বিনামূল্যে কম্পিউটার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ

পোস্টলিখেছেন আলোকিত শুক্রবার, অক্টোবর ১৯, ২০০৭ ১:১৯ পূর্বাহ্ন

প্রতিনিয়ত বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে ইন্টারনেটে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের পরিমাণ। নামি-বেনামী অসংখ্য ভাইরাস ও স্পাইওয়্যার নামক ঘাতক প্রোগ্রামের দ্বারা প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে বিশ্বের হাজার হাজার কম্পিউটার এবং কম্পিউটারে সংরক্ষিত মূল্যবান তথ্য। এতে ব্যবহারকারীরা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়াও হ্যাকার নামে পরিচিত একশ্রেণীর অসাধু কম্পিউটার ব্যবহারকারী ইন্টারনেটের সাহায্যে আত্মসাৎ করছে অনলাইনে সংরক্ষিত ব্যাংক একাউন্ট ও ক্রেডিট কার্ডের গোপন নাম্বার, নেট ব্যবহারকারীদের ই-মেইল এ্যকাউন্ট ও মেসেঞ্জার আইডি, গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড ইত্যাদি এবং এভাবে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্যপক ক্ষতি করছে এই হ্যাকাররা। এছাড়াও এরা অনলাইন কেনাবেচার সাইট থেকে ব্যালেন্স চুরি করে নেয়, ছোটবড় বিভিন্ন কোম্পানীর ডাটাবেজ মুছে দেয়, ওয়েব সাইটের এফটিপি একাউন্ট হ্যাক করে মুছে দেয় সব ফাইল। ফলস্বরূপ ওইসব কোম্পানী ব্যপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এসব ভাইরাস, স্পাইওয়্যার ও হ্যাকারদের ঠেকাতে তৈরী হয়েছে নরটন, ম্যাকাফির মত নামি দামী সব অনলাইন নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যার কোম্পানী এবং তাদের তৈরীকৃত সফ্‌টওয়্যারের সাহায্যে নিশ্চিত করছে সকল শ্রেণীর কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যারের বিক্রয়মূল্য সাধারণ গ্রাহকদের ক্রয়সীমার বাইরে থাকে বিধায় সাধারণ গ্রাহকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্ছিত হন। অনলাইন হুমকির সবচেয়ে বড় শিকার বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশসমূহের জনগণ যাদের এত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে অনলাইন নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যার কেনার সামর্থ্য নেই। তাই দেখা যায়... কেউ একটি নতুন কম্পিউটার কেনার কিছুদিনের মাঝেই কম্পিউটারটিতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয় এবং একসময় কম্পিউটারটি অকেজো হয়ে পরে। সাধারণ গ্রাহকদের নিরাপত্তার এই চাহিদার কথা বিবেচনা করে কিছু নিবেদিতপ্রাণ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামার তাদের তৈরীকৃত কিছু নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যার সকল শ্রেণীর কম্পিউটার ব্যবহারকারীর জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। এখানে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সেরা কিছু অনলাইন নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যারের বর্ণনা দিয়ে এদের প্রাপ্তিস্থান উল্লেখ করা হলঃ

কমোডো ফায়ারওয়াল প্রোঃ অনলাইন নিরাপত্তা সফ্‌টওয়্যারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফায়ারওয়াল। এটি ইন্টারনেট এর ইনকামিং ও আউটগোইং ট্রাফিক ফিল্টার করে হ্যাকারদের আক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং কম্পিউটারে কোনপ্রকার ক্ষতিকারক সফ্‌টওয়্যার(ভাইরাস, স্পাইওয়্যার ইত্যাদি) প্রবেশে বাধা দেয়। এছাড়াও এটি কম্পিউটারে ইন্সটলকৃত প্রোগ্রামসমূহ মনিটর করে কোন সন্দেহজনক কর্মকান্ড দেখলে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করে এবং প্রয়োজনবোধে ঝুঁকিপূর্ণ কোন কমান্ড এক্সেকিউশন প্রতিরোধ করে। ফলে কম্পিউটার ব্যপক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়।
সর্বাধিক ব্যবহৃত উইন্ডোজ ঘরানার অপারেটিং সিস্টেমের একটি অংশ হিসাবে উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল সচল থাকে। কিন্তু এই ফায়ারওয়াল শুধু ইনকামিং হ্যাকারদের প্রবেশে বাধা দেয়, কম্পিউটারের অভ্যন্তরে অবস্থিত স্পাইওয়্যারসমূহের ইন্টারনেট প্রবেশে কোনরকম বাধা দেয় না। ফলে নিরাপত্তার ফাঁক থেকেই যায়। উইন্ডোজ ফায়ারওয়ালের এই সীমাবদ্ধতাগুলো দূর করতে বিভিন্ন নামকরা কম্পিউটার সিকিউরিটি কোম্পানী সর্বাধিক নিরাপত্তার জন্যে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ফায়ারওয়াল তৈরী করে থাকে।

বিনামূল্যে প্রাপ্ত ফায়ারওয়্যালগুলোর মধ্যে সেরা হচ্ছে জোন এলার্ম এবং কমোডো ফায়ারওয়্যাল প্রো। জোন এলার্মের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী হলেও এটি অধিক পরিমাণ সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে... ফলে এটি ব্যবহারের কারণে কম্পিউটার কিছুটা স্লো হয়ে যেতে পারে। অপরদিকে কমোডো ফায়ারওয়াল প্রো জোন এলার্ম এর মতই শক্তিশালী নিরাপত্তা সম্পন্ন এবং এটি অনেক কম সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে। কম্পিউটারে মাত্র ১২৮ মেগাবাইট Ram থাকলেই এটি চালানো সম্ভব এবং এটি ব্যবহারে কম্পিউটার একটুও স্লো হয় না। এটি অনলাইন এবং ডেস্কটপ ফায়ারওয়্যাল দুধরণের কাজই করতে সক্ষম, তবে ব্যবহারকারি চাইলে ডেস্কটপ ফায়ারওয়্যালটি বন্ধ রাখতে পারেন কারন এটি ঘনঘন বিভিন্ন পপ-আপ উইন্ডো প্রদর্শন করে যা অনেকের কাছেই বিরক্তিকর।
কমোডো ফায়ারওয়্যাল প্রো ডাউনলোড করতে পারবেন এই সাইট থেকে...

কমোডো ফায়ারওয়্যাল সংক্রান্ত কিছু টিপসঃ
১। কমোডো ফায়ারওয়্যাল ইন্সটলের পর কম্পিউটার রিস্টার্ট করে প্রথমেই নেটওয়ার্ক ডিফেন্স ট্রেইনিং মোডে সেট করুন এবং প্রো-এ্যাক্টিভ ডিফেন্স ডিজেবল করে দিন। আপনার কম্পিউটারে আলাদা এন্টিভাইরাস ইন্সটল করা থাকলে প্রো-এ্যাক্টিভ ডিফেন্সের কোন প্রয়োজন নেই।
২। এরপর Miscellaneous ট্যাবের Settings মেনুতে গিয়ে Show the balloon messages অপশনটি বন্ধ করে দিন। তাহলে আর কোন বিরক্তিকর পপ-আপ প্রদর্শিত হবে না এবং কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই কমোডো ফায়ারওয়্যাল ব্যবহার করতে পারবেন।
৩। কমোডো ফায়ারওয়্যাল ইন্সটলের পর প্রথমবার ইন্টারনেটে সংযুক্ত হলে New Network Found সংক্রান্ত একটি উইন্ডো প্রদর্শিত হবে। এখানে Don’t detect new networks automatically অপশনটি নির্বাচন করুন।
কমোডো ফায়ারওয়াল প্রো এর স্ক্রিণশটঃ
ছবি

আভাস্ট এন্টিভাইরাসঃ ভাইরাস হচ্ছে একধরণের এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম অথবা নির্দেশাবলী যা কোন কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে অবস্থানকালে মারাত্মক ঝুঁকিসম্পন্ন কমান্ড এক্সেকিউট করে হার্ডডিস্কে অবস্থিত জরুরী তথ্য অথবা সিস্টেম ফাইল মুছে দেয়। এন্টিভাইরাস প্রোগ্রামসমূহের মৌলিক কাজ হচ্ছে সমগ্র হার্ডড্রাইভ অথবা হার্ডড্রাইভের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা(সিস্টেম ডিস্ক) থেকে ভাইরাসসমূহ খুঁজে বের করা এবং এদের নির্মূল করা। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিচিত্র ধরণের নিত্যনতুন ভাইরাস নির্মূলের জন্য বর্তমানে এ্যান্টিভাইরাস প্রোগ্রামসমূহের কর্মক্ষমতাও আগের চেয়ে অনেক বিস্তৃত এবং শক্তিশালী রূপ নিয়েছে। একটি আধুনিক এ্যান্টিভাইরাসের বৈশিষ্ট্যসমূহের মধ্যে রয়েছে রিয়াল টাইম প্রটেকশন(যা হার্ডডিস্কে অবস্থিত কোন ফাইল ব্যবহৃত হওয়ামাত্র স্ক্যান করে দেখে), ভাইরাস রিকভারি ডাটাবেজ(ভাইরাস আক্রমনের পর কম্পিউটারকে পূর্ববর্তী অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য), লাইভ আপডেট(সর্বশেষ চিহ্নিত ভাইরাসমূহের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ) ইত্যাদি। বিনামূল্যে প্রাপ্ত এ্যান্টিভাইরাস সফ্‌টওয়্যারসমূহের মধ্যে এভিজি এ্যান্টিভাইরাস, এ্যান্টি ভিআইআর এবং আভাস্ট হোম এডিশন উল্লেখযোগ্য। এরমধ্যে আভাস্ট এন্টিভাইরাসই সবচেয়ে কার্যকরী কারণ এটি সবচেয়ে কম সিস্টেম রিসোর্স(প্রসেসর ও র‌্যাম) ব্যবহার করে এবং খুব দ্রুত ও নির্ভুলভাবে স্ক্যান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। আভাস্টের মূল কম্পোনেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড শিল্ড(রিয়াল টাইম প্রটেকশন), ওয়েব শিল্ড(ছোটখাট একটি ফায়ারওয়াল), আই.এম.(ইন্সট্যান্ট মেসেজিং) প্রটেকশন, ইন্টারনেট মেইল(আউটলুক এক্সপ্রেস, এম.এস. আউটলুক, মোজিলা থান্ডারবার্ড ইত্যাদি) প্রটেকশন, এবং পি.টু.পি.(Peer2Peer) ফাইল শেয়ারিং শিল্ড। এছাড়াও এতে রয়েছে বুট টাইম স্ক্যানার যা সিস্টেম স্টার্টআপ এর সময় হার্ডডিস্ক ড্রাইভ স্ক্যান করে। যেহেতু স্টার্টআপের সময় অন্য কোন প্রোগ্রাম চালু থাকে না তাই এই স্ক্যান হয় অনেক দ্রুত এবং কার্যকরী। ইন্সটলেশনের পরপরই এটি একটি ভাইরাস রিকভারী ডাটাবেজ তৈরী করে নেয় যাতে ভাইরাস আক্রমণের পর ক্ষতিগ্রস্থ কম্পিউটারকে এর পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
আভাস্ট এন্টিভাইরাস বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন এই সাইট থেকে।
ডাউনলোডের পর একটি ফ্রি রেজিস্ট্রেশনের কোডের জন্য আপনাকে এই পেজ থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এখানে প্রয়োজনীয় তথ্যসমূহ(ব্যবহারকারীর নাম, মেইল এ্যাড্রেস) ইত্যাদি প্রবেশ করিয়ে রেজিস্টারের পর আপনার প্রদত্ত ই-মেইল ঠিকানায় রেজিস্ট্রেশন কোডটি পৌঁছে যাবে। এরপর উইন্ডোজ টাস্কবারে অবস্থিত
আভাস্ট আইকনটিতে রাইট ক্লিক করে About Avast মেনুতে গিয়ে নতুন লাইসেন্স-কী টি বসিয়ে নিন।
আভাস্ট এন্টিভাইরাস এর একটি স্ক্রিণশটঃ
ছবি

স্পাইবট সার্চ এন্ড ডেসট্রয়ঃ ভাইরাস ছাড়াও বর্তমানে আরেকধরণের ক্ষতিকারক সফ্‌টওয়্যার দেখা যায় যা ব্যবহারকারীর অগোচরে কম্পিউটারে অবস্থিত তথ্যসমূহ চুরী করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন হ্যাকার বা ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দেয়। এছাড়াও এক ধরণের স্পাইওয়্যার ব্যবহারকারীর ব্রাউজিং Habit মনিটর করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দেয় যা ব্যবহারকারীর ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ করে। স্পাইওয়্যারজনিত আরো কিছু সমস্যা হল বিভিন্ন ধরণের পপ-আপ এ্যাড, অযৌক্তিক এরর মেসেজ ইত্যাদি। এছাড়াও কিছু কিছু স্পাইওয়্যার বিপুল পরিমাণ সিস্টেম রিসোর্স ব্যবহার করে কম্পিউটারের গতি মন্থর করে দেয়। স্পাইওয়্যার সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন এন্টি-স্পাইওয়্যার সফ্‌টওয়্যার রয়েছে। এর মধ্যে অত্যন্ত কার্যকর ও বিনামূল্যে প্রাপ্ত একটি সফ্‌টওয়্যার হল স্পাইবট সার্চ এন্ড ডেস্ট্রয়। এর প্রধান বৈশিষ্টগুলো হল নিয়মিত হালনাগাদ(আপডেট), নিরাপত্তাজনিত ফাঁকগুলো নিশ্ছিদ্রকরণ(Immunization), টি-টাইমার প্রটেকশন(উইন্ডোজ ও ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ডিফল্ট সেটিংগুলোকে স্পাইওয়্যারজনিত ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা) ইত্যাদি। এই সফ্‌টওয়্যারটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন এই সাইট থেকে।
স্পাইবট সার্চ এন্ড ডেসট্রয় এর একটি স্ক্রিণশটঃ
ছবি

সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য কিছু সাবধানতাঃ
১। সন্দেহজনক কোন ফাইল ডাউনলোড থেকে বিরত থাকুন... বিশেষ করে .exe এক্সটেনশন এর ফাইল ডাউনলোড করার পূর্বে দেখে নিন ডাউনলোড সোর্সটি নিরাপদ কিনা।
২। অপরিচিত কোন ওয়েবসাইটে বিশেষ প্রয়োজন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা ব্যতীত প্রবেশ করবেন না। অপরিচিত কোন সাইটে প্রবেশের পূর্বে গুগলে ওই সাইট সম্পর্কে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখুন সাইটটি নিরাপদ ও ভাইরাসমুক্ত কিনা।
৩। কম্পিউটারে কোন সিডি বা বহনযোগ্য কোন হার্ডওয়্যার(ফ্লপি, পেন ড্রাইভ, মেমোরী কার্ড) ইত্যাদি প্রবেশ করানোর সাথে সাথে এন্টিভাইরাস সফ্‌টওয়্যার দিয়ে স্ক্যান করুন। স্ক্যান না করে কখনোই বাইরের কোন ডাটা কম্পিউটারে প্রবেশ করানো উচিৎ নয় কারন এতে ভাইরাস, স্পাইওয়্যারসহ নানা ক্ষতিকারক উপাদান থাকতে পারে।
৪। সর্বক্ষণ উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল বা আলাদাভাবে ইন্সটলকৃত কোন ফায়ারওয়াল চালু রাখুন। ফায়ারওয়াল বন্ধ রাখা মানে হ্যাকারদের প্রবেশ উন্মুক্ত করে দেয়া।
৫। এ্যান্টিভাইরাস সফ্‌টওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেম নিয়মিত হালনাগাদ(আপডেট) করুন। এর ফলে কম্পিউটার নিত্যনতুন অনলাইন হুমকির হাত থেকে নিরাপদ থাকবে। অনেকের কাছে উইন্ডোজ অটোমেটিক আপডেট বিরক্তিকর মনেহয় এবং এটি বেশ কিছু ব্যান্ডউইড্‌থ রিজার্ভ করে রাখে। মাইক্রোসফ্‌টের এই সাইট থেকে পছন্দমত উইন্ডোজের সর্বশেষ আপডেট ইন্সটল করে নিতে পারেন।
৬। শিশুকিশোরের অনলাইন নিরাপত্তার জন্য ওয়েব কনটেন্ট ফিল্টারিং সফ্‌টওয়্যার ব্যবহার করুন। এই সফ্‌টওয়্যার পেতে আপনার ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করুন। এটি বিভিন্ন পর্ণ সাইট ও অন্যান্য ক্ষতিকারক সাইট থেকে শিশুকিশোরদের নিরাপদ রাখবে।
(প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন মানচুমাহারা এবং তানভীর জামান)

আশা করি এই সফ্‌টওয়্যার ও সাবধানতাগুলো সবার কাজে আসবে।
এছাড়াও কারো কোন গুরুত্বপূর্ণ সিকিউরিটি টিপ্‌স জানা থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না ছবি

আপডেটঃ ফায়ারওয়্যাল অংশে জোন এলার্ম এর পরিবর্তে কমোডো ফায়ারওয়্যাল এর বর্ণনা দেয়া দেয়া হল, এবং আভাস্ট ও স্পাইবট সার্চ এন্ড ডেস্ট্রয় এর ডাউনলোড লিঙ্ক পরিবর্তন করে নতুন ভার্সনের লিঙ্ক দেয়া হ

0 comments:

Post a Comment