লিনাক্স ইনস্টল করতে গিয়ে শুরুতে অনেকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন। কারন
লিনাক্স ইনস্টলের পদ্ধতি আর উইন্ডোজ ইনস্টলের পদ্ধতি পুরোপুরি ভিন্ন ।
এজন্য উইন্ডোজ ইনস্টলে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি ও লিনাক্স ইনস্টলের সময়
হার্ডডিস্কের পার্টিশন ফরম্যাট করে ফেলা, পুরো পার্টিশন টেবিল ভেঙ্গে একটি
করে ফেলা, উইন্ডোজ পার্টিশন মুছে ফেলা, উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম মুছে ফেলা
ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে ফেলেন। কিন্তু একটু সময় নিয়ে
অভিজ্ঞদের সহায়তা ও ম্যানুয়াল পড়ে নিলে এ ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
তাই আসুন আজ আমরা লিনাক্স ইনস্টলের জন্য চমৎকারভাবে হার্ডডিস্ক পার্টিশন করা শিখে নেই।
শুরুর
দিকে উইন্ডোজ ইনস্টলের জন্যও কমান্ড লাইনে fdisk নামের একটা টুলসের
সাহায্যে হার্ডডিস্ক পার্টিশন করতে হত। কিন্তু বিষয়টি এখন ক্লিক এন্ড গো এর
মতই সোজা । তবে একটি বিষয় এক্ষেত্রে সবার দৃষ্টি এড়িয়ে যায় আর তা হল আগে
কমান্ড লাইনে কাজ করতে গিয়ে কমবেশী সবাই জেনে নিতেন হার্ডডিস্কের গঠন
কাঠামো ও ফাইল সিস্টেম সম্পর্কে । আর এখন বাস্তবতা হলো- ক্লিক এন্ড গো
পদ্ধতিতে কাজ করতে গিয়ে সবাই হার্ডডিস্কের ডিটেইলস সম্পর্কে না জেনে তালগোল
পাকিয়ে ফেলেন।
প্রথমে আমরা উইন্ডোজ ফাইল ম্যানেজার/মাই কম্পিউটারে
ঢোকার পর যে C/D/E/F ড্রাইভ দেখি এটার কথা সাময়িকভাবে ভুলে যাই। কারন এটি
আপনাকে হার্ডডিস্কের আসল রহস্যটা লুকিয়ে রেখে উপরের অংশটা দেখায়।
হার্ডডিস্কের ডিটেইলস জানতে হলে My Computer এর উপর রাইট মাউস বাটন ক্লিক
করে Manage এ ক্লিক করুন। তারপর বাম দিকের ট্রি কন্ট্রোল/মেনু থেকে Disk
Management এ ক্লিক করুন। তাহলে নিচের মত দেখতে পাবেন।
খেয়াল
করে দেখুন, ছবির একদম নিচে পার্টিশন মোট ৩ প্রকার- Primary partition,
Extended partition, Logical drive। প্রাইমারি পার্টিশন এর কালারের সাথে
যেগুলি মিলবে সেগুলি প্রাইমারি পার্টিশন। নীল কালারের যে ৫টি লজিক্যাল
ড্রাইভ /পার্টিশন রয়েছে সেগুলিকে ঘিরে আরেকটি সবুজ রংয়ের বর্ডার বিদ্যমান।
অর্থাৎ এ ৫টি লজিক্যাল ড্রাইভ একটি এক্সটেনডেড পার্টিশন এর আওতায় রয়েছে ।
লিনাক্সে এটি দেখার জন্য শেল প্রম্পটে ঢুকে কমান্ড দিন- sudo fdisk -l অথবা gparted চালু করুন।
এবার
আসুন কিছু তাত্ত্বিক কথাবার্তা বলি। একটি হার্ডডিস্কে সর্বমোট ৪টি
প্রাইমারি পার্টিশন থাকতে পারবে । এর বেশী প্রাইমারী পার্টিশন করা সম্ভব না
। যখন হার্ডডিস্কের ধারন ক্ষমতা ছিল খুব কম মাত্র কয়েক মেগাবাইট/এক বা দুই
গিগাবাইট তখন এটি ছিল যথেষ্ট । কিন্তু যখন ধারনক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু
করে তখন প্রাইমারি পার্টিশন ছাড়াও আরও বেশী পার্টিশন তৈরির প্রয়োজনীয়তা
দেখা দেয়। তখন ৩টি প্রাইমারী পার্টিশন করা হয়ে গেলে বাকী স্পেসকে একটি
প্রাইমারী এক্সটেনডেড পার্টিশন হিসেবে তৈরীর সুযোগ দেয়া হয় । এই এক্সটেনডেড
পার্টিশনকে যেকোন সংখ্যক পার্টিশনে বিভক্ত করা সম্ভব ।
তাহলে আমরা দেখলাম-
মোট
৪টি প্রাইমারী পার্টিশন থাকতে পারে একটি হার্ডডিস্কে এবং শেষের টিকে
এক্সটেনডেড পার্টিশন (এটি ও মূলতঃ প্রাইমারী পার্টিশন) হিসেবে নিয়ে যেকোন
সংখ্যক পার্টিশনে ভাগ করা যেতে পারে। অর্থাৎ উপরের হার্ডডিস্ককে আমরা এখন
নিচের মত ভাগ করতে পারি-
উপরের পার্টিশনটিকে উইন্ডোজের মাই কম্পিউটারে দেখাবে এমনভাবে-
তাই
মাই কম্পিউটারে ঢুকে বোঝা সম্ভব নয় ঠিক কতটি প্রাইমারী ও লজিক্যাল
পার্টিশন রয়েছে আপনার হার্ডডিস্কে। যদি আরেকটি হার্ডডিস্ক জুড়ে দেয়া হয়
আপনার মেশিনে বর্তমানটির সাথে তবে সেগুলিও লজিক্যাল পার্টিশন হিসেবে দেখা
যাবে My Computer → Manage এ গেলে।
এবার আমরা দেখি উপরের হার্ডডিস্কটিকে লিনাক্সে কিভাবে দেখাবে-
যদি আপনার ডিস্কে প্রাইমারি পার্টিশন ১টি কম থাকে তবে উইন্ডোজে একইরকম দেখা যাবে।
কিন্তু লিনাক্স এক্ষেত্রে আরো স্মার্ট। লিনাক্সে দেখাবে নিচের মত।
অর্থাৎ
লিনাক্স সবসময় প্রাইমারি পার্টিশন এর জন্য ১-৪ নম্বর রিজার্ভ রাখে।
লজিক্যাল পার্টিশন শুরু হবে ৫ নম্বর থেকে । তবে উপরের sda1 দেখে হয়তো
ভাবছেন এটা আবার কি জিনিস। এর থেকে তো C/D/E/F বোঝাই সহজ। তবে আপনার জন্যই
বলি, লিনাক্সের পার্টিশন টেবিল যদি একবার বুঝে যান তখন উইন্ডোজ এর টি ফালতু
মনে হবে। আচ্ছা বলুন তো- যদি ৩ টি হার্ডডিস্ক থাকে আপনার মেশিন তাহলে বলতে
পারবেন C/D/E/F দেখে কোনটি কোন হার্ডডিস্কের পার্টিশন? লিনাক্সে তাও
সম্ভব। আসুন দেখা যাক বিষয়টি-
এখানে sda1 প্রথমে বুঝে নেই। যদি আপনার
হার্ডডিস্কটি SCSI/SATA হার্ডডিস্ক হয় তবে প্রথম দুটি অক্ষর দেখবেন sd আর
যদি IDE হার্ডডিস্ক হয় তবে এটিকে দেখবেন hd হিসেবে। আর sd এর পরে a এর অর্থ
হল প্রথম হার্ডডিস্ক। যদি দ্বিতীয় হার্ডডিস্ক হয় তবে দেখবেন b, তৃতীয়
হার্ডডিস্ক হলে দেখবেন c ইত্যাদি। তারপর আছে 1 অর্থাৎ প্রথম পার্টিশন এবং
অবশ্যই এটি প্রাইমারি পার্টিশন কারন ১-৪ পর্যন্ত সবই প্রাইমারী পার্টিশন।
যদি 5 হতো তাহলে এটি হতো প্রথম লজিক্যাল ড্রাইভ। যদি একটি প্রাইমারী
পার্টিশন থাকে মেশিনে তবে sda5 হবে উইন্ডোজের D ড্রাইভ আর লিনাক্সের প্রথম
লজিক্যাল পার্টিশন। sda3 হলে উইন্ডোজে এটি হবে E ড্রাইভ আর লিনাক্সে হবে
প্রথম হার্ডডিস্কের ৩য় প্রাইমারী পার্টিশন।
এখন বলুন তো, sdc5 হলে
কি হবে? হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, এটি হবে তৃতীয় হার্ডডিস্কের প্রথম লজিক্যাল
পার্টিশন। আর উইন্ডোজে কি হবে তা প্রথম ও দ্বিতীয় হার্ডডিস্কের পার্টিশন
কয়টি এবং তৃতীয় হার্ডডিস্কের প্রাইমারী পার্টিশন কয়টি তার উপর নির্ভর করবে ।
তাই বলা সম্ভব নয়। যদি প্রথম ও দ্বিতীয় হার্ডডিস্কে মোট ৮ টি পার্টিশন
থাকে ওবং তৃতীয় হার্ডডিস্কে ২ টি প্রাইমারী পার্টিশন থাকে তবে এটি উইন্ডোজে
M ড্রাইভ হিসেবে দেখাবে।
আর লিনাক্সের সবধরনের ডিস্ক, ডিভাইসকে /dev/ ফোল্ডারে দেখানো হয় তাই /dev/sda1 এর পূর্নাঙ্গ অর্থ হবে এরকম-
/dev/sda1 - /dev ফোল্ডারে প্রথম(a) sd হার্ডডিস্কের প্রথম (1) প্রাইমারী পার্টিশন। (উইন্ডোজে C Drive)
/dev/sda5
- /dev ফোল্ডারে প্রথম(a) sd হার্ডডিস্কের প্রথম (5) লজিক্যাল পার্টিশন।
(উইন্ডোজে D Drive যদি একটি প্রাইমারী পার্টিশন হয়)
/dev/sda7 - /dev
ফোল্ডারে প্রথম(a) sd হার্ডডিস্কের তৃতীয় (7) লজিক্যাল পার্টিশন। (উইন্ডোজে
E Drive যদি একটি প্রাইমারী পার্টিশন হয়)
/dev/hda5 - /dev ফোল্ডারে
প্রথম(a) hd হার্ডডিস্কের প্রথম (৫) লজিক্যাল পার্টিশন। (উইন্ডোজে D Drive
যদি একটি প্রাইমারী পার্টিশন হয়)
সুতরাং লিনাক্সে আরো ভালভাবে বলা
যায় আপনি কোন হার্ডডিস্কের কত নম্বর প্রাইমারী/লজিক্যাল পার্টিশনে কাজ
করছেন যা উইন্ডোজে খুজে পাওয়া বেশ কষ্টকর My Computer → Manage থেকে।
তাই লিনাক্স বেশী স্মার্ট।
আরেকটি
কথা- উইন্ডোজ OS প্রাইমারী পার্টিশন ছাড়া ইনস্টল করা যায় না কিন্তু
লিনাক্স OS প্রাইমারী/লজিক্যাল যেকোন পার্টিশনে ইনস্টল করা যায়।
তাই
পূর্বে উইন্ডোজ ইনস্টল করা মেশিনে gparted দিয়ে একটি আলাদা লজিক্যাল
পার্টিশন তৈরী করে নিয়ে লিনাক্স ইনস্টল করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার আগের
ইনস্টল করা উইন্ডোজ থাকবে অক্ষত।
বুট করার সময় উইন্ডোজ/লিনাক্স
কোনটিতে যেতে চান সেরকম অপশন পাবেন। সিলেক্ট করে দিলে মেশিন আপনার চাহিদামত
লিনাক্স/উইন্ডোজে বুট করবে।
লিনাক্স ইনস্টলের জন্য পার্টিশন করার
সব থেকে সহজ উপায় হচ্ছে লিনাক্সের সিডি/ডিভিডি/বুটেবল পেনড্রাইভ দিয়ে মেশিন
বুট করুন। তারপর মেনু থেকে gparted সিলেক্ট করে একটি লজিক্যাল পার্টিশন
তৈরী করে নিন।
তারপর লিনাক্স ইনস্টল করুন। ইনস্টলের জন্য কমান্ড
এখান থেকেই দিতে পারবেন। সাধারনতঃ লিনাক্স সিডি/ডিভিডি/পেনড্রাইভ থেকে বুট
করার পর ডেস্কটপের উপর শর্টকার্ট/প্রোগাম মেনুতে ইনস্টলের জন্য মেনু
(Install Linux on Your Machine বা এ রকম) থাকে। উইন্ডোজের মত ইনস্টলের
জন্য সিডি থেকে আলাদা বুট করতে হয় না। এমনকি সিডি থেকে আপনি সব প্রোগ্রাম
চালিয়ে দেখতে পারেন ইনস্টলের আগেই যা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে সম্ভব নয়।
আলাদা
পার্টিশন করার আগে যে ড্রাইভে জায়গা বেশী ফাঁকা সেটি থেকেই জায়গা নিতে
পারেন অথবা সব থেকে শেষের পার্টিশন থেকে জায়গা বের করে নিন ঐ ড্রাইভের
ফাইলসমূহ অন্য ড্রাইভে কাট-পেস্ট/মুভ করে। তবে শেষের পার্টিশন থেকে জায়গা
বের করে নেয়াই নিরাপদ। এটি করলে পরবর্তীতে ঝামেলা কম হয়। এটি করাও বেশ সহজ।
লিনাক্সের সিডি থেকে বুট করার পর ফাইল ম্যানেজার চালু করে উইন্ডোজের মাই
কম্পিউটারে ঢুকে যেভাবে কাট-পেস্ট করেন ঠিক সেভাবে করতে পারবেন।
ফাইল সরিয়ে নেয়ার পর আসুন কিভাবে পার্টিশন করবেন তা হাতে কলমে দেখি।
প্রথমে System Tools → Administration → Gparted Partion Editor চালু করুন।
যে
পার্টিশনটি থেকে স্পেস নিবেন সেটির উপর রাইট মাউস বাটন ক্লিক করে
Resize/Move এ ক্লিক করুন। তারপর Free space following (MiB) বক্সে ক্লিক
করুন এবং লিখুন ১২০০০-১৩০০০ এর মধ্যে যেকোন সংখ্যা।
অর্থাৎ আমরা ১২
গিগার কাছাকাছি একটি রুট পার্টিশন করছি লিনাক্সের জন্য । এটাই যথেষ্ট ।
সোয়াপ পার্টিশন যাদের ১ গিগা Ram আছে তাদের দরকার নেই। যারা আলাদা হোম
পার্টিশন করতে চান তারা নিজ দায়িত্বে করুন। একজন নতুন ব্যবহারকারীর জন্য
রুট (/) পার্টিশনই যথেষ্ট। কারন উইন্ডোজের ড্রাইভগুলিতে লিনাক্স থেকেই ফাইল
সেভ/এডিট করা যায়। লিনাক্সের জন্য আলাদা ডেটা পার্টিশন না থাকলেও চলে ।
তবে হোম ফোল্ডার সবসময় খালি রাখার চেষ্টা করবেন। বেশী ভারী হলেই ডেটা অন্য
পার্টিশনে মুভ করে নেবেন। কারন হোমে জায়গা না থাকলে প্রোগ্রামগুলিই রান
করবে না যেহেতু আপনার রুট এবং হোম ফোল্ডার একই পার্টিশনে আছে এক্ষেত্রে ।
এটি সবসময় খেয়াল রাখবেন তা না হলে পরে সমস্যায় পড়তে পারেন।
তারপর আবার New Size(MiB) বক্সে ক্লিক করুন। তাহলে আপনার দেয়া নতুন ড্রাইভ সাইজ প্রদর্শন করবে। এবার Resize/Move বাটনে ক্লিক করুন।
এবার Apply All Operations এ ক্লিক করে অপেক্ষা করুন। আশা করি আপনার পার্টিশন তৈরী হয়ে যাবে ।
সবশেষে
একটি কথা- বারবার জিপার্টেড দিয়ে হার্ডডিস্ক পার্টিশন ফরম্যাট/এডিট/ডিলিট
করা থেকে বিরত থাকুন কারন ঘনঘন করলে তা আপনার হার্ডডিস্কে ঝামেলা করতে
পারে। তাই প্রথমে কাগজ কলম নিয়ে বসে হার্ডডিস্কের একটি পার্টিশন টেবিল তৈরি
করে নিন- অর্থাৎ কয়টি প্রাইমারি, কয়টি লজিক্যাল থাকবে, কোন ড্রাইভে কি
ধরনের ফাইল রাখবেন- তা ঠিক করে নিয়ে বসে পড়ুন। তারপর ধীরে ধীরে কাজ শেষ
করুন। তাড়াহুড়ো করবেন না, তাতে আপনারই ক্ষতি।
সামনের দিন দেখবো কিভাবে আপনার তৈরী করা পার্টিশনে লিনাক্স ইনস্টল করবেন। আজ এ পর্যন্তই । ভাল থাকুন – সুস্থ থাকুন ।
(এটি
একই সাথে আমার ব্লগেও প্রকাশিত এবং স্ক্রিনশটগুলি নেয়া হয়েছে মুক্ত বাংলা
জিএনইউ/লিনাক্স থেকে- মুক্ত বাংলা লিনাক্স সম্পর্কে জানতে এখানে দেখুন- http://forum.projanmo.com/topic46595.html )
২০১৩ সালে লিনাক্স ও ওপেন সোর্স জগতের ৫টি শীর্ষ গুরুত্বপূর্ন ঘটনা
নতুন একটি বছরের শেষ দ্বারপ্রান্তে আমরা উপনীত। ২০১৪ সালের আগমন ধ্বনি আমরা স্পষ্টতঃ টের পেতে শুরু করেছি। লিনাক্সের উত্থানের জন্য এ বছরটি খুব গুরুত্বপূর্ন।
লিনাক্স কম্পিউটিং এর বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র যেমন সার্ভার ও সুপার কম্পিউটিংএ বহু বছর একাধিপত্য বিস্তার করে আছে। কিন্তু ২০১৩ সালে লিনাক্স এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার উন্নয়ন পদ্ধতি সকল ক্ষেত্রে রাজত্বের পূর্বাভাস সূচনা করেছে যেটা গাড়ি থেকে শুরু করে ক্লাউড সিস্টেম হয়ে গ্রাহক নির্ভর কম্পিউটিংয়ে ও বিস্তৃত হচ্ছে যার জন্য সত্যিকারের ধন্যবাদ পেতে পারে এন্ড্রয়েড এবং ক্রোম ওএস।
আমি সত্যিই অভিভূত ২০১৩ সালে লিনাক্স ও ওপেন সোর্স জগতের এই সামনে এগিয়ে চলার গতিতে।
আসুন আমরা এ বছরে সংঘটিত লিনাক্স ও ওপেন সোর্স জগতে চলমান ঘটনাসমূহের মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ন ৫টি ঘটনার উপর আলোকপাত করি। কিছু বিষয় হয়তো আপনার নজর এড়িয়ে যেতে পারে কিন্তু বিশ্বাস করুন সামনের বছরগুলিতে এগুলি সত্যিকারের প্রভাবক হিসেবে কম্পিউটিং জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করবে। আপনি যে ধরনের কম্পিউটিং এ জড়িত থাকুন না কেন ভবিষ্যতে অবশ্যই লিনাক্স ও ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য আপনার হাতে খড়ি হতে যাচ্ছে এটা বলা যায় এ মূহুর্তে।
১. ওপেন সোর্স সফটওয়্যার উন্নয়ন পদ্ধতি
বর্তমানে একজন ডেভেলপার ওপেন সোর্স সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন না বা ডেভেলপ করবেন না এটা ভাবা খুবই দূরূহ ব্যাপার। এমনকি মাইক্রোসফটের মত কোম্পানিও ওপেন সোর্স উন্নয়নে এর শক্তি নিয়োজিত করছে যেমন-Node.js, একটি টুলস/ফ্রেমওয়ার্ক যা জাভাস্ক্রিপ্টকে এর স্ক্রিপ্টিং ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। সর্বোপরি, মাইক্রোসফটও বর্তমানে লিনাক্স উন্নয়নে পরোক্ষভাবে ভূমিকা রাখছে।
কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন যে বিষয়টি আমাকে অবাক করেছে, তা হল, বিভিন্ন ধরনের বৃহৎ কোম্পানিসমূহ লিনাক্স ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে ওপেন সোর্স প্রজেক্টসমূহকে উন্নয়নের জন্য কি দৃঢ়ভাবেই না ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
শুধু ২০১৩ সালেই লিনাক্স ফাউন্ডেশন AllSeen Alliance কে একত্রিত করেছে ইন্টারনেট বিষয়ক কাজ করার জন্য, ওপেন সোর্স বায়োলজিক্যাল রিসার্চের জন্য OpenBEL; সবধরনের সফটওয়্যার ডিফাইনড নেটওয়ার্কের (SDN) জন্য OpenDaylight; এবং Xen প্রজেক্ট ও KVM ভার্চুয়ালাইজেশনের জন্য Open Virtualization Alliance ও Xen virtualization।
এবং এটা শুধুমাত্র লিনাক্স ফাউন্ডেশনই করছে না । ফেসবুকের ওপেন কম্পিউট প্রজেক্ট ওপেন সোর্স পদ্ধতিকে ডেটা সেন্টারে নিয়ে এসেছে। এপাচি Hadoop এর মত প্রজেক্টকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ব্যাপক ডেটা প্রসেসিং এর জন্য এবং সার্চের জন্য Lucene এবং Solr।
এ সব বড় প্রজেক্টের মাঝে একটি সাধারন মিল বিদ্যমান আর তা হলো- পূর্বের শত্রুসম প্রতিযোগীদেরকে একত্রে মিলেমিশে কাজ করানো। তাই বলে ভাববেন না, কোম্পানিগুলি ওপেন সোর্সের জাদু বা নৈতিক ভাবাদর্শের কারনে এ সমস্ত কাজ করছে । বরং তারা ওপেন সোর্স ব্যবহার করছে এ কারনে যে, এটি তাদেরকে সব থেকে কম খরচে সব চেয়ে কোয়ালিটি সম্পন্ন সফটওয়্যার তৈরির সুযোগ দিচ্ছে । যৌক্তিকভাবে বলা যায় যে, কোম্পানিসমূহ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা বিচ্ছিন্নভাবে অসম্পূর্ন, মালিকানাধীন প্রোগ্রাম তৈরির বিপরীতে ব্যবসা সফল একীভূত ওপেন সফটওয়্যার তৈরী করবে।
২. ক্রোমবুকের উত্থান
গুগলের লিনাক্স চালিত ক্রোমবুক কতটা জনপ্রিয় সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে তবে এটা সত্য যে, ক্রোম বুক খুব দ্রুত ব্যবহারকারীর দৃষ্টি আকর্ষন করতে সমর্থ হয়েছে।
OEM হিসেবে ডেল ছিল সর্বশেষ কোন কোম্পানি যারা ক্রোম ব্যবহার করে কোন মেশিন বাজারজাত করতো না । কিন্তু তারাও সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০১৪ সালের শুরুতে ক্রোমবুক নিয়ে আসার। বৃহৎ ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি এলজি ক্রোম ওএস এর জন্য একটি নতুন রূপ নিয়ে হাজির হয়েছে যার নাম ক্রোমবেস। এটি একটি অল-ইন-ওয়ান পিসি যা ক্রোম ওএস কে ২১.৫ ইঞ্চি ও ১৯২০ x ১০৯০ ফুল এইডি রেজুলেশনের একটি বড় ডিসপ্লেতে সমন্বিত করেছে।
এটাও মনে হচ্ছে, এন্ড্রয়েড নিজেই ডেস্কটপের দিকে ধাবিত হতে শুরু করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী PC Plus এ ধরনের মেশিন তৈরির পথে অনেকখানি এগিয়েছে। এ ধরনের ল্যাপটপে উইন্ডোজ ৮.১ ও এন্ড্রয়েড উভয়ই থাকবে যা আগামী জানুয়ারীতে লাগ ভেগাসের সিইএস এক্সপোতে উম্মোচিত হতে যাচ্ছে।
উইন্ডোজ ৮.১ তার পূর্ববর্তী ভার্সনসমূহের মত দ্রুত মার্কেট শেয়ার অর্জনের লক্ষ্যে এক বন্ধুর পথ পরিক্রমায় রত এবং মাইক্রোসফটকে এখন সার্ফেস নিয়ে নিজস্ব পিসি পার্টনারদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে, তাই এটা মোটে ও অবাক করার মত বিষয় নয় যে, লিনাক্সের ডেস্কটপ মার্কেটে প্রতিযোগিতা এর নিজস্ব হার্ডকোর ব্যবহারকারীদের সীমানা পেরিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
৩. স্টিম ওএসঃ মূলধারার লিনাক্স গেমিং এর আগমন
একটি প্রধান গেমিং কোম্পানী হিসেবে Valve এর স্টিম ওএস রিলিজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হয়ে দেখা দিয়েছে ডেস্কটপ মার্কেটে। মূলতঃ এটি একটি ডেবিয়ান নির্ভর লিনাক্স যা লিনাক্স পিসি গেমিং এর উদ্দেশ্যেই বিশেষভাবে ডিজাইনকৃত।
Valve এর এরকম সিদ্ধান্তের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য অন্যান্য কোম্পানীর মত নয় যারা লিনাক্স ও ওপেন সোর্সে বিনিয়োগ করছে তাদের লিনাক্সের প্রতি উষ্ণ, আন্তরিক মনোভাবের কারনে। বছরের শুরুতে Valve এর বিলিয়নিয়ার চিফ এক্সিকিউটিভ গেব নিওয়েল মতামত দিয়েছেন এভাবে - “না, Valve তার নিজস্ব ডেস্কটপ লিনাক্স এবং স্টিম মেশিন, ডেডিকেটেড গেমিং কনসোল রিলিজ করেছে এ জন্য যে পিসির জগতে উইন্ডোজ ৮ একটি বড়সড় বিপর্যয় নিয়ে এসেছে।”
Valve এর মতে লিনাক্স হচ্ছে কম্পিউটিংয়ের ভবিষ্যত।
৪. ক্লাউড কম্পিউটিং- লিনাক্স যেখানে সর্বত্র
ডেস্কটপে আপনি লিনাক্সের উত্থান নিয়ে সন্দিহান থাকতে পারেন তবে ক্লাউড কম্পিউটিংএ লিনাক্সের প্রভাব নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। মাইক্রোসফটের Azure প্লাটফর্ম বাদে সকল প্রধান সফটওয়্যার প্লাটফর্ম যেমন এ্যামাজনের EC2 ক্লাউড, গুগল Compute Engine এবং বিভিন্ন OpenStack সফটওয়্যারসমূহ – সবাই লিনাক্স এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার এর উপর নির্ভরশীল। জনপ্রিয়তা লাভের কারনেই Azure প্লাটফর্মে আপনি উবুন্টু, সেন্টওএস, Suse লিনাক্স এন্টারপ্রাইজ সার্ভার এবং OpenSuse চালাতে পারেন।
আপনি যদি আইটির জন্য শীঘ্রই ক্লাউড ব্যবহার করার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে জোর সম্ভাবনা রয়েছে লিনাক্স ব্যবহারের। তাই হিসাবটা বর্তমানে খুব সহজ এবং এটা অনুমান করে নিতে হয় না।
৫. মোবাইল কম্পিউটিংয়ে রাজত্বঃ এন্ড্রয়েড
ডেস্কটপ বাদেই, এন্ড্রয়েড আকারে লিনাক্স, বর্তমানে ব্যবহারকারীদের মাঝে রাজত্ব শুরু করে দিয়েছে। স্মার্টফোন জগতে এ্যাপল আইওএস এর থেকে একটি সহজ অগ্রগামীতা দিয়ে এন্ড্রয়েড তার যাত্রা শুরু করেছে। এ বছরের মাঝামাঝি এন্ড্রয়েড ট্যাবলেটের মার্কেট শেয়ার আইপ্যাড লাইনকে এক প্রকার উড়িয়ে দিয়েছে বলা যায়। এন্ড্রয়েড বর্তমানে এক নাম্বার মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম। বর্তমানে একমাত্র বাস্তবতা হচ্ছে এন্ড্রয়েড, আইওএস এর পরে তৃতীয় স্থানটি হবে কার।
প্রকৃতপক্ষে পিসির মার্কেট ক্রমশঃ সংকুচিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, ভবিষ্যতে সকল ধরনের প্লাটফর্মের মধ্যে এন্ড্রয়েড হতে পারে সব থেকে বেশী ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম।
সংক্ষেপে এগুলিই ছিল এ বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনা সমূহ। অর্থাৎ এটি এমন একটি বছর যেখানে লিনাক্স জগতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী তেমন কোন ঘটনা নেই কিন্তু লিনাক্স ও ওপেন সোর্স সকল ধরনের কম্পিউটিংয়ে তার সফল পদচারনা ও প্রভাব বিস্তার অব্যাহত রেখে চলেছে। লিনাক্স ফাউন্ডেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ জিম জেমলিন সম্প্রতি ঘোষনা দিয়েছেন, ২০১৩ সাল ছিল "Linux on Everything"
তিনি পুরোপুরি সঠিক বলেছেন এবং সামনের বছরগুলিতে আমরা আরও বেশী লিনাক্সকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে দেখবো।
মূল লিংক- http://www.zdnet.com/5-top-linux-and-op … 000024621/
নতুনভাবে যারা জিএনইউ/লিনাক্স দিয়ে শুরু করতে চান তাদের জন্য কিছু টিপস
সিকিউরিটি সমস্যা/ ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইউএসএর
বিরূদ্ধে গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগ আমরা ইতিমধ্যে শুনছি প্রতিনিয়ত। ইউএসএ
বেজড কোন কোম্পানির ক্লোজড সোর্স ওএস ব্যবহার করা তাই এখন বেশ ভয়ের কারন।
কে জানে হয়তো আপনার অগোচরেই সাধের উইন্ডোজ আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এনএসএর
সার্ভারে পাঠিয়ে দিচ্ছে। তাই অনেকেই এখন লিনাক্সের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
কিন্তু লিনাক্স ইনস্টলের পর শুরু হয় আসল পরীক্ষা।
আপনার মডেমটি দিয়ে নেট কানেকশন পাচ্ছেন না।
আপনার প্রিন্টারটি লিনাক্স সাপোর্ট করছে না।
আপনার ল্যাপটপটির গ্রাফিক্স রেজুলেশন ঠিকমত আসছে না।
আপনার পছন্দের গেমস চালাতে পারছেন না।
লিনাক্সে ফটোশপ, বিজয় চলে না।
ইত্যাদি আরো অনেক অনেক সমস্যা।
তাই লিনাক্স দিয়ে শুরুর আগেই কিছু পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিন।
১. যদি নতুন কোন ডেস্কটপ/ল্যাপটপ কিনে লিনাক্স ব্যবহার করতে চান তবে- প্রথমে পেনড্রাইভে লাইভ হিসেবে লিনাক্স ইনস্টল করে নিন unetbootin দিয়ে।
২. দোকানে গিয়ে পেনড্রাইভ দিয়ে মেশিনটি বুট করে দেখে নিন লিনাক্সে সব কিছু ঠিকমত চলে কিনা?
৩. মডেম, প্রিন্টার, স্ক্যানার ইত্যাদি কেনার আগেই দেখে নিন লিনাক্স সাপোর্টেড কিনা? প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকলেই কিনবেন না। বরং ফোরাম বা নেটে গিয়ে সার্চ দিয়ে দেখে নিন বা প্রশ্ন করে জিজ্ঞাসা করুন সেটি চলবে কিনা? এজন্য প্রজন্ম ফোরামের এ লিংকে যেতে পারেন-
http://forum.projanmo.com/topic45998.html
৪. লিনাক্সের বিভিন্ন ডিস্ট্রো থেকে অন্ততঃ দুটি জনপ্রিয় ডিস্ট্রোর সিডি/ডিভিডি যোগাড় করুন। তাতে আপনার সুবিধা হবে। একটি ডিস্ট্রোতে মনিটর, প্রিন্টার, স্ক্যানার ইত্যাদি ড্রাইভার সাপোর্ট না পেলে অন্যটিতে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমি হাতের কাছে - লিনাক্স মিন্ট ও ডেবিয়ানের ডিভিডি রাখি।
ডিস্ট্রো খোজার জন্য যান - http://distrowatch.com/
৫. উইন্ডোজে যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করেন লিনাক্সে তার বিকল্প একটি তালিকা তৈরি করুন। যেমন-
মাইক্রোসফট অফিস - বিকল্প - লিব্রে অফিস/ ওপেন অফিস
উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার - বিকল্প - ফায়ারফক্স/আইসউইজেল/ক্রোমিয়াম
আউটলুক এক্সপ্রেস - বিকল্প - থান্ডারবার্ড/আইসডাভ
বিজয় কি-বোর্ড - বিকল্প - SCIM Input Method (bn-unijoy, probhat, national)
ফটোশপ - বিকল্প - GIMP
উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার - বিকল্প - VLC Media Player
এমএসপেইন্ট - বিকল্প - মাই পেইন্ট
নোটপ্যাড - বিকল্প - Gedit/Kwrite/
লিনাক্সের জন্য কয়েকটি প্রোগ্রামিং এডিটর - Netbeans, Eclipse, codeblocks, kdevelop
লিনাক্সের জন্য কয়েকটি গেমস - lbreakout, chromium-bsu, neverball, dreamchess, secret mario chronicles, torcs
৬. লিনাক্স ইনস্টল করার সময় বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পার্টিশন করার বিষয়টি অনেকে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। এজন্য gparted দিয়ে লিনাক্সের লাইভ সিডি থেকে কিভাবে পার্টিশন করা যায় সুন্দরভাবে তা ইন্টারনেট ঘেটে শিখে নিন। এটি না জানা থাকলে হার্ডডিস্কের সব তথ্য গায়েব হয়ে যেতে পারে।
৭. অনেকেই মনে করে থাকেন লিনাক্স ইনস্টল করা মানে উইন্ডোজ বাদ দেয়া। কিন্তু উইন্ডোজের পাশাপাশি ভিন্ন পার্টিশনে লিনাক্স ইনস্টল করা যায়। মেশিন বুটের সময় লিনাক্স/উইন্ডোজ যেটি চান সেটি সিলেক্ট করে দিলেই হল। ব্যস মেশিন সেটিতে চালূ হবে। তাই নির্ভয়ে এগিয়ে যেতে পারেন।
পাশাপাশি কিছুদিন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে গেলে পুরোপুরি উইন্ডোজ মুছে দিতে পারেন। যদিও তা না করলে কোন সমস্যা নেই।
৮. লিনাক্স ব্যবহার করার পর থেকে ছোট ছোট কিছু কমান্ড লাইনের কাজ শিখতে থাকুন। এটি না পারলেও কোন সমস্যা নেই। বেশীরভাগ কাজ লিনাক্সে গ্রাফিক্যালী করা যায়। তবে মেশিন কোন কারনে বুট না করলে বা কোন সমস্যা হলে যেমন - বুট মেনু/গ্রাব না পেলে, কোন প্রোগ্রামের কনফিগারেশন ফাইলে সমস্যা হলে - আপনার এ জ্ঞানটি কাজে লাগবে। এর ফলে পুনরায় লিনাক্স ইনস্টলের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন।
বেসিক কয়েকটি কমান্ড-
ls -al - To see the directory/Folder contents
df -h - To see the harddisk space information
free -m - To see the memory usage information
cp -R /src /dest - To copy src folder to dest folder
rm -rf /folder - To delete /folder
man command - To see the manual of the command
cd dir - To move to the dir
fdisk -l - To see the hardisk partitions
du -sh /path - To see the usage space of the /path
find /path -name "*file_name*" - To find a file in /path
lsusb - To see the usb devices
lspci - To see the pci devices
uname -a - To see the kernel version
whoami - Current user
chmod -R 777 /folder_or_file- To change the permission of folder or file
fsck /dev/sda9 - To scan/check the /dev/sda9 partition and fix them manually
ntfsfix /dev/sda1 - To fix a ntfs/windows partition from linux
এছাড়া যেকোন কমান্ডের প্রথম এক/দুটি অক্ষর লিখে দুবার Tab চাপুন তাহলে ঐ অক্ষরগুলি দিয়ে শুরু হওয়া কমান্ডের লিস্ট স্ক্রিনে দেখতে পাবেন। এটি বেশ কাজের।
৯. লিনাক্সের জন্য কমান্ড লাইন/শেল নির্ভর টেক্সট এডিটর রয়েছে বেশ কয়েকটি যেমন- vi, emacs, nano ইত্যাদি। এর যেকোন একটি শিখে নিন। এটিও বিপদের সময় কাজে লাগবে।
১০. সবসময় নিজেকে আপটুডেট রাখুন প্রযুক্তির বিষয়ে। নিয়মিত টেকসাইটগুলি ভিজিট করুন আর জানুন লিনাক্স সম্পর্কে। যেমন- www.distrowatch.com, http://www.tuxmachines.org/ ইত্যাদি।
www.4shared.com সাইটে গিয়ে লিনাক্সের কিছু বই ডাউনলোড করে নিন- Linux System Administration, Red Hat Linux ইত্যাদি দিয়ে সার্চ দিলে বই পেয়ে যাবেন।
আশা করি পরামর্শগুলি অনেকের কাজে লাগবে - সে প্রত্যাশায় শেষ করছি।
আপনার মডেমটি দিয়ে নেট কানেকশন পাচ্ছেন না।
আপনার প্রিন্টারটি লিনাক্স সাপোর্ট করছে না।
আপনার ল্যাপটপটির গ্রাফিক্স রেজুলেশন ঠিকমত আসছে না।
আপনার পছন্দের গেমস চালাতে পারছেন না।
লিনাক্সে ফটোশপ, বিজয় চলে না।
ইত্যাদি আরো অনেক অনেক সমস্যা।
তাই লিনাক্স দিয়ে শুরুর আগেই কিছু পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ নিন।
১. যদি নতুন কোন ডেস্কটপ/ল্যাপটপ কিনে লিনাক্স ব্যবহার করতে চান তবে- প্রথমে পেনড্রাইভে লাইভ হিসেবে লিনাক্স ইনস্টল করে নিন unetbootin দিয়ে।
২. দোকানে গিয়ে পেনড্রাইভ দিয়ে মেশিনটি বুট করে দেখে নিন লিনাক্সে সব কিছু ঠিকমত চলে কিনা?
৩. মডেম, প্রিন্টার, স্ক্যানার ইত্যাদি কেনার আগেই দেখে নিন লিনাক্স সাপোর্টেড কিনা? প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকলেই কিনবেন না। বরং ফোরাম বা নেটে গিয়ে সার্চ দিয়ে দেখে নিন বা প্রশ্ন করে জিজ্ঞাসা করুন সেটি চলবে কিনা? এজন্য প্রজন্ম ফোরামের এ লিংকে যেতে পারেন-
http://forum.projanmo.com/topic45998.html
৪. লিনাক্সের বিভিন্ন ডিস্ট্রো থেকে অন্ততঃ দুটি জনপ্রিয় ডিস্ট্রোর সিডি/ডিভিডি যোগাড় করুন। তাতে আপনার সুবিধা হবে। একটি ডিস্ট্রোতে মনিটর, প্রিন্টার, স্ক্যানার ইত্যাদি ড্রাইভার সাপোর্ট না পেলে অন্যটিতে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমি হাতের কাছে - লিনাক্স মিন্ট ও ডেবিয়ানের ডিভিডি রাখি।
ডিস্ট্রো খোজার জন্য যান - http://distrowatch.com/
৫. উইন্ডোজে যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করেন লিনাক্সে তার বিকল্প একটি তালিকা তৈরি করুন। যেমন-
মাইক্রোসফট অফিস - বিকল্প - লিব্রে অফিস/ ওপেন অফিস
উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার - বিকল্প - ফায়ারফক্স/আইসউইজেল/ক্রোমিয়াম
আউটলুক এক্সপ্রেস - বিকল্প - থান্ডারবার্ড/আইসডাভ
বিজয় কি-বোর্ড - বিকল্প - SCIM Input Method (bn-unijoy, probhat, national)
ফটোশপ - বিকল্প - GIMP
উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার - বিকল্প - VLC Media Player
এমএসপেইন্ট - বিকল্প - মাই পেইন্ট
নোটপ্যাড - বিকল্প - Gedit/Kwrite/
লিনাক্সের জন্য কয়েকটি প্রোগ্রামিং এডিটর - Netbeans, Eclipse, codeblocks, kdevelop
লিনাক্সের জন্য কয়েকটি গেমস - lbreakout, chromium-bsu, neverball, dreamchess, secret mario chronicles, torcs
৬. লিনাক্স ইনস্টল করার সময় বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পার্টিশন করার বিষয়টি অনেকে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। এজন্য gparted দিয়ে লিনাক্সের লাইভ সিডি থেকে কিভাবে পার্টিশন করা যায় সুন্দরভাবে তা ইন্টারনেট ঘেটে শিখে নিন। এটি না জানা থাকলে হার্ডডিস্কের সব তথ্য গায়েব হয়ে যেতে পারে।
৭. অনেকেই মনে করে থাকেন লিনাক্স ইনস্টল করা মানে উইন্ডোজ বাদ দেয়া। কিন্তু উইন্ডোজের পাশাপাশি ভিন্ন পার্টিশনে লিনাক্স ইনস্টল করা যায়। মেশিন বুটের সময় লিনাক্স/উইন্ডোজ যেটি চান সেটি সিলেক্ট করে দিলেই হল। ব্যস মেশিন সেটিতে চালূ হবে। তাই নির্ভয়ে এগিয়ে যেতে পারেন।
পাশাপাশি কিছুদিন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে গেলে পুরোপুরি উইন্ডোজ মুছে দিতে পারেন। যদিও তা না করলে কোন সমস্যা নেই।
৮. লিনাক্স ব্যবহার করার পর থেকে ছোট ছোট কিছু কমান্ড লাইনের কাজ শিখতে থাকুন। এটি না পারলেও কোন সমস্যা নেই। বেশীরভাগ কাজ লিনাক্সে গ্রাফিক্যালী করা যায়। তবে মেশিন কোন কারনে বুট না করলে বা কোন সমস্যা হলে যেমন - বুট মেনু/গ্রাব না পেলে, কোন প্রোগ্রামের কনফিগারেশন ফাইলে সমস্যা হলে - আপনার এ জ্ঞানটি কাজে লাগবে। এর ফলে পুনরায় লিনাক্স ইনস্টলের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন।
বেসিক কয়েকটি কমান্ড-
ls -al - To see the directory/Folder contents
df -h - To see the harddisk space information
free -m - To see the memory usage information
cp -R /src /dest - To copy src folder to dest folder
rm -rf /folder - To delete /folder
man command - To see the manual of the command
cd dir - To move to the dir
fdisk -l - To see the hardisk partitions
du -sh /path - To see the usage space of the /path
find /path -name "*file_name*" - To find a file in /path
lsusb - To see the usb devices
lspci - To see the pci devices
uname -a - To see the kernel version
whoami - Current user
chmod -R 777 /folder_or_file- To change the permission of folder or file
fsck /dev/sda9 - To scan/check the /dev/sda9 partition and fix them manually
ntfsfix /dev/sda1 - To fix a ntfs/windows partition from linux
এছাড়া যেকোন কমান্ডের প্রথম এক/দুটি অক্ষর লিখে দুবার Tab চাপুন তাহলে ঐ অক্ষরগুলি দিয়ে শুরু হওয়া কমান্ডের লিস্ট স্ক্রিনে দেখতে পাবেন। এটি বেশ কাজের।
৯. লিনাক্সের জন্য কমান্ড লাইন/শেল নির্ভর টেক্সট এডিটর রয়েছে বেশ কয়েকটি যেমন- vi, emacs, nano ইত্যাদি। এর যেকোন একটি শিখে নিন। এটিও বিপদের সময় কাজে লাগবে।
১০. সবসময় নিজেকে আপটুডেট রাখুন প্রযুক্তির বিষয়ে। নিয়মিত টেকসাইটগুলি ভিজিট করুন আর জানুন লিনাক্স সম্পর্কে। যেমন- www.distrowatch.com, http://www.tuxmachines.org/ ইত্যাদি।
www.4shared.com সাইটে গিয়ে লিনাক্সের কিছু বই ডাউনলোড করে নিন- Linux System Administration, Red Hat Linux ইত্যাদি দিয়ে সার্চ দিলে বই পেয়ে যাবেন।
আশা করি পরামর্শগুলি অনেকের কাজে লাগবে - সে প্রত্যাশায় শেষ করছি।
প্রিয় কিছু এন্ড্রয়েড সফটওয়্যার- পর্ব- ২
আজ আরও কয়েকটি প্রয়োজনীয় এন্ড্রয়েড সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করবো। আসুন শুরু করি-
১. Pocket - অনলাইনে আর্টিকেল পড়ার সময় মনে হলো এটি অফলাইনের জন্য সংরক্ষন করা দরকার বা প্রিয় কিছু আর্টিকেল এর লিংক মোবাইল, ডেস্কটপ, ল্যাপটপ সব জায়গা থেকে দেখতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য। অসাধারন কনসেপ্ট। ব্যবহার করলে নিশ্চয়ই পছন্দ হবে। এমনকি ডেস্কটপের ব্রাউজারে এডঅন ইনস্টল করে নিলে ডেস্কটপ থেকেও সব লিংক গুলি পড়তে পারেবন।
২. Bengali Dictionary Offline - নাম শুনেই বুঝতে পারছেন কি কাজে লাগে সফটওয়্যারটি। তবে এর বিশেষত্ব হলো এটি ইংলিশ থেকে বাংলা এবং বাংলা থেকে ইংলিশ যেকোনটি সার্চ করতে পার। সফটওয়্যারটির সাইজ বেশ ছোট হলেও এর শব্দভান্ডার একেবারে কম নয়। এটি সমার্থক শব্দগুলিও দেখিয়ে থাকে। তাছাড়া কোন শব্দ পরবর্তীতে মনে রাখার জন্য একটি আলাদা লিস্ট সংরক্ষনের ব্যবস্থা আছে। এছাড়া কুইজ, গেম ইত্যাদির ব্যবস্থা ও আছে সফটওয়্যারটিতে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য। তবে বাংলা শব্দ দিয়ে সার্চ করার জন্য অবশ্যই বাংলা লেখার কি-বোর্ড ইনস্টল করতে হবে।
৩. PDF Viewer - চমৎকার একটি পিডিএফ রিডার সফটওয়্যার। লাইটওয়েট, ফ্লেক্সিবল এবং অসংখ্য কাস্টোমাইজেশন ফিচার সম্বলিত সফটওয়্যর এটি। যেমন আমার পছন্দের কয়েকটি হল- পিডিএফ ফাইল ওপেন থাকা অবস্থায় স্ক্রিন লক অপশন (অর্থাৎ স্ক্রিনের লাইট অন থাকবে), নাইট মোড (কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে সাদা লেখা দেখানো), স্ক্রল ফিচার( স্ক্রিনের নিচে বা ওপরে একটি করে টাচ করলে নির্দিষ্ট দূরত্ব স্ক্রল করবে), স্ক্রিনে ডাবল ক্লিক করলে অপশন মেনু আসে (এডোবিতে লেখা বড় হয়ে যায় যা মাঝে মাঝে পড়ার সময় ঝামেলা করে-কারন ফোন স্লো হয়ে গেলে আপনি টাচ করলেন স্ক্রলের জন্য কিন্তু তার বদলে জুম হয়ে গেল-যা সমস্যা!)। এ সফটওয়্যারটিতে এ সব ঝামেলা একেবারে নেই। তাছাড়া এটি অনেক ফাস্ট কারন সাইজ ছোট- মাত্র ৩.৫০ মেগাবাইটের মত।
৪. Prayer Times - নামাজের সময় দেখানোর সফটওয়্যার। অফলাইনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন শহরের সময় দেখানোর ব্যবস্থা আছে।
৫. QPython+ - যারা পাইথনে প্রোগ্রামিং করতে ভালবাসেন তাদের জন্য। কম্পাইলার, এডিটর সবকিছু বান্ডেলড আছে সফটওয়্যারটিতে। ইনস্টল করুন আর কোডিংয়ে লেগে যান। আর এটি অবশ্যই ফ্রি।
৬. Unit Converter - এক ইউনিট থেকে আরেক ইউনিটে কনভার্ট করার অসাধারন সফট। যেমন- ফুট থেকে মিটার, কিলোগ্রাম থেকে পাউন্ড ইত্যাদি। প্রচলিত প্রায় সব ধরনের ইউনিট খুজে পাবেন সফটটিতে। এমনকি অনলাইন চালু থাকলে মুদ্রার বিনিময় হারের সর্বশেষ রেট ও পাবেন এটিতে।
৭. Zedge - মোবাইলের রিং টোন, ওয়ালপেপার, থিম ইত্যাদির বহু কালেকশন রয়েছে সফটওয়্যারটিতে। নেট চালু করে সফটওয়্যারটি দিয়ে ফ্রি সেগুলি নামিয়ে নিতে পারবেন আপনার মোবাইলের জন্য।
১. Pocket - অনলাইনে আর্টিকেল পড়ার সময় মনে হলো এটি অফলাইনের জন্য সংরক্ষন করা দরকার বা প্রিয় কিছু আর্টিকেল এর লিংক মোবাইল, ডেস্কটপ, ল্যাপটপ সব জায়গা থেকে দেখতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য। অসাধারন কনসেপ্ট। ব্যবহার করলে নিশ্চয়ই পছন্দ হবে। এমনকি ডেস্কটপের ব্রাউজারে এডঅন ইনস্টল করে নিলে ডেস্কটপ থেকেও সব লিংক গুলি পড়তে পারেবন।
২. Bengali Dictionary Offline - নাম শুনেই বুঝতে পারছেন কি কাজে লাগে সফটওয়্যারটি। তবে এর বিশেষত্ব হলো এটি ইংলিশ থেকে বাংলা এবং বাংলা থেকে ইংলিশ যেকোনটি সার্চ করতে পার। সফটওয়্যারটির সাইজ বেশ ছোট হলেও এর শব্দভান্ডার একেবারে কম নয়। এটি সমার্থক শব্দগুলিও দেখিয়ে থাকে। তাছাড়া কোন শব্দ পরবর্তীতে মনে রাখার জন্য একটি আলাদা লিস্ট সংরক্ষনের ব্যবস্থা আছে। এছাড়া কুইজ, গেম ইত্যাদির ব্যবস্থা ও আছে সফটওয়্যারটিতে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য। তবে বাংলা শব্দ দিয়ে সার্চ করার জন্য অবশ্যই বাংলা লেখার কি-বোর্ড ইনস্টল করতে হবে।
৩. PDF Viewer - চমৎকার একটি পিডিএফ রিডার সফটওয়্যার। লাইটওয়েট, ফ্লেক্সিবল এবং অসংখ্য কাস্টোমাইজেশন ফিচার সম্বলিত সফটওয়্যর এটি। যেমন আমার পছন্দের কয়েকটি হল- পিডিএফ ফাইল ওপেন থাকা অবস্থায় স্ক্রিন লক অপশন (অর্থাৎ স্ক্রিনের লাইট অন থাকবে), নাইট মোড (কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে সাদা লেখা দেখানো), স্ক্রল ফিচার( স্ক্রিনের নিচে বা ওপরে একটি করে টাচ করলে নির্দিষ্ট দূরত্ব স্ক্রল করবে), স্ক্রিনে ডাবল ক্লিক করলে অপশন মেনু আসে (এডোবিতে লেখা বড় হয়ে যায় যা মাঝে মাঝে পড়ার সময় ঝামেলা করে-কারন ফোন স্লো হয়ে গেলে আপনি টাচ করলেন স্ক্রলের জন্য কিন্তু তার বদলে জুম হয়ে গেল-যা সমস্যা!)। এ সফটওয়্যারটিতে এ সব ঝামেলা একেবারে নেই। তাছাড়া এটি অনেক ফাস্ট কারন সাইজ ছোট- মাত্র ৩.৫০ মেগাবাইটের মত।
৪. Prayer Times - নামাজের সময় দেখানোর সফটওয়্যার। অফলাইনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন শহরের সময় দেখানোর ব্যবস্থা আছে।
৫. QPython+ - যারা পাইথনে প্রোগ্রামিং করতে ভালবাসেন তাদের জন্য। কম্পাইলার, এডিটর সবকিছু বান্ডেলড আছে সফটওয়্যারটিতে। ইনস্টল করুন আর কোডিংয়ে লেগে যান। আর এটি অবশ্যই ফ্রি।
৬. Unit Converter - এক ইউনিট থেকে আরেক ইউনিটে কনভার্ট করার অসাধারন সফট। যেমন- ফুট থেকে মিটার, কিলোগ্রাম থেকে পাউন্ড ইত্যাদি। প্রচলিত প্রায় সব ধরনের ইউনিট খুজে পাবেন সফটটিতে। এমনকি অনলাইন চালু থাকলে মুদ্রার বিনিময় হারের সর্বশেষ রেট ও পাবেন এটিতে।
৭. Zedge - মোবাইলের রিং টোন, ওয়ালপেপার, থিম ইত্যাদির বহু কালেকশন রয়েছে সফটওয়্যারটিতে। নেট চালু করে সফটওয়্যারটি দিয়ে ফ্রি সেগুলি নামিয়ে নিতে পারবেন আপনার মোবাইলের জন্য।
রিলিজ হল বহু প্রতিক্ষীত ডেবিয়ান জিএনইউ/লিনাক্স ৭.০ (কোড নেম wheezy)
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত ৪ মে, ২০১৩ তারিখ ডেবিয়ান জিএনইউ/লিনাক্সের ৭.০ ভার্সন (কোড নেম wheezy) রিলিজ হয়েছে।
এটি একটি স্ট্যাবল ভার্সন এবং কমপক্ষে ২ বছর ধরে এটি সারাবিশ্বে ব্যবহৃত হতে থাকবে আশা করা যায়। কারন ডেবিয়ান নির্দিষ্ট মেয়াদ পর পর ভার্সন রিলিজ দেয় না বরং যখন কমিউনিটি মনে করে একটি স্ট্যাবল ভার্সন প্রস্তুত তখনই তারা রিলিজ দিয়ে থাকে ।
আর এটিই মূলত ডেবিয়ান লিনাক্সের মূল শক্তি যা একে প্রকৃত পক্ষে একটি ইউনিভার্সাল অপারেটিং সিস্টেমে পরিনত করেছে। কোথায় নেই ডেবিয়ান- ডেস্কটপ থেকে নেটবুক, ডেভেলপমেন্ট সার্ভার থেকে ক্লাস্টার সিস্টেম, ডাটা সার্ভার, ওয়েব সার্ভার, স্টোরেজ সার্ভার ইত্যাদি ইত্যাদি। অসম্ভব রিলায়েবল এবং বাগ ফিক্সড হয়ে থাকে এদের একেকটি ভার্সন।
ডেবিয়ান ৭.০ ভার্সনে একটি ইউনিক ফিচার যুক্ত হয়েছে- মাল্টি আর্কিটেকচার সাপোর্ট। ফলে একটি পিসিতে একই সাথে ৩২বিট এবং ৬৪বিটের সফটওয়্যার ইনস্টল করা যাবে এবং ডিপেনডেন্সী সমস্যাগুলি নিজেই সমাধান করে নেবে।
এ ভার্সনে বেশ কিছু সফটওয়্যারের আপডেট ভার্সন দেয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলঃ
Apache 2.2.22
Asterisk 1.8.13.1
GIMP 2.8.2
an updated version of the GNOME desktop environment 3.4
GNU Compiler Collection 4.7.2
Icedove 10 (an unbranded version of Mozilla Thunderbird)
Iceweasel 10 (an unbranded version of Mozilla Firefox)
KDE Plasma Workspaces and KDE Applications 4.8.4
kFreeBSD kernel 8.3 and 9.0
LibreOffice 3.5.4
Linux 3.2
MySQL 5.5.30
Nagios 3.4.1
OpenJDK 6b27 and 7u3
Perl 5.14.2
PHP 5.4.4
PostgreSQL 9.1
Python 2.7.3 and 3.2.3
Samba 3.6.6
Tomcat 6.0.35 and 7.0.28
Xen Hypervisor 4.1.4
the Xfce 4.8 desktop environment
X.Org 7.7
মোট নয়টি প্রসেসর আর্কিটেকচার সাপোর্ট রয়েছে ডেবিয়ান ৭.০ তে। এগুলি হল-
32-bit PC / Intel IA-32 (i386)
64-bit PC / Intel EM64T / x86-64 (amd64)
Motorola/IBM PowerPC (powerpc)
Sun/Oracle SPARC (sparc)
MIPS (mips (big-endian)
mipsel (little-endian)),
Intel Itanium (ia64),
IBM S/390 (31-bit s390 and 64-bit s390x),
এবং ARM EABI
যা যেকোন ডিস্ট্রিবিউশনের চাইতে বেশী।
বেশ কয়েকটি ডেস্কটপ এনভারোনমেন্ট ডেবিয়ান সাপোর্ট দিয়ে থাকে- কেডিই, গ্নোম, এক্সএফসিই, এলএক্সডিই ইত্যাদি। ডিফল্ট ডেস্কটপ হিসেবে বরাবরের মতই গ্নোম দেয়া হয়েছে ডেবিয়ানের সাথে যা প্রথম সিডি/ডিভিডি ডাউনলোড করলেই পাবেন।
লিনাক্স মিন্ট, উবুন্টু, কুবুন্ট, জুবুন্টু, লুবুন্টু, নপিক্স, পেপারমিন্ট, মেপিস, পারদুস, জোরিন, স্নোলিনাক্স, সোলাস ওএস, ইলাইভ, বোধি লিনাক্স, এপটুসিড সহ প্রায় ২৫০ এর ও বেশী ডিস্ট্রো-র ভিত্তি হিসেবে ডেবিয়ান কাজ করে থাকে । ডেবিয়ান এর মূল চালিকা শক্তি এর শক্তিশালী কমিউনিটি । ডেবিয়ান প্রজেক্ট লিডার এর সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হন। তাই ডেবিয়ান সত্যিকারের ওপেন সোর্সের স্বাদ দিয়ে থাকে। এটি উবুন্টু বা রেড হ্যাটের মত কমার্শিয়াল হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তাই যত বেশী ডেবিয়ানকে আমরা ছড়িয়ে দিতে পারবো ততই আমাদের দেশের জন্য তা সম্ভাবনা বয়ে নিয়ে আসবে। এছাড়া ডেবিয়ানকে ভিত্তি করে আমরা নিজেদের জন্য কাস্টম কোন ডিস্ট্রো বানিয়ে নিতে পারি যা লিনাক্সের ভিত্তিকে আরো মজবুত করবে আমাদের দেশে।
বর্তমানে ডেবিয়ান লিনাক্সের লাইভ সিডি প্রজেক্ট রয়েছে যা উবুন্টু বা মিন্টের মতই ব্যবহার করা যায় এবং তা থেকে মেশিনে ইনস্টল ও করা যায়। এর জন্য দেখুন http://live.debian.net/cdimage/release/ … so-hybrid/
প্রথম ডিভিডিটি ডাউনলোড করা যথেষ্ট । এতে মোটামুটি সব ধরনের ব্যবহারিক প্রয়োজনীয় সফট দেয়া আছে। আর অতিরিক্ত সফট এর জন্য প্যাকেজ ম্যানেজার তো আছেই।
মূল ইনস্টলেশন ডিভিডি ডাউনলোডের জন্য দেখুন - http://cdimage.debian.org/debian-cd/7.0.0/i386/iso-dvd/
যদিও এ লিংকে অনেকগুলি ইমেজ দেয়া আছে তবে ইনস্টল/চালিয়ে দেখার জন্য প্রথম সিডি/ডিভিডি যথেষ্ট। বাকিগুলি রিপোজিটরী সিডি হিসেবে দেয়া হয়।
চালিয়ে দেখুন । ভাল লাগলে ইনস্টল করে দেখতে পারেন । আর সমস্যায় পড়লে এ থ্রেডে জানান । আশা করি ফোরামের অনেকেই সাহায্য করতে পারবেন ।
এটি একটি স্ট্যাবল ভার্সন এবং কমপক্ষে ২ বছর ধরে এটি সারাবিশ্বে ব্যবহৃত হতে থাকবে আশা করা যায়। কারন ডেবিয়ান নির্দিষ্ট মেয়াদ পর পর ভার্সন রিলিজ দেয় না বরং যখন কমিউনিটি মনে করে একটি স্ট্যাবল ভার্সন প্রস্তুত তখনই তারা রিলিজ দিয়ে থাকে ।
আর এটিই মূলত ডেবিয়ান লিনাক্সের মূল শক্তি যা একে প্রকৃত পক্ষে একটি ইউনিভার্সাল অপারেটিং সিস্টেমে পরিনত করেছে। কোথায় নেই ডেবিয়ান- ডেস্কটপ থেকে নেটবুক, ডেভেলপমেন্ট সার্ভার থেকে ক্লাস্টার সিস্টেম, ডাটা সার্ভার, ওয়েব সার্ভার, স্টোরেজ সার্ভার ইত্যাদি ইত্যাদি। অসম্ভব রিলায়েবল এবং বাগ ফিক্সড হয়ে থাকে এদের একেকটি ভার্সন।
ডেবিয়ান ৭.০ ভার্সনে একটি ইউনিক ফিচার যুক্ত হয়েছে- মাল্টি আর্কিটেকচার সাপোর্ট। ফলে একটি পিসিতে একই সাথে ৩২বিট এবং ৬৪বিটের সফটওয়্যার ইনস্টল করা যাবে এবং ডিপেনডেন্সী সমস্যাগুলি নিজেই সমাধান করে নেবে।
এ ভার্সনে বেশ কিছু সফটওয়্যারের আপডেট ভার্সন দেয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলঃ
Apache 2.2.22
Asterisk 1.8.13.1
GIMP 2.8.2
an updated version of the GNOME desktop environment 3.4
GNU Compiler Collection 4.7.2
Icedove 10 (an unbranded version of Mozilla Thunderbird)
Iceweasel 10 (an unbranded version of Mozilla Firefox)
KDE Plasma Workspaces and KDE Applications 4.8.4
kFreeBSD kernel 8.3 and 9.0
LibreOffice 3.5.4
Linux 3.2
MySQL 5.5.30
Nagios 3.4.1
OpenJDK 6b27 and 7u3
Perl 5.14.2
PHP 5.4.4
PostgreSQL 9.1
Python 2.7.3 and 3.2.3
Samba 3.6.6
Tomcat 6.0.35 and 7.0.28
Xen Hypervisor 4.1.4
the Xfce 4.8 desktop environment
X.Org 7.7
মোট নয়টি প্রসেসর আর্কিটেকচার সাপোর্ট রয়েছে ডেবিয়ান ৭.০ তে। এগুলি হল-
32-bit PC / Intel IA-32 (i386)
64-bit PC / Intel EM64T / x86-64 (amd64)
Motorola/IBM PowerPC (powerpc)
Sun/Oracle SPARC (sparc)
MIPS (mips (big-endian)
mipsel (little-endian)),
Intel Itanium (ia64),
IBM S/390 (31-bit s390 and 64-bit s390x),
এবং ARM EABI
যা যেকোন ডিস্ট্রিবিউশনের চাইতে বেশী।
বেশ কয়েকটি ডেস্কটপ এনভারোনমেন্ট ডেবিয়ান সাপোর্ট দিয়ে থাকে- কেডিই, গ্নোম, এক্সএফসিই, এলএক্সডিই ইত্যাদি। ডিফল্ট ডেস্কটপ হিসেবে বরাবরের মতই গ্নোম দেয়া হয়েছে ডেবিয়ানের সাথে যা প্রথম সিডি/ডিভিডি ডাউনলোড করলেই পাবেন।
লিনাক্স মিন্ট, উবুন্টু, কুবুন্ট, জুবুন্টু, লুবুন্টু, নপিক্স, পেপারমিন্ট, মেপিস, পারদুস, জোরিন, স্নোলিনাক্স, সোলাস ওএস, ইলাইভ, বোধি লিনাক্স, এপটুসিড সহ প্রায় ২৫০ এর ও বেশী ডিস্ট্রো-র ভিত্তি হিসেবে ডেবিয়ান কাজ করে থাকে । ডেবিয়ান এর মূল চালিকা শক্তি এর শক্তিশালী কমিউনিটি । ডেবিয়ান প্রজেক্ট লিডার এর সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাচিত হন। তাই ডেবিয়ান সত্যিকারের ওপেন সোর্সের স্বাদ দিয়ে থাকে। এটি উবুন্টু বা রেড হ্যাটের মত কমার্শিয়াল হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তাই যত বেশী ডেবিয়ানকে আমরা ছড়িয়ে দিতে পারবো ততই আমাদের দেশের জন্য তা সম্ভাবনা বয়ে নিয়ে আসবে। এছাড়া ডেবিয়ানকে ভিত্তি করে আমরা নিজেদের জন্য কাস্টম কোন ডিস্ট্রো বানিয়ে নিতে পারি যা লিনাক্সের ভিত্তিকে আরো মজবুত করবে আমাদের দেশে।
বর্তমানে ডেবিয়ান লিনাক্সের লাইভ সিডি প্রজেক্ট রয়েছে যা উবুন্টু বা মিন্টের মতই ব্যবহার করা যায় এবং তা থেকে মেশিনে ইনস্টল ও করা যায়। এর জন্য দেখুন http://live.debian.net/cdimage/release/ … so-hybrid/
প্রথম ডিভিডিটি ডাউনলোড করা যথেষ্ট । এতে মোটামুটি সব ধরনের ব্যবহারিক প্রয়োজনীয় সফট দেয়া আছে। আর অতিরিক্ত সফট এর জন্য প্যাকেজ ম্যানেজার তো আছেই।
মূল ইনস্টলেশন ডিভিডি ডাউনলোডের জন্য দেখুন - http://cdimage.debian.org/debian-cd/7.0.0/i386/iso-dvd/
যদিও এ লিংকে অনেকগুলি ইমেজ দেয়া আছে তবে ইনস্টল/চালিয়ে দেখার জন্য প্রথম সিডি/ডিভিডি যথেষ্ট। বাকিগুলি রিপোজিটরী সিডি হিসেবে দেয়া হয়।
চালিয়ে দেখুন । ভাল লাগলে ইনস্টল করে দেখতে পারেন । আর সমস্যায় পড়লে এ থ্রেডে জানান । আশা করি ফোরামের অনেকেই সাহায্য করতে পারবেন ।
প্রিয় কিছু এন্ড্রয়েড সফটওয়্যার- পর্ব- ১
ওয়াল্টনের প্রিমো জি-২ মোবাইল কেনার পর থেকে বেশ কিছু এন্ড্রয়েড সফটওয়্যার ব্যবহার করছি যেগুলি সত্যিই চমৎকার। এগুলির মধ্যে কয়েকটির বিবরন নিম্নে দিচ্ছি-
১. CamScanner - মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে স্ক্যান করে ডকুমেন্ট পিডিএফ করার জন্য অসাধারন একটি সফটওয়্যার।
২. CamCard - ভিজিটিং কার্ড মানিব্যাগে রাখতে রাখতে সাইজ বেঢপ হয়ে গেছে। চিন্তার কিছু নেই। এ সফটওয়্যার দিয়ে ভিজিটিং কার্ডগুলিকে স্ক্যান করে সংরক্ষন করুন আর হার্ডকপিগুলিকে ফেলে দিন। এ সফটওয়্যারটি স্ক্যান এর সাথে সাথে কার্ড থেকে কনট্যাক্ট ডিটেলসও সংরক্ষন করতে পারে।
৩. AirDroid - এটি দিয়ে আপনার মোবাইলটিকে ইন্টারনেট ছাড়াই ওয়াইফাই এর সাহায্যে ডেস্কটপ/ল্যাপটপ দিয়ে একসেস করতে পারবেন। এটির সাহায্যে ফাইল, মেসেজ, ছবি, সফটওয়্যার ইত্যাদি ডেস্কটপ/ল্যাপটপ থেকে মোবাইলে ট্রান্সফার করতে পারবেন।
৪. 920 Text Editor - অসাধারন একটি টেক্সট এডিটর। মোবাইলে যে কোন সোর্স কোড এডিট করতে পারবেন। এটি সিনট্যাক্স হাইলাইট করে থাকে অনেকগুলি ল্যাংগুয়েজের।
৫. AndroPHP - নাম শুনেই আন্দাজ করতে পারছেন হয়তো। এটি মোবাইলকে LAMP সার্ভারে পরিনত করবে। যেকোন ওয়েব এ্যাপ মোবাইলে চালাতে পারবেন। ইচ্ছা করলে ওয়াইফাই এর সাহায্যে আপনার নেটওয়ার্ক এর আওতায় থাকা যেকোন ল্যাপটপ/ডেস্কটপ উক্ত ওয়েব এ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে নেট কানেকশন ছাড়াই।
৬. Clean Master- বেশ কাজের একটি Memory Booster সফট। ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা এ্যাপগুলিকে মেমোরী থেকে বের করে মেশিনের স্পিড বাড়িয়ে দেয় এবং ব্যাটারীর চার্জ ও সংরক্ষন করে কার্যকরভাবে।
৭. Clean Music - নোকিয়া ফোনের মত ফোল্ডারের ভিত্তিতে গান শোনার সফটওয়্যার। যে ফোল্ডারে ব্রাউজ করবেন প্লে-লিস্টে সেই ফোল্ডারের গানগুলিকে শোনাতে থাকবে।
৮. ES File Explorer - চমৎকার একটি ফাইল ব্রাউজার সফট। লোকাল ফাইল ব্রাউজ করার সাথে সাথে অনলাইন স্টোরেজে রাখা ফাইল সার্ভার যেমন- ড্রপবক্স, স্কাইড্রাইভ, গুগল ড্রাইভের ফোল্ডারগুলি একসেস করতে পারে এবং সরাসরি মোবাইল থেকে এসব অনলাইন স্টোরেজ থেকে ফাইল কপি, পেস্ট করা যায়। বিপরীতভাবে উক্ত অনলাইন স্টোরেজ সমূহ থেকে ফাইল ডাউনলোড ও করা যায় আপনার মোবাইলে।
৯. Memor Bar Simple - স্ক্রিনের উপরে নোটিফিকেশন এরিয়াতে কতটুকু Ram ফাকা আছে তা প্রদর্শন করে থাকে। বেশ কাজের জিনিস।
১০. Battery Bar Simple - স্ক্রিনের উপরে নোটিফিকেশন এরিয়াতে কতুটুক ব্যাটারী চার্জ আছে তা % আকারে প্রদর্শন করে থাকে।
১১. Call Block - নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এর কাজ কি। অনাকাংখিত কল এড়ানোর জন্য মোবাইল কোম্পানিকে আর টাকা দিতে হবে না।
১২. Flashlight - মোবাইলকে টর্চ লাইট হিসেবে ব্যবহারে এর জুড়ি নেই। ফ্ল্যাশ লাইট না থাকলেও সামনের বড় স্ক্রিনকে আলোর উৎসে পরিনত করতে পারে।
১৩. Keep - টুকটাক নোট সংরক্ষনের সফটওয়্যার। এটি গুগল ড্রাইভের সাথে সিন্ক্রোনাইজ করে ব্যবহার করা যায়। বেশ ছোট ও স্মার্ট সফট।
১৪. Auto Resize Wallpaper - মোবাইলের যেকোন ছবি কে ওয়ালপেপার হিসেবে সেট জন্য চমৎকার সফট।
১. CamScanner - মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে স্ক্যান করে ডকুমেন্ট পিডিএফ করার জন্য অসাধারন একটি সফটওয়্যার।
২. CamCard - ভিজিটিং কার্ড মানিব্যাগে রাখতে রাখতে সাইজ বেঢপ হয়ে গেছে। চিন্তার কিছু নেই। এ সফটওয়্যার দিয়ে ভিজিটিং কার্ডগুলিকে স্ক্যান করে সংরক্ষন করুন আর হার্ডকপিগুলিকে ফেলে দিন। এ সফটওয়্যারটি স্ক্যান এর সাথে সাথে কার্ড থেকে কনট্যাক্ট ডিটেলসও সংরক্ষন করতে পারে।
৩. AirDroid - এটি দিয়ে আপনার মোবাইলটিকে ইন্টারনেট ছাড়াই ওয়াইফাই এর সাহায্যে ডেস্কটপ/ল্যাপটপ দিয়ে একসেস করতে পারবেন। এটির সাহায্যে ফাইল, মেসেজ, ছবি, সফটওয়্যার ইত্যাদি ডেস্কটপ/ল্যাপটপ থেকে মোবাইলে ট্রান্সফার করতে পারবেন।
৪. 920 Text Editor - অসাধারন একটি টেক্সট এডিটর। মোবাইলে যে কোন সোর্স কোড এডিট করতে পারবেন। এটি সিনট্যাক্স হাইলাইট করে থাকে অনেকগুলি ল্যাংগুয়েজের।
৫. AndroPHP - নাম শুনেই আন্দাজ করতে পারছেন হয়তো। এটি মোবাইলকে LAMP সার্ভারে পরিনত করবে। যেকোন ওয়েব এ্যাপ মোবাইলে চালাতে পারবেন। ইচ্ছা করলে ওয়াইফাই এর সাহায্যে আপনার নেটওয়ার্ক এর আওতায় থাকা যেকোন ল্যাপটপ/ডেস্কটপ উক্ত ওয়েব এ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে নেট কানেকশন ছাড়াই।
৬. Clean Master- বেশ কাজের একটি Memory Booster সফট। ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা এ্যাপগুলিকে মেমোরী থেকে বের করে মেশিনের স্পিড বাড়িয়ে দেয় এবং ব্যাটারীর চার্জ ও সংরক্ষন করে কার্যকরভাবে।
৭. Clean Music - নোকিয়া ফোনের মত ফোল্ডারের ভিত্তিতে গান শোনার সফটওয়্যার। যে ফোল্ডারে ব্রাউজ করবেন প্লে-লিস্টে সেই ফোল্ডারের গানগুলিকে শোনাতে থাকবে।
৮. ES File Explorer - চমৎকার একটি ফাইল ব্রাউজার সফট। লোকাল ফাইল ব্রাউজ করার সাথে সাথে অনলাইন স্টোরেজে রাখা ফাইল সার্ভার যেমন- ড্রপবক্স, স্কাইড্রাইভ, গুগল ড্রাইভের ফোল্ডারগুলি একসেস করতে পারে এবং সরাসরি মোবাইল থেকে এসব অনলাইন স্টোরেজ থেকে ফাইল কপি, পেস্ট করা যায়। বিপরীতভাবে উক্ত অনলাইন স্টোরেজ সমূহ থেকে ফাইল ডাউনলোড ও করা যায় আপনার মোবাইলে।
৯. Memor Bar Simple - স্ক্রিনের উপরে নোটিফিকেশন এরিয়াতে কতটুকু Ram ফাকা আছে তা প্রদর্শন করে থাকে। বেশ কাজের জিনিস।
১০. Battery Bar Simple - স্ক্রিনের উপরে নোটিফিকেশন এরিয়াতে কতুটুক ব্যাটারী চার্জ আছে তা % আকারে প্রদর্শন করে থাকে।
১১. Call Block - নাম শুনেই বুঝতে পারছেন এর কাজ কি। অনাকাংখিত কল এড়ানোর জন্য মোবাইল কোম্পানিকে আর টাকা দিতে হবে না।
১২. Flashlight - মোবাইলকে টর্চ লাইট হিসেবে ব্যবহারে এর জুড়ি নেই। ফ্ল্যাশ লাইট না থাকলেও সামনের বড় স্ক্রিনকে আলোর উৎসে পরিনত করতে পারে।
১৩. Keep - টুকটাক নোট সংরক্ষনের সফটওয়্যার। এটি গুগল ড্রাইভের সাথে সিন্ক্রোনাইজ করে ব্যবহার করা যায়। বেশ ছোট ও স্মার্ট সফট।
১৪. Auto Resize Wallpaper - মোবাইলের যেকোন ছবি কে ওয়ালপেপার হিসেবে সেট জন্য চমৎকার সফট।