সিস্টেম রেসকিউ টুলস-এক পেনড্রাইভে একাধিক অপারেটিং সিস্টেম

ছোট্ট একটি গল্প দিয়ে শুরু করি।

শাহেদ একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করে। ফার্মের বেশীরভাগই কাজই কম্পিউটারে করা হয়ে থাকে। কম্পিউটারে সে কিছুটা এক্সপার্ট হওয়াতে কোন ডেস্কের পিসিতে সমস্যা হলেই তার ডাক পড়ে। আগে সে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই উইন্ডোজ রি-ইনস্টল করে দিত। কিন্তু তা ছিল অনেক সময় সাপেক্ষ। উইন্ডোজ রি-ইনস্টলে ৪০/৫০ মিনিট সময় তো লাগতই সাথে আর ও ঘন্টা খানেক লাগত পুরো পিসির ডাটা রিকভারি ও অফিস সহ অন্যান্য সফটওয়্যার ইনস্টলে। তবে বিভিন্ন ফোরাম, ব্লগ ও ইন্টারনেট সাইটে ঘোরাঘুরি করে শাহেদ ধীরে ধীরে কম্পিউটার এর বিভিন্ন সমস্যাগুলিকে ডায়াগনোসিস করা শিখে গেছে। তাই সবক্ষেত্রেই উইন্ডোজ রি-ইনস্টল না করে প্রথমে এগুলিকে বিভিন্ন রেসকিউ টুলস এর মাধ্যমে ঠিক করার চেষ্টা করে থাকে এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সফল হয়। তবে এজন্য তাকে সাথে অনেকগুলি সিডি রাখতে হয় যেমনঃ ক্যাসপারস্কি রেসকিউ ডিস্ক, এভাস্ট বার্ট সিডি, হিরেন বুট সিডি ইত্যাদি। এছাড়া বেশ কয়েকটি লিনাক্সের লাইভ সিডি ও মাঝে মাঝে কাজে লাগে তার যেমনঃ পাপ্পি লিনাক্স, উবুন্তু লিনাক্স, ড্রিম লিনাক্স।

কয়েকদিন আগে এক বন্ধু তাকে পেন ড্রাইভে unetbootin দিয়ে কিভাবে লিনাক্স ইনস্টল করতে হয় তা বলে দেয়াতে সে এখন সাথে একটি পেন ড্রাইভ ও রাখে। পেন ড্রাইভে সে পাপ্পি লিনাক্স ইনস্টল করে নিয়েছে। এখন এটি ও বেশ কাজের একটি টুলস কারন অনেক কম্পিউটারে সিডি রম না থাকায় তাকে সাথে এক্সটারনাল সিডি রম বহন করতে হতো। যা আরও ঝামেলার মনে হত তার। কিন্তু অন্যান্য টুলস ব্যবহার করার জন্য তাকে আগের মতই সিডিরম ব্যবহার করতে হয়। এজন্য সে চাইছিল এমন একটি পদ্ধতি যাতে একটি পেন ড্রাইভেই সব ধরনের টুলস ইনস্টল করে ব্যবহার করা যায়। কারন তার পেনড্রাইভে অনেক ফাঁকা জায়গা অব্যবহৃত হয়ে আছে। আর বর্তমানে বেশীরভাগ পিসিতেই ইউএসবি ড্রাইভ/ পেনড্রাইভ থেকে বুট করার সুবিধা আছে। তাই নিঃসন্দেহে এ ধরনের একটি পেনড্রাইভ সাথে থাকলে অনেক সুবিধা। তাছাড়া বিভিন্ন এন্টিভাইরাসের ভাইরাস ডেফিনেশন ফাইলটি বারবার সিডিতে রাইট করে আপডেটের ঝামেলাও আর থাকে না। শুধুমাত্র ভাইরাস ডেফিনিশন ফাইলটিকে পেনড্রাইভের নির্দিষ্ট ফোল্ডারে কপি করে দিলেই এন্টিভাইরাস আপডেট হয়ে যাবে। তারপর পেনড্রাইভটিকে নিয়ে আক্রান্ত মেশিন বুট করে ভাইরাস ক্লিন করা থেকে শুরু করে যাবতীয় মেইনটেন্যান্সের কাজ দ্রুত করে নেয়া সম্ভব যেহেতু সিডি অপেক্ষা পেনড্রাইভের গতি অনেক বেশী হয়ে থাকে।

উপরের ঘটনাটি সাধারন ব্যবহারকারীদের মনে হয়ত নাও আসতে পারে - তবে যারা প্রতিনিয়ত এ ধরনের কাজ করে থাকেন তারা এরকম একটি টুলস এর প্রয়োজনীয়তা প্রায়ই অনুভব করে থাকেন। তাহলে আসুন কিভাবে এ ধরনের একটি টুলস তৈরী করে নিতে পারি তা দেখা যাক। এ টুলসটি উইন্ডোজ মেশিনের জন্য খুব দরকারী এবং লিনাক্স মেশিনেও ডাটা রিকভারী করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।


কি কি লাগবেঃ


১. একটি ১ গিগা পেনড্রাইভ (তবে ৪ গিগার উপরে না হওয়াই ভাল) - কারন আমরা যে টুলসটি (syslinux) ব্যবহার করব তা শুধুমাত্র ফ্যাট সিস্টেম সাপোর্ট করবে। অবশ্য ৪ গিগার উপরে পেনড্রাইভ হলে তার জন্য আলাদা টুলস (extlinux)ব্যবহার করতে হবে।

২. পেনড্রাইভ বুটেবল করার সফটওয়্যার - syslinux ডাউনলোড করুন এখান থেকে - লেটেস্ট ভার্সন। তবে এ জিপ ফাইলে অনেক ধরনের টুলস থাকায় কোনটি দিয়ে কাজ করতে হবে তা খুজে বের করা অনেকের জন্যই কঠিন হবে।

তাই আমি আরেকটি জিপ ফাইল আপনাদের ডাউনলোডের জন্য আপলোড করে দিলাম। ডাউনলোড করুন এখান থেকে। আমার জিপ ফাইলটিতে শুধুমাত্র পেনড্রাইভ মাল্টি-বুটেবল করার জন্য যেটুকু দরকার সেটুকুই আছে - সাথে দিয়েছি কিছু কনফিগারেশন ফাইল (syslinux.cfg, syslinuxmenu.cfg) ও কয়েকটি ব্যাচ ফাইল (bootinst.bat, bootinst.sh - এ ফাইলগুলির সাহায্যে ডস/শেল মোডে কমান্ড না দিয়ে এর উপর ডাবল ক্লিক করেই পেনড্রাইভ বুটেবল করা যায়)।

তবে ঘাটাঘাটি করার জন্য প্রথম জিপ ফাইলটি ডাউনলোড করতে পারেন অভিজ্ঞ যারা। কারন এখানে সিডি, পিএক্সই, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি বুটেবল করার জন্যও বিভিন্ন টুলস দেয়া আছে যেমনঃ isolinux, pxelinux, lilo/grub।

৩. আপনার কাংখিত বুটেবল সিডি ও লাইভ সিডি বেজড অপারেটিং সিস্টেম - যেগুলি পেনড্রাইভে ইনস্টল করতে চাচ্ছেন। আমি এগুলির লিংক দিচ্ছি না। কারন যাদের কাছে এগুলি নেই তারা হয়ত এটি করতে চাইবেন না। কয়েকটির নাম তো আগেই বলেছি- যেমন এভাস্ট বার্ট সিডি, পাপ্পি লিনাক্স, উবুন্তু/ড্রিম লিনাক্স, হিরেন বুট সিডি। লিনাক্স ও.এস. ডাউনলোডের জন্য সবচেয়ে ভাল সাইট ডিস্ট্রোওয়াচ.কম।

৪. আই.এস.ও ফাইল থেকে ফাইল এক্সট্রাক্ট করার জন্য লেটেস্ট 7zip 4.65 ভার্সন। এটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে। তবে সেভেনজিপ এর নিজস্ব সাইট থেকেও ডাউনলোড করে নিতে পারেন। কিন্তু অনেকেই ডাউনলোড করতে গিয়ে লিংক খুজে পান না বা সার্ভার ডাউন থাকে মাঝে মধ্যে এজন্য আমি আপলোড করে দিলাম। তবে এ কাজে অন্যান্য আই.এস.ও. এক্সট্রাক্ট করার সফটওয়্যার ও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ২ নং এ বর্নিত জিপ ফাইলটিও সেভেন জিপ ফরম্যাটে দিয়েছি যা আনজিপ করার জন্যও সেভেন জিপ সফটওয়্যার লাগবে।

কার্যপ্রনালীঃ

প্রয়োজনীয় টুলসগুলী জোগাড় তো হল। আসুন এবার মূল কাজ শুরু করা যাক।

১. প্রথমেই পেনড্রাইভটিকে FAT16/FAT32 সিস্টেমে ফরম্যাট করে নিন। এজন্য এ ইউএসবি ফরম্যাট টুলসটিও ব্যবহার করতে পারেন।

২. boot.7z ফাইলটিকে পেনড্রাইভে এক্সট্রাক্ট করে নিন। সরাসরি এক্সট্রাক্ট করুন। কোন ফোল্ডারে করলে কাজ নাও করতে পারে।

৩. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ধাপ এটি। এবার অন্যান্য লাইভ সিডি/বুট সিডি থেকে কপি করার পালা। যদি আপনার কাছে লাইভ অপারেটিং সিস্টেমের ISO ফাইল থাকে তবে সেভেন জিপ সফটওয়্যার দিয়ে ISO থেকে পেন ড্রাইভের একটি ফোল্ডারে এক্সট্রাক্ট করুন সব ফাইলগুলি।

যেমনঃ পাপ্পি লিনাক্সের জন্য পেন ড্রাইভে puppy নামে একটি ফোল্ডার তৈরী করি। তারপর পাপ্পির ISO ফাইলটি এ ফোল্ডারে এক্সট্রাক্ট করে নিই। ফলে এ ফোল্ডারে নিচের মত ফাইল গুলি দেখতে পাবেন।

ছবি

এ ফোল্ডারে isolinux.cfg ফাইলটিকে wordpad এ খুলুন। তাহলে নিচের মত কয়েকটি লাইন পাবেনঃ
label puppy
kernel vmlinuz
append initrd=initrd.gz pmedia=cd

এ ফাইলটি বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে বিভিন্ন ফোল্ডারে থাকে। যেমনঃ পাপ্পিতে রুট ফোল্ডারে থাকে, স্লিটাজে থাকে \boot\isolinux\ ফোল্ডারে। কিছু কিছু লিনাক্সে আবার এ ফাইলে থাকে অন্য কোন cfg ফাইলকে লোড করার বিবরন। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য cfg ফাইলগুলিকে ওপেন করে দেখুন এক এক করে এ জাতীয় এন্ট্রি পাওয়ার জন্য। অবশ্য লিনাক্সে অভিজ্ঞরা দেখলেই বুঝতে পারবেন কোনটি কার্নেল ফাইল ও কোনটি র‌্যামডিস্ক ফাইল।

এ লাইনগুলি আমাদের বুট লোডারের ফাইল syslinux.cfg অথবা আরেকটি কাস্টোমাইজড ফাইল syslinuxmenu.cfg এর যেকোন একটিতে লিখতে হবে যেটি পাবেন আপনার পেনড্রাইভের \boot\syslinux পাথে অর্থাৎ যেখানে boot.7zip ফাইলকে আনজিপ করেছেন । এগুলির সাহায্যেই syslinux বুট লোডার অপারেটিং সিস্টেমটিকে বুট করবে পেন ড্রাইভ থেকে।

syslinux.cfg ফাইলে সরাসরি না লিখে আরেকটু ফ্লেক্সিবল করার জন্য এগুলিকে আমি syslinuxmenu.cfg ফাইলে লিখেছি এবং syslinux.cfg ফাইলে লেখা আছে INCLUDE /boot/syslinuxmenu.cfg এ লাইনটি - যার সাহায্যে syslinuxmenu.cfg ফাইলটি লোড হবে। এভাবে না লিখে সরাসরি ও syslinux.cfg ফাইলে লেখা যেত। কিন্তু আমরা এখানে লিনাক্স থেকে ও যাতে পেন ড্রাইভ বুটেবল করা যায় সেজন্য একটি কমন ফাইলে অপশনগুলি রেখেছি।

এ ধরনের cfg ফাইল বেশীরভাগ ডিস্ট্রোর সাথেই পাবেন। যা সিডি থেকে / ISO ফাইল থেকে দেখে নেয়া যায়। ISO ফাইল খুলে দেখার জন্য সেভেন জিপ ব্যবহার করুন।

এবার পেনড্রাইভে অবস্থিত boot ফোল্ডারের ভিতর syslinuxmenu.cfg ফাইলটি এডিট করে পাপ্পি লিনাক্সকে বুটেবল করার অপশন দিয়ে দেই। এটিকে নোটপ্যাড বা কোন এডিটরে ওপেন করুন। তারপর নিচের লাইনগুলি লিখুন। আমার দেয়া জিপ ফাইলে এটি লেখাই আছে শুধু মিলিয়ে নিন। প্রয়োজনমত আপনার নিজস্ব পাথ ব্যবহার করতে পারেন তবে প্রথমবার আমার দেয়া পাথই ব্যবহার করা ভাল। তাহলে ঝামেলা কম হবে।

প্রথমে TIME OUT, BACKGROUND, MENU WIDTH, COLOR ইত্যাদি দেয়া আছে। তারপর অপারেটিং সিস্টেমের এন্ট্রি শুরু হয়েছে।

পাপ্পির জন্য এন্ট্রিঃ

LABEL Puppy
MENU LABEL Linux Puppy
KERNEL /puppy/vmlinuz
APPEND initrd=/puppy/initrd.gz PMEDIA=usbflash
প্রথম লাইনটি হচ্ছে LABEL ভেরিয়েববল - তারপর মেনুর নাম - এখানে PUPPY। এটি SYSLINUX ব্যবহার করে থাকে।

২য় লাইনে MENU LABEL এর সামনে যা লিখবেন তাই পর্দায় দেখা যাবে বুটের সময়। যা সিলেক্ট করে এন্টার চাপতে হয়।

৩য় লাইনটি অপারেটিং সিস্টেমের কার্নেল লোড করবে। /puppy দিয়ে পেনড্রাইভের puppy ফোল্ডার এর পাথকে নির্দেশ করে।

৪র্থ লাইনটি RAMDISK যোগ করার জন্য। APPEND initrd= এর সামনে Ramdisk এর জিপ ফাইল পাথ দিতে হবে এবং PMEDIA অপশনে usbflash অপশন দিয়ে দিয়েছি কারন এটি ইউএসবি থেকে বুট করবে।

এগুলির বিস্তারিত বর্ননা আর এখানে দিলাম না। নতুনদের অসুবিধা হতে পারে। আর যারা অভিজ্ঞ তারা তো বুঝেই গেছেন।

এভাবে অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম যোগ করে নিতে হবে। আমার ফাইলে পাপ্পি ছাড়াও SLITAZ, HIREN, MINI XP কিভাবে এন্ট্রি দিতে হবে তা দেয়া আছে। যেমনঃ হিরেন বুট সিডির জন্যঃ
LABEL Hiren
MENU LABEL Start Hiren Boot CD
KERNEL /HBCD/memdisk
APPEND initrd=/HBCD/boot.gz root=/HBCD/boot.gz

উপরোক্ত এন্ট্রিগুলি হিরেন বুট সিডির ভিতর HBCD ফোল্ডারের isolinux.cfg ফাইলে পাওয়া যাবে।

এছাড়া উইন্ডোজ বেজড অপারেটিং সিস্টেম লোড করার জন্য আমি grab4dos কে দিয়ে দিয়েছি জিপ ফাইলের সাথে যেটি লোড করার কমান্ড হচ্ছে নিম্নরূপঃ
LABEL Grub4DOS
MENU LABEL Grub4DOS
KERNEL /boot/grub/grub.exe
অর্থাৎ এখানে syslinux অন্য আরেকটি লোডার গ্রাবকে লোড করবে যেটি উইন্ডোজ বেজড অপারেটিং সিস্টেমকে chainloader এর মাধ্যমে লোড করতে পারে। এজন্য গ্রাব লোডারের ফাইল menu.lst পরিবর্তন করে দিতে হবে যেটি পাবেন আপনার পেনড্রাইভের /boo/grub পাথে। এটিও আমাদের আগের ফাইল syslinuxmenu.cfg এর মত। যেমনঃ হিরেন বুট সিডির সাথে দেয়া মিনি এক্সপিকে লোড করার কমান্ড হচ্ছে-
title Mini Windows Xp
find --set-root /HBCD/XPLOADER.BIN
chainloader /HBCD/XPLOADER.BIN
প্রথম লাইনে যথারীতি পর্দায় প্রদর্শনের টাইটেল দিতে হবে title এর সামনে।

২য় এবং ৩য় লাইনের মাধ্যমে এক্সপিকে chainloader এর সাহায্যে বুট করবে।

ইচ্ছা করলে আপনি অন্যান্য লিনাক্সকে ও এ ফাইলের মাধ্যমে বুট করতে পারেন। সেক্ষেত্রে syslinux এর কাজ হবে শুধুমাত্র Grub কে লোড করা। বাকী সব কাজ হবে গ্রাবের মাধ্যমে যা এ ফাইল ডিফাইন করে দিতে হবে।
যেমন menu.lst ফাইলে পাপ্পি এর জন্য কমান্ড হবেঃ
title Linux Puppy
kernel /puppy/vmlinuz PMEDIA=usbflash
initrd /puppy/initrd.gz
syslinuxmenu.cfg এবং menu.lst এর কমান্ড প্রায় কাছাকাছি। একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন আশা করি। তবে যাদের লিনাক্সে গ্রাব এবং লিলো বুট লোডার নিজে হাতে এডিট করার অভিজ্ঞতা আছে তাদের জন্য এটা ডালভাত।

উপরে দেখিয়েছি কিভাবে ISO ফাইল থেকে অপারেটিং সিস্টেম এক্সট্রাক্ট করবেন সে পদ্ধতি। তবে যদি ISO থেকে এক্সট্রাক্ট না করে সরাসরি সিডি থেকে কপি করতে চান তবে তা আরো সোজা। পেন ড্রাইভে একটি ফোল্ডার তৈরী করে সিডি থেকে ফাইলগুলী সরাসরি কপি করে দিন এখানে। তারপরের ধাপগুলি উপরের মতই। এভাবে আপনার পেনড্রাইভের ধারনক্ষমতা অনুযায়ী অনেকগুলি অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করতে পারবেন।

৪. উপরে পয়েন্টে আমরা ধাপে ধাপে LIVE OS সমূহ পেন ড্রাইভে কপি করা, তারপর বুট লোডার এর ফাইলে এন্ট্রি দেয়া ইত্যাদি কাজগুলি করেছি।

এবার সর্বশেষ কাজ - পেন ড্রাইভ বুটেবল করতে হবে।

উইন্ডোজ মেশিন থেকে

এজন্য বুট ফোল্ডারে ঢুকে bootinst.bat ফাইলে ডাবল ক্লিক করুন। তারপর কি-বোর্ডের যেকোন বাটন চাপুন। ব্যস- আপনার পেন ড্রাইভ বুটেবল হয়ে যাবে। তারপর মেশিন রি-স্টার্ট করে পেন ড্রাইভ থেকে মেশিন চালু করুন। যদি পেন ড্রাইভ খুজে না পায় মেশিন তবে বায়োসে গিয়ে বুটেবল ডিভাইস অপশনে গিয়ে পেন ড্রাইভ/ইউএসবি ডিভাইস/ইউএসবি জিপ কে প্রথম অপশন দিয়ে দিন। তারপর আবার মেশিন চালু করুন।


লিনাক্স মেশিন থেকেঃ
/boot/ ফোল্ডারে bootinst.sh ফাইলে ডাবল ক্লিক করে একইভাবে কাজ করুন।

সতর্কতাঃ এটি খুব সাবধানে করবেন এবং হার্ডডিস্কের কোন ফোল্ডার থেকে এ ফাইলে ভুলেও ক্লিক করতে যাবেন না। তাতে পরের বার আপনার অপারেটিং সিস্টেম লোড নাও হতে পারে। এটি অবশ্যই পেনড্রাইভের ফোল্ডারে (boot) থাকা অবস্থায় করবেন। আর বুট ফোল্ডারের নাম পরিবর্তন করবেন না।

আমার পেন ড্রাইভের চিত্র নিম্নরূপঃ

ছবি

এখানে puppy ফোল্ডারে পাপ্পি লিনাক্স, slitaz ফোল্ডারে স্লিটাজ লিনাক্স, HBCD ফোল্ডারে হিরেন বুট সিডি এবং AVAST BART CD ফোল্ডারে এভাস্ট বার্ট সিডি ইনস্টলড রয়েছে।

ল্যাপটপ রিভিউ - Toshiba LQ 300- P503

নতুন একটি ল্যাপটপ নিলাম গত ২৯ অক্টোবর, ২০০৯ এ।
ছবি
মোটামুটি মানের কনফিগারেশন বলতে পারেন।

Toshiba Satellite L300-P503
Model No: PSLBGL-02500L
Intel® Pentium® Dual-Core processor T4300 (2.1GHz, 1MB L2 Cache, 800MHz FSB) ) with Intel® 64 Architecture
No Operating System
1024MB DDR2 SDRAM expandable to 4096MB
250GB (SATA) with shock absorbers HDD
12.7mm 8x DVD-SuperMulti +-R DL(SATA)
15.4" WXGA (200NIT) Clear SuperView TFT display , resolution 1,280 x 800
Intel® Graphics Media Accelerator 4500M
Built in Web Camera, Carrying Bag, Driver CD
1-year carry-in International Limited Warranty (parts & labor), 1-year battery (carry-in)
Price: 42500/-

বাংলাদেশে তোশিবার ডিস্ট্রিবিউটর ইন্টারন্যাশনাল অফিস মেশিনস লিমিটেড। কিছুদিন আগে স্মার্ট টেকনোলজিকেও তারা ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে।

ওএস ইনস্টল

দোকানে বসে পেনড্রাইভ থেকেই মেপিস ৮.১০ ভার্সন ইনস্টল করেছি মাত্র ৬ মিনিটে। হার্ডডিস্ক পার্টিশন করতে প্রথমে ৮/১০ মিনিট লেগেছে। পুরো সিস্টেমের হার্ডওয়্যার অটো ডিটেক্ট করেছে মেপিস। শুধুমাত্র গ্রাফিক্স কার্ডে 1024 x 768 রেজুলেশনের বেশী পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই /etc/X11/xorg.conf ফাইলের Device সেকশনে Driver এর জায়গায় Intel করে দিয়েছি। ব্যস পুরো 1,280 x 800 রেজুলেশন পাওয়া গেল।

Section "Device"
Identifier "Configured Video Device"
Driver “intel”
EndSection

গ্রাফিক্স কার্ড নিয়ে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা

আপনার মেশিনে কয়টি গ্রাফিক্স কার্ড ড্রাইভার ইনস্টলড আছে তা দেখার জন্য /usr/lib/xorg/modules/drivers / এ পাথে যান। তারপর এখানে যে কটি ফাইলের শেষে (vesa_drv.so) এ রকম _drv দেখতে পাবেন সেগুলিই ড্রাইভার। এগুলিকে পর্যায়ক্রমে উপরে বর্নিত /etc/X11/xorg.conf ফাইলে এক এক করে বদলে নিয়ে দেখতে পারেন কোনটি আপনার জন্য ভাল হবে। যেমন আমি ইন্টেল এর আরো কয়েকটি ড্রাইভার (i310, i810) দিয়ে দেখেছি কিন্তু খুব ভাল সাপোর্ট পাইনি। পরে শুধুমাত্র intel করে দিলেই সব থেকে ভাল সাপোর্ট পেয়েছি। গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার পরিবর্তনের পর ফাইলটি সেভ করে /etc/init.d/kdm restart কমান্ড দিন তাহলে আর মেশিন রিস্টার্ট দিতে হবে না। আরেকটি কথাঃ ড্রাইভার সাপোর্ট না দিলে মেশিন কিন্তু কমান্ড প্রম্পটে চলে আসবে। না ঘাবড়িয়ে Vim বা অন্য কোন এডিটর দিয়ে ফাইলটিতে পরিবর্তন করে দিন এবং kdm রিস্টার্ট করুন। যদি খুব বেশী সমস্যা হয় তবে vesa ড্রাইভার ব্যবহার করুন।

উপরোক্ত intel ড্রাইভারের লেটেস্ট ভার্সন ইনস্টলের জন্য /etc/apt/sources.lst ফাইলে ডেবিয়ান এর কাটিং এজ ডিস্ট্রো sid এর রিপো যোগ করার পর xserver-xorg-video-intel প্যাকেজটি আপডেট করে নিয়েছি ইন্টারনেট থেকে। ফলে স্ক্রিন এর মসৃনতা আরো বেশি বেড়ে গেছে। এখন চমৎকার লাগছে স্ক্রিনের আউটপুট। মাঝে মাঝে ইন্টারনেটে গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার চেক করে নিয়ে আপডেট করলে বেশ ভাল ফল পাওয়া যায়। যেমন আমার আগের ইন্টেল ড্রাইভার ভার্সন যেটি মেপিসে দেয়া ছিল তার ভার্সন ছিল 2.3.2-2 এখন নতুন ভার্সন আপডেট করার পর তার নম্বরটি হয়েছে 2.9.0-1 যেটি উবুন্তু কারমিকে দেয়া আছে। ভার্সন নম্বর দেখার জন্য সিনাপ্টিকের সাহায্য নিতে পারেন।

সাউন্ড


সাউন্ড কার্ড অটোমেটিকভাবেই পেয়ে গেছি। Amarok ও kmplayer দিয়ে প্রায় সবধরনের মাল্টিমিডিয়া ফাইল চালাতে পারছি।

ইন্টারনেট


কেপিপি দিয়ে ইন্টারনেট কনফিগার করতে পারিনি। ফলে বাধ্য হয়ে wvdial এবং gnome-ppp ইনস্টল করে কনফিগার করেছি।

বাংলা কি-বোর্ড

কেডিই কন্ট্রোল প্যানেল থেকে ন্যাশনাল কি-বোর্ড যোগ করে নিয়েছি। প্রায় বিজয়ের মতই লে-আউট। তাই খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না।

ওয়েবক্যাম

কেডিই এর জন্য তেমন ভাল কোন Webcam প্যাকেজ পাইনি তাই Cheese ইনস্টল করেছি। বেশ সাদামাটা আউটপুট। পছন্দ হচ্ছে না - তাই ভাল কোন প্যাকেজ খুজছি।

কুবুন্তু লাইভ সিডি ৮.১০ দিয়ে ও ল্যাপটপ চালিয়ে দেখেছি। খুবই চমৎকার ইন্টারফেস নতুন কেডিইর। মেশিনের পারফরম্যান্স ও ভাল ছিল কুবুন্তুতে। তবে মেপিসে সবচেয়ে ভাল লেগেছে ব্যাটারী পাওয়ার সেভিংস অপশন। এটি ল্যাপটপের জন্য সবচেয়ে জরুরী। এজন্য মেপিসই চালাবো বলে ঠিক করেছি। মেপিসে প্রায় ৩ ঘন্টার কাছাকাছি ব্যাক আপ পাওয়া যাচ্ছে। তবে অন্যান্য ডিস্ট্রোতে চালিয়ে দেখিনি। পাওয়ার কনজাম্পশন সেটিংস দেখে মনে হয়েছে মেপিস অনেক গুন এগিয়ে আছে এ দিক থেকে। এছাড়াও ওয়ারেন তার ডিস্ট্রোতে বেশ কিছু ফিচার বাড়তি যোগ করেছে যা সত্যিই চমৎকার।

মেপিস লিনাক্স(Mepis Linux)একটি চমৎকার ব্যবহার বান্ধব ডিস্ট্রো

ছবি

লিনাক্স জগতে এসে বেশ কিছু লিনাক্স ডিস্ট্রো ব্যবহারের পর ডেবিয়ান লিনাক্সের স্ট্যাবিলিটি সব থেকে ভাল লেগেছে। এজন্য অনেকদিন ধরেই ডেবিয়ান ব্যবহার করে আসছিলাম। এখন ও ডেস্কটপে ডেবিয়ান ব্যবহার করছি।

তবে ডেবিয়ানে একটি জিনিস খুব মিস করতাম। ডেবিয়ান ইনস্টলের পর নিজের পছন্দ অনুযায়ী একে সাজিয়ে গুছিয়ে একটা প্রফেশনাল লুক আনতে অনেক সময় লাগতো। তাছাড়া বিভিন্ন হার্ডওয়্যার ড্রাইভার সাপোর্ট(যদি সমস্যা দেখা দেয়), এনটিএফএস ফাইল সিস্টেম সাপোর্ট, মাল্টিমিডিয়া সাপোর্ট ইত্যাদি প্রদান করতে অনেকটা সময় ব্যয় করা লাগে। এজন্য মাঝে মাঝে অন্যান্য ডিস্ট্রো যেমনঃ উবুন্তু, ফেডোরা, স্ল্যাক্স, ড্রিম লিনাক্স, সিডাক্স ইত্যাদি ডিস্ট্রো ট্রাই করেছি। তবে একটি কারনেই বারবার ডেবিয়ানের কাছেই ফেরত এসেছি। তা হচ্ছে এর রক-সলিড সিস্টেম সাপোর্ট।

এজন্য ডেবিয়ান বেজড একটি পোলিশড, ফাইন টিউনড অপারেটিং সিস্টেমের খোঁজ করে এসেছি সবসময়। যার বৈশিষ্ট্য হবেঃ

১. ডেবিয়ান বেজড এবং ডেবিয়ান রিপো/সিডি ইত্যাদি থেকে সফটওয়্যার ইনস্টলের সুবিধা।

২. ডেবিয়ান স্ট্যাবল ভার্সন (যেমনঃ বর্তমান ডেবিয়ান লেনি) নির্ভর ডিস্ট্রো।

৩. সিস্টেমের পারফর্ম্যান্স বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সেটিংস এনাবল থাকা। যেমনঃ /etc/fstab ফাইলে relatime, noatime অপশন এনাবল থাকা।

৪. মাল্টিমিডিয়া ফাইল যেমন অডিও, ভিডিও চালানোর জন্য সাপোর্ট থাকা (mp3, mpeg, dat file)

৫. লাইভ সিডি বেজড হতে হবে অর্থাৎ ইনস্টল না করে সিডি থেকেই ডিস্ট্রো টেস্ট করে দেখা যাবে।

বিল গেটস এর অপারেটিং সিস্টেমে অনেক ত্রুটি থাকলেও উইন্ডোজকে বেশ ঘষে-মেজে একটি প্রফেশনাল লুক আনার পরই তা বাজারজাত করা হয়। এটি লিনাক্সের বেশিরভাগ ডিস্ট্রোতেই মনে হয় করা হয় না (আমার ব্যক্তিগত মত)। কারন সিস্টেমকে ব্যবহার উপযোগী করতে গেলে বেশ খাটুনি করতে হয় অন্ততঃ প্রথম কয়েকদিন। তবে একবার সিস্টেম মোটামুটি ব্যবহার উপযোগী হলে আর খুব একটা পরিশ্রম /টেনশন করতে হয় না। সেজন্যই অনেক দিন ধরে উইন্ডোজের মত একটি রেডিমেড ডিস্ট্রো মনে মনে চাচ্ছিলাম- যদিও উইন্ডোজে গেমস, মাল্টিমিডিয়া, বাংলা কি-বোর্ড সাপোর্ট সব কিছুই ম্যানুয়ালি করতে হয়।

এ লক্ষ্যে ডেবিয়ান নির্ভর তিনটি ডিস্ট্রো যথাক্রমেঃ ড্রিম লিনাক্স, সিডাক্স ও মেপিস লিনাক্স ব্যবহার করে দেখেছি। তিনটি ডিস্ট্রোতেই কম-বেশী উপরের বৈশিষ্ট্যগুলি রয়েছে। তবে এর মধ্যে মেপিসকে সব থেকে পোলিশড এবং টিউনড মনে হয়েছে।

এছাড়াও মেপিসে সিস্টেম সেটিংস এর জন্য বেশ কিছু কাস্টোমাইজড টুলস দেয়া আছে। যেমনঃ

  • Network Assistant: ল্যান নির্ভর ও ওয়্যারলেস নির্ভর নেটওয়ার্ক কনফিগার করার টুলস
  • System Assistant: লাইভ ইউএসবি/পেন ড্রাইভ তৈরী, করাপ্টেড পার্টিশন রিপেয়ার করার টুলস
  • User Assistant: ইউজার বা ব্যবহারকারীদের একাউন্ট ব্যবস্থাপনার টুলস
  • X-Windows Assistant: গ্রাফিক্স কার্ড এর ড্রাইভার ইনস্টল করা, মনিটর এর মডেল নির্বাচন ইত্যাদি করার টুলস

গান শোনার জন্য পাবেন Amarok player এবং মুভি, ভিডিও দেখার জন্য আছে Mplayer based Kmplayer। অফিস প্রোগ্রাম হিসেবে সব সময় লেটেস্ট ওপেন অফিস পাওয়া যায়, ব্রাউজারের জন্য ফায়ারফক্সের আপ-টু-ডেট ভার্সন দেয়া থাকে ফ্ল্যাশ প্লেয়ার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় এ্যাড অন সহ।
ডেবিয়ান রিপো এনাবল করে নিলে সাথে সাথেই প্রায় ২৩০০০ প্যাকেজ থেকে আপনার পছন্দের যেকোন প্যাকেজ ইনস্টল করতে পারবেন।
মেপিস লিনাক্সের প্রত্যেকটি অংশই খুব সতর্কতার সমন্বয় করা হয়েছে। গ্রাব মেনু থেকে শুরু করে লগইন স্ক্রিন, স্টার্ট মেনু, ওয়ালপেপার, থিম প্রতিটি দিকেই আছে পোলিশনেস যা আপনাকে সত্যিই মুগ্ধ করবে।
ছবি
চিত্রঃ গ্রাব মেনু

ছবি

চিত্রঃ লগইন স্ক্রিন

মেপিসের সাথে একটি চমৎকার টিউটোরিয়াল দেয়া আছে যা ডেস্কটপের একটি আইকন ক্লিক করেই খোলা যায়। মেনু ভিত্তিক এ টিউটোরিয়ালে খুব সংক্ষেপে লিনাক্সের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় সহজ ভাষায় আলোচনা করা হয়েছে যা খুব কম ডিস্ট্রোতেই আছে। বেশিরভাগ লিনাক্স ডিস্ট্রোতে খুব বড়সড় টিউটোরিয়াল দেয়া থাকে যা থেকে তথ্য উদ্ধার করা খুবই দুরূহ নতুনদের জন্য। তাই নিঃসন্দেহে মেপিস এগিয়ে আছে এ দিক থেকে। টিউটোরিয়ালটির ওয়েব এ্যাড্রেস হচ্ছেঃ Mepis Manual । পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভাল লাগবে।

ছবি

চিত্রঃ মেপিস টিউটোরিয়াল

সংক্ষেপে মেপিস লিনাক্স পরিচিতিঃ

মেপিস লিনাক্স ওয়ারেন উডফোর্ড এর নেতৃত্বে ২০০২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এটি ইউ.এস. বেজড একটি ডিস্ট্রো যার ওয়েব এড্রেস হচ্ছেঃ http://www.mepis.org। ডিস্ট্রোওয়াচে মেপিসের বর্তমান Rank হচ্ছে 15। কেডিই ডেস্কটপ এর উপর ভিত্তি করে এটি প্রকাশিত হয়। বছরে সাধারনতঃ ২/৩ বার ডিস্ট্রো আপডেট করা হয় - খানিকটা উবুন্তুর মত। বর্তমান ভার্সন নম্বর ৮.১০ এবং লেটেস্ট কেডিই ৪.৩.২ এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ভার্সন ৮.৫ ছাড়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। মেপিসের সাইটে twitter এর মাধ্যমে ওয়ারেন সবসময় লেটেস্ট কি কাজ হচ্ছে ডিস্ট্রোর উন্নয়নে তা ঘোষনা করে থাকেন।

উইন্ডোজ মেশিন থেকে লিনাক্স প্রোগ্রামের অফলাইন ইনস্টলার তৈরী

উইন্ডোজ চালিত মেশিন থেকে নেট দিয়ে খুব সহজে একটি প্যাকেজের সব ডিপেনডেন্সী সহ ডাউনলোড করা যায়। এজন্য প্রথমে সিনাপ্টিক প্যাকেজ ম্যানেজার থেকে নির্দিষ্ট প্যাকেজকে ডাউনলোডের জন্য সিলেক্ট করুন। তারপর মেনু থেকে সিলেক্ট করুন Download Script Only। তারপর Apply Click করুন। যেখানে ফাইলটি Save করতে বলবে সেখানে সেভ করুন। এ ফাইলটিতেই কোন কোন ফাইল কোথা থেকে ডাউনলোড করতে হবে একটি লিনাক্স প্যাকেজ/প্রোগ্রামের জন্য তা দেয়া থাকে।

তবে আপনার লিনাক্স মেশিনের সিনাপ্টিক লিস্টে প্যাকেজটি নাও থাকতে পারে। তাই আপনার প্যাকেজটি পাবার জন্য লিনাক্স মেশিনকে নেটে কানেক্ট করে কমান্ড দিনঃ apt-get update। তাহলে সব ধরনের প্যাকেজের লিস্ট আপডেট হয়ে যাবে। ফলে আপনি যেকোন প্যাকেজের স্ক্রিপ্ট এখন খুব সহজেই পেয়ে যাবেন লিনাক্স মেশিন থেকে যা পরবর্তীতে ডাউনলোড করতে পারবেন উইন্ডোজ মেশিনে নিয়ে। যদি আরও বেশি প্যাকেজ লিস্ট পেতে চান তাহলে /etc/apt/sources.list ফাইলে ডেবিয়ান সিড এর রিপো যোগ করে নিন।

সিড রিপোর জন্য /etc/apt/sources.list ফাইলে যোগ করুন নিচের লাইনটি-
deb http://http.us.debian.org/debian sid main contrib
এবং apt-get update কমান্ড চালান। তারপর প্যাকেজ স্ক্রিপ্ট তৈরী করুন।

ফাইলটির এন্ট্রিগুলি হবে নিচের মতঃ
wget -c cdrom:[Debian GNU/Linux testing _Lenny_ - Official RC i386 DVD Binary-1 20081104-07:33]/pool/main/q/qt4-x11/libqt4-test_4.4.3-1_i386.deb

wget -c cdrom:[Debian GNU/Linux testing _Lenny_ - Official RC i386 DVD Binary-1 20081104-07:33]/pool/main/q/qt4-x11/libqt4-core_4.4.3-1_i386.deb

wget -c ftp://ftp.mepis.com/mepis/pool/main/s/s ... 1_i386.deb

উপরে skype ইনস্টলের জন্য আমার মেপিস লিনাক্সে যে যে ফাইল ইনস্টল করতে হবে তার লিস্ট এখানে লক্ষ্য করে দেখুন- যে ফাইলের সামনে wget -c cdrom লেখা আছে সেটি আমার ডেবিয়ান ডিভিডি থেকেই ইনস্টল হবে সুতরাং এগুলিকে ডাউনলোডের দরকার নেই তবে ইচ্ছা হলে করতে পারেন আর যে ফাইলের সামনে wget -c ftp:// দিয়ে শুরু হয়েছে সেটি ডাউনলোড করে নিন সব ফাইলগুলিকে একটি ফোল্ডারে ডাউনলোড করুন এজন্য উইন্ডোজের ভাল কোন ডাউনলোড ম্যানেজার যেমন freedownloadmanager ব্যবহার করতে পারেন

সাধারনত এ লিস্টে ডিপেনডেন্সী সহ প্যাকেজ লিস্ট অনেক লম্বা হয়ে থাকে। তাই ডাউনলোড ম্যানেজার আপনার কাজকে অনেকখানি সহজ করে দিবে নিঃসন্দেহে।

তাহলে আসুন দেখি কিভাবে fdm দিয়ে উক্ত প্যাকেজটি উইন্ডোজে কিভাবে ডাউনলোড করতে পারি। উইন্ডোজ মেশিনে এফডিএম ইনস্টল করে চালু করুন যেখানে নেট আছে। ডেস্কটপের উপর একটি আইকন দেখতে পাবেন তীরচিহ্নের মত। এখানে রাইট মাউস ক্লিক করে Clipboard monitoring অপশন এ ক্লিক করে এনাবল করুন। তাহলে কোন ফাইলের লিংক কপি করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে fdm তা নিজেই ডাউনলোড করবে কিনা তা আপনাকে জানাবে।

ছবি

এখন আপনার প্যাকেজ স্ক্রিপ্ট ফাইলটিকে wordpad প্রোগ্রাম দিয়ে ওপেন করুন তাহলে ভালভাবে দেখতে পারবেন। Notepad এ অনেক সময় লম্বা লাইনগুলি ঠিকমত দেখাতে পারেনা। এবার যে লাইনের সামনে wget -c ftp:// লেখা দিয়ে শুরু হয়েছে সে লাইনে কার্সর নিয়ে ftp লেখা থেকে শুরু করে লাইনের শেষ লেখা .deb পর্যন্ত কপি করুন তাহলে নিচের মত fdm এর ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে।
ছবি

নিচের লেখা অংশের মত কপি করুনঃ

ftp://ftp.mepis.com/mepis/pool/main/s/skype/skype_2.0.0.72-1_i386.deb


OK করুন। এভাবে ফাইলের প্রতিটি প্যাকেজকে fdm দিয়ে ডাউনলোড করে নিন।

ছবি

সব ফাইল ডাউনলোড শেষ হলে fdm এর স্ক্রিনে উক্ত ফাইল সমূহের যে কোন একটির উপর রাইট মাউস ক্লিক করে Open folder এ ক্লিক করুন। তারপর উক্ত ফোল্ডার থেকে ফাইলগুলি কপি করে আপনার কাংখিত ফোল্ডারে নিয়ে প্যাকেজ তৈরী করুন এবং যাদের নেট কানেকশন নেই তাদেরকে প্যাকেজটি দিয়ে দিন ইনস্টলের জন্য।

অফলাইনে ইনস্টলের জন্যঃ

অফলাইন মেশিনের /var/cache/apt/archives ফোল্ডারে উক্ত ফাইলগুলি কপি করে দিন। তারপর apt-get install packagename লিখে এন্টার দিন। তাহলে সিডি-রমে যে ফাইল/ডিপেনডেন্সি প্যাকেজগুলি আছে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনস্টল করে নিবে আর যেগুলি নেট থেকে ডাউনলোড করতে হবে তা /var/cache/apt/archives ফোল্ডার থেকে ইনস্টল করে নেবে। ডাউনলোডের জন্য ইন্টারনেট কানেকশন চাইবে না। কারন প্যাকেজসমূহ apt-get কমান্ড ডাউনলোড করে এ ফোল্ডারেই রাখে। তাই উক্ত প্যাকেজ/ডিপেনডেন্সী ফাইল আগে থেকেই কপি করা থাকলে সে আর এগুলি ডাউনলোড করবে না এবং আপনার প্যাকেজও সঠিকভাবে ইনস্টল হয়ে যাবে।

তবে যাদের মেশিনে সিনাপ্টিক আপডেট/ আপনার ইনস্টল সিডি নেই তাদের জন্য সিডি/ডিভিডি থেকেও সব ফাইলগুলি একসাথে কপি করে দিন উক্ত সিডি/ডিভিডি থেকে। যেমন আমার ডেবিয়ান ডিভিডিতে /pool/main/q/qt4-x11/libqt4-test_4.4.3-1_i386.deb এ পাথে libqt4-test_4.4.3-1_i386.deb ফাইলটি আছে। তারপর অফলাইন মেশিনে সবগুলি কপি করার পর ঐ ফোল্ডারে ঢুকে শেল থেকে কমান্ড দিনঃ dpkg -i *.deb বা আশাবাদী ভাইয়ের দেখানো পদ্ধতি অনুযায়ী একটি shell কমান্ডের ফাইল তৈরী করে দিতে পারেন যা ডাবল ক্লিক করলেই ইনস্টল করা যায়।

তারপরও যদি কোন ডিপেনডেন্সী সমস্যা হয় /এরর দেখায় তবে নিচের কমান্ডটি দিন এবং স্ক্রিন নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করুন-

aptitude -f install

তাহলে যে প্যাকেজটি সমস্যা করছে সেটি আন-ইনস্টল করে ফ্রেশ করে নিতে পারবেন আপনার লিনাক্সকে।

আশা করি উপরের পদ্ধতিটি অনেকেরই কাজে লাগবে।

টিউটোরিয়াল- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড

যদিও ওপেন সোর্স কোন প্রোডাক্ট এর উপর টিউটোরিয়াল লেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু অগনিত ব্যবহারকারীদের কথা চিন্তা করেই মাইক্রোসফট এর প্রোডাক্ট এর উপর লিখেছি। আমাদের দেশে সাধারনতঃ ট্রেনিং সেন্টারগুলিতে যা শেখানো হয় তা সাধারনতঃ খুব প্রিলিমিনারী লেভেলের। কিন্তু অফিসে সত্যিকারের প্রোডাক্টিভিটি আনতে হলে যেকোন প্রোগ্রামকে দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা প্রয়োজন। অফিসে সহকর্মীদের মধ্যে এ ধরনের দক্ষতায় ঘাটতি দেখেই আমার মধ্যে এ ধরনের টিউটোরিয়াল লেখার চিন্তাটা আসে। বিগত ৪ বছরের চাকুরীজীবনে সহকর্মীদেরকে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দেয়া ও অন্যান্য পরিচিতজনদের মোবাইলে সমস্যার সমাধান দেয়ার অভিজ্ঞতা থেকেই এ লেখা। এছাড়া আমি নিজে কম্পিউটার ব্যবহার করছি প্রায় ১১ বছর। এ টিউটোরিয়ালে সে অভিজ্ঞতারও প্রতিফলন থাকবে আশা করি। আমি এখানে শুধুমাত্র সেগুলির উপরই লিখেছি যেগুলি বাস্তবে ব্যবহারিক জীবনে কাজে লাগে প্রতিনিয়ত। তাই মেইল মার্জের মত বড় সড় কমান্ড এড়িয়ে গেছি যা বাস্তবে ততটা কাজে লাগে না।

মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩৮। শেষ পৃষ্ঠা ৩টি প্রাকটিস/রেফারেন্স শীট হিসেবে দিয়েছি যাতে এ তিন পৃষ্ঠা দেখে প্র্যাকটিস করা যায়। এটি মূল টিউটোরিয়ালের অংশ নয়।

শেষ কথাঃ টিউটোরিয়ালটি কেমন হল জানাবেন। কোন পরামর্শ থাকলেও তা এখানে দিতে পারেন। আপনার মূল্যবান পরামর্শ ভবিষ্যতে টিউটোরিয়ালটির গুনগত মান উন্নীতকরনে সহায়ক হবে। ভবিষ্যতে ওপেন সোর্স প্রোডাক্ট এর উপর এরকম টিউটোরিয়াল লেখার ইচ্ছা রয়েছে।

ডাউনলোড লিংকঃ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড টিউটোরিয়াল (Size- 1.08 MB)

লিনাক্সের কোন ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবহার করবেন?

লিনাক্স নিয়ে যে প্রশ্নটি প্রায়ই শোনা যায় তা হল - “কোন ডিস্ট্রোটি ব্যবহার করব আমি?”। সত্যি কথা বলতে কি- আমি নিজেও এক সময় এটি নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্ধে থাকতাম। যে ডিস্ট্রো ব্যবহার করি সেটিই ভাল লাগতো। আবার নতুন কিছুর কথা শুনলে সেটিও ব্যবহার করতাম এবং আরো পছন্দের তালিকা বাড়তে থাকতো। বিভিন্ন লিনাক্স ও প্রযুক্তি ফোরামেও এটি একটি আলোচিত বিষয়।

প্রশ্নের উত্তরটি খুব সহজ মনে হলেও আদতে তা কিন্তু মোটেই নয়। লিনাক্সের বিভিন্ন ডিস্ট্রিবিউশনগুলি (সংক্ষেপে ডিস্ট্রো) বহু সংখ্যক প্যাকেজসহ প্রকাশিত হয়ে থাকে এবং এ প্যাকেজগুলির টার্গেট ও থাকে ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপের ব্যবহারকারী। যেমনঃ কিছু ডিস্ট্রো গুরুত্ব দিয়ে থাকে ব্যবহারের স্বাচ্ছন্দ্যতাকে, কিছু ডিস্ট্রো টার্গেট করে থাকে পাওয়ার ইউজার/হ্যাকারদেরকে, কিছু ডিস্ট্রো অনেক অনেক Ram সম্পন্ন শক্তিশালী মেশিনের জন্য রিলিজ হয়ে থাকে আবার কোন কোনটি খুব কম শক্তিশালী হার্ডওয়্যারকে টার্গেট করে রিলিজড হয়ে থাকে।

এ প্রশ্নের উত্তরে কয়েকটি সম্ভাব্য উত্তর হতে পারে নিম্নরূপঃ

  • কয়েকটি ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবহার করুন এবং দেখুন কোনটি আপনার ভাল লাগে
  • আপনার পরিচিত লিনাক্স গুরু/ফ্যানরা যে ডিস্ট্রো ব্যবহার করেন সেটির উপর জোর দিন কেননা সমস্যায় পড়লে আপনি সহজেই তাদের কাছে সাহায্য পেতে সক্ষম হবেন।

লিনাক্স পরীক্ষা করে দেখার জন্য কোন ডিস্ট্রো ভাল?

যদি আপনি অন্য অপারেটিং সিস্টেমে দ্রুত সুইচ করতে না চান তবে মেশিনে লিনাক্সকে ডুয়াল বুটিং সিস্টেম হিসেবে রাখুন অথবা একটি ইউএসবি/পেন ড্রাইভে ইনস্টল করে নিন। অথবা Knoppix/Ubuntu/Mepis/Mint/Slax/Sidux এর মত কোন লাইভ সিডি বেজড ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবহার করে দেখুন। কিন্তু এ ধরনের ডিস্ট্রিবিউশনগুলি খুব ধীরে কাজ করে যেহেতু সিডি-রমের গতি অত্যন্ত কম। তাই যদি পরিপূর্ন শক্তি ও গতিতে লিনাক্স ব্যবহার করতে চান তাহলে কমপ্লিট ইনস্টল দিন হার্ডডিস্কে। বেশীরভাগ লাইভ সিডিই হার্ডডিস্কে ইনস্টল করা যায় যদি আপনি তা পছন্দ করেন।

নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য কোন লিনাক্স?

প্রথমেই লাইভ সিডি দিয়ে মেশিন বুট করে নিন, তারপর তা হার্ডডিস্কে ইনস্টল করে ডুয়াল বুটিং করে নিন আপনার বর্তমান অপারেটিং সিস্টেমের সাথে। এগুলি করার জন্য সবার আগে আপনার মূল্যবান ডাটা কোথাও ব্যাকআপ করে নিন যাতে পরে সমস্যায় না পড়েন।

যদি আপনি লিনাক্সে একদম নতুন হয়ে থাকেন এবং টেকনিক্যাল কোন কিছু না শিখে শুধুমাত্র এটিকে সফলভাবে ইনস্টল করে ব্যবহার করতে চান তাহলে বর্তমান অপারেটিং সিস্টেমের পাশাপাশি ডুয়াল বুটিং করাকেই অগ্রাধিকার দিন। এজন্য একেবারে লেটেস্ট ভার্সনের কোন ডিস্ট্রো যেমনঃ Linspire, Mepis, Mandriva, Fedora, Suse অথবা Ubuntu এর কোন একটিকে সংগ্রহ করুন। যদি লিনাক্সের স্বাদ গ্রহন করেই ক্ষান্ত হতে চান তবে অবশ্যই নতুন ভার্সন যেমনঃ আলফা, বিটা অথবা রিলিজ ক্যানডিডেট (RC) ভার্সন থেকে দূরে থাকুন। এগুলি যারা লিনাক্সে অভিজ্ঞ তাদের জন্য কারন এগুলি চলার সময় সমস্যা হলে তারা সহজেই ইন্টারনেট, ফোরাম বা অন্যান্য জায়গা ঘাটাঘাটি করে সমাধান করতে পারেন। কিন্তু নতুন ব্যবহারকারীগন তা পারেন না সহজে। তাই অবশ্যই কোন স্ট্যাবল ভার্সন ডাউনলোড করে সিডি/ডিভিডিতে রাইট করে নিন। কোথা থেকে ডাউনলোড করবেন তা জানার জন্য সবচেয়ে ভাল সাইট হচ্ছে http://distrowatch.com/ । এখানে প্রায় সবধরনের ডিস্ট্রিবিউশন সম্পর্কে অতি সহজে জানতে পারবেন তাদের লিংক সহ। ঘুরে আসুন সময় পেলে। আমি প্রতিদিনই একবার ঘুরে আসি সাইটটি থেকে। কারন প্রতিদিন কোন ডিস্ট্রো আপডেট হচ্ছে তা জানার খুব ভাল রিসোর্স এটি। একসময় দেখবেন নেশা লেগে যাবে এ সাইটের জন্য।

অভিজ্ঞ (Power User) ব্যবহারকারীদের জন্য কোন লিনাক্স?

যদি আপনি একজন ভাল মানের ব্যবহারকারী হন এবং ইনস্টলের মাধ্যমে লিনাক্সের টেকনিক্যাল খুটিনাটি বিষয় শিখতে চান তবে যে কয়টি ডিস্ট্রো আপনার চাহিদা মেটাতে পারে তা হলঃ Gentoo, Arch Linux, Debian, Slackware। যদি আপনি আরো অভিজ্ঞ ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন এবং লিনাক্স একদম গোড়া থেকে শুরু করতে চান তাহলে আপনার জন্য উপযোগী Linux From Scratch- যেটি আসলে কোন ডিস্ট্রিবিউশন নয় বরং কিছু নির্দেশনার সমষ্টি যাতে আপনি কিভাবে নিজের জন্য একটি ডিস্ট্রো বানাবেন তা দেখানো আছে।

বিশেষ উদ্দেশ্যের জন্য কোন ধরনের ডিস্ট্রো ব্যবহার করবেন এবার তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।

সার্ভারের জন্য কোন ডিস্ট্রো

ডেবিয়ান, রেডহ্যাট এবং স্ল্যাকওয়ার সার্ভারের জন্য খুব বিখ্যাত। ডেবিয়ানের সিকিউরিটি পলিসি এবং চমৎকার প্যাকেজিং সিস্টেম একে নন-কমার্শিয়াল সলুশনের জন্য এগিয়ে রেখেছে নিঃসন্দেহে। এতে সকল ধরনের সিকিউরিটি ফিক্সগুলিকে আলাদাভাবে আপডেট করা হয় যাতে মেইন প্রোডাকশন এর পরিবেশ বিঘ্নিত ও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। স্ল্যাকওয়ারের আপ-টু-ডেট প্যাকেজ একটি সিকিউরড সিস্টেম প্রদান করে এবং এর স্বচ্ছতা সিস্টেম এ্যাডমিনিস্ট্রেটরদেরকে সহজেই কাস্টমাইজেশনে সহায়তা করে থাকে। রেড হ্যাটের নিজস্ব সাপোর্ট সিস্টেম কমার্শিয়াল ও দামী সার্ভার মেইনটেন এর জন্য কর্পোরেট পরিবেশে খুবই আকর্ষনীয়।

পুরাতন কম্পিউটার এর জন্য কোন ডিস্ট্রো?

বেশ কিছু ছোট এবং দ্রুতগতির ডিস্ট্রো রয়েছে পুরাতন মেশিনের জন্য যেমন ভেক্টর লিনাক্স (Vector Linxu)যেটি খুব কম ধারনক্ষমতা সম্পন্ন হার্ডডিস্কে এবং কম গতির প্রসেসরযুক্ত মেশিনে ইনস্টল করা সম্ভব। এমনকি আপনি প্রথম দিককার 386 মেশিন যেটিতে ২/৪ মেগাবাইট Ram রয়েছে তাতেও লিনাক্স ইনস্টল করতে পারবেন। তবে XFree86 গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসের জন্য কমপক্ষে ৮মেগাবাইট সম্পন্ন ৪৮৬ প্রসেসরের মেশিন প্রয়োজন। ফায়ারওয়্যাল, ইমেইল ক্লায়েন্ট অথবা বেসিক টেক্সট এডিটিং এবং স্ক্রিপ্টিং এর জন্য এটুকুই যথেষ্ট। তবে পরিপূর্ন গ্রাফিক্যাল এনভারোনমেন্ট পাওয়ার জন্য পাপ্পি লিনাক্স, স্লিটাজ লিনাক্স এর মত কোন একটি ডিস্ট্রো ব্যবহার করতে পারেন। এগুলি চালানোর জন্য ৩২ মেগাবাইট Ram এবং ৫০০ মেগাবাইটের হার্ডডিস্কই যথেস্ট।

গেমের জন্য কোন ডিস্ট্রো?

গেম চালানোর জন্য প্রায় সব ডিস্ট্রোই ভাল সাপোর্ট দিয়ে থাকে। তবে ডিস্ট্রো পছন্দের চাইতে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে কোন লাইট এনভারোনমেন্ট যেমন XFCE ব্যবহার করা যেটি সত্যিই ভাল কাজ দিবে।

Gentoo এবং Source Mage লিনাক্সের মডিফাইড কার্নেল একটি পরিপূর্ন গেমিং প্লাটফর্ম হিসেবে এদেরকে এগিয়ে রেখেছে। তবে এগুলি অবশ্যই একটু এ্যাডভান্সড ব্যবহারকারীদের জন্য।

উইন্ডোজ/ইউনিক্স ডিস্ট্রোসমূহের তালিকার বিস্তৃতি কেমন হতে পারে?

যদি আপনি নতুন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে উইন্ডোজের মত দেখতে এমন কোন ডিস্ট্রোকেই প্রাধান্য দিবেন। কারন খুবই স্পষ্ট। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে সবাই প্রথমে পুরনোকেই আকড়ে ধরতে চায়। অন্য দিকে, যারা ম্যানুয়াল কনফিগারেশন পছন্দ করেন তারা অবশ্যই ইউনিক্স নির্ভর সমাধান খুজবেন। তাই নিচের তালিকাটি আপনাদের বোঝার জন্য কিছুটা সহায়ক হবে যেটি মূলতঃ ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে তৈরী করা।

Windows -> Linspire, Xandros -> Fedora, Mandriva, SuSe, Mepis, Ubuntu -> Debian -> Arch, Gentoo, Slackware -> BSD (Open, Free, Net, DragonFly), Solaris -> pure UNIX (Unixware, HP-UX, 4.4BSD).

এ তালিকাটি মূলতঃ ইনস্টলেশন এর স্বাচ্ছন্দ্যতা এবং শেল ব্যবহারের পরিমানের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা। এটি কোনভাবেই ডিস্ট্রোর মানের নির্দেশক নয়। যেমনঃ ফ্রি বিএসডি এবং আর্চ ইনস্টলেশন একই রকম সহজ তাই এদের কোন একটিতে আপনার সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

ডেবিয়ানে গ্রাফিক্স কার্ডের ভিডিও ড্রাইভার ইনস্টল করা

লিনাক্সে গ্রাফিক্স কার্ড এর সমস্যা বেশ কমন। নতুন ব্যবহারকারীগন অনেক সময় হতাশ হয়ে যান সমস্যার সমাধান করতে না পেরে। আজকে আমরা দেখবো কিভাবে গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভার ইনস্টল করবো লিনাক্সে। এজন্য প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কোন ড্রাইভার বর্তমানে আপনার মেশিন ব্যবহার করছে। আসুন তা জেনে নিই।

উইন্ডোজে আপনার মেশিন কোন ভিডিও ড্রাইভার ব্যবহার করছে তা বের করা বেশ সহজ কিন্তু লিনাক্সে এটির জন্য আমাদেরকে একটি ফাইল থেকে দেখে নিতে হবে। এটি দেখার জন্য নিচের মত করে কমান্ড দিনঃ

debian-:~# cat /var/log/Xorg.0.log

Output
X.Org XInput driver : 2.0
(II) Loading /usr/lib/xorg/modules/drivers/vesa_drv.so
ABI class: X.Org XInput driver, version 2.0
ABI class: X.Org XInput driver, version 2.0
(II) VESA: driver for VESA chipsets: vesa
ABI class: X.Org XInput driver, version 2.0
(II) Synaptics touchpad driver version 0.14.6 (1406)


উপরের আউটপুট থেকে খুব সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে, আপনার ভিডিও ড্রাইভারটি হচ্ছে VESA এবং এর মডিউল ড্রাইভারটির লোকেশন হচ্ছে /usr/lib/xorg/modules/drivers/vesa_drv.so। তবে আপনার মেশিনে VESA এর বদলে সব সময় নিজস্ব ড্রাইভার ব্যবহার করুন। তাতে পারফরম্যান্স ভালো পাবেন। যদি এক্স সার্ভার এ কোন সমস্যা হয় কেবল তখনই VESA জেনেরিক ড্রাইভার ব্যবহার করা হয়।

অন্য আরেকটি মেশিনের আউটপুট দেখি যেটাতে এনভিডিয়া কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে।

debian-:~# cat /var/log/Xorg.0.log

Output

X.Org XInput driver : 2.0
(==) Matched nv for the autoconfigured driver
(==) Assigned the driver to the xf86ConfigLayout
(II) Loading /usr/lib/xorg/modules/drivers//nv_drv.so
ABI class: X.Org XInput driver, version 2.0
ABI class: X.Org XInput driver, version 2.0
(II) NV: driver for NVIDIA chipsets: RIVA 128, RIVA TNT, RIVA TNT2,


উপরের আউটপুট থেকে দেখা যাচ্ছে যে, এনভিডিয়া কার্ডের জন্য নিজস্ব nv ড্রাইভার ব্যবহৃত হচ্ছে।

এবার আমরা আমাদের মেশিনের গ্রাফিক্স কার্ডের মডেল দেখার জন্য নিচের কমান্ডটি দেই।

lspci | grep VGA

এখানে দেখতে পাবেন নিচের মত আউটপুটঃ

01:00.0 VGA compatible controller: VIA Technologies, Inc. CN700/P4M800 Pro/P4M800 CE/VN800 [S3 UniChrome Pro] (rev 01) (prog-if 00 [VGA controller])
Subsystem: Giga-byte Technology Device d000


এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, আপনার মেশিনে VIA Technologies, Inc. CN700/P4M800 Pro/P4M800 CE/VN800 [S3 UniChrome Pro] মডেলের গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহৃত হচ্ছে।

এরপর http://packages.debian.org সাইটে গিয়ে আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের মডেল নাম্বার (VIA Technologies, Inc. CN700/P4M800 Pro/P4M800 CE/VN800 [S3 UniChrome Pro]) লিখে সার্চ দিন। সার্চ অন অপশনে Description সিলেক্ট করতে ভুলবেন না। মডেল নম্বরটি অনেক বড় হলে পুরো না লিখে আংশিক (যেমন S3 UniChrome Pro )লিখে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন। এবার যে প্যাকেজগুলির নাম পাবেন তার বর্ননা দেখে নির্দিষ্ট প্যাকেজটি ইনস্টল করে নিন। যেমন আমার ক্ষেত্রে এ প্যাকেজটি হচ্ছে xserver-xorg-video-openchrome যেটি VIA এর Unichrome চিপসেটের ড্রাইভার। এটি ইনস্টলের জন্য কমান্ড দিতে হবেঃ

aptitude install xserver-xorg-video-openchrome


এখানে উল্লেখ্য যে প্যাকেজের নামটি সাধারনত
xserver-xorg-video-xxxxx ফরম্যাটে থাকে।যেমন এনভিডিয়ার ড্রাইভার প্যাকেজ হচ্ছে xserver-xorg-video-nv

ডিপেনডেন্সী সহ প্যাকেজ ইনস্টল হয়ে গেলে উক্ত ড্রাইভারটি লোড করার জন্য /etc/X11/xorg.conf ফাইলের ডিভাইস সেকশনে (Device) নিচের মত করে Driver “openchrome” লাইনটি যোগ করতে হবে।

# vim /etc/X11/xorg.conf

Section "Device"
Identifier "Configured Video Device"
Driver “openchrome”
EndSection


এবার ডিসপ্লে ম্যানেজার রিস্টার্ট করি। এজন্য কমান্ডঃ # /etc/init.d/gdm start

আশা করি উপরের পদ্ধতি অনুযায়ী আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের ড্রাইভারটি ইনস্টল হয়ে যাবে।

ডেবিয়ানে কার্নেল ইনস্টলের পর সাউন্ড সমস্যার সমাধান

ডেবিয়ান লিনাক্সের নতুন কার্নেল ইনস্টল করতে হলে নিচের প্যাকেজগুলি http://packages.debian.org থেকে ক্রমান্বয়ে ডাউনলোড করতে হবেঃ

linux-headers-2.6.30-1-686_2.6.30-6_i386.deb
linux-headers-2.6.30-1-common_2.6.30-6_i386.deb
linux-image-2.6.30-1-686_2.6.30-6_i386.deb

উপরে 2.6.30-1-686_2.6.30-6 এর জায়গায় আপনার কাঙ্খিত কার্নেল নম্বর (যেমন এক্ষেত্রে ২.৬.৩০) হবে।

তারপর উক্ত ফোল্ডার ঢুকে কমান্ড দিতে হবেঃ
dpkg -i *.deb

উপরের পদ্ধতিতে নতুন কার্নেল ইনস্টল করার পর আমার মেশিনে সাউন্ড কাজ করছিল না। উল্লেখ্য আমার মেশিনে সাউন্ড কার্ড বিল্ট ইন। ইন্টারনেট ঘেটে ঘেটে অবশেষে সমাধান পাওয়া গেল। এজন্য আমি নিচের পদ্ধতিতে কাজ করেছি।

প্রথমে lspci -v কমান্ড দিয়ে সাউন্ড কার্ডের ড্রাইভার দেখে নিই। এ কমান্ডটি দিয়ে উইন্ডোজের ডিভাইস ম্যানেজার এর মত আপনার মেশিনে ইনস্টলকৃত ড্রাইভারসমূহ ও তাদের স্পেসিফিকেশন দেখে নেয়া যায়। যদি ইউএসবি ডিভাইসগুলি দেখতে চান তাহলে কমান্ড দিতে হবেঃ lsusb –v।

আউটপুটঃ

00:11.5 Multimedia audio controller: VIA Technologies, Inc. VT8233/A/8235/8237 AC97 Audio Controller (rev 60) Subsystem: Giga-byte Technology GA-7VAX Onboard Audio (Realtek ALC650) Flags: medium devsel, IRQ 22 I/O ports at bc00 [size=256] Capabilities: [c0] Power Management version 2 Kernel driver in use: VIA 82xx Audio Kernel modules: snd-via82xx


শেষের লাইন থেকে সাউন্ড কার্ডের জন্য কার্নেল মডিউলের নাম দেখে নিয়ে নিচের মত কমান্ড দেই যাতে মেশিন রিস্টার্টের সময় মডিউলটি লোড হয়ে যায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে।

# echo snd-via82xx >> /etc/modules

উপরের কমান্ডটির মাধ্যমে আসলে /etc/modules ফাইলে একটি লাইন যোগ করা হচ্ছে। আপনি চাইলে ভি অথবা জিএডিটর এর মত কোন এডিটরে কাজটি করতে পারেন। এজন্য রুট হিসেবে উপরের ফাইলটি ওপেন করে একেবারে নিচে লিখুন snd-via82xx। তারপর সেভ করে বের হয়ে আসুন।

সাউন্ডে সমস্যা করার কারন হচ্ছে alsa-utils এর কনফিগারেশন ফাইল /etc/modprobe.d/alsa-base-blacklist এ মডিউলটি ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে আছে ফলে এটি লোড হতে পারে না। তাই আমরা ম্যানুয়ালি এটিকে স্টার্ট আপের সময় লোড হবার জন্য /etc/modules ফাইলে নির্দেশ দিয়ে দিলাম।

সবার শেষে মেশিন রিস্টার্ট করে দেখুন কাজ হয় কিনা।

ডেবিয়ানে রুট ইউজার এর পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে রিসেট করা

যদি অনেকদিন ধরে লিনাক্স ব্যবহার করেন তাহলে লিনাক্সের রুট (এ্যাডমিনিস্ট্রেটর) পাসওয়ার্ড ভুলে যাওয়ার মত অবস্থায় পড়বেন না এটা ভাবা খুবই কঠিন এবং সেসময় পাসওয়ার্ড উদ্ধার করা ভাগ্যের হাতে ছেড়ে না দিয়ে উপায় থাকে না। যদি মেশিনের সামনে আপনি সরাসরি থাকতে পারেন তবে এটি তিন মিনিটেই উদ্ধার করতে পারবেন। আসুন আজ সেটিই দেখি।

  • ১নং ধাপঃ একটি লাইভ সিডি যোগাড় করা
প্রথমেই একটি স্ট্যান্ডার্ড লাইভ সিডি যোগাড় করুন যেটি হতে পারে KNOPPIX, Ubuntu LiveCD অথবা Debian LiveCD। যে কোন একটি লাইভ ডিস্ট্রোর আইএসও(ISO) ইমেজ ডাউনলোড করে সিডিতে বার্ন করে নিন নিরো, ব্রাশেরো, এক্সসিডি রোস্ট(XCD-Roast) বা অন্য কোন বার্নার দিয়ে।
  • ২নং ধাপঃ লাইভ সিডি থেকে বুট করা
এবার আপনার মেশিনের সিডি রমে সিডি ঢুকিয়ে লাইভ সিডি থেকে মেশিন বুট করুন। যদি বায়োসে সিডি থেকে বুট করার অপশন না থাকে তাহলে বায়োস সেটআপে প্রবেশ করে সিডি থেকে বুট করার অপশন দিয়ে দিন।
  • ৩নং ধাপঃ ড্রাইভ মাউন্ট করা
লাইভ সিডি থেকে বুট করা শেষ হলে একটি শেল প্রম্পট চালু করুন এবং আপনার যে ড্রাইভে ডেবিয়ান ইনস্টলড আছে সেটি মাউন্ট করে নিন অর্থাৎ যেটির পাসওয়ার্ড আপনি পরিবর্তন করতে চান।
#mount /dev/ /mnt/
Example:
# mount /dev/hda1 /mnt
or
# mount /dev/sda1 /mnt

  • ৪নং ধাপঃ আপনার পার্টিশনে chroot করা
এর পরের ধাপ হচ্ছে আপনি যে পার্টিশন মাউন্ট করেছেন সেখানে chroot করা।
# chroot /mnt/
এখন আপনি আপনার হার্ডডিস্কে ইনস্টলকৃত ডেবিয়ানের শেল প্রম্পট এনভারোনমেন্ট পেয়ে যাবেন।

chroot এর কাজ হচ্ছে বর্তমান রুট পাথ পরিবর্তন করে অন্য কোন পাথকে রুট পাথ (/) হিসেবে সেট করা। অর্থাৎ বর্তমানে আপনি যেহেতু লাইভ সিডি চালাচ্ছেন তাই কোন কমান্ড দিলে লাইভ সিডির অপারেটিং সিস্টেম তা গ্রহন করবে এবং লাইভ সিডির ফাইল সিস্টেমে পরিবর্তন করবে। কিন্তু আপনি chroot কমান্ড দিয়ে /mnt তে মাউন্টকৃত ড্রাইভকে রুট পাথ হিসেবে সেট করে নিচ্ছেন তাই পরবর্তীতে কমান্ড দিলে আপনার হার্ডডিস্কে অবস্থিত ডেবিয়ানে তা কার্যকরী হবে। এটি রিমোট লোকেশন থেকে কোন সার্ভারকে মেইনটেন্যান্স করার জন্য বেশ ব্যবহৃত হয়।
  • ৫ নং ধাপঃ রুট পাসওয়ার্ড রিসেট করা
এখন নিচের কমান্ডটি দিন এবং রুট এর জন্য একটি নতুন পাসওয়ার্ড সেট করুন।
# passwd

আউটপুটঃ

# Enter your new UNIX password:
# Retype new UNIX password:


এখানে আপনি ইচ্ছা করলে অন্য ব্যবহারকারীর জন্যও পাসওয়ার্ড সেট করতে পারবেন যখন আপনি রুট ইউজার হিসেবে লগইন করতে পারবেন।
  • ৬নং ধাপঃ আনমাউন্ট ও রিবুট করা
সবার শেষে আপনার হার্ডডিস্ককে আনমাউন্ট করুনঃ

# umount /mnt

এবং কম্পিউটার রিস্টার্ট/রিবুট করুন। তারপর হার্ডডিস্ক থেকে পুনরায় বুট করুন। এখন আপনি আপনার নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে পারবেন যেটি ৫নং ধাপে দিয়ে এসেছেন।

ডেবিয়ান লিনাক্স টিপস এন্ড ট্রিকস-২

  • এ্যাপ্লিকেশন বা প্রোগ্রামসমূহের স্টার্ট আপ স্পিড বাড়ানো
একটি ডেস্কটপ মেশিনে সাধারনত ক্যাশিং পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে এর সাড়া প্রদানের হার বা রেসপন্স টাইম দ্রুত করা হয়ে থাকে। যখন মেশিন বুট বা চালু করা হয় তখন সাধারনত যে ফাইল/বাইনারীসমূহ প্রায়ই ব্যবহৃত হয় সেগুলিকে মেশিন র‌্যাম এ লোড করে নেয়। ডেবিয়ানে এ কাজটি করার জন্য preload নামে একটি চমৎকার প্যাকেজ আছে। Preload ব্যবহারকারীর এ্যাপ্লিকেশনসমূহের গতি বা পারফর্ম্যান্স বাড়াতে ব্যবহৃত হয়, এটি মেশিন এর বুটিং স্পিড বাড়াতে কোন সাহায্য করে না। বরং এটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে বুটিং স্পিড কমিয়েও ফেলতে পারে। তাই এটি ব্যবহারে কিছটা সতর্ক হওয়া দরকার।

preload একটি ডেমন বা ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোগ্রাম হিসেবে রান করে থাকে এবং মনিটরিং করতে থাকে ব্যবহারকারী যে সমস্ত প্রোগ্রাম ব্যবহার করে থাকে তার উপর। তাই প্রথম প্রথম আপনি এর কোন ফলাফল দেখতে না পেলেও সময়ের সাথে সাথে আপনার পিসির পারফর্ম্যান্স লক্ষনীয় ভাবে বাড়তে থাকবে। তাই এ প্রোগ্রামটিও আপনার পিসির জন্য একটি প্রয়োজনীয় টুলস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

ইনস্টল করার জন্য কমান্ড:
# apt-get install preload

এটুকুই যথেষ্ট প্রোগ্রামটি রান করার জন্য। প্রোগ্রামটি কনফিগার করা যায় তবে এর ডিফল্ট সেটিংস-ই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পারফর্ম্যান্স প্রদানের জন্য যথেষ্ট।

  • অ্যাপ্লিকেশনসহ মেশিনের সামগ্রিক পারফর্ম্যান্স বাড়ানো
লিনাক্স নির্ভর অপারেটিং সিস্টেমগুলিতে ফাইল এবং ডিরেক্টরি প্রবেশ/পরিবর্তনের সময়/হিস্টোরী সংরক্ষন করার ব্যাপারটি সব সময়ই এর পারফর্ম্যান্সে একটি প্রভাব ফেলে থাকে। সাধারনত যখনই কোন ফাইল অথবা ফোল্ডারে প্রবেশ করা হয় এমনকি যদি ক্যাশ করা হয় শুধুমাত্র পড়া/রিড করার জন্য তারপরও প্রবেশের সময়ক্ষন (একসেস টাইম) ডিস্কে সংরক্ষন করা হয়ে থাকে। লিনাক্স কার্নেল টিম এর গুরুত্বপূর্ন একজন সদস্য ইনগো মলনার এর উক্তি উল্লেখ করা যায় এ প্রসঙ্গেঃ

"আমি জোর দিয়ে বলতে পারি না যে, এটি বাস্তবে ঠিক কতটা প্রয়োজনীয়। atime (access time) আপডেট করার ব্যাপারটি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের পারফর্ম্যান্সে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশী ঘাটতি তৈরী করে থাকে। atime আপডেট বন্ধ করে দিয়ে আমরা লিনাক্সের পারফর্ম্যান্স গত ১০ বছরে সব ধরনের পেজক্যাশ স্পিড বাড়ানোর ফলে যে স্পিড বেড়েছে তার থেকেও বেশী বাড়াতে পারি।

এটি সম্ভবতঃ ইউনিক্স ডিজাইনে সর্বকালের সব থেকে দূর্বল দিক গুলির একটি। ইউনিক্স বাস্তবিক অর্থেই চমৎকার ও স্থিতিশীল একটি অপারেটিং সিস্টেম কিন্তু একবার ভেবে দেখুন তোঃ ‘যখন যে ফাইল হার্ডডিস্ক থেকে পড়া/রিড করা হচ্ছে তখনই ডিস্কে তার একসেস টাইম তথ্য সংরক্ষিত হচ্ছে! এবং যে ফাইলগুলি ক্যাশে সংরক্ষিত আছে এবং যেগুলি সেখান থেকেই রিড করা হচ্ছে ... সেগুলির জন্যও একই রকমভাবে তথ্য সংরক্ষিত হচ্ছে!"

তবে এ সমস্যার সমাধান আমরা খুব সহজেই করতে পারি ছোট একটি টিপস ব্যবহার করে। এজন্য /etc/fstab ফাইলে সামান্য একটু এডিট করে আপনাকে noatime অথবা relatime ফ্ল্যাগ যুক্ত করে দিলেই চলবে। যদি আপনি noatime ব্যবহার করেন তাহলে nodiratime ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই। অবশ্য অনেকেই এটি করে থাকেন এবং পরামর্শ ও দিয়ে থাকেন কিন্তু nodiratime আদতেই noatime এর একটি সাবসেট অর্থাৎ noatime কমান্ডের ভিতর nodiratime এর সকল ফিচার বিদ্যমান।

উদাহরনঃ

/etc/fstab ফাইলে নিচের কোডটি পরিবর্তন করে

/dev/sda1 / ext3 defaults,errors=remount-ro 0 1
/dev/sda3 /home ext3 defaults 0 2


তার বদলে দিন নিচের কোডটি

/dev/sda1 / ext3 defaults,noatime,errors=remount-ro 0 1
/dev/sda3 /home ext3 defaults,noatime 0 2


তারপর ফাইলটি সেভ করুন ও সবার শেষে রিস্টার্ট দিন। এবার হার্ডডিস্কের ফোল্ডারগুলিতে একসেস করুন ও পরিবর্তন লক্ষ্য করুন।

  • মেশিনের পারফর্ম্যান্স বাড়ানোর আরো কিছু টিপস
আপনার মেশিনের গতি বাড়াতে আরো দুটি ছোট ট্রিকস রয়েছে যা আমরা এখন শিখব। লিনাক্স সাধারনভাবে র‌্যাম বা মেমোরী ফ্রি করার জন্য ডাটা এবং এ্যাপ্লিকেশনগুলিকে ডিস্কে সোয়াপিং করে থাকে। এটি কার্যকরী কিন্তু যদি আপনার সিস্টেমটি যদি হয় সাধারন ডেস্কটপ তাহলে এ অপশনটি অনেক সময় আপনাকে হতাশ করতে পারে। ডেস্কটপ সিস্টেমে একজন ব্যবহারকারী সাধারনত এ্যাপ্লিকেশনের কাছ থেকে বেশী বেশী গতি আশা করে থাকে।

উদাহরনস্বরূপঃ যদি একটি কাজ (যেমন লেখালেখি, গান শোনা, মুভি দেখা) করার সময় অন্য আরেকটি কাজ যেমন একটি বড় ফাইল আনজিপ করার সময় ৯৫ সেকেন্ডের বদলে ১০০ সেকেন্ড লাগে তাতে কি আপনার কোন যায় আসে? না, এটি কোন সমস্যাই নয় অন্ততঃ আমার ক্ষেত্রে। আমি আমার মূল কাজ (গান শোনা, লেখালেখি করা) ভালভাবে দ্রুতগতিতে করতে পারলেই হল। কিন্তু যদি আপনার কোন এ্যাপ্লিকেশন বা পুরো ডেস্কটপ ৫ সেকেন্ড দেরী করে কোন কাজ করতে বা পুরো ফ্রিজ হয়ে যায় তাহলে কেমন লাগবে? অবশ্যই তা ভাল লাগবে না। এটি অবশ্য সার্ভারের জন্য ভাল কারন সেখানে তো কেউ একটি ফাইল আরেকটি ট্যাবে কতক্ষন পরে খুলছে, গান কতক্ষন পরে চালু হচ্ছে, কোন ডিরেক্টরী ব্রাউজ করতে কতসময় লাগছে তা দেখার জন্য বসে থাকে না এবং সেখানে কতটুকু ডাটা আদান-প্রদান হচ্ছে তা যেকোন কিছুর চেয়ে মূল্যবান। কিন্তু ডেস্কটপের জন্য এটি সত্যিই সমস্যায় আক্রান্ত করে থাকে ব্যবহারকারীকে।

এ সমস্যার সমাধান দু’ভাবে করা যেতে পারে।

প্রথমতঃ কার্নেলের পেজিং বিহেভিয়ার পরিবর্তনের মাধ্যমে। এটি /etc/sysctl.conf এ সামান্য পরিবর্তনের মাধ্যমে এবং vm.swappiness এর জন্য একটি ভ্যালু বাড়িয়ে করা হয়ে থাকে। আমরা ০(শূন্য) এবং ১০০(একশত) এর মধ্যে যে কোন একটি মান বেছে নিতে পারি যেখানে ০(শূন্য) বলতে বোঝায় কার্নেল সবকিছুকে RAM এ রাখতে চেষ্টা করে থাকে এবং ডিস্কে ক্যাশ করবে না। ১০০(একশত) বলতে বোঝায় কার্নেল RAM বা মেমোরী ফ্রি করে ডিস্কে ক্যাশ করতে চেষ্টা করবে অব্যাহতভাবে। ডেবিয়ানে ডিফল্ট মান হচ্ছে 60, এটি মোটামুটি ঠিকই আছে কিন্তু কিছুটা রক্ষনশীল। ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদেরকে অবশ্যই এখানে কম মান ব্যবহার করা উচিত কারন তাতে কার্নেল সবকিছুকে RAM এ সংরক্ষন করার চেষ্টা করবে যা ব্যাটারীর কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

এটি করার জন্য কমান্ড দিনঃ
# echo 'vm.swappiness=20' >> /etc/sysctl.conf

দ্বিতীয়তঃ কার্নেল যে পদ্ধতিতে ব্লক ডিভাইস এবং বিপরীতে ফাইলসিস্টেম এন্ট্রি-র ক্যাশ খালি করে থাকে সেটি পরিবর্তন করার মাধ্যমে এটি করতে পারি। তাই আমরা এ ক্ষেত্রে কার্নেল যখন ক্যাশ ফ্রি করার চেষ্টা করে থাকে তখন ফাইল সিস্টেম এন্ট্রি ক্যাশ হওয়ার আগেই যাতে ব্লক ডিভাইসগুলি ক্যাশ থেকে ফ্রি হতে পারে তার ব্যবস্থা করব। কারন ফাইল সিস্টেম এন্ট্রি ক্যাশে থাকলে ফাইল ম্যানেজার ও অন্যান্য প্রোগ্রামগুলি আরো দ্রুত কাজ করতে পারবে যেখানে অরিজিনাল ফাইল সিস্টেম থেকে খুজে নিতে হলে আরও বেশী সময় লাগত। এবার ও আমরা /etc/sysctl.conf ফাইলে vm.vfs_cache_pressure এর জন্য একটি মান দিয়ে দেব। এর ডিফল্ট মান হচ্ছে 100, এর সর্বোচ্চ মান কত দেওয়া যায় তা ততটা স্পষ্ট নয় তবে ০(শূন্য) দিলে আপনার সিস্টেম বড় ফাইলে কাজ করার সময় ভয়াবহ সোয়াপিং সমস্যায় পড়তে পারে।

এটির মান দেয়ার জন্য নিচের কমান্ডটি দিনঃ
# echo 'vm.vfs_cache_pressure=50' >> /etc/sysctl.conf

সবশেষে মেশিন রিস্টার্ট দিন। আজ এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে।

ডেবিয়ান/উবুন্তুতে নতুন কার্নেল ইনস্টল করার পদ্ধতি

কার্নেল রি-কম্পাইল... শুনে মনে হয় কি জিনিস রে বাবা! কার্নেল তাও আবার রিকম্পাইল। বিগ বিগ লিনাক্স ফ্যান, টেকিরা উল্টা পাল্টা কিছু হলেই বলেন কার্নেল রিকম্পাইল মারো। তা আসুন আজ একটু দেখি কার্নেল কি জিনিস, রিকম্পাইল কি জিনিস আর এটি দিয়ে আসলে কি-ইবা করে থাকে লিনাক্স গুরুরা।

কার্নেল হল যে কোন অপারেটিং সিস্টেমের প্রান ভোমরা স্বরূপ। অপারেটিং সিস্টেমের বেসিক কাজ যেমনঃ ডিভাইস ড্রাইভার চালানো, ফাইল সিস্টেম (FAT, NTFS, EXT2) ম্যানেজমেন্ট, মেমোরী ম্যানেজমেন্ট, স্টোরেজ ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি কাজের বেশীরভাগই কার্নেল লেভেলে হয়ে থাকে। কারন এ সমস্ত বেশীরভাগ কাজ প্রতিটি প্রোগ্রামেই দরকারী।
উদাহরনস্বরূপঃ আপনি যদি নোটপ্যাডে একটি ফাইল খুলে কিছু লেখেন তাহলে প্রথমে কার্নেল ফাইলটিকে ডিস্ক থেকে খুজে বের করবে, তারপর নোটপ্যাডকে ঐ লোকেশনটি প্রদান করে খুলতে সহায়তা করবে, তারপর যখন কিছু লিখবেন তখন কি-বোর্ড ড্রাইভার ও গ্রাফিকস কার্ডের ড্রাইভারকে নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে তা স্ক্রিনে আউটপুট প্রদান করবে। সবশেষে উক্ত লেখা সেভ করার সময় কার্নেল ডিস্ককে বলে দেবে কোথায় সেটি সেভ করবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন যেকোন কাজের পেছনে কার্নেল এর ভূমিকা কত ব্যাপক। এ সমস্ত সাধারন কাজ যা প্রায় প্রতিটি প্রোগ্রামেই লাগে তা প্রতিটি প্রোগ্রামের সাথে জুড়ে দিলে এক একটি প্রোগ্রামের সাইজ কত হত তা একবার ভেবে দেখেছেন কি? তাই কার্নেল এর মাধ্যমে এ সমস্ত সাধারন কাজগুলিকে একটি জায়গা থেকেই মেইনটেইন করা হয়ে থাকে।

লিনাক্সের ক্ষেত্রে কার্নেলকে মেইনটেইন করেন খোদ এর স্রষ্টা লিনাস টোরভাল্ডস। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান সব কার্নেল হ্যাকাররা লিনাসের নেতৃত্বে এক বিশাল কাজ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। হ্যাকার নাম শুনে ঘাবড়াবেন না। লিনাক্স জগতে হ্যাকারদেরকে উইন্ডোজ জগতের মত ভীতির চোখে দেখা হয় না বরং সমীহ করে চলা হয়। কারন তারাই তো এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বিনা পারিশ্রমিকে লিনাক্সের খুটিনাটি বিষয়গুলি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা, মেইনটেইন করা, বাগ ফিক্স করা, রিলিজ করা সব করে যাচ্ছেন নীরবে।

লিনাক্স কার্নেলে নতুন কিছু যোগ করা বা পরিমার্জন করা হলে হ্যাকাররা তা সম্পাদন করে লিনাসের কাছে জমা দিয়ে থাকেন। লিনাস সুবিধাজনক সময়ে সেটি আবার http://www.kernel.org/ সাইটে রিলিজ দিয়ে থাকেন। এখান থেকে যে কেউ কার্নেল ডাউনলোড করে তা কম্পাইল করে নিতে পারেন। কিন্তু শুনতে সহজ মনে হলেও কাজটি অত সহজ নয়। কার্নেল নামিয়ে কম্পাইল করতে গেলে মেশিনভেদে এটি ২/৪ ঘন্টা পর্যন্ত লাগতে পারে। এমনকি কম্পাইল এর মাঝে যদি পাওয়ার সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সব কাজ ফিনিস। আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। তাই নতুন ব্যবহারকারীরা প্রায়ই কম্পাইল করতে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। কিন্তু কেন এই কার্নেল রিকম্পাইল করবেন?

কারন আর কিছুই না। যদি আপনার কোন ডিভাইস বর্তমান কার্নেল সাপোর্ট না করে যেমন গ্রাফিক্স কার্ড, সাউন্ড কার্ড, ইউএসবি এজ মডেম ইত্যাদি তাহলে নতুন কার্নেল এ থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে। তারপরও যদি না থাকে ফোরাম সার্চ করুন, গুগল করুন অথবা কার্নেল বাগ ডাটাবেজে এ রিপোর্ট করুন। তাহলে পৃথিবীর অপর প্রান্তের কেউ একজন এ বাগ ঠিক করে যখন নতুন কার্নেল রিলিজ করবে তখন তা মেশিনে ইনস্টল করে নিন। তাহলে আপনার সমস্যার সমাধান হয়ে ও যেতে পারে। এখানেই লিনাক্সের মূল শক্তি নিহিত। ওপেন সোর্স হওয়ায় আপনি সহজেই সাহায্য পাচ্ছেন। যা উইন্ডোজে মোটেই সম্ভব না। এছাড়াও কার্নেলে নতুন ফাইল সিস্টেম এর কোড, পুরাতন কার্নেল এর বাগ ফিক্সিং, মেশিন দ্রুতগতিসম্পন্ন করার জন্য টিউনিং কোড ইত্যাদি দেয়া হয়ে থাকে।

আপনার কার্নেল এর ভার্সন নম্বরটি জানতে লিনাক্সে ঢুকে শেল প্রম্পটে টাইপ করুন uname –a। এখানকার আউটপুটের যে অংশটি 2.6.xx.xx টাইপের সেটিই আপনার কার্নেল ভার্সন। ধরি আপনার বর্তমান কার্নেল নম্বর 2.6.26। এখন আপনি যদি নতুন কার্নেল 2.6.30 তে কার্নেল আপডেট করতে চান তাহলে আপনার জন্য উবুন্তু টিম রেডিমেড কম্পাইলড প্যাকেজ নিয়ে বসে আছে। আপনি শুধু ডাউনলোড করুন আর ইনস্টল করুন। ব্যস কেল্লা ফতে।

এ ফাইলগুলি আপনি এ লোকেশনে পাবেন- http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/mainline/

আপনার যে ভার্সন দরকার সে ভার্সনের ফোল্ডারে ক্লিক করুন আর নিচে উল্লেখিত ফাইলগুলি ডাউনলোড করুন।
যেমন ভার্সন ২.৬.৩০ এর লোকেশন হবে http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/mainline/v2.6.30/
ইনস্টলেশন পদ্ধতি
  • প্রথমেই ডাউনলোড করুন
http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/ma ... 30_all.deb লোকেশন থেকে linux-headers-2.6.30-020630_2.6.30-020630_all.debফাইলটি

  • এবার কার্নেল হেডার প্যাক ডাউনলোড করুনঃ
i386 মেশিনের জন্যঃ
http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/ma ... 0_i386.deb

64 বিট মেশিনের (এএমডি/ইন্টেল উভয়ের) জন্যঃ
http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/ma ... _amd64.deb

  • কম্পাইলড কার্নেল ইমেজ ডাউনলোড করুনঃ
i386 মেশিনের জন্যঃ
http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/ma ... 0_i386.deb

64 বিট মেশিনের (এএমডি/ইন্টেল উভয়ের) জন্যঃ
http://kernel.ubuntu.com/~kernel-ppa/ma ... _amd64.deb

উপরে ঠিক যে ক্রমানুযায়ী ডাউনলোড করেছেন সেভাবেই এগুলিকে ইনস্টল করুন। অথবা সব ফাইলগুলিকে একটি ফোল্ডারে রেখে উক্ত ফোল্ডারে গিয়ে নিচের এক কমান্ডেই কাজ করুনঃ
dpkg –i *.deb
সবশেষে নতুন কার্নেলকে ইমেজসহ গ্রাব মেনুতে যোগ করার জন্য কমান্ড দিনঃ
update-grub
তাহলে গ্রাব মেনুতে অটোমেটিক্যালি নতুন কার্নেল যোগ হয়ে যাবে যা বুট করার সময় সিলেক্ট করতে পারবেন। এখন বুট করুন আর নতুন কার্নেল সিলেক্ট করে অপারেটিং সিস্টেম চালু করুন। বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালিয়ে দেখুন কার্নেল এ কোন সমস্যা আছে কিনা। এছাড়া যে ডিভাইসটি সমস্যা করছিল পুরাতন কার্নেলে সেটি ঠিক হয়েছে কিনা তাও দেখুন। যদি কোন সমস্যা থাকে তবে মেশিন রিস্টার্ট করে আবার পুরনো কার্নেল দিয়ে মেশিন চালু করুন এবং নতুন কার্নেল আনইনস্টল করে দিন সিন্যাপটিকে গিয়ে। এখানে সার্চ দিনঃ linux-image ও linux-header দিয়ে তারপর কার্নেল নম্বর দেখে আনইনস্টল করে দিন নতুন কার্নেলকে।

আশা করি উপরের বর্নিত পদ্ধতি আপনাকে কার্নেল সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারনা দেবে। তবে আরও ভাল ধারনা পাওয়ার উপায় হলো মূল কার্নেল টার ফাইল নামিয়ে একটু নেড়ে চেড়ে দেখা (যদি সি ল্যাংগুয়েজ জানেন), তারপর কম্পাইল করা এবং ইনস্টল করা। তবে কথা আছে- যদি আপনার একটি খুব উন্নত ও দ্রুতগতির মেশিন থাকে তাহলে রিকম্পাইলের রিস্ক নিতে পারেন। আজ এ পর্যন্তই। ভাল থাকুন সবাই।

ডেবিয়ান লিনাক্স টিপস এন্ড ট্রিকস-১

এখানে একটি সাধারন ডেবিয়ান ডেস্কটপ সিস্টেম এর গতি এবং পারফরম্যান্স কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে চাই। ধরে নিচ্ছি এ সিস্টেমটি কোন সার্ভার বা কনসোল নির্ভর সিস্টেম নয়।

ডেবিয়ান এর ডিফল্ট সেটিংসে এটি অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম এর তুলনায় কিছুটা ধীর গতিতে বুট করে থাকে। এছাড়া ও ডেস্কটপ এর কিছু বড়সড় প্রোগ্রাম যেমন ওপেন অফিস.অর্গ রাইটার, ফায়ারফক্স/উইজেল এর মত প্রোগ্রামগুলি ও ডেবিয়ানে কিছুটা ধীরগতিতে কাজ করে থাকে। বুট স্পিড বাড়ানো, প্রোগ্রামসমূহ চালু হওয়ার স্পিড বাড়ানো এবং অন্যান্য কাজ সমূহ দ্রুতগতিতে করার জন্য কতিপয় উপায় রয়েছে। কিন্তু ডেবিয়ান এগুলির একটিও সাধারনভাবে ব্যবহার করে না।

কিন্তু এগুলি ঠিক করে একটি দ্রুতগতি সম্পন্ন ডেবিয়ান ডেস্কটপে পরিনত করা কি সম্ভব নয় আপনার মেশিনকে? অবশ্যই সম্ভব। তবে সেজন্য আপনাকে কিছু টিপস এন্ড ট্রিকস ফলো করতে হবে। আজ সে ধরনের কিছু বিষয় নিয়েই আলোচনা করতে চাই। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তাহলে আসুন শুরু করা যাক।

  • প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার
লিনাক্সের গতি বাড়ানোর জন্য কয়েকটি সফটওয়্যার লাগবে। তবে এজন্য আপনাকে ইন্টারনেট কানেকশন রাখলেই চলবে। আর প্যাকেজগুলি শুধুমাত্র মেইন রিপোজিটরী থেকেই নেয়া হবে। তাই চিন্তার কিছু নেই। যদি না পান রিপোতে তাহলে সার্চ করে নিতে পারেন।

লিনাক্সে কোন কিছু পরিবর্তনের আগে কনফিগারেশন ফাইলের ব্যাক আপ নিয়ে রাখা ভাল। যদি কোন সমস্যায় পড়েন তাহলে সহজেই আগেই ফাইল দিয়ে মেশিন যাতে ঠিক করতে পারেন সেজন্যই এ পরামর্শ।

  • বুট স্পিড বাড়ানো
আপনি হয়তো অন্যান্য ডিস্ট্রো (যেমন আর্ক) ফ্যানদের কথায় কিছুটা হতাশ যারা ডেবিয়ানের বুট স্পিড নিয়ে কটাক্ষ করে থাকে। চিন্তার কিছু নেই। ঐ সব ডিস্ট্রোগুলির ব্যবহৃত টেকনিক আপনার ডেবিয়ানেও কাজে লাগাতে পারেন। অন্য ডিস্ট্রোগুলিতে সাধারনত সার্ভিসগুলি বুটের সময় পর্যায়ক্রমিকভাবে চালু হয় না। পর্যায়ক্রমিকভাবে চালু বলতে আমি বোঝাচ্ছি যে, একটি প্রসেস যদি চালু হতে দেরী হয় তবে পরবর্তী সার্ভিস গুলিও চালূ হতে দেরী হবে। এর বিকল্প হিসেবে আপনি প্যারালাল বা সমান্তরাল ভাবে সার্ভিস সমূহ চালু করতে পারেন যেখানে একটি সার্ভিস চালু হতে দেরী হলেও অন্যান্য সার্ভিস যেগুলি এর উপর নির্ভরশীল নয় তা একই সাথে চালু হতে শুরু করবে। ফলাফল হাতেনাতে পাবেন।

আরেক বিষয়- যখন ডেবিয়ান বুট হয় তখন কিছু সার্ভিস (যেমন ফায়ারস্টার্টার) পুনরায় স্টার্ট/স্টপ/স্টার্ট হয়। এর কারন হচ্ছে - এ স্ক্রিপ্টগুলি LSB ডিপেনডেন্সির যে ক্রমানুযায়ী চালু হবার কথা তা অনেক সময় মেনে চলে না।

সুতরাং LSB এর ক্রমান্বয় মেনে চলার জন্য স্ক্রিপ্টকে নির্দেশ দান করার পর প্যারালাল স্টার্ট আপের নির্দেশ দিব।

স্ক্রিপ্টগুলির ক্রমান্বয় নতুন করে সাজাবার জন্যঃ

# apt-get install insserv

Read the warning and go ahead if you like.
Allow parallel starts:

# echo 'CONCURRENCY=shell' >> /etc/default/rcS

কেউ কেউ এখানে CONCURRENCY=startpar ব্যবহার করতে পারেন। তবে তারা মূলত একই জিনিস কিন্তু শেল পুরনো নিয়মে স্ক্রিনে আউটপুট প্রদর্শন করে থাকে এবং কিছুটা দ্রুতগতির বলেই মনে হয়।

  • Readahead
readahead প্যাকেজটি বুট এর সময়ে চালু হয় এবং বুটের সময়ে যে সমস্ত ফাইল প্রয়োজন হয় সেগুলিকে কার্নেল এর ডিস্ক ক্যাশে জমা করতে থাকে। এটিকে চালু করার জন্য প্রথমে ইনস্টল করুন readahead প্যাকেজ, তারপর touch কমান্ড দিয়ে /etc/readahead/profile-once ফাইলটি তৈরী করুন এবং সবার শেষে মেশিন রিবুট বা রিস্টার্ট করুন।

প্যাকেজটির প্রোফাইল নেয়ার জন্য প্রথমবার বুট হবে খুব ধীরে এবং পরবর্তীতে বুটের সময় প্রোফাইল সেট আপ রান করবে এসব ফাইলগুলিকে দ্রুতগতিতে লোডের মাধ্যমে।

কমান্ডঃ
# apt-get install readahead

# touch /etc/readahead/profile-once
reboot


  • অন্যান্য বিষয় যা বুটিংকে প্রভাবিত করে থাকেঃ

বুটিং এর সময় কি কি সার্ভিস চালু হচ্ছে তা কি আপনি জানেন? এটি কিন্তু সম্পর্ন আপনারই উপর নির্ভর করে। আপনার যদি প্রিন্টার না থাকে তাহলে অবশ্যই cups সার্ভিস ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু করে কোন লাভ নেই। তাই এ রকম অপ্রয়োজনীয় সার্ভিসগুলিকে সহজেই বাদ দিয়ে আপনার বুটিং স্পিড বেশ খানিকটা বাড়িয়ে নিতে পারেন। কিন্তু এটি কিভাবে করবেন?

আপনি গ্রাফিক্যাল মোড এর সার্ভিস(Administration-->Services) অপশন থেকে এটি করতে পারেন। তবে সব সার্ভিসগুলিকে এখানে পাবেন না। সেজন্য আপনাকে প্রথমেই জেনে নিতে হবে আপনার ডিফল্ট রান লেভেল কত। ডিফল্ট রান লেভেল হচ্ছে আপনার কম্পিউটার যে মোডে লগইন হয়ে থাকে তার নম্বর। এটি লিনাক্সে ০-৬ এ যেকোন একটি হতে পারে। যেমন ডেবিয়ান লিনাক্সের ডিফল্ট রানলেভেল হচ্ছে ২। এটি জানার জন্য /etc/inittab ফাইলটি খুলুন যেকোন টেক্সট এডিটর দিয়ে। তারপর নিচের লাইনে যানঃ

id:2:initdefault:

উপরের লাইনে id এর পর যে নম্বরটি (২) আছে সেটিই হচ্ছে আপনার ডিফল্ট রান লেভেল।

এবার আসুন সার্ভিসগুলি বাদ দেবার পালা। এজন্য প্রথমেই শেল মোডে রুট হিসেবে লগইন করুন। তারপর /etc/rc2.d নামক ফোল্ডারে যান। দেখুন এখানে কি কি ফাইল আছে। এখানে ফাইলগুলি সাধারনত S অক্ষর দিয়ে শুরু হয়েছে। এগুলি দ্বারা সার্ভিস কে বোঝায়। তারপর একটি নম্বর আছে ১০, ২০, ৩০ এরকম। এ নম্বরগুলি অনুযায়ী বুটের সময়ে ধারাবাহিকভাবে সার্ভিসগুলি চালু হয়ে থাকে। এ নম্বরটি বেশ গুরুত্বপূর্ন। এখন আপনি যে সার্ভিসটিকে বন্ধ করতে চান সে নামের ফাইলটিকে রিনেম করে দিন তার আগে একটি আন্ডারস্কোর (_) চিহ্ন দিয়ে। উদাহরনস্বরূপঃ

আপনি যদি S90apache সার্ভিসটিকে বন্ধ করতে চান তাহলে কমান্ড দিনঃ

cd /etc/rc2.d
mv S90apache _S90apache


ব্যস আপনার সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে গেল। সার্ভিসটিকে পূনরায় চালু করতে কমান্ড দিনঃ

mv _S90apache S90apache

ডাউনলোডকৃত আইএসও ইমেজ-কে রিপোজিটরী হিসেবে ব্যবহার করুন

ডেবিয়ান এ একাধিক সিডি ডাউনলোড করে তা থেকেই সাধারনত সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়ে থাকে। যাদের ইন্টারনেট আছে তারা অবশ্য সিন্যাপ্টিক থেকে সরাসরি ডাউনলোড করতে পারেন। একাধিক সিডি থেকে ডাউনলোড করতে গেলে প্রায়ই সিডি বের করে আবার নতুন সিডি ঢোকাতে হয়। এভাবে একাধিকবার সিডি পরিবর্তন করা বেশ ঝামেলার। এজন্য বারবার সিডি ঢোকানোর হাত থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনি ডাউনলোড করা আইএসও ফাইল মাউন্ট করে কাজ সারতে পারেন। ফলে সিডি ঢোকানো এবং বার্ন করা দুটো ঝামেলাই এড়াতে পারবেন। আপনার কোন বন্ধুর কাছ থেকে পেন ড্রাইভে আইএসও ফাইলটি নিয়ে এসে বাসায় কাজ করতে পারবেন। ফলে সিডি’র খরচ ও কিছুটা বাচাতে পারবেন বৈকি।

এ পদ্ধতিতে আপনাকে আইএসও ফাইল এবং তার ফোল্ডারগুলো অবশ্যই চিনিয়ে দিতে হবে যাতে বুট করার সময়ে অটোমেটিক্যালি সেগুলো পেয়ে যান এবং সেখান থেকে যে কোন সময়ে ইনস্টল করতে পারেন।

নিচের লাইনগুলিতে my-user-name এর জায়গায় আপনার নিজের নাম/ফোল্ডার এর নাম হবে।
এজন্য প্রথমেই আপনি হোম এ অবস্থিত আপনার ফোল্ডার এর ভিতরে isos নামে একটি ফোল্ডার তৈরি করুন আইএসও/ইমেজগুলি রাখার জন্য।

এ ফোল্ডারে আইএসও ফাইলগুলি নেট থেকে ডাউনলোড করুন আর কপি করে রাখুন /home/my-user-name/isos/ পাথে যাদের নাম হতে পারে এরকম- debian1.iso debian2.iso debian3.iso

এবার isos ফোল্ডার এর অধীনে আরো তিনটি ফোল্ডার তৈরী করি iso1, iso2, and iso3 নামে।

এবার আপনার পছন্দের টেক্সট এডিটরে (vim, gedit, kedit-যে কোন একটিতে ) /etc/fstab ফাইলটি খুলুন এবং নিচের লাইনগুলি যোগ করুন এ ফাইলের একদম শেষেঃ

কমান্ডঃ sudo gedit /etc/fstab অথবা
sudo vim /etc/fstab

/home/my-user-name/isos/debian1.iso /home/my-user-name/isos/iso1/ udf,iso9660 user,loop 0 0
/home/my-user-name/isos/debian2.iso /home/my-user-name/isos/iso2/ udf,iso9660 user,loop 0 0
/home/my-user-name/isos/debian3.iso /home/my-user-name/isos/iso3/ udf,iso9660 user,loop 0 0


এরপর সিন্যাপ্টিক এর রিপোজিটরীতে নিচের লাইনগুলি যোগ করতে হবেঃ
এটি গ্রাফিক্যালি টুলস দিয়ে করতে পারেন অথবা /etc/apt/sources.list ফাইলে উপরের মতই কোন এডিটর দিয়ে লাইনগুলি যোগ করতে পারেনঃ

file:/home/my-user-name/isos/iso1 lenny main
file:/home/my-user-name/isos/iso2 lenny main
file:/home/my-user-name/isos/iso3 lenny main


(এখানে প্রথম অংশ ফাইলটি কোথায় আছে তার লোকেশন, দ্বিতীয় অংশ এর ডিস্ট্রিবিউশনের নাম-লেনি, তৃতীয় অংশ হচ্ছে উক্ত ডিস্ট্রো এর main অংশকে নির্দেশ করে।

এখন নতুন করে রিবুট করুন তাহলে আইএসও গুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মাউন্ট হয়ে যাবে এবং সিন্যাপ্টিকে পেয়ে যাবেন। সিন্যাপ্টিকে ও রিলোড বাটনে ক্লিক করে নিতে ভুলবেন না।

ডেবিয়ান লিনাক্সে এক্স-সার্ভার ভিডিও ড্রাইভার সমস্যা/ক্রাশ করার জন্য সমাধান

আমার এই ব্লগ পোস্টে ডেবিয়ান লিনাক্স এক্স সার্ভার এর কিছু সাধারন সমস্যাসমূহ যেমনঃ এক্স-সার্ভার স্টার্ট না হওয়া, ১০২৪ x ৭৬৮ এর মত হাই রেজুলেশন সাপোর্ট না পাওয়া, এক্স সার্ভার ক্রাশ করা ইত্যাদি কিভাবে সমাধান করা যায় তা দেখব। এছাড়া ও যদি আপনি এক্স এর জন্য নিজস্ব ড্রাইভার ব্যবহার না করতে পারেন তবে কিভাবে “Vesa” সাধারন ড্রাইভার ব্যবহার করতে পারেন তাও দেখব। Vesa হচ্ছে এমন একটি গ্রাফিক্স ড্রাইভার যেটি অন্য কোন ড্রাইভার না পাওয়া গেলে তার বিকল্প হিসেবে কাজ করে থাকে লিনাক্সে।

Xorg 7.2 ভার্সন থেকে এক্স সার্ভার এর কনফিগারেশন ফাইল xorg.conf উপর নির্ভর করে না। এর বদলে বর্তমানে লিনাক্সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও কার্ড চিহ্নিত করা, উপযুক্ত ড্রাইভার লোড করা এবং রেজুলেশন সেট করার কাজ হয়ে থাকে। অবশ্য স্বয়ংক্রিয় সেটিংস এর বদলে আগের নিয়মে আলাদাভাবে xorg.conf ফাইলে কনফিগারেশন প্যারামিটারগুলি সেট করতে পারেন। সেক্ষেত্রে এক্স সার্ভার নিজস্ব সেটিংস বাদ দিয়ে আপনার সেট করা প্যারামিটার অনুযায়ী কাজ করবে।

  • প্রথম সমস্যাঃ ধরুন আপনার এক্স সার্ভার হঠাৎ করে কাজ করা বন্ধ করল এবং বার বার রিস্টার্ট দেয়া সত্বেও আর গ্রাফিক্যাল লগইন স্ক্রিন এর বদলে একটি লগইন কনসোল দিল।
সমাধানঃ লগইন কনসোল থেকে নিচের কমান্ড দিনঃ
# X -configure

এবং আপনি নিচের মেসেজ দেখবেন
Your xorg.conf file is /root/xorg.conf.new

এখন নিচের কমান্ড দিয়ে আপনার নতুন কনফিগারেশন ফাইল পরীক্ষা করুনঃ
# X -config /root/xorg.conf.new

যদি আপনার এক্স-সার্ভার ঠিকমত স্টার্ট নেয় তাহলে Ctrl-Alt-Backspace চাপুন এবং নিচের কমান্ডটি দিন
# mv /root/xorg.conf.new /etc/X11/xorg.conf

এবং আপনার লগইন ম্যানেজার চালু করতে নিচর কমান্ড দিনঃ
# /etc/init.d/gdm restart

যদি উপরের পদ্ধতিতে কাজ না হয় তবে আপনার xserver-xorg প্যাকেজটি নতুন করে কনফিগার করে নিন নিচের কমান্ড এর মাধ্যমেঃ
# dpkg-reconfigure -phigh xserver-xorg

স্ক্রিনের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করুন। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ডিফল্ট মান দেয়াই ভাল। সবশেষে আপনার এক্স সার্ভার নিচের কমান্ড দিয়ে চেক করুনঃ
# X

যদি এক্স সার্ভার ঠিকমত চালু হয় তবে Ctrl-Alt-Backspace চাপুন এবং লগইন ম্যানেজার স্টার্ট দিন।
# /etc/init.d/gdm restart

নোট: যদি X কমান্ড দেয়ার পর আপনার এক্স সার্ভার ঠিক আছে বলে মনে হয় তবে উপরের কমান্ড দিয়ে পুনরায় গ্রাফিক্যাল মোড চালু করতে পারেন।

  • দ্বিতীয় সমস্যাঃ ধরুন আপনার এক্স সার্ভার চালু হয়েছে কিন্তু এটি ৮০০ x ৬০০ এর বেশী রেজুলেশন সাপোর্ট করছে না অর্থাৎ System->Preferences->Screen Resolution এ পাওয়া যাচ্ছে না তখন কি করবেন?
এর সমাধান হিসেবে /etc/X11/xorg.conf ফাইলে সরাসরি মান পরিবর্তন করে দিতে পারেন। আপনার কনফিগারেশন ফাইলটি মোটামুটি দেখতে নিচের মতঃ

Section "InputDevice
Identifier "Generic Keyboard"
Driver "kbd"
Option "XkbRules" "xorg"
Option "XkbModel" "pc104"
Option "XkbLayout" "us"
EndSection

Section “Device”
Identifier “Configured Video Device”
EndSection

আপনার xorg.conf ফাইলে নিচের সেকশনগুলি যোগ করে নিন (কপি - পেস্ট করতে পারেন):

Section "InputDevice"
Identifier "Generic Keyboard"
Driver "kbd"
Option "XkbRules" "xorg"
Option "XkbModel" "pc104"
Option "XkbLayout" "us"
EndSection

Section “InputDevice”
Identifier “Configured Mouse”
Driver “mouse”
EndSection

Section “Device”
Identifier “Configured Video Device”
EndSection

Section “Monitor”
Identifier “Generic Monitor”
Option “DPMS”
HorizSync 28-50
VertRefresh 43-75
EndSection

Section “Screen”
Identifier “Default Screen”
Device “Generic Video Card”
Monitor “Generic Monitor”
DefaultDepth 24
SubSection “Display”
Depth 1
Modes “1024×768″ “800×600″ “640×480″
EndSubSection
SubSection “Display”
Depth 4
Modes “1024×768″ “800×600″ “640×480″
EndSubSection
SubSection “Display”
Depth 8
Modes “1024×768″ “800×600″ “640×480″
EndSubSection
SubSection “Display”
Depth 15
Modes “1024×768″ “800×600″ “640×480″
EndSubSection
SubSection “Display”
Depth 16
Modes “1024×768″ “800×600″ “640×480″
EndSubSection
SubSection “Display”
Depth 24
Modes “1024×768″ “800×600″ “640×480″
EndSubSection
EndSection


এখন আগের মতই এক্স সার্ভারকে চেক করুনঃ
# X

  • তৃতীয় সমস্যাঃ ধরুন উপরে বর্নিত কনফিগারেশন ফাইল পরিবর্তন করার পরও স্ক্রিন ঠিক হল না বা এক্স সার্ভঅর আগের মতই রইল তখন আপনাকে জেনেরিক “ভেসা” VESA - ড্রাইভার ব্যবহার করতে হবে।
এজন্য আপনার xorg.conf ফাইলকে আগের অবস্থায় নিয়ে যান অর্থাৎ যা নতুন কিছু যোগ করেছেন উপরে বর্নিত দ্বিতীয় পদ্ধতিতে সেগুলি মুছে ফেলুন তারপর শুধুমাত্র নিচের একটি লাইন যোগ করুন (vesa শব্দ সম্বলিত লাইনটি)।

Section "InputDevice"
Identifier "Generic Keyboard"
Driver "kbd"
Option "XkbRules" "xorg"
Option "XkbModel" "pc104"
Option "XkbLayout" "us"
EndSection

Section “Device”
Identifier “Configured Video Device”
Driver “vesa”
EndSection

এখন আগের মতই এক্স সার্ভার চেক করুন নিচের কমান্ড দিয়েঃ
# X

যদি আপনার এক্স সার্ভার ঠিকমত কাজ করে কিন্তু মাউস সমস্যা করে তাহলে নিচের কমান্ড দিয়ে মাউস কে কনফিগার করে নিনঃ
# modprobe psmouse

  • চতুর্থ সমস্যাঃ সবশেষে, যদি উপরের কোন একটি পদ্ধতিতেও কাজ না হয় তবে xorg.conf ফাইল আপনাকে সব প্যারামিটার নিজের হাতে সেট করতে হবে নিচের মত করে।
Section "Files"
FontPath "/usr/share/fonts/X11/misc"
FontPath "/usr/X11R6/lib/X11/fonts/misc"
FontPath "/usr/share/fonts/X11/cyrillic"
FontPath "/usr/X11R6/lib/X11/fonts/cyrillic"
FontPath "/usr/share/fonts/X11/100dpi/:unscaled"
FontPath "/usr/X11R6/lib/X11/fonts/100dpi/:unscaled"
FontPath "/usr/share/fonts/X11/75dpi/:unscaled"
FontPath "/usr/X11R6/lib/X11/fonts/75dpi/:unscaled"
FontPath "/usr/share/fonts/X11/Type1"
FontPath "/usr/X11R6/lib/X11/fonts/Type1"
FontPath "/usr/share/fonts/X11/100dpi"
FontPath "/usr/X11R6/lib/X11/fonts/100dpi"
FontPath "/usr/share/fonts/X11/75dpi"
FontPath "/usr/X11R6/lib/X11/fonts/75dpi"
# path to defoma fonts
FontPath "/var/lib/defoma/x-ttcidfont-conf.d/dirs/TrueType"
EndSection

Section “Module”
Load “bitmap”
Load “ddc”
Load “dri”
Load “extmod”
Load “freetype”
Load “glx”
Load “int10″
Load “vbe”
EndSection

Section “InputDevice”
Identifier “Generic Keyboard”
Driver “kbd”
Option “CoreKeyboard”
Option “XkbRules” “xorg”
Option “XkbModel” “pc104″
Option “XkbLayout” “us”
EndSection

Section “InputDevice”
Identifier “Configured Mouse”
Driver “mouse”
Option “CorePointer”
Option “Device” “/dev/input/mice”
Option “Protocol” “ImPS/2″
Option “Emulate3Buttons” “true”
EndSection

Section “Device”
Identifier “Generic Video Card”
Driver “amd”
BusID “PCI:0:1:1″
EndSection

Section “Monitor”
Identifier “Generic Monitor”
Option “DPMS”
HorizSync 28-50
VertRefresh 43-75
EndSection

Section “Screen”
Identifier “Default Screen”
Device “Generic Video Card”
Monitor “Generic Monitor”
DefaultDepth 24
SubSection “Display”
Depth 1
Modes “1024×768″ “800×600″ “640×480″
EndSubSection
SubSection “Display”
Depth 4
Modes “1024×768″ “800×600″ “640×480″
EndSubSection
SubSection “Display”
Depth 8
Modes “1024×768″ “800×600″ “640×480″
EndSubSection
SubSection “Display”
Depth 15
Modes “1024×768″ “800×600″ “640×480″
EndSubSection
SubSection “Display”
Depth 16
Modes “1024×768″ “800×600″ “640×480″
EndSubSection
SubSection “Display”
Depth 24
Modes “1024×768″ “800×600″ “640×480″
EndSubSection
EndSection

Section “ServerLayout”
Identifier “Default Layout”
Screen “Default Screen”
InputDevice “Generic Keyboard”
InputDevice “Configured Mouse”
EndSection

Section “DRI”
Mode 0666
EndSection

উপরে ডিভাইস সেকশনে (Driver “amd” স্থানে) আপনার ডিভাইস ড্রাইভার এর নাম বসিয়ে দিন এবং এক্স সার্ভার চালু করুন।

আশা করি উপরে বর্নিত পদ্ধতির কোন একটি অবলম্বন করে আপনি আপনার এক্স সার্ভার বা গ্র্যাফিক্যাল মোডের সমস্যা ঠিক করতে পারবেন।

লিনাক্সের সাধারন সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য কয়েকটি দরকারী কমান্ড

লিনাক্স নিয়মিত ব্যবহার করতে শুরু করলে প্রায়ই ব্যবহারকারীগন কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন যা সহজেই কিছু কমান্ডের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। এ পোস্টে আমি সেরকম কিছু সাধারন সমস্যা ও তার সমাধান উল্লেখ করতে চাই। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। যদি ও আমি ব্যক্তিগতভাবে ডেবিয়ান লিনাক্স কে ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এ কমান্ডগুলি অন্যান্য ডিস্ট্রিবিউশন যেমন উবুন্তু, সুসি বা ফেডোরাতেও কাজ করবে।

  • কমান্ড#১: dhclient
অনেক সময় দেখা যায় যে আপনার কম্পিউটার আইপি এ্যাড্রেস পাচ্ছে না এবং এর ফলে ইন্টারনেটে যুক্ত হতে পারছে না। এ সমস্যা সমাধানের জন্য নিচের কমান্ডটি দিনঃ

# dhclient ethX

এখানে X = ইথারনেট ইন্টারফেস

আপনার সব নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস দেখার জন্য কমান্ড দিনঃ

# ifconfig -a

সুতরাং আপনার কমান্ডটি বাস্তবে নিচের মত হতে পারেঃ

# dhclient eth1

  • কমান্ড #২ update-grub
ধরে নিচ্ছি আপনি /boot/grub/menu.lst ফাইলে কিছু নতুন অপশন/প্যারামিটার যুক্ত করেছেন। তাই এখন এগুলিকে আপনার বর্তমান কার্নেল তালিকায় যুক্ত করার জন্য নিচের কমান্ডটি দিনঃ

# update-grub

  • কমান্ড #৩ mkinitramfs
যদি আপনি বুটের সময় কার্নেল ইমেজ নিয়ে সমস্যায় পড়েন এবং যদি মনে করেন যে এটি একটি initrd(Initial Ram Disk) সমস্যা তবে আপনি একটি নতুন ইমেজ তৈরী করে এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন। এজন্য নিচের মত কমান্ড দিনঃ

# update-initramfs -t -c -v -k


এখানে kernel-version = আপনার লিনাক্স কার্নেল ভার্সন নম্বর যেটির জন্য আপনি একটি initrd ইমেজ তৈরী করতে চান।
আপনার কার্নেলসমূহের ভার্সন নম্বর দেখার জন্য নিচের মত করে কমান্ড দিনঃ

# ls /boot/vmlinuz*

/boot/vmlinuz-2.6.26-1-686 /boot/vmlinuz-2.6.28-2-686

সুতরাং আপনার বাস্তব কমান্ডটি নিচের মত হতে পারেঃ

# update-initramfs -t -c -v -k 2.6.26-1-686

  • কমান্ড #৪: kill
যদি আপনি একটি হ্যাং হয়ে যাওয়া প্রসেসকে/প্রোগ্রামকে বন্ধ না করতে পারেন তবে এটি বন্ধ করার জন্য নিচের মত কমান্ড দিতে পারেনঃ

# kill -9

যেখানে pid-number= প্রসেস আইডি নম্বর

আপনার সমস্ত প্রসেস আইডি নম্বর দেখার জন্য নিচের মত কমান্ড দিনঃ

# ps -ef

ফলাফলঃ
UID PID PPID C STIME TTY TIME CMD
root 1 0 0 Jun08 ? 00:00:02 init [2]
root 2 0 0 Jun08 ? 00:00:00 [kthreadd]
root 2334 2 0 Jun08 ? 00:00:00 [kondemand/1]
root 2408 1 0 Jun08 ? 00:00:08 /sbin/syslogd
root 2446 1 0 Jun08 ? 00:00:00 /sbin/klogd -x
root 2455 1 0 Jun08 ? 00:00:00 /usr/sbin/acpid
104 2473 1 0 Jun08 ? 00:00:06 /usr/bin/dbus-daemon –system

ধরুন উপরের ফলাফল অনুযায়ী আপনি acpid ডেমনকে বন্ধ করতে চান, তাহলে আপনার কমান্ড হবে নিচের মতঃ

# kill -9 2455

  • কমান্ড #৫: এক্স(X) সার্ভার সমস্যা
আপনি যদি এক্স সার্ভার স্টার্ট করা নিয়ে সমস্যায় পড়েন তবে নিচের কমান্ড দুটি দিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেনঃ

# X -configure
# X -config /root/xorg.conf.new


  • কমান্ড #৬: apt এবং dpkg সমস্যা
apt-get এবং dpkg সমস্যা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নিচের দুটি কমান্ডের মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব যেমনঃ ইনস্টল করার সময় ডিপেনডেন্সীর কারনে ইনস্টল না হওয়া, ইনস্টল ফাইল করাপ্ট হয়ে যাওয়া, ইনস্টল করার সময় মেশিন বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

# apt-get -f install
# dpkg --configure -a


  • কমান্ড #৭: দ্রুত একটি পরীক্ষামূলক সিস্টেম তৈরী করা
স্যান্ডবক্সের মত আপনার বর্তমান সিস্টেমে যদি কোন টেস্ট সিস্টেম তৈরি করতে চান তবে নিচের কমান্ড দিনঃ

# debootstrap --arch i386 lenny /home/yourname/chroots/debian32 http://ftp.us.debian.org/debian

  • কমান্ড #৮: GNOME পূনরায় চালু করা
কিছু কিছু সময় জিনোম ডেস্কটপ সঠিকভাবে লোড নেয় না যেমন আইকন দেখা যায় না অথবা প্যানেল লোড হয় না। এ ক্ষেত্রে নিচের কমান্ডটি প্রয়োগ করে আপনি সহজেই আপনার জিনোম ডেস্কটপকে পূনরায় লোড করতে পারেন মেশিন রিস্টার্ট করা ছাড়াই।

# killall gnome-panel nautilus

  • কমান্ড #৯: একক ব্যবহারকারী মোডে সুইচ করা
কিছু সমস্যা শুধুমাত্র সিঙ্গেল ইউজার মোডেই সমাধান করা সম্ভব যেটি অনেকটা উইন্ডোজের সেফ মোডের মত। আপনি এক্ষেত্রে খুব সহজেই সিঙ্গেল ইউজার মোডে সুইচ করতে পারেন যেকোন সময় নিচের কমান্ডটি দিয়েঃ

# init 1

  • কমান্ড #১০: GNOME শব্দ
যদি জিনোম এর নিজস্ব সাউন্ড ইভেন্টসমূহ বা শব্দ শুনতে না পান কিন্তু গান বা মিউজিক ঠিকই শুনতে পান তাহলে নিচের কমান্ডটি দিয়ে তা ঠিক করতে পারেনঃ

# modprobe snd_pcm_oss

আপনার কমান্ড প্রদান আরো স্বাচ্ছ্যন্দময় হয়ে উঠুক সেই প্রত্যাশায় শেষ করছি।

লিনাক্সে রিমোট এ্যাডমিনিস্ট্রেশন

বড় ধরনের লিনাক্স সিস্টেমে একজন ব্যবহারকারী কোন ইউটিলিটি প্রোগ্রামের সাহায্যে BASHশেলে প্রবেশ/লগইন করে থাকেন যেটি মূলত নেটওয়ার্কে অবস্থিত কোন সার্ভার এ কানেক্ট করে থাকে। এভাবে লগইন করে সার্ভারকে দূরবর্তী স্থান থেকে কন্ট্রোল করা সম্ভব। কারন আপনি যদি একবার শেলে লগইন করতে পারেন তাহলে যেকোন কমান্ড সেখান থেকেই দিতে পারবেন। ফলে কনফিগারেশন পরিবর্তন করা, কোন সার্ভিস রিস্টার্ট করা বা পরিবর্তন করা, এমনকি মেশিন রিস্টার্ট দেয়া পর্যন্ত করতে পারবেন দূর থেকেই। তবে মেশিন রিস্টার্ট করলে আপনার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এবং রিস্টার্ট হওয়ার পর পূনরায় লগইন করতে হবে।

বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নেটওয়ার্কে অবস্থিত দূরবর্তী কোন লিনাক্স কম্পিউটার এ ব্যাস শেল পাওয়ার জন্য টেলনেট ব্যবহার করা হয়; প্রচলিত প্রায় সব অপারেটিং সিস্টেম (যেমন লিনাক্স, উইন্ডোজ, ইউনিক্স, ম্যাকিনটোশ ইত্যাদি) টেলনেট ইউটিলিটি সহই বের হয়ে থাকে। টেলনেট এ কাজ করা বেশ সহজ। টেলনেট কমান্ডে শুধুমাত্র হোস্ট নেম অথবা আইপি এ্যাড্রেস দিয়ে দিন এবং ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করুন। টেলনেট সেশন এর মাধ্যমে যে টার্মিনাল পাওয়া যায় তা কোন লোকাল টার্মিনাল নয় বরং একটি স্যুডো বা অস্থায়ী টার্মিনাল এবং সাধারন শেল এর মতই কাজ করে থাকে; এখানে যেকোন কমান্ড দিতে পারবেন এবং কমান্ড দেয়া শেষ হলে exit কমান্ডের মাধ্যমে সেশন ও BASHথেকে বের হতে হয়।

নিচে appserver হোস্ট নেম এর একটি কম্পিউটারে টেলনেট এর মাধ্যমে লগইন করার একটি সেশন দেখানো হলঃ

[root@server1 root]# telnet appserver
Trying 192.168.0.1...
Connected to appserver (192.168.0.1).
Escape character is '^]'.
Fedora Core release 2 (Tettnang)
Kernel 2.6.5-1.358 on an i686
login: root
Password:
Last login: Tue Aug 10 14:14:27 from server1
You have new mail.
[root@server1 root]# who
root :0 Aug 10 14:13
root pts/8 Aug 10 14:14 (:0.0)
root pts/10 Aug 10 14:17 (server1)
[root@server1 root]# exit
Connection closed by foreign host.
[root@server1 root]# _

যদিও টেলনেট বহুল ব্যবহৃত কিন্তু এটি আপনার কম্পিউটাররের সাথে টেলনেট সার্ভার এর যোগাযোগকে এনক্রিপ্ট করে না। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাধারনত এর বদলে সিকিউর শেল (ssh) ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

একটি ssh সেশন নিচে উদাহরনস্বরূপ দেয়া হলঃ

[root@server1 root]# ssh appserver
root@appserver's password:
Last login: Tue Aug 10 14:13:22 2005
root@server1 root]# who
root :0 Aug 10 14:13
root pts/8 Aug 10 14:14 (:0.0)
root pts/9 Aug 10 14:14 (server1)
[root@server1 root]# exit
Connection to appserver closed.
[root@server1 root]# _

উপরের আউটপুট একটু ভাল লক্ষ্য করুন- এখানে appserver কম্পিউটারে রুট পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে লগইন করার জন্য প্রম্পট দেয়া হয়েছিল কারন আপনি নিজের কম্পিউটারেই রুট হিসেবে লগইন করা অবস্থায় ছিলেন। যদি ভিন্ন নামে উক্ত appserver কম্পিউটারে লগইন করার প্রয়োজন হয় তবে আপনাকে ssh –l username appserver কমান্ড ব্যবহার করতে হবে। একটি প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক এ্যাডমিনিস্ট্রেটরগন সার্ভার নিয়ন্ত্রনের জন্য টেলনেট এবং এসএসএইচ(SSH) উভয়ই ব্যবহার করে থাকেন। সিসকো রাউটারের মত হার্ডওয়্যার নির্ভর নেটওয়ার্ক ডিভাইস সমূহ একইভাবে টেলনেট এবং SSH ইউটিলিটি ব্যবহার করে কানেক্ট হওয়া যায় এবং নিয়ন্ত্রন করা যায়। তবে বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠান সে সমস্ত ইউটিলিটি ব্যবহার করে থাকে যেগুলি এ সমস্ত ডিভাইসগুলি সিম্পল নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট টুল(SNMP) প্রটোকল এর মাধ্যমে মনিটর করে অথবা রিমোট মনিটরিং প্রটোকল এর সাহায্যে (RMON)। লিনাক্সের জন্য বেশ কয়েকটি ওপেন সোর্স SNMP এবং RMON প্যাকেজ পাওয়া যায়। এর যে কোন একটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।