরিবেশ বিঘ্নিত ও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। স্ল্যাকওয়ারের আপ-টু-ডেট প্যাকেজ একটি সিকিউরড সিস্টেম প্রদান করে এবং এর স্বচ্ছতা সিস্টেম এ্যাডমিনিস্ট্রেটরদেরকে সহজেই কাস্টমাইজেশনে সহায়তা করে থাকে। রেড হ্যাটের নিজস্ব সাপোর্ট সিস্টেম কমার্শিয়াল ও দামী সার্ভার মেইনটেন এর জন্য কর্পোরেট পরিবেশে খুবই আকর্ষনীয়।

পুরাতন কম্পিউটার এর জন্য কোন ডিস্ট্রো?

বেশ কিছু ছোট এবং দ্রুতগতির ডিস্ট্রো রয়েছে পুরাতন মেশিনের জন্য যেমন ভেক্টর লিনাক্স (Vector Linxu)যেটি খুব কম ধারনক্ষমতা সম্পন্ন হার্ডডিস্কে এবং কম গতির প্রসেসরযুক্ত মেশিনে ইনস্টল করা সম্ভব। এমনকি আপনি প্রথম দিককার 386 মেশিন যেটিতে ২/৪ মেগাবাইট Ram রয়েছে তাতেও লিনাক্স ইনস্টল করতে পারবেন। তবে XFree86 গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসের জন্য কমপক্ষে ৮মেগাবাইট সম্পন্ন ৪৮৬ প্রসেসরের মেশিন প্রয়োজন। ফায়ারওয়্যাল, ইমেইল ক্লায়েন্ট অথবা বেসিক টেক্সট এডিটিং এবং স্ক্রিপ্টিং এর জন্য এটুকুই যথেষ্ট। তবে পরিপূর্ন গ্রাফিক্যাল এনভারোনমেন্ট পাওয়ার জন্য পাপ্পি লিনাক্স, স্লিটাজ লিনাক্স এর মত কোন একটি ডিস্ট্রো ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি চালানোর জন্য ৩২ মেগাবাইট Ram এবং ৫০০ মেগাবাইটের হার্ডডিস্কই যথেস্ট।

গেমের জন্য কোন ডিস্ট্রো?

গেম চালানোর জন্য প্রায় সব ডিস্ট্রোই ভাল সাপোর্ট দিয়ে থাকে। তবে ডিস্ট্রো পছন্দের চাইতে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে কোন লাইট এনভারোনমেন্ট যেমন XFCE ব্যবহার করা যেটি সত্যিই ভাল কাজ দিবে।

Gentoo এবং Source Mage লিনাক্সের মডিফাইড কার্নেল একটি পরিপূর্ন গেমিং প্লাটফর্ম হিসেবে এদেরকে এগিয়ে রেখেছে। তবে এগুলি অবশ্যই একটু এ্যাডভান্সড ব্যবহারকারীদের জন্য।

উইন্ডোজ/ইউনিক্স ডিস্ট্রোসমূহের তালিকার বিস্তৃতি কেমন হতে পারে?

যদি আপনি নতুন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে উইন্ডোজের মত দেখতে এমন কোন ডিস্ট্রোকেই প্রাধান্য দিবেন। কারন খুবই স্পষ্ট। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে সবাই প্রথমে পুরনোকেই আকড়ে ধরতে চায়। অন্য দিকে, যারা ম্যানুয়াল কনফিগারেশন পছন্দ করেন তারা অবশ্যই ইউনিক্স নির্ভর সমাধান খুজবেন। তাই নিচের তালিকাটি আপনাদের বোঝার জন্য কিছুটা সহায়ক হবে যেটি মূলতঃ ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে তৈরী করা।

Windows -> Linspire, Xandros -> Fedora, Mandriva, SuSe, Mepis, Ubuntu -> Debian -> Arch, Gentoo, Slackware -> BSD (Open, Free, Net, DragonFly), Solaris -> pure UNIX (Unixware, HP-UX, 4.4BSD).

এ তালিকাটি মূলতঃ ইনস্টলেশন এর স্বাচ্ছন্দ্যতা এবং শেল ব্যবহারের পরিমানের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা। এটি কোনভাবেই ডিস্ট্রোর মানের নির্দেশক নয়। যেমনঃ ফ্রি বিএসডি এবং আর্চ ইনস্টলেশন একই রকম সহজ তাই এদের কোন একটিতে আপনার সমস্যা হওয়ার কথা নয়।