লিনাক্স – অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে একটি পর্যালোচনা-২

আজকে রেইড (RAID) কনসেপ্ট নিয়ে বলা যাক। মিশন ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন স্টোরেজ এর ক্ষেত্রে রেইড ডিভাইসের জুড়ি নেই। রেইড কনসেপ্ট মূলত আর কিছুই নয়- এটি একটি কম্পিউটারের সিপিইউতে একটি হার্ডডিস্ক এর বদলে অনেকগুলি হার্ডডিস্কের সমাহার বলতে পারেন- এখানে মূল হার্ডডিস্ক যেটিতে অপারেটিং সিস্টেম থাকে সেটি হুবহু অন্য হার্ডডিস্কগুলিতে কিছুক্ষন পরপর কপি হতে থাকে। এ কপি করার কাজটি করে থাকে রেইড ডিভাইস কন্ট্রোলার।

উইকি থেকে -

RAID combines two or more physical hard disks into a single logical unit using special hardware or software.
অর্থাৎ রেইড দুটি বা তার অধিক হার্ডডিস্ককে বিশেষ সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার এর সাহায্যে একটি লজিক্যাল ইউনিটে রূপান্তরিত করে থাকে।

বলতে পারেন - কেন রেইড দরকার?

যারা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকেন তাদের কাছে এর গুরুত্ব বুঝিয়ে বলার দরকার হয় না। ব্যাংক, বীমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডাটা হচ্ছে এর প্রানভোমরা স্বরূপ। সামান্য কয়েকটি ডাটা হারিয়ে গেলে প্রভূত আর্থিক ক্ষতি হতে পারে এ প্রতিষ্ঠানসমূহে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন কেন রেইড তাদের জন্য দরকার।

ধরুন - গ্রামীন ফোনের সার্ভারে হঠাৎ করে ডাটাগুলি হারপিক ওয়াশ হয়ে গেল। এখন আপনার মোবাইলে থাকা হাজার খানেক টাকার ব্যালেন্স দেখলেন নিমেষেই গায়েব। তাহলে গ্রামীন কি ব্যবসা চালাতে পারবে? এরকম প্রতিষ্ঠান তাই কখনোই আপনার সাধের উইন্ডোজ ব্যবহার করবে না। বরং তারা সিকিউরড কোন সিস্টেম যেমনঃ সোলারিস, লিনাক্স বা তার কোন ভ্যারিয়েন্ট, বিএসডি ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে তাদের তথ্যের নিরাপত্তার জন্য। আপনি যেভাবে উইন্ডোজ রি-ইনস্টল করেন ও রকম রি-ইনস্টল করলে প্রতিবারই আপনার মোবাইলে থাকা ব্যালেন্স যে কোথায় যেত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ভাগ্যিস তারা উইন্ডোজ ব্যবহার করে না! ::U::

রেইড ডিভাইস ৫/১০/১৫ মিনিট পরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল হার্ডডিস্কের কপি অন্যান্য হার্ডডিস্কে হুবহু লিখতে থাকে। ফলে মূল হার্ডডিস্ক ফেইল করলে সাথে সাথে অন্য হার্ডডিস্ককে সচল করে কাজ অব্যাহত রাখা সম্ভব। এটি কিন্তু ব্যাকআপের মত নয়। বরং লো-লেভেলে বাইট বাই বাইট তথ্য রেপ্লিকা/কপি করতে থাকে অন্যান্য হার্ডডিস্কগুলিতে। তাই ডাটা হারানোর ঝুকি এখানে অনেক কম।

বেশ কয়েক ধরনের রেইড আছে- যেগুলিকে রেইড ০ , রেইড ১, রেইড২ - রেইড ৬ পর্যন্ত গননা করা হয়। আপনি যে ডেস্কটপ ও.এস. (এক্সপি/সেভেন) ব্যবহার করেন তাতে মাত্র একটি রেইড সাপোর্ট করে (রেইড ০)। আর উইন্ডোজ সার্ভার সাপোর্ট করে RAID 0, RAID 1, and RAID 5। তবে এজন্য আপনাকে পয়সা গুনতে হবে ভাই। আলাদা ও.এস. কেনার ঝক্কি বলে কথা।

আর ফ্রি লিনাক্সের কথা শুনবেন। ফ্রি তো এজন্য মান খুব খারাপ ;):: - তাই এতে সাপোর্ট করে RAID 0, RAID 1, RAID 4, RAID 5, RAID 6। :ttt:

উইকি থেকে-
# Linux supports RAID 0, RAID 1, RAID 4, RAID 5, RAID 6 and all layerings
# Microsoft's server operating systems support 3 RAID levels; RAID 0, RAID 1, and RAID 5.


সব শেষে বলা যায়- লিনাক্স মানে শুধু গেম খেলা বা গান/মুভি চালানো নয় বরং এটি কম্পিউটার জগতের অনেক অজানা দুয়ার সবার সামনে উম্মুক্ত করে দেয়। সবাইকে হ্যাপি লিনাক্সিং...

লিনাক্স – অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে একটি পর্যালোচনা-১

লিনাক্স নিয়ে এমন একটি ভাবনার সূত্রপাত আমার মাঝে হঠাৎ করে হয়নি। বিভিন্ন ফোরামে উইন্ডোজ ভক্তগন মাঝে মাঝে উইন্ডোজ এর পক্ষ অবলম্বন করে হঠাৎ হঠাৎ পোস্ট দিয়ে থাকেন এবং তার পক্ষে বিপক্ষে আলোচনার ঝড় চলতে থাকে বেশ কয়েকদিন ধরে। কোন কোন সময় মনে হয় এগুলির উত্তর দেব। কিন্তু লোভটাকে সম্বরন করে নেই। কারন কোন সিস্টেম সম্পর্কে ভালভাবে না জানলে বা কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলে এ ধরনের মন্তব্য করা খুব স্বাভাবিক।

প্রথমেই আসুন একজন সাধারন ব্যবহারকারী কি কি কাজে কম্পিউটার ব্যবহার করেন তার একটি লিস্ট তৈরী করি।

১. সাধারন এপ্লিকেশন চালানো- যেমনঃ এম.এস.ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট
২. মাল্টিমিডিয়া সংক্রান্ত বিনোদন উপভোগ করা - যেমনঃ গান শোনা, মুভি দেখা, গেম খেলা
৩. নেটওয়ার্কিং ও ইন্টারনেট সংক্রান্ত কাজ করা- ফাইল ও ফোল্ডার শেয়ারিং করা, ব্রাউজ করা, ডাউনলোড করা, ইমেইল করা ইত্যাদি।

একটু অগ্রসর ব্যবহারকারীদের তালিকায় থাকে আরো কিছু সফটওয়্যার যেমনঃ এডোবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, মায়া, এডোবি প্রিমিয়ার, অটোক্যাড ইত্যাদি বিশেষায়িত সফটওয়্যার সমূহ।

উপরে যে তালিকাটি দিয়েছি তা মূলত একজন সাধারন ব্যবহারকারীর কথা মাথায় রেখেই দেয়া হয়েছে।

অপারেটিং সিস্টেম মূলতঃ পুরো কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে। তাই শুধুমাত্র উপরের তালিকাটি যে এটির জন্য যথেষ্ট নয় সেটি বোঝা যে কারো পক্ষেই সহজ।

পৃথিবীতে যাবতীয় টেকনোলজির দুটি দিকের ব্যবহারকারী রয়েছে-
১. একদল উক্ত টেকনোলজি থেকে সুবিধা গ্রহন করে থাকে
২. আরেকদল উক্ত টেকনোলজিকে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধ করতে থাকে- অর্থাৎ উদ্ভাবন, গবেষনা, পরিবর্তন, পরিবর্ধন এ ধরনের কাজ করে থাকে এ দলটি।

উদাহরনস্বরূপ- ওষুধের কথাই ধরুন। ওষুধ কোন গবেষক তৈরীর পর তা মানুষের ব্যবহার উপযোগী হলে সবার জন্য বাজারে ছাড়া হয়ে থাকে। তারপর রোগাক্রান্ত মানুষ তার সুস্থতার জন্য সেটি কিনে তার প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে।

এখন উপরোক্ত ওষুধ যদি তৈরীই না হত তাহলে মানুষ কি তা থেকে উপকৃত হতে পারতো? আবার যদি এ ওষুধ তৈরী করা ও গবেষনার কাজ যদি একটি কোম্পানির হাতে কুক্ষিগত থাকে তবে মানুষ কি ঐ কোম্পানির কাছে অসহায় হয়ে যাবে না? আবার ওষুধ তৈরীর ফর্মূলাটি যদি সবার জন্য উম্মুক্ত না থাকে তবে তা একটি ভয়ের কারন ও বটে। কারন নিত্য নতুন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সামনে উক্ত ওষুধটি তার কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। তাই ওষুধের ফর্মূলাটি সবার সামনে উম্মুক্ত থাকলে তা নিয়ে গবেষনা করা, পরিবর্তন করা, পরিবর্ধন করা অনেক সহজ হবে।

আবার ভাবুন- এ সমস্ত কষ্টকর কাজ যারা করেন তাদেরকে যদি অন্যরা উপহাস করেন যে তোমরা এ ধরনের ফালতু কাজে সময় নষ্ট করো কেন? বাজারে ভাল পন্য তো রয়েছে। সেগুলিই তো যথেষ্ট।

উপরের কথাগুলি বলার কারন হচ্ছে - উম্মুক্ত সোর্স এর মান যেমনই হোক না কেন তাকে নিয়ে উপহাস করার কিছু নেই। যারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষনা করবেন তাদের জন্য এর কোন বিকল্প নেই। ক্লোজড সোর্স প্রোগ্রামের কোড তারা কিভাবে দেখবেন ও শিখবেন? ডাটাবেজ সম্পর্কে ধারনা নিতে হলে ওরাকল এর চেয়ে মাইএসকিউএল কি বেশী ভাল নয়?

এবার বলা যাক অপারেটিং সিস্টেমের বহুমাত্রিক ব্যবহার নিয়ে। উপরে বর্নিত সাধারন ব্যবহারকারীদের কাজ ছাড়াও কম্পিউটার বহু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমনঃ

১. প্রোগ্রামিং করা- বিভিন্ন টুলস যেমন- সি++, ডেলফি, জাভা, পাইথন ইত্যাদে ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধান।
২. ওয়েব সার্ভার সেট আপ করা
৩. নেটওয়ার্ক সেবা প্রদান
৪. সিকিউরড রিমোট এ্যাডমিনিস্ট্রেশন
৫. শক্তিশালী রাউটার ও গেটওয়ে তৈরী
৬. ডাটাবেজ সার্ভার সেটআপকরন
৭. এফটিপি সার্ভার সেটআপ
৮. ইমেইল সার্ভার সেটআপ
৯. মেইল ফিল্টারিং বা স্প্যাম নিয়ন্ত্রন
১০. ব্যাকআপ সার্ভার সিস্টেম
১১. ভার্চ্যুয়ালাইজেশন
১২. সুপার কম্পিউটার সিস্টেম তৈরী বা ক্লাস্টারিং
১৩. ডেটা সুরক্ষায় একাধিক হার্ডডিস্কের সমন্বয়ে রেইড ডিভাইস তৈরী

এখন কেউ যদি বলেন উপরোক্ত কাজগুলি গান শোনা আর গেম খেলা থেকেও কম গুরুত্বপূর্ন তাহলে আসুন তাদের জন্য কিছু উদাহরন দেয়া যাক।

গেম খেলবেন ভাল কথা কিন্তু ওয়েবসাইট ব্রাউজ না করলে কি চলবে আপনার? যদি না চলে তবে জেনে রাখুন পৃথিবীতে বেশীরভাগ ওয়েব সার্ভার চলে লিনাক্সে। অর্থাৎ লিনাক্স না থাকলে বিশ্বের অধিকাংশ আকর্ষনীয় ওয়েবসাইট আপনি পেতেন না। আর এ ওয়েব সার্ভার নিজের জন্য বানাতে চাইলে লিনাক্স কিন্তু আপনাকে শিখতেই হবে গেম খেলার পাশাপাশি। আপনার এক্সপি/ভিস্তা/সেভেন দিয়ে কি এরকম শক্তিশালী ভাইরাস প্রুফ ওয়েব সার্ভার বানাতে পারবেন যা মাসের পর মাস রিবুট ছাড়াই চলতে সক্ষম।

একটি দামী সিসকো রাউটার নিজের জন্য ফ্রিতে পেতে চান- তাহলে লিনাক্স ইনস্টল করে ফেলুন আর নিজের জন্য রাউটার কনফিগার করে নিন।

আরেকটি কথা- এগুলি লিনাক্সে ফ্রি পাওয়া যায় যা আপনাকে টাকা দিয়ে কিনতে হতো। :v

মেইল তো সারাজীবন ইয়াহু/জিমেইল দিয়ে করেছেন। নিজের কোম্পানির জন্য এরকম সার্ভার তৈরী করতে হলে কি করবেন? আপনার ভিস্তা/সেভেন এগুলি কিন্তু পারে না। এজন্য মাইক্রোসফট আপনার কাছ থেকে আলাদা পয়সা নেবে ভাই। তার চেয়ে লিনাক্স দিয়ে করে ফেলুন। কোন খরচ হওয়ার ভয় নেই। :C

এবার আসুন সুপার কম্পিউটার এর কথা বলি। সুপার কম্পিউটার তৈরী হয় কিভাবে তা কি জানেন? অনেকগুলি সিপিইউ একসাথে দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তৈরী হয় সুপার কম্পিউটার। :thumb: ঘরে বসে তৈরি করতে হলে ভিস্তা/সেভেন দিয়ে কিন্তু কিচ্ছু হবে না। :-((( মাইক্রোসফট এর কাছ থেকে আলাদা ও.এস. কিনুন অথবা লিনাক্স নিয়ে বসে যান পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে। চুপি চুপি একটি তথ্য- বিশ্বের প্রথম ৫০০ সুপার কম্পিউটার এর প্রায় ৯০% চলে লিনাক্সে। উইন্ডোজ এখানে লিনাক্সের ধারে কাছে ও নেই দেখে মন খারাপ হল নাকি? ভাই আপনার উইন্ডোজ ভাল হলে সুপার কম্পিউটার এর পরিসংখ্যান তো উল্টো হওয়ার কথা। আরও শুনে রাখুন- সুপার কম্পিউটার গুলিই আপনাকে আবহাওয়ার পরিসংখ্যান দেয়, মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠায়, চাদে রকেট পাঠায়, বোয়িং বিমান তৈরী করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে- আরও কত কি যা বলে শেষ করা যাবে না স্বল্প পরিসরে।

তবে উপরের স্বল্প কথাগুলি থেকে ভাববেন না লিনাক্সে গেম খেলা, চিঠি লেখা বা হিসাব করার মত কাজ করা যায় না। লিনাক্সের ও রয়েছে বেশ কিছু চমৎকার প্রোগ্রাম যেমন- রাইটার, ক্যাল্ক, জিম্প।

অফলাইনে কেরাইক্স দিয়ে ডেবিয়ান নির্ভর ডিস্ট্রোর জন্য প্যাকেজ ইনস্টলার তৈরী করা

কয়েকদিন আগে আপ্রতে অভ্রনীলের একটি পোস্ট থেকে কেরাইক্স (Keryx)নামে একটি চমৎকার সফটওয়্যার এর খোজ পেয়েছি। এটি দিয়ে খুব সহজে অফলাইনেই ডেবিয়ান নির্ভর ডিস্ট্রো যেমন উবুন্তু, মেপিস, ড্রিম লিনাক্স,সিডাক্স ইত্যাদি ডিস্ট্রোর জন্য প্যাকেজ ডাউনলোড ও ইনস্টল করা যায়।


প্রথমেই সফটওয়্যারটি এখান থেকে নামিয়ে নিন।  পেনড্রাইভে আনজিপ করে নিন। তারপর বাসার পিসিতে পেনড্রাইভ থেকে সফটওয়্যারটি চালিয়ে প্যাকেজ লিস্ট আপডেট করে নিতে হবে।


তারপর যেখানে অনলাইন আছে সেখানে পেনড্রাইভে করে সফটওয়্যারটি নিয়ে প্যাকেজ ডাউনলোড করে আনতে হবে। বাসায় এনে আবার পেনড্রাইভ থেকে কিরাইক্স চালিয়ে সফটওয়্যার ইনস্টল করে নিন। পুরো পদ্ধতিটি গ্রাফিক্যাল হওয়াতে নতুনদের জন্য অনেক সুবিধার।


যদি বাসায় গিয়ে প্যাকেজ লিস্ট আপডেট না করতে পারেন তবে প্রজেক্টের জন্য কিছু প্যাকেজ লিস্ট তৈরী করে দেয়া আছে মূল সাইটে-সেগুলি ডাউনলোড করে লিস্ট আপডেটের কাজটি উইন্ডোজ মেশিনেই করতে পারবেন। এগুলি ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুন।


 ধারাবাহিক কাজঃ


আমরা নিচের পদ্ধতিটি কোন লিনাক্স মেশিনের সাহায্য ছাড়াই করবো প্রজেক্ট ফোল্ডার ডাউনলোড করে।



১। সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন ও পেনড্রাইভে আনজিপ করে নিন।
২। এখান থেকে প্রজেক্ট ফাইলটি ডাউনলোড করে আনজিপ করতে হবে Keryx\ ফোল্ডারে।


৩। উইন্ডোজ মেশিন থেকে পেনড্রাইভের keryx/win32 ফোল্ডারে যান এবং ‘keryx’ আইকনে ডাবলক্লিক করুন।



৪। কিরাইক্স চালু হওয়ার পর  Open Project এর সামনে ক্লিক করে আপনার ডিস্ট্রোর ভার্সনের উপর ক্লিক করুন।



৫। এবার Open Project বাটনে ক্লিক করার পর Download Latest? ডায়ালগ বক্স আসলে Yes বাটনে ক্লিক করুন। এবার নেট থেকে সরাসরি প্যাকেজ লিস্ট আপডেট করা শুরু করবে। ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। ৮/১০ মিনিট লাগতে পারে।





৬।প্যাকেজ লিস্ট আপডেট হয়ে গেলে যে প্যাকেজটি ডাউনলোড করতে চান তার উপর রাইট মাউস ক্লিক করে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন। ডিপেনডেন্সীসহ ডাউনলোড শেষ হলে আপনার প্রজেক্ট ফোল্ডারের ভিতর packages নামক ফোল্ডারে ডেব ফাইলগুলি জমা হবে। সব প্যাকেজ ডাউনলোড শেষ হলে পেনড্রাইভটি আপনার লিনাক্স মেশিনে নিয়ে ডেব ফাইলগুলি একটি ফোল্ডারে কপি করে তারপর ইনস্টল করে নিন। এজন্য কমান্ড মোডে উক্ত ফোল্ডারে গিয়ে কমান্ড দিতে পারেন- dpkg -i *.deb। 


বিঃদ্র অনেক সময় পাইথনের সাপোর্ট না থাকার কারনে কিরাইক্স কোন কোন ডিস্ট্রোতে কাজ করে না। এমনকি উবুন্তুতেও কাজ করে না মাঝে মাঝে। এজন্য আমি উক্ত পদ্ধতি আলোচনা করিনি। লিনাক্সে চালানোর জন্য Keryx\linux ফোল্ডারে গিয়ে keryx আইকনের উপর ডাবল ক্লিক করতে পারেন। তখন এখান থেকেই প্যাকেজ লিস্ট আপডেট ও ডাউনলোড করতে পারবেন।


অন্যান্য ডেবিয়ান বেজড ডিস্ট্রোর জন্য প্রজেক্ট তৈরী করা
অনেক সময় উবুন্তু বাদে অন্যান্য ডিস্ট্রো যেমন মেপিস, ড্রিম ইত্যাদি লিনাক্সের জন্য আলাদা প্যাকেজ প্রয়োজন হলে খুব সহজেই সেটি তৈরী করে নিতে পারেন। পদ্ধতিটি অফলাইনে লিনাক্স মেশিনে করতে হবে। এজন্য আপনার পেনড্রাইভে লিনাক্স মেশিন থেকে ডাউনলোড ও আনজিপ করা প্রজেক্ট ফোল্ডারে যান। তারপর যেকোন একটি ফোল্ডার কপি করে এখানেই পেস্ট করুন। রিনেম করুন আপনার ডিস্ট্রোর নামে - যেমন এখানে আমি করেছি-

এবার উক্ত ফোল্ডারে প্রবেশ করুন। debian.conf ফাইলটিতে ঢুকে নিচের মত পরিবর্তন করুন-
Computer Name: default
OS Name: mepis
OS Version: 8.5
Architecture: 64bit
Kernel: 2.6.32-1-mepis64-smp

যেমন ওএস হিসেবে মেপিস, ভার্সন-৮.৫, আর্কিটেকচার ৩২ না ৬৪, কার্নেল ভার্সন। সেভ করে বের হয়ে আসুন।
এবার lucid-32-bit.keryx ফাইলটিকে রিনেম করুন mepis-64-bit.keryx হিসেবে। তারপর ডাবল ক্লিক করে খুলুন ফাইলটি। এখানে নিচের মত পরিবর্তন করুন-

Mepis 64-bit
Debian

প্রথম লাইনে ওএস এবং আর্কিটেকচার পরিবর্তনই যথেষ্ট।
তারপর সেভ করে বের হয়ে আসুন।

lists ফোল্ডারে আপনার অফলাইনের লিনাক্স মেশিনের /var/lib/dpkg/status ফোল্ডারটি কপি করে দিন।

sources ফোল্ডারে /etc/apt/sources.list ফাইলটি কপি করে দিন। ব্যস আপনার প্রজেক্ট তৈরী শেষ। এবার পেনড্রাইভ উইন্ডোজ মেশিনে নিয়ে কিরাইক্স চালু করলেই নতুন ডিস্ট্রো লিস্টে পেয়ে যাবেন।

অভ্রনীলের পদ্ধতি দেখার জন্য ক্লিক করুন এখানে